(আমরা বন্ধু ছিলাম রৌদ্র ও ছায়ায় , অটুট রবে সে বন্ধন , টুটবে না কোন মায়ায় । হত্যাকারীর কালোহাত পারবেনা তোমায় ভোলাতে , পরজন্মে আবার দেখা হবে কল্যানী ভার্সিটি-তে ।)
আমার এক বন্ধু ছিল । আমরা একসাথে কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম । একরাতে ওদের পাশের বাড়ীতে ডাকাত পড়ে ।চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ও খালিহাতে এগিয়ে গিয়ে এক ডাকাতকে জাপটে ধরে । ওরা ওকে কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে । পরদিন সকালে খবর পেয়ে আমি যখন ওকে দেখতে যাই , লাশকাটা ঘরের মেঝেতে ওর দেহটা পড়েছিল , মাথার খুলি কিছুটা উড়ে গিয়েছিল । আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম । তিনমাস আমি পাগল হয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছি । সেই অর্ধচেতন অবস্থার কবিতা এটি ।
একাকী বিচ্ছিন্ন কিম্বা নিরাকার অথবা অদ্ভুত , চেতনার গভীরে হানা দেয় শয়তান বা দেবদূত । সব তালগোল পাকিয়ে যায় , যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যায় মাথা জোড়া বিল্ব নাকি প্রেমিকার সুডোল স্তন ,ভাবছি কি যা তা । শরীরটা কি আমার নয়, নাকি আমি নিজেই অশরীরী ! নারীর শরীরে হারিয়ে যেতে চাই , বাঁধা দেয় এক প্রহরী । আসঙ্গ লিপ্সায় পাগল আমি , অথবা পুরুষত্বহীন মনে হয় আমি এক রোমিও , কিন্তু পোষাক ধুলিমলিন । আমি কি মানুষ নই ,আমি কি পাখি অথবা পশু , আমি কি বৃদ্ধ, প্র্রৌঢ় কিম্বা যুবক অথবা আমি শিশু । দুমড়িয়ে মুচড়িয়ে ভেঙ্গেচুড়ে গোলাকার হয়ে যাচ্ছে সব বৃত্ত উপবৃত্ত সব সরলরেখা হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে জীবনের কলরব । সহসা ছুটে আসে ঢিল , ফিনকি দিয়ে বেরোয় রক্ত হা হা হি হি করে কারা হাসে , শরীরটা হয়ে যায় শক্ত । পড়ে গিয়ে হাত পা ছুঁড়ি যেন ট্রেনে কাটা ছাগল বিক্ষিপ্ত চিত্রপটে ভেসে আসে টুকরো ছবি , তবে কি আমি পাগল ?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
বিন আরফান.
আহা এমন পাগলামি যদি সকলের অন্তরে বসত করত তাহলে গোটা বিশ্বে মানবাধিকার রক্ষা হত আর বিশ্ব শান্তির রাজ্যে পরিনত হত. তখন সকলেই সকলের জানের মালের ও মনের বন্ধু হয়ে চির অম্লান ভাবে পৃথিবীতে বিচরণ করত. তখন হয়ত মানুষে মানসে ভেদাভেদ থাকত না. বন্ধুর প্রতি অসাধারণ ভালবাসা ফুটে উঠেছে আপনার কবিতায়. আমার এমন যদি অনেক বন্ধু থাকতো ! জীবন এর সকল অপূর্ণতা কানায় কানায় পূর্ণ হত. লিখতে থাকুন. হে বন্ধু , লেখার হাতে মানব প্রেম লক্ষ্যনীয়.
শাহ্নাজ আক্তার
একবারই ভিন্নধর্মী কবিতা ,,,বন্ধুর জন্য আপনি পাগল হয়ে গিয়েছেন ......এর চেয়ে বড় আর কিছু হতে পারেনা , আমার খুব ভালো লেগেছে , ভোট পেলেন , অসাধারণ |
নিরব নিশাচর
............ ভীষণ দুঃখজনক ! ভীষণ ভীষণ দুঃখজনক ! আজকে মাসের পনের তারিখ অথচ তোমার ব্লগে মন্তব্য মাত্র চব্বিশটি... তোমার কবিতা আরো অনেক বেশী পাঠক পাবার অধিকার রাখে... ৫/৫. একটু ছুয়ে যেতে চাই তোমার কবিতা... দেখো কেমন লাগে... "একাকী বিচ্ছিন্ন নিরাকার কিম্বা অদ্ভুত, চেতনার গভীরে দেখি আজ এক শয়তানের দেবদূত । তালগোল যায় পাকিয়ে, যন্ত্রণায় ছিঁড়ে মাথা; জোড়া বিল্ব নাকি সুডোল স্তন, অযথা ভাবছি যা - তা । শরীরটা কি আমার নয়, নাকি আমি অশরীরী ! এক নাড়ীর শরীরে হারাতে গেলাম, বাঁধা দিল প্রহরী । আসঙ্গ লিপ্সায় পাগল আমি, অথবা পৌরুষহীন; মনে হয় আমি এক রোমিও, পোষাক আশাক বিহীন। প্রশ্ন জাগে নিজেকে নিয়ে, আমি কি পাখি বা পশু ! আমি কি বৃদ্ধ, প্র্রৌঢ় কিম্বা যুবক অথবা শিশু । দুমড়িয়ে আর মুচড়িয়ে আজ গোলাকার হলো সব; বৃত্ত হলো সরলরেখা থামিয়ে কলরব । সহসা ছুটে আসে এক ঢিল, ফিনকি দিয়ে রক্ত... হা হা করে কারা যেন হাসে , শরীর হচ্ছে শক্ত । পড়ে গিয়ে আমি হাত পা ছুঁড়ি, যেন এক ট্রেনে কাটা ছাগল; বিক্ষিপ্ত চিত্রপটে ভাসে একটি প্রশ্ন, তবে কি আমি পাগল ?
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।