একটি ফেক আইডির আত্মকাহিনী।

মুক্তির চেতনা (মার্চ ২০১২)

খোরশেদুল আলম
  • ২৮
  • ১৩
আমি একটি ফেক আইডি। মুখোশধারী সাহসী বীর। তাই সাবাই আমাকে ভয় পায়। আমাকে জানার জন্য সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে থাকে। জানতে চায় আমার পরিচয় আমার আসল নাম। সবার একি প্রশ্ন। অনেকেই আমাকে তৈরী করে। কেউ খোঁচা খোঁচাখুচির জন্য, কেউ একটি লেখা প্রাকাশ করার জন্য, কেউ আড্ডা দেয়ার জন্য। কেউ জাল ভোট করার জন্য। সবাধান, সে সব স্থানে সব সময় মিশে থাকে মুখোশ ধারী বন্ধু, আর লেখকের ছলে স্বার্থপর হয়ে।

কেউ আমাকে প্রশ্ন করে না, এই তুমি কে। সবাই বলে উমুক আইডিটা কার। কারণ, জানে আমার উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আমি এমনি এমনি তৈরী হইনি। আমাকে তৈরী করা হয়েছে। কে করেছে ? তা যে করেছে সেই ভালো জানে। তবে এটুকু বলতে পারি। যারাই আমাকে তৈরী করুক তাদেরকে আমি তিন’টি ভাগে ভাগ করতে পারি। প্রথম:- একাধিক লেখা প্রকাশ করার জন্য, দ্বিতীয়:- খোঁচা খুঁচি করার জন্য এবং তৃতীয়ত: ভোট নেওযার জন্য। আমি ফেক তাতে কি তিনটি কাজেই আমি সমান পারদর্শী। লেখা লেখির জন্য আমাকে তৈরী করলে একজন লেখক স্বার্থক। ভালো ভালো লেখা, মন্তব্য আর উপদেশ দিলে আমাকে নিয়ে কেউ খারাপ মন্তব্য করতে পারে না, বরং ভালই বাসে। খোঁচা খুচির জন্য তৈরী করলে আমার কোন ক্ষতিই হয় না। যে আমাকে তৈরী করে লাভ ক্ষতি শুধুই তার। মানুষের ধিক্কার অপমানে নিজের দিকে তাকিয়ে আত্মগ্লানিতে নিজেকেই থুতু দেয়। সত্যিকার অর্থে আমার কোন ক্ষমতা নেই। আমি চলি তার কথা মতো, অর্থাৎ যে আমাকে যে ভাবে চালায়। এখানে লেখা প্রকাশে সুখ আর ছি ছি খাওয়ার কষ্ট যারটা সেই ভালো বুঝে। হয়তো এটাই তার সার্থকতা, জীবনের পূর্ণতা। ভোটের জন্য তৈরী করলেও লাভ তার । ভালো ভালো লেখাগুলো মূল্যায়ন পায় না। এই জন্য এখানে আমার হাজার হাজার জাতী ভাই আছে।

অনেকে নাম কামানোর জন্য আমাকে তৈরী করে। অনেকেই আমাকে বানিয়ে হয়তো একবার ব্যবাহার করেছে তার পর আর আমার কোন খোঁজ খবর নেয়নি। তাতেও আমার কিছু আসে যায় না। আমি হাজার বছর ঘুমিয়ে থাকতে পারি। কারো প্রয়োজনে ব্যবহার করতে চাইলে আমাকে ডেকে উঠায় আমি উঠি। আমাকে চালায় আমি চলি। আমাকে বলায় আমি বলি। অনেকেই আমাকে দাম দিতে চায় না। ভাবে আমি ক্ষণ স্থায়ী। কিন্তু তারা জানে না। আমি কত ভংঙ্কর,অনন্ত। আমাকে এত ছোট ভাবা ঠিক না। এক মুহূর্তে একটি সাজানো বাগানকে আমি ধ্বংশ করে দিতে পারি। পৃথিবীতে যতদিন নেট থাকবে ততদিন আমিও থাকব। আজ যে আমাকে তৈরী করল আমি তার বাধ্য কিন্তু কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি না।

পৃথিবীতে এ যাবৎ যত বড় বড় যুদ্ধ হয়েছে তার সব গুলিই হয়েছে নারী আর ক্ষমতার জন্য। যুদ্ধ শুরু করেছে বঞ্চিতরা। অতীতে বিভিন্ন অস্রদিয়ে যুদ্ধ হয়েছে এখন পারমানবিক অস্র সর্বোচ্চ ভয়ঙ্কর। এখন ক্ষেপনাস্র প্রতিরোধের ব্যবস্থাও আছে। একটি ফেক আইডি পারমানবিক বোমার মতো ধ্বংসকারী। আমাকে প্রতিরোধ করার ব্যবস্থাও আছে। আইডি করার সময় এমন কোন প্রমাণ প্রত্র হাজির করা যা দিয়ে সহজেই সনাক্ত করা য়ায়। কিন্তু কেউ এ দিকে নজর দেয় না। আর জানলেও বলে না। তাই আমাকে প্রতিরোধও করতে পারে না। তবে একে বারেই যে অজানা তাও না। এক ধরনের সৈনিক আছে যারা ভালো কিছু দেখতে পারে না। নিকৃষ্ট মনের, তাই নিকৃষ্ট কাজই তাদের কাছে অসাধারণ আর প্রিয়। তারাই আমাকে ব্যবহার করে লেখক নাম ধারী চরিত্রহীন যারা। জনে জনে তেল মারতেও ওস্তাদ অপমান করতেও তেমন হিংস্র।

