ছোঁবল

সরলতা (অক্টোবর ২০১২)

মোঃ আক্তারুজ্জামান
  • ৫১
  • ৭৩
স্যার, গেরামের সহজ সরল মানুষ তো না খাইয়া থাকলেও কেউ পোলাপান চোখের আড়াল করতে চায় না- বাকী কথাটা রশীদ মিয়া আর শেষ করতে পারে না। হাওলাদার সাহেবের বিরক্ত মুখের দিকে তাঁকিয়ে সে মাথা নীচু করে ফেলে। এতদিনে কর্তাব্যক্তিদের মেজাজ মর্জি সম্বন্ধে তার ভাল ধারণা হয়ে গেছে। আর এসব হাসি মুখে মোকাবেলা করার কায়দা কানুনগুলোও তার রপ্ত করা হয়ে গেছে। সে জানে চরম অন্যায় রাগে স্যারের হাত পা ছোঁড়াছুড়ি করার সময় একেবারে কাঠের পুতুলের মত নির্বিকার নির্বাক হয়ে থাকার চেয়ে উত্তম আর কোন পন্থাই হতে পারে না। ঐ সময় দুচারটা কঠিন গালাগাল হজম করতে পারলেতো আরও মঙ্গল। এমনিতেও বড় সাহেবরা হাজামজা ডোবাকে পদ্মদীঘি বললে কর্মচারীদের মাথা দুলিয়ে সায় দেয়া ছাড়া আদৌ কোন উপায় থাকে না| কাজেই তাঁদেরকে খুশী রাখতে কুকুরকে ঘোড়া বলে কবুল করায় রশীদ পিওন বিন্দু মাত্র দ্বিধা করে না|

আসলে গরীব মানুষের আক্কেলও গরীব হয় - চাপা রাগে মৌনতা ভাঙ্গার মধ্য দিয়ে হাওলাদার সাহেবের চেহারা লাল হয়ে উঠে। গরীব মানুষের খাসালত, জ্ঞান, বুদ্ধি নিয়ে হয়ত আরও কিছু বলতেন কিন্তু নিজেকে সামাল দিয়ে ফেললেন। স্বার্থ উদ্ধারের ছলা কলা তারও জানা আছে।

পিয়ন রশীদ মিয়া মুখে বেওকুফের হাসি ঝুলিয়ে স্যারের কথাটা হজম করলেও ভিতরে ভিতরে সে বেশ আহত ও অপমানিত বোধ করে। কারণ সে নিজেও গরীব। গরীব মানুষের আক্কেল গরীব কথাটা সুঁইয়ের খোঁচার মত তার হৃদপিন্ডে গিয়ে লাগে। গ্রামের স্কুল থেকে সে কোন মতে এস, এস, সি পাশ করেছিল। অভাবের সংসার- ভালভাবে লেখাপড়ার করার সময়, সুযোগ কিছুই তার ওভাবে মিলেনি। একদিন স্কুলে গেলে তিন দিন যাওয়া হত না। বই খাতা কিছুই সময় মত আর পর্যাপ্ত মিলত না। তার ফল দেখে স্কুলের হেড মাষ্টারও খুব খুশী হয়েছিলেন। কারণ রশীদ মিয়ার মিয়ার ফেল করার মধ্য দিয়ে স্কুলটির শতভাগ পাশের গৌরব থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকট ছিল।

অভাব অনটনের কারণে রশীদ মিয়াকে লেখাপড়ার পাট চুকিয়ে দিয়ে শহরে পাড়ি দিতে হল। ঘাটে ঘাটে ধাক্কা ঠোক্কর খেয়ে অবশেষে এই সি, এন্ড, এফ অফিসের পিওনের চাকুরীটা যে তার কীভাবে হয়ে গেল এখন ভাবতেই তার স্বপ্নের মত মনে হয়। বিদেশ থেকে যেসব মালামাল আসে মূলত কাষ্টমস অফিস থেকে পার্টিকে ঐসব মালামাল ছাড়িয়ে এনে দেয়াই এই অফিসের কাজ। বিভিন্ন পার্টির মালামাল বিদেশেও পাঠানো হয়, তবে তা খুব কম। পিওন রশীদ খুব বুঝতে পারে সরকারকে ফাঁকি দিয়ে দিয়েই অফিসটা ক্রমাগতভাবে ঝকঝকে হয়ে উঠছে। হাওলাদার সাহেবের বয়সটাও যেন কমছে না দিনকে দিন চেহারায় কেমন ঝেল্লা বেড়েই চলেছে।

রশীদ বাবাকে দিনমজুরী করা থেকে মুক্তি দিয়েছে। তার বাবা এখন সাদা পাঞ্জাবী পরে পাঁড়ার চায়ের দোকানে চা পান খেয়ে দিন কাটায় সুযোগ পেলেই লোকজনের সাথে গর্ব ভরে ছেলের গুনগান করে। এলাকার মানুষও রশীদ পিওনকে অন্য রকম একটু সমীহের, একটু সম্মানের চোখেই দেখে। এই সব কথা মনে করে তার কাছে এম, ডি স্যারের গরীব মানুষের আক্কেল গরীব কথাটা খুব খারাপ লাগে।

আমার একটা মাত্র মেয়ে। দিন কয়েকের মধ্যেই ও বিদেশে লেখাপড়া করতে চলে যাবে। কাজের জন্য যত না দরকার আমার গিন্নীকে সঙ্গ দেয়ার জন্য একটা কাজের মেয়ের বড়ই দরকার- হাওলাদার সাহেব রশীদ পিওনের দিকে বেশ অসহায় চোখে তাঁকান।

