সেদিন আমার বুকে কাঁদবার জন্য আমন্ত্রণ করলো সুলক্ষী হঠাৎ এক বৃষ্টি ঝরা রাতে আমি ওর গৃহে উপস্থিত । আমার বুকে জড়িয়ে ধরে ও অঝরে কাঁদলো কাঁদলাম আমিও । প্রকৃতির হাজার চোখ আর চার চোখের জলে দু’জনে ভিজে একাকার যেনো ¯œাণ করা হলো চোখের জলে । যথারীতি আমি অঞ্জলি দিলাম ওর পায়ে কপোলে ... অতঃপর আমরা ভাসলাম সুখের সমুদ্রে.. অথৈ জলের বিশাল ঢেউয়ে সাঁতার কাঁটার ইচ্ছে হলো প্রবল ! ও সাঁতার জানে, তবুও জল ছুঁয়ে দেখলো না ও যে কষ্ট বিলাসী, কষ্ট পেতে পেতে ও কষ্টকেই ভালোবেসে ফেলেছে । কষ্ট’ই তার অহংকার - ভালোবাসা। তফাৎ এখাইেন , ও কষ্ট বিলাসী আর আমি কষ্ট অতিক্রমী.. কষ্ট বিলাসী থাক তার অহংকারী কষ্ট নিয়ে । তবে একটা বিষয়ে আমি দারুণ সফল, ওকে লেখার টেবিলে বসাতে পেরেছি । ওর রাঙ্গা হাতের কলম থেকে জন্ম নিচ্ছে হ্নদয় ছোঁয়া সব কবিতা ! ওর ভ’মিষ্ট হওয়া এই কবিতা সন্তানরা’ই একদিন বড় হয়ে তার কষ্টের পাহাড়গুলো ভেঙে চুরমার করে দিবে -এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস । হ্যাঁ, আমি থাকবো ওর ছায়া হয়ে- আমৃত্যু । ও যে বড় সরল... আমি না হই ঝরে পড়া এক ফুল আচ্ছা, ঝরা ফুলেও তো মালা গাঁথা হয় হায় ! আমি এমনি’ই এক ঝরা ফুল , হয়তো ওর পায়ের তলেই একদিন হবো পিষ্ট । পিষ্ট হওয়া অসহায় ফুলকে তখন কেউ কুড়ায় না মালা ও হয় না । ফুলের জীবনের মতো মানুষের জীবনও ক্ষণস্থায়ী কি করা উচিৎ এই ক্ষণস্থায়ী মানব জীবনে ? আবার নতুন করে অর্জন না বিসর্জন.. ?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
জিন্নাত আরা ইফা
বুকটা যদি প্রশান্তির বুক হয় , সেই বুকে মাথা রেখে কাঁদবার ইচ্ছা প্রকাশে দাওয়াত করা আর সেই দাওয়াতে সারা দেওয়া এখানে দুজনেই দুজনে সু- ভাগ্যের প্রতীক . এমন বুক যদি সবার ভাগে থাকত. তাহলে হয়ত অনেকের কষ্ট কম হতো. সাতার জানলে যে সাতার কাটতে হবে এই ধারনাটা পোষণ করা ঠিক নয়.আসলে কষ্ট মনে হয় মানুষের পরম বন্ধু.যেটা মানুষকে কখনো ছেড়ে যায় না .কষ্টকে কষ্ট না ভেবে বন্ধু ভাবলে হয়ত আমাদের কষ্ট গুলো অনেক কমে যাবে. এমন মমতাময়ী নারীর পদতলে কাউকে পিষ্ট করবে ....ভাবনাটা কি আদৌ ঠিক হলো...? আবার নতুন করে অর্জন না বিসর্জন.. ? জীবনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে অর্জন যেমন দরকার হয়, তেমনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার বিসর্জনও করতে হয়.আর এটা নির্ভর করে পরিস্থিতির উপর .ভালো থাকবেন.ভালো রাখবেন....কবিকে শুভেচ্ছা.
জহির শাহ
আমি এই প্লাটফর্মে একদম নতুন. সবার লেখাগুলো পড়তে চেষ্টা করছি. এর মধ্যে গল্প ও কবিতায় ' সুলক্ষী' নামে একটি চরিত্রের বেশ সারা পেলাম. ধারণা নয় চরিত্রটি আসলেই লেখকের এক বাস্তব গল্প. অল্প সময়ে'ই সুলক্ষী'র প্রতি দারুন মায়ায় পড়ে গেছি. সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বলছি- একটা আধুনিক যুগে একটা আধুনিক মেয়ে 'সুলক্ষী' কষ্ট বিলাসী হয়ে কবিতায়- গল্পে স্থান পাবে - এটা মেনে নেওয়া যায় না. কবি ও সুলক্ষীর প্রতি বিনীত অনরুধ- চরিত্রটি সামনে থেকে 'আনন্দ বিলাসী' , 'সুখ বিলাসী' ,'প্রেম - ভালবাসা বিলাসী ' এ জাতীয় ....হোক . অনেক সুন্দর লেখা ...আনকমন শিরোনাম ....অনেক মজা পেয়েছি.কবিকে কাশ বনের শুভ্র শুভেচ্ছা.
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।