আমার ভাবনার ক্ষমতা নেই চেতনা নেই তাই এ থেকে মুক্তির পথও খুঁজি না। যে আমাকে তৈরী করে তার নিজের মানইজ্জত নৈতিকতা বোধ, মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা যত ক্ষণ না জাগ্রত হবে, ততক্ষণ আমার জন্ম বন্ধ হবে না। সবাধান! সে সব স্থানে সব সময় মিশে থাকে মুখোশধারী বন্ধু, আর লেখকের ছলে স্বার্থপর হয়ে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সাজিদ খান খোরশেদ ভাই ,সময়োপযোগী লেখা ,অসাধারণ । বিষয়বস্তুটা দারুন । সাব্বাস ,শুভ কামনা.. রইলো ।
নিরব নিশাচর এই ইন্টারনেট এর যুগে ফেক্দেরকে এভয়েড করা কঠিন... বিভিন্ন ভাবে তারা মিশে থাকবেই... তবু ফেকের জন্ম না হোক এবং এবং তার জন্মের প্রয়োজন না পরুক... গল্পের চাইতে প্রবন্ধ টাইপ বেশি মনে হলো... ব্লগে মানানসই হত ভালো... ভালো লেগেছে...
প্রজাপতি মন অনেকদিন পর এলাম এখানে, আপনার গল্প দিয়েই শুরু করলাম দিন, অনেক ভালো লাগলো লিখাটা, মনে হলো রচনা পড়ছি|
সেলিনা ইসলাম জানলাম অনেক কিছুই.....এটুকু বলব যারা নিজেদেরকে সামনে আনবার মত দুঃসাহস রাখে না তারাই মুখোশের আড়ালে রাখে.... দ্বৈত সত্ত্বায় আর যাই হোক ভাল কিছু করা যায় না আর এই সত্ত্বাকে প্রশ্রয় দিয়ে বা এদের সমর্থন করেও ভালো কিছু আশা করা যায়না । যেটুকু পাওয়া যায় তা ক্ষণস্থায়ী । ( পৃথিবীতে এ যাবৎ যত বড় বড় যুদ্ধ হয়েছে তার সব গুলিই হয়েছে নারী আর ক্ষমতার জন্য।) কিন্তু এই লাইনটিতে ঘোড় আপত্তি আছে
মিলন বনিক সময়োপযোগী লেখা..ধন্যবাদ..শুভ কামনা...
সৌরভ শুভ (কৌশিক ) একটি ফেক আইডির আত্মকাহিনী ,ভালইতো লাগলো ,মন্দ বলোনি /
ওবাইদুল হক আসলেই ঠিক সবার মূল্যবোধ থাকা প্রোয়োজন আমরা কি কখনো আমাদেরকে নিয়ে তা ভাবি । আসলেই আমাদের কি পরিচয় । সকলকে আপনার লেখাটা পড়ার আহ্বান জানাচ্ছি শুভকামনা ।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি ভালো লাগলো প্রবন্ধটি খোরশেদুল আপনাকে ধন্যবাদ......তবে...অন্যান্য পাঠকদের সাথে একমত.............
খোন্দকার শাহিদুল হক ফেক আইডিধারীদের সম্ভবত আত্ম বা সামাজিক তেমন কোন পরিচয় নেই । থাকলেতো সরাসরি স্বচেহারায় হাজির হতো। যেখানে মননশীলতার জন্ম হওয়ার কথা সেখানে তাদের দ্বারা কী হচ্ছে তা ভেবে দেখার দরকার। কেউ কেউ পুরুষ হয়েও মেয়েলী নামে আইডি করে অনেককেই বিব্রত করছে। আর তারা নেপত্থে তামাশা করছে। মন্তব্য করতে গিয়েও বেশ সমস্যা হয়। কে ভাই কে বোন কিছুই ঠার করা যায় না। এরাই নেপত্থে থেকে খারাপ চেতনার জন্ম দেয় । এদের কলিজায় রক্ত কম। এরা মুখোশধারী । এরা যা মনে আসে তাই বলতে পারে, করতে পারে। এরাও আলকাইদার মত প্রেতাত্মা। এরা বহুরূপী। এরা সহজ সরল পথে চলে না।এদের উদ্দেশ্য সবসময় খারাপ। এরা নিজেরা নিজেদের গুনগান গেয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করার জন্য অন্ধকারে বিচরণ করে। এদের জন্য মুখ বন্ধ করে থাকলে চলবে না। মুখ খুলতে হবে। যে তার আত্মপরিচয় দিতে কুণ্ঠিত তাকে পরিহার করাই শ্রেয়।। তারা মুখোশের আড়ালেই থাকুক। তার মন্তব্যে আহলাদিত কিংবা দু:খিত কোনটাই হওয়ার দরকার নেই। ভেক আইডির ভোট নেয়া কিংবা দেয়া কিংবা মন্তব্য নিষিদ্ধ হলেই কেবল এদের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। একেক জনের আট-দশটা ভেক আইডি। এদের জন্ম প্রতিরোধ করা এখুনি প্রয়োজন। আপনার সুন্দর ও সমযোপযোগী লেখার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা সতত।
আসন্ন আশফাক খোরশেদ ভাই আপনার মনের খোব থেকে এটা লিখেছেন তা বুঝতে পারছি, প্রতিযোগিতার হিসাবে কোনো মন্তব্য করব না, লেখাটি ভালো লিখেছেন

২২ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