কী মনে করে যেন রাস্তার ধারের পুরনো বইপত্র ঘাটাঘাটি করছিলাম । হঠাৎ করেই চোখ আটকে গেল একটি ধুলো জমা ডায়রিতে ।অনেক পুরনো একটা ডায়রি ।একটু আনমনা হয়েই সেটি তুলে নিলাম।কিছুটা পরিষ্কার করে নিয়ে বেশ আগ্রহ ভরে পাতা উল্টালাম ।দেখি কাঁপা কাঁপা হাতের লেখা ।কিন্তু অদ্ভুত সুন্দর । ভাষাগুলো যুদ্ধের সময়কার ,তাই লেখাগুলো অস্পষ্ট মনে হচ্ছিল । তবুও যেন শব্দগুলো ছিল জীবন্ত ,আবেগ মেশানো ।একটা কবিতা পড়ছিলাম।পঙক্তিগুলো এমন ..........
" আধারকে আমি আদেশ করেছি ,যাও দুরে সরে যাও সূর্যকে জন্ম দিয়ে পৃথিবীর বুকে আলো ছড়াও । আধার শোনেনি কথা ,তাই বলেছিলাম আমি তোমায় স্বাধীনতাটাকে ছিনিয়ে তুমি এনে দাওনা আমায় । তুমি বলেছিলে -স্বাধীনতা এনে দেবে আমায় উপহার কণ্ঠে তোমার দৃপ্ত শপথ ,চোখে শ্রদ্ধা ভালবাসার । দেশের টানে যুদ্ধে গিয়েছ আমায় করেছ একা আর কোনদিন হয়তোবা আমি পাবনা তোমার দেখা ।
যদি না হয় দেখা তাতে কী -শুধু আফসোস দেখবনা তোমায় যখন ফিরবে লাল সবুজের পতাকা হাতে । দুঃখ পেয়োনা ফিরে এসে যদি না দেখো এই আমায় আমি থাকব শুধু স্মৃতি হয়ে তোমার মনের চারপাশে ।"
কেমন যেন খারাপ লাগছিল সেই মানুষটির জন্য ।যাকে আমি চিনিনা জানিনা ।তবে তার হৃদয়ের আকুলতাটুকু টের পাচ্ছিলাম। পাতা উল্টাতে গিয়ে ভেতর থেকে কী যেন নিচে পড়ে গেল ।তুলে নিলাম সেটি ।এটি একটি চিরকুট ।পুরনো কালচে রঙের চিরকুট । খুলে দেখলাম সেই মানুষটির হাতের লেখা ।পড়লাম সেটি .........
"অপেক্ষা করতে পারিনি বলে ক্ষমা করে দিও ।কেন জানিনা খুব তুচ্ছ আর অসহায় মনে হচ্ছিল নিজেকে ।যেন পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ একটা বন্দী পাখি ।নিজের শরীরের উপর হিংস্র হায়েনার লোলুপ দৃষ্টি আমায় কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিল ।তাই বন্দী খাঁচার এই অচিন পাখিকে স্বাধীন করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম ।আর মনে মনে সৃষ্টিকর্তার কাছে চাইলাম ........
এ ধরায় যদি স্বাধীনভাবে বাঁচতে নাহি দিবে তবে জন্ম দিয়েছিলে কেন প্রভু , স্বাধীনতা ছাড়া আর কেউ যেন এই ধরণীর বুকে জন্ম না নেয় কভু ।"
জানিনা এই লেখাগুলো যার জন্য লিখা সে পেয়েছে কী -না । এও জানিনা ভালবাসায় মোড়ানো স্বাধীনতার ছোঁয়া তার গায়ে লেগেছে কী-না ।তবে এটুকু বলতে পারি আমার জন্ম সার্থক এমন একটি স্বাধীন দেশে জন্মাতে পেরে । যার স্বাধীনতার জন্য অজস্র মানুষের ত্যাগ ভালবাসায় পূর্ণতা পেয়েছিল ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সীমান্ত চৌধুরী
একজন নারীর দেশের প্রতি ভালবাসা ,দেশের জন্য ত্যাগ এবং
স্বাধীনতার জন্য তার প্রিয় মানুষটিকে উত্সর্গ করার কাহিনী নিয়ে লেখা ...........ভালো মন্দ জানান ...............
সীমান্ত চৌধুরী
"এ ধরায় যদি স্বাধীনভাবে বাঁচতে নাহি দিবে তবে জন্ম দিয়েছিলে কেন
প্রভু , স্বাধীনতা ছাড়া আর কেউ যেন এই ধরণীর বুকে জন্ম না নেয় কভু ।" ...........................
সীমান্ত চৌধুরী
একজন নারীর দেশের প্রতি ভালবাসা ,দেশের জন্য ত্যাগ এবং
স্বাধীনতার জন্য তার প্রিয় মানুষটিকে উত্সর্গ করার কাহিনী নিয়ে লেখা ...........ভালো মন্দ জানান ...............
সীমান্ত চৌধুরী
"অপেক্ষা করতে পারিনি বলে ক্ষমা করে দিও ।কেন জানিনা খুব তুচ্ছ
আর অসহায় মনে হচ্ছিল নিজেকে ।যেন পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ একটা বন্দী পাখি ।নিজের শরীরের উপর হিংস্র হায়েনার লোলুপ দৃষ্টি আমায় কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিল ।তাই বন্দী খাঁচার এই অচিন পাখিকে স্বাধীন করে ... আরও দেখুন"অপেক্ষা করতে পারিনি বলে ক্ষমা করে দিও ।কেন জানিনা খুব তুচ্ছ আর অসহায় মনে হচ্ছিল নিজেকে ।যেন পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ একটা বন্দী পাখি ।নিজের শরীরের উপর হিংস্র হায়েনার লোলুপ দৃষ্টি আমায় কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিল ।তাই বন্দী খাঁচার এই অচিন পাখিকে স্বাধীন করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম ।আর মনে মনে সৃষ্টিকর্তার কাছে চাইলাম ............
সীমান্ত চৌধুরী
জানিনা এই লেখাগুলো যার জন্য লিখা সে পেয়েছে কী -না । এও
জানিনা ভালবাসায় মোড়ানো স্বাধীনতার ছোঁয়া তার গায়ে লেগেছে কী-না ।তবে এটুকু বলতে পারি আমার জন্ম সার্থক এমন একটি স্বাধীন দেশে জন্মাতে পেরে । যার স্বাধীনতার জন্য অজস্র মানুষের ত্যাগ ভালবাসায় পূর্ণতা পেয়েছিল................
সীমান্ত চৌধুরী
অপেক্ষা করতে পারিনি বলে ক্ষমা করে দিও ।কেন জানিনা খুব তুচ্ছ
আর অসহায় মনে হচ্ছিল নিজেকে ।যেন পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ একটা বন্দী পাখি ।নিজের শরীরের উপর হিংস্র হায়েনার লোলুপ দৃষ্টি আমায় কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিল ।তাই বন্দী খাঁচার এই অচিন পাখিকে স্বাধীন করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম ।আর মনে মনে সৃষ্টিকর্তার কাছে চাইলাম ........
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।