স্যার, দেখি সামনের মাসে গেলে একটা বন্দোবস্ত করতে পারি কি-না! রশীদ স্যারের দুঃখী দুঃখী চেহারার দিকে তাকিয়ে বলে।

হাওলাদার সাহেব বেশ উৎফুল্ল বোধ করেন। তার আসলে পুরো মাস অপো করার সময় নেই। ‘সামনের সপ্তাহেই বাড়ী যাও’ বলে তিনি টেনে টেবিলের ড্রয়ার খোলেন। এক হাজার টাকার দু’টি নোট রশীদের হাতে তুলে দেন। এক হাজার তাকে খরচ করতে বলেন আর এক হাজার যে কাজের মেয়েটি জোগাড় হবে তার বাড়ীতে দিতে বলেন। রশীদকে আরও একটা সুযোগ দিয়ে দেন যদি দু এক দিন বাড়তি সময় লাগে তবু যেন সে একটা বিহীত করেই ফিরে আসে।

হাওলাদার সাহেবের মেয়েটা অষ্ট্রেলিয়াতে উড়াল দেয়। গিন্নী চোখের জলে ভাসে। মায়ের মন। হাওলাদার সাহেবও কম কষ্ট পান না। অফিস থেকে বাসায় ফিরলে মনে হয় যেন একটা মরুভূমিতে আছেন। এক মাত্র সন্তান তিনি কিছুতেই দুরে দিতে চাননি। কিন্তু মেয়ের জেদ আর মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত সায় না দিয়ে পারেননি। এদেশে আজকাল কেউ আর নিজেকে নিশ্চিত নিরাপদ মনে করে না। সবাই যেন নিজের দেশ ছেড়ে পালিয়ে বাঁচতে চায়। যে মাটিতে নিজের জন্ম হয়েছে, নিজের পূর্ব পুরুষরা যে মাটিতেই মিশে আছে সে মাটির সাথে সম্পর্ক ছেদ করতে মানুষ একটুও দ্বিধান্বিত হয় না, কুন্ঠা বোধ করে না।

মেয়ের বিদেশে পড়তে যাওয়া নিয়েও হাওলাদার সাহেবের বাসায় বেশ ঝামেলা গেছে। মেয়েটার মন আমেরিকাতে জমে গিয়েছিল। আবেগ উচ্ছ্বাস দেখে মনে হচ্ছিল যেন আমেরিকাটাই ওর নিজের দেশ। আজকাল মানুষ আমেরিকার নাম শুনলেই ফড়িংয়ের আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ার মত করে। সামান্যতম সুযোগ থাকলে পাড়ি জমানোর জন্য লাফিয়ে উঠে। হাওলাদার গিন্নীও খুশিতে আটখানা হয়েছিলেন। তাঁর ছোট ভগ্নীপতিও সপরিবারে আমেরিকাতে বাস করে। ওখানে তাদের বড় রেষ্টুরেন্টের ব্যবসা রয়েছে। মেয়ে নিজের আপনজনদের কাছে থাকতে পারবে এটাই ছিল হাওলাদার গিন্নীর খুশীর কারণ।

গিন্নীর খুশি যেখানটায় ছিল সেখানেটায়ই ছিল হাওলাদার সাহেবের অখুশি বিদ্যমান। মেয়ে ছোট ভায়রার ওখানে গিয়ে উঠবে এটা উনি কল্পনাই করতে পারেননি। মা মেয়ের প্রথম আলাপেই তিনি এর বিরোধিতা করেছিলেন। খুব কড়া কন্ঠে নিজের মতামত জানিয়েছিলেন- আজকাল প্রায় সবাই লেখাপড়া করতে অষ্ট্রেলিয়াতেই যাচ্ছে। যাওয়ার ইচ্ছে তো ওখানেই যাও। নয়তো দেশেই লেখাপড়া কর। কোথাও যাওয়ার দরকার নেই।

গিন্নীর মাথায় যেন বাজ পড়ে, তিনি খেঁকিয়ে উঠেন- কেন? তুমি কি মনে কর আমি কিছু বুঝি না? মেয়ে আমার বোন ভগ্নিপতির কাছে থাকলে তোমার সম্মানহানি ঘটবে? ভাবছ, তাদের কাছে তুমি ছোট হয়ে যাবে? এইতো! এত অহংকার ভাল নয়। নিজেকে বড় করে দেখ অসুবিধা নেই কিন্তু অন্যকে এত তুচ্ছ করে দেখবে না।

ব্যাপারটা আসলে তা নয়। হাওলাদার সাহেব শিক্ষিত মানুষ। শিক্ষা তাকে বুদ্ধিমান করে তুলেছে। তাই তাঁর চিন্তায় দুরদৃষ্টিতা আছে। কোন কাজের পরিণাম আগেই চিন্তা করে দেখে নেন। ছোট ভায়রা আমেরিকাতে থাকলেও তার লাম্পট্য সম্বন্ধে হাওলাদার সাহেব বেশ ওয়াকিবহাল। তার স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে অনেকের কাছেই অনেক কিছু শুনেছেন। তাই খুব ভেবে চিন্তেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেয়েকে কোন ভাবেই তার কাছে পাঠানো যাবে না। তাঁর এই যথার্থ সিদ্ধান্তে গিন্নী কী মনে করল না করল তাতে কিছুই আসে যায় না কারণ তিনি ভাল করেই জানেন- লম্পটদের কাছে আপন পর সবই সমান!

রশীদ ছুটি ছাটার বাড়তি সুবিধাদির পুর্ণ ব্যবহার করেই একদিন ফিরে এল। তবে আনন্দের কথা সে হাওলাদার সাহেবের বাসার জন্য এবার একটা কাজের মেয়ে জোগাড় করে নিয়েই ফিরে এসেছে। বেশ