কষ্টের ভেতর সুখ

কষ্ট (জুন ২০১১)

আফরোজা অদিতি
  • 0
  • ২১
রাত দশটা। সারাদিন খায় নি কিছুই। খেতে ইচ্ছা করে নি। শুধু ঘুরেছে এ পথ থেকে সে পথ। জীবনের আনন্দ যেন ফুরিয়ে গেছে। কোন কিছুতেই আর আনন্দ পাচ্ছে না, পাচ্ছে না সুখ। জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ তাও ঠিক নয়। ঠিক এই মূহুর্তে বাঁচতে ইচ্ছা করছে না ওর। বাবার অসহায় মুখ, মায়ের ক্লান্ত— ভেজা চোখ, স্ত্রীর কষ্টক্লিষ্ট জীবন-যাপন, সন্তানের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ ওকে জীবন থেকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে।

ওষুধের দোকানী কিছুতেই দিবে না, অনেক অনুনয়-বিনয় করার পরেও পঞ্চাশ টাকা দাম বেশী দিয়ে এক ফাইল ঘুমের ট্যাবলেট কিনে এনেছে রাজিক। সেই শিশির ওষুধগুলো হাতে ঢেলে বসে আছে। সামনে চেয়ারে রাখা আছে একগ¬াস পানি। এ কয়দিন নিজের মনটাকে বশে আনতে পারে নি, আজ যে পেরেছে তাও ঠিক নয়। জীবনটাকে ওর খুবই ভালো লাগে। ভালো লাগে চড়াই,উৎড়াই এবড়ো-খেবড়ো এই জীবন চলার পথ। ও বিশ্বাস করে সুখ,দুঃখ, হাসি কান্না মিলিয়েই এই জীবন। তবুও মনস্থির করেছে ওষুধগুলো খাবেই। এক সপ্তাহ প্রতিদিন ট্যাবলেটগুলো বের করেছে, সারারাত হাতে নিয়ে বসে থেকেছে, খেতে পারে নি। চোখের সামনে ভেসে উঠেছে ছোট্ট নিলির হাসিমাখা আদুরে মুখ। নিলি ওর সš—ান। প্রথম সš—ান। এ কয়দিন, কেবলই মনে হয়েছে, ও চলে গেলে ওইটুকু বাচ্চা মেয়েটার কী হবে! দেখবে কে? ওর মা কী ওকে সামলাতে পারবে? ও জানে, ওর বাড়ির লোকেরা- বাবা, ভাইয়েরা কেউ দেখবে না ওকে!

আজও মেয়েটার কথা মনে পড়ছে। কিন্তু জোর করে সরিয়ে রাখছে মেয়ের চিš—া। ভাবছে, কারও জন্য কারও জীবন থেমে থাকে না। থেমে থাকে না সময়। চলে যাবে ওদের দিন। ওদের কথা চিš—া করে, জীবনের এই বেঁচে থাকার দুশ্চিš—া, এই ঋণের টাকা শোধ দিতে না পারার ল্জ্জা, পাওনাদারের তাগাদা ভালো লাগছে না ওর । মানুষের কোনও বিষয়ে তাগাদা করা কোন কালেই পছন্দ নয় ওর। স্কুল কলেজ জীবনে টিচারদের বলার আগেই হোমওয়ার্ক, পড়া তৈরি করেছে। কারও কোন জিনিষ যদি কখনও নেওয়ার প্রয়োজন পড়েছে, নিয়েছে। কিন্তু তার থেকে তাগাদা আসার আগেই সে জিনিষ তাকে ফেরত দিয়েছে। এই তাগাদা সবচেয়ে না-পছন্দের কাজ তার। অথচ সবচেয়ে না-পছন্দের কাজ এখন ঘটছে। তাগাদার পর তাগাদা চলছে। এটাই অসহ্য। ঋণ নিয়ে কাজ করা কোনভাবেই উচিত হয় নি ওর। কিন্তু না নিয়ে তো উপায় ছিলো না! কিছু একটা করে তো খেতে হবে।

