রেল স্লিপারে শুয়ে ছোট্ট রমিজ ভাবে কত কি আজ শীতের প্রভাবটা বেশ, ছেঁড়া কাঁথাটায় উম ধরেনা ঘুম ! সে আসবে কি করে পেটে যে নেই দানা । চোখ মেলে দেখে গাড়ি হতে নামে ঢুলুঢুলু কজন রেস্তোরাঁ দোরে জানায় তাদের উষ্ণ অভিনন্দন। বড় আমেজে ফরমায়েশ দিল খাবার অদূরে রমিজের পেটে ক্ষুদার হাহাকার। সহসা পড়িল মনে,কেন আজ সে পাষাণ শহর কোনে ? পৌষের শীতে হাড় কাঁপুকাঁপু –মা বানাতেন ভঁাপা রসবড়া ,আর চিতই এ সুনাম নিত আপা। আপার হল শাদী,ঋণ পরিশোধে আব্বা হল সফল আধি দুটি ভাইবোন,বাবা আর মা ছোট্ট সুখের সংসার অভাব ছিল, শান্তি ছিল – ছিলনা তো ক্ষুদার হাহাকার। কালক্রমে গেল সব, বাবা ও হল নিস্তব ঋণের বোঝা কাঁধে নিয়ে ছোট্ট রমিজ শহরে । মা বুঝি ডাকে আয়রে ‘রজু’ দাঁড়ায় তার শিয়রে ভালো লাগেনা কিছুই; রাক্ষস নাড়ী আবারও মোচড় মারে ততোক্ষণে ধনীর দুলালরা বেড়িয়ে রাস্তায় দৌড়ে রমিজ পা জড়িয়ে খাবার পয়সা চায় । এক ধাক্কায় পিচ পথে পড়ে হাঁটু যায় তার ছিঁড়ে মাগো কই তুমি? আদরের হাত বুলায় না কেউ ইট কাঠের এই শহরে। ওরা সবই পায় অঢেল তাই করে নষ্ট অজস্র আমিই কেবল পাইনা খাদ্য পাইনা শীত বস্ত্র। কতকাল আর এ বৈষম্য চলবে নিরবধি ? কভু কি ফুরোবেনা রমিজদের এই নাপাওয়ার দুঃখের নদী? আমরা তো চাই সমাধিকার সমান সুখি দুঃখী এক দেশেরি সবাই যেন পায় সুখ একই ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।