আজো নিজের অস্তিত্ব নিয়ে শঙ্কিত- প্রশ্নাতুর ‘রমা’ করতে পেরেছে কি স্বদেশী ভোগী –বেঈমান রাজাকারদের ক্ষমা ? সৃতি পটে ভাশে সব একদিন এ দেহ-মনের ছিল নিজস্ব বৈভব। ২৫ শে মার্চ ভয়াল রাত , গোলাগুলি গর্জন। পাকবাহিনীর অত্যাচারে আতঙ্কিত তনু-মন। ছোট সুনিবিড় শান্তিঘেরা রতনের ঘরখানা হঠাৎ রাজাকারের সহযোগিতায় পাকেরা দিল হানা। মুহূর্তেই সব লনড ভণ্ড,অশান্ত অস্থির বিছানা –চেয়ারে ছোপ ছোপ শুধু রয়ে গেছে রুধির । ষোড়শী রমা বুঝেনি কিছু , কি হয়ে গেল সব স্তব্ধ আঁখিতে ছেয়েছিল পিছু, লোভী পাকদের তাণ্ডব । বাবা-মা-ভাই নিথর দেহ লুটিয়া ভূমি পরে কেবল ‘রমা’ ই জ্যান্ত কারন; লাগবে পিশাচদের ভোগের তরে । স্বপ্নগুলি দুমরে -মুচড়ে পদদলিত হল, রাজাকারের কুৎসিত হাসি রমাকে যেন ভূ-গর্ভে ঢুকিয়ে দিল । চিনল এ তো করিম চাচা!মনে মনে বলল ছিঃ মুখ ফিরিয়ে করুন চাহনিতে চাইল বারেক – রাজাকার করিম পান চিবিয়ে বলল চাচা?চাচার করি নিকুচি। আঁধার স্যাঁতস্যাঁতে মেঝেতে ছুঁড়ে ফেলা হোল তাকে সে তো একেলা নয় শত জনাকে দেখে । উফ, সে কি লজ্জা ! বিষম চিত্র বোবা-নগ্ন ললনা সকল জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে জানতে চায় বাঁচাবে না কোন অরিত্র ? পচে গেছে দেহ নোংরা,অশ্লীল পাপী পাকদের ছোঁয়ায় মন কি মরেছে !?না না না আজও ফিরে যেতে চায় মায়ের কোলে- সবুজ বাংলায় । জুদ্ধ হোল সমাপ্ত সকলি অবসান এ জীবন ফের পাওয়া মুক্তি ভাইদের অবদান । প্রত্যেকে ফিরে যায় নিজ বাটে। কিন্তু, “রমারা” ? কোথায় যাবে পথে পথে হাঁটে । অতি আপন কেউ নাই তবু যে ক’জন আছে কেউ তো নেয়না ঘরে জাত যে গেছে! ক্ষুদায় তৃষ্ণায় প্রান যায় যায় , ভাবে বুঝি বেঁচে আছি এখনও বাংলায় । সমাজ-সংসার নেয়না মেনে সব হারানো মেয়েদের দেশকে ভালবেসে যায়নি ছেড়ে দেশ – দিয়েছে বলি নুজের সম্ভ্রম তাই কি দোষ এদের ? বারাঙ্গনা, বীরাঙ্গনা যত মা-বোন আমার সস্রদ্ধ প্রণতি তোমাদের দেশপ্রেমের প্রতি এ দেশের স্বাধীন নাগরিক সকলের ।।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
জুয়েল দেব
একটি গল্প। আমাদের অনেক ত্যাগে পাওয়া এই দেশটার জন্য যে কী পরিমাণ দাম দিতে হয়েছে তার কতটুকু আমরা জানতে পেরেছি? আপনার কবিতায় বলা কথাগুলো তো একটি গল্প। একটি দেশকে পাওয়ার জন্য বিনিময়ে অমূল্য কিছু হারানোর গল্প।
সেলিনা ইসলাম
বেশ সুন্দর কবিতা তবে এই গর্বিত অধ্যায়টা আমার মনে হয় যতটা সম্মান পাবার যোগ্যছিল ততটা পায়নি শুধু খেতাব দিয়েই তুষ্ট রাখা হয়েছে । কবিতায় বেশ আবেগঘন রেশে একটা নাটকীয় ভাব তুলে ধরেছেন সুচারুভাবেই । ভাল লাগল > নতশীরে শ্রদ্ধা জানাই সকল বীরঙ্গনাদের প্রতি-----------! অনেক শুভকামনা
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।