রাকিজ, শেয়ার ব্যবসায়ে ¶ুদ্র বিনিয়োগকারী। ওর বড়ো দুই ভাই। আর ছোট একবোন আছে। বোনের বিয়ের কথা চলছে। ও এমএ পাশ করার পর কোন চাকরি না পেয়ে বাসায় বাসায় ছাত্র পড়িয়ে দিন চালাচ্ছিলো। তখন এক বন্ধুর পরামর্শে শেয়ার ব্যবসায়ে আসে। বন্ধুর কথা মতো স্ত্রীর গহনা বিক্রি করে বিনিয়োগ করে। প্রথম প্রথম তো শেয়ারের কিছুই বুঝতো না। পত্রিকা পড়ে, আর ওর বন্ধুর পরামর্শ শুনে, শেয়ার হাউজে যেতে যেতে ব্যবসার পথ-ঘাট কিছুটা রপ্ত করেছে। শেয়ারের উপর কয়েকটা বইও কিনেছে। দুইদিনের ওয়ার্কশপও করেছে ও। তবুও ভুল হয়েই গেলো।
বাজার বুঝতে একটু ভুল হয়েছিলো ওর, বাজারের উর্ধগতি দেখে বুঝা উচিত ছিলো, এটা ধ্বস নামার পূর্বল¶ণ। ওকে লোভে পেয়ে বসেছিলো। অথচ শেয়ারবাজারের প্রথম শর্তই লোভ না করা। লোভে পেয়েছে কি মরেছো! ওর এই দশা তো লোভের জন্যই।

বেশ কিছু লাভও হচ্ছিলো, সেই সঙ্গে বাড়ছিলো লোভ। এই লোভের বশেই, বেশী লাভের আশায় এবং বন্ধুর কথা শুনে মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে পাঁচল¶ টাকা লোন নিয়ে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করেছে। স্ত্রী, তাহমিনার নামে গ্রামের সমিতি থেকে লোন নিয়ে এই ব্যবসায়ে লাগিয়েছে। সে টাকারও কি¯ি— দিতে পারছে না দুই মাস। সপ্তাহ আগে তাহমিনা ফোন করেছিলো, সমিতি থেকে টাকা পরিশোধের চাপ দিচ্ছে। তাছাড়া সুদ বাড়ছে। এখানে সাপ্তাহিক কি¯ি—। এক কি¯ি— দিতে না পারলেই তার সুদ। তারপর চক্রবৃদ্ধি। ঋণের টাকা বাড়তেই থাকে। কি¯ি— না দেওয়াতে ঋণের টাকার পরিমানে বেড়েই চলেছে। কোথায় এই বাড়ার গতি থামবে, কিংবা আদৌ থামাতে পারবে কিনা ও জানে না। কি¯ি— পরিশোধেরএ বিষয়টা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এখন ওর কাছে।

আশা ছিলো বাজার ঘুরে দাঁড়াবে। বাজার ঘুরে দাঁড়ালেই ওর একাউন্টের শেয়ারগুলো বিক্রি করে লোন শোধ দিতে পারবে ও। কিন্তু আজ তার কিছুই নেই। ব্যাংক ফোর্স সেলের মাধ্যমে ওর সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে ওদের লোন শোধ করে নিয়েছে। সরকার ফোর্স সেলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করায় শেয়ার বিক্রি Ÿন্ধ ছিলো, দাম কম থাকায় বিক্রিও করে নি। এজন্য ওদের টাকার ইনস্টলমেন্ট দিতেও পারে নি। আর ইন্টারেস্টের কারণে টাকার পরিমান বেড়ে গিয়েছে। বাজার যদি আরও নেমে যায় তাহলে ব্যাংকের লোন শোধ হবে না, তাই ব্যাংক শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে ওদের শর্ত মোতাবেক। ব্যাংকের লোন শোধ হলেও এখনও সাড়ে তিন লাখ টাকা পাবে ওর বন্ধু। সে টাকার জন্যও চাপ দিচ্ছে।

এখন কিছুই করার নেই ওর। ২০০৯ সাল থেকে এই ব্যবসা করে একটু সুখের মুখ দেখেছিলো। বাজার যখন উঠতি ছিলো তখন লাভ করেছে এবং পুঁজি বাড়ানোর জন্য লাভের টাকার সঙ্গে লোন নিয়ে প্রায় দশ লাখ টাকার শেয়ার কিনেছিলো। কিন্তু সা¤প্রতিক ধ্বসে ওর সব শেষ। এখন লোন শোধ দিতে বাবার কাছে হাত পেতেছে। বাবা সম্পত্তি বিক্রি করে দিতেও চেয়েছিলো কিন্তু বড়ো ভাই না করে দিয়েছে। বড়ো ভাই রাজী নয়। বলেছে, এ জমি তো কারও একার না, সকলের। ভাইকে বলেছিলো, ও পরে টাকা দিয়ে দিবে।
বড়ো ভাই বলেছে, এই মূহূর্তে জমি বিক্রি করলে যে টাকা পাওয়া যাবে, ভবিষ্যতে এই জমি থাকলে বিক্রি করলে তো আরও বেশী টাকা হবে। তাছাড়া, ওই জমি থেকে বছরের খাবার আসে। জমি গেলে খাবে কী সবাই? এ সংসারের প্রতি কী তোমার এতোটুকু খেয়াল বা মমতা আছে? নাই! বউ, মেয়ের খেয়ালও কী আছে? নাই! ওদের তো ফেলে রেখেছো আমাদের ঘাড়ে, খরচের কথা ভেবেছো একবারও? ভাবো নি! যদি ভাবতে তাহলে টাকা চাইতে লজ্জা করতো তোমার।

রাজিকের খুবই লজ্জা করছিলো তখন। মুখ তুলে তাকাতে পারছিলো না। বউ, মেয়ে তো ওদের কাছেই থাকে। আর কেনই বা থাকবে না! ওর চাকরি ছিলো না, বিয়ে করতে চায় নি ও। বলেছিলো, একটু গুছিয়ে নিয়ে তবে বিয়ে করবে। কিন্তু দাদি মৃত্যু শয্যায় বিয়ের জন্য পীড়াপীড়ি করাতে এই বিয়ে করা। তবুও রাজিক ভাবে, ওদের দোষ দিয়ে কী হবে? বিয়ে যদি করতে না চাইতো তা হলে কেউ কী বিয়ে দিতে পারতো।

এরপরেও যা হোক কিছু করছিলো। কিন্তু তাও কপালে সহ্য হলো না। অবশ্য ওরই নির্বুদ্ধিতা। আর ওরই ভাগ্য! যা বেইজ্জত হওয়ার হয়েই গেছে। নিজের বাবা,মা, ভাইদের কাছে, বন্ধুদের কাছে। সবচেয়ে বেইজ্জত হলো থানায়। ও পিকেটিংএ অংশ না নেওয়া সত্তে¡ও পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। হাজতে রেখেছে একদিন তারপর ছেড়ে দিয়েছে ওকে।
কিন্তু যা হওয়ার তাতো হয়েই গেছে। চলে গেছে ওর সম্মান। চলে গেছে ওর প্রতি সকলের ভালোবাসা!

হাজতে যাওয়ার কথা শুনে এসেছিলো বাবা। কিছুই করতে পারে নি। ওর বড়ো ভাই করতে দেয় নি। বলেছে, নিশ্চয় গাড়ি-টাড়ি পোড়ানো, বা পুলিশকে ল¶্য করে ঢিল ছোঁড়া এ জাতীয় কিছু একটা কাজ করেছে, না হলে আর কাউকে ধরলো না ওকে কেন পুলিশে ধরলো। ওর সঙ্গে আর কোন সম্পর্ক রাখতে পারবে না তোমরা। ওর সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করবে না হলে তোমার সঙ্গেও কোন সম্পর্ক নেই আমাদের। বাড়ি গিয়ে ওর বউ আর মেয়েকে পাঠিয়ে দিবে ওর কাছে। ওদের খরচ আর বহন করতে পারবো না আমি।

বাবার বয়স হয়েছে। সংসারের বেশীরভাগ দায়-দায়িত্ব বড়ো ভাইই পালন করে। মেজ ভাই বউ নিয়ে আলাদা থাকে। বাবা, বড়ো ভাইয়ের প¶েই কারণ এই বয়সে কেউ অনিশ্চয়তার মধ্যে যেতে চায় না, বাবাও যেতে চায় নি। ওর প¶ে এখন কথা বলবে না কেউ, কারণ ও এখন অনিশ্চয়তার সাগরে ভাসছে।

ওর তাহমিনার কথা মনে পড়ছে। মেয়েটা এইচ.এস.সি. পাশ। পড়ার ইচ্ছা থাকা সত্তে¡ও টাকার জন্য পড়াতে পারে নি।
মেধা ছিলো, কিন্তু কোন কাজে লাগলো না। শুধুমাত্র ওরই কারণে। ঢাকায় যদি ওর কাছে রাখতে পারতো তাহলে পড়াতে পারতো ওকে। রাজিক জানে এখন মেয়েদের লেখা-পড়া করা, ডিগ্রি নেওয়া, চাকরি করা খুবই জর“রি। তাহমিনার চাকরি থাকলে, আজ ও চলে গেলেও, ওর মেয়ে নিলির কোন অসুবিধা হতো না। নিলির কথা মনে হতেই বুকের ভেতর কষ্টের একটা ঘুর্ণি পাক দিয়ে ওঠে। চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। নিলি, আহা, এতোটুকুন মেয়েটার বাবা থাকবে না। বাবার আদর থেকে চিরদিনের জন্য বঞ্চিত হবে। নিলির সহপাঠিদের বাবারা যখন আসবে, তখন মেয়েটার বুকের ভেতর কান্নার ঢেউ আছড়ে পড়বে। আর তাহমিনা ! ওরই বা কী দোষ! শুধুমাত্র ওরই কারণে কেন এই পৃথিবীর সকল দুঃখ কষ্টের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে ফিরবে! নাহ, আতœহত্যা করা কী ঠিক হবে! আবার স্ত্রী আর মেয়ের চিš—া ওর মনকে গ্রাস করে ফেলে।
মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে চায় নিলিকে, তাহমিনাকে। ওদের কথা মনে করতে চায় না রাজিক। ও জানে যতো সময় যাবে, ওরা ততো অষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলবে ওকে। হাতের ট্যাবলেটগুলো খাওয়ার জন্য গ¬াস হাতে নেয়।

এমন সময় বেজে ওঠে মোবাইল। রিংটোনে নিলির ছোট্ট কন্ঠের হাসি। পাশে রাখা মোবাইলে তাকায়। ভাসছে তাহমিনার কোলে নিলির মুখ। মোবাইলটা হাতে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলতে গিয়ে ফেলে না। হাসিটা শুনতে ভালো লাগে ওর। মনে হয় হাজার কোটি দুঃখ কষ্টের মধ্যেও এই হাসি শুনলে জীবনটাকে ভালো লাগে। ওই হাসিতে জীবনের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে রাজিক। মোবাইল ছুঁড়ে দেয় বিছানায়। বেজে বেজে বন্ধ হয় একসময়। আবার বেজে ওঠে। আবার বন্ধ হয়। আবার বেজে ওঠে। অসহায় রাজিক, জীবনের কাছে পরাজিত রাজিক কাঁদে । কাঁদতে কাঁদতে মোবাইল ধরে একসময়।

কী ব্যাপার, কী করছিলে? আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ওপাশে তাহমিনা। কিছু¶ণ চুপ করে নিজেকে ধাতস্থ হতে সময় দেয় রাজিক। কী হলো, কথা বলছো না কেন? হ্যালো, শুনতে পাচ্ছো?
রাজিক, অস্পষ্ট¯^রে কথা বলে, পাচ্ছি বলো।
তাহমিনার কন্ঠে উদ্বেগ। মনে হচ্ছে ভালো নেই তুমি। তোমার গলার ¯^রে কেমন কেমন লাগছে তোমাকে।
না কিছু না। রাজিক কন্ঠে জোর আনতে চেষ্টা করে।
এমনই সময় নিলির কান্না শুনতে পায় রাজিক। নিলির কান্নায় ও ফিরে আসে বা¯—বে।
ও কাঁদছে কেন, কী হয়েছে ওর।
ঘুম ভেঙে গেছে। খিদে পেয়েছে ওর।
ও । এমন একটা নিঃশ্বাস ফেলে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে রাজিক। তাহমিনা বলে, এসব কথা থাক, শোন আমি আসছি। আমার একটা চাকরির ইন্টারভিউ আছে আগামিকাল। গাবতলিতে থাকবে সকালে।

তাহমিনার ইন্টারভিউয়ের কথায়, এমনভাবে চমকে ওঠে রাজিক, ওর হাতের বড়িগুলো ছিটকে ঘরময় ছড়িয়ে যায়। ও ট্যাবলেটগুলো কুড়াতে কুড়াতে ভাবতে থাকে কী মোহময় এই জীবন। জীবনের ছোট ছোট এই টানা-পোড়েনগুলো বাদ দিলে বেঁচে থাকতে ভালোই লাগে। ‘তাহমিনার ইন্টারভিউ’ এই কথাটুকু ওর ভালো লাগে। এই বিপন্ন জীবনের মাঝে এই কথা বেঁচে থাকার একটুকরা অবল¤^ন হিসেবে দেখা দিয়েছে ওর জীবনে। জীবনের বাঁচার একটুকরা অবল¤^ন যেন খুঁজে পায় এই কথার মধ্যে। ওর ভালো লাগে এই হেরে যাওয়া জীবনের ভেতর অদ্ভুত ভাবে বেঁচে ওঠার একটুকরা সুখ নামের কষ্ট।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
শাহ্‌নাজ আক্তার বিষয়টা যদি ও কষ্টের তবু ও আমার আপনার এই অন্যরকম চিন্তা ভাবনাটা ভালো লেগেছে ...শেয়ার এর ব্যবসা করে কত লোক যে দেউলিয়া হযেছে ,,,,,যাই হোক খুব ভালো লিখেছেন ...
এম এম এস শাহরিয়ার খুব অর্থপূর্ণ ,প্রয়োজনীয় একটা লিখা . সুন্দর লিখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ..............
সৌরভ শুভ (কৌশিক ) কষ্টের ভেতর সুখ,তোমার লেখা পড়ে ভরে গেল বুক /
sakil চলমান বিষয়ের উপর লেখা সুন্দর এই গল্পটি পাঠক প্রিয়তা পাক সেটা আমি চাই . কষ্ট আর শেয়ার দুটি একই সাথে দারুন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন সেই সাথে ফুটে উঠেছে হতাশার করুন দিক .
প্রজ্ঞা মৌসুমী রাজিকের মধ্য দিয়ে একটা ইমশোনাল চরিত্রকে ফুটিয়ে তুললেন। আমি মাঝে মাঝে ভাবি ঠিক কোন মুহূর্তে আসলে মানুষ মৃত্যু বেছে নেয়। তখন বোধহয় লজিক কাজ করেনা। নিজের আবেগ, প্রবল অভিমান, হতাশাটাই বড় হয়ে উঠে। আশেপাশের মানুষ বা অন্যকিছু নিয়ে চিন্তা করবে... ঐটা হয়ে উঠে না। চিন্তা করতে পারলে বেচে থাকার কোন না কোন কারণ খুঁজে পেত। রাজিক শেষ পর্যন্ত খুঁজে পেল। হতাশাটা আপনি সুন্দর ফুটিয়ে তুললেন। শেয়ার মার্কেটের বর্ণনাও ভালো দিয়েছেন। শেষের কথাটা ভারী সুন্দর হয়েছে। শুভ কামনা আফরোজা।
জারিফ আল সাদিক apamoni apner leha poira mor koste gola diya gan aitase 'din duniar malik khoda, dileki doya hoyna, tomar dileki doya hoyna.'
মামুন ম. আজিজ কষ্ট বিষয় আর শেয়ার থাকবে না তা কি হয়। প্রথমেই এ বিষযের জন্য আপনাকে সাধুবাদ। ..লেখা চালিয়ে যান। ভালো হয়েছে।
সপ্নু ভালো লাগলো !

০২ এপ্রিল - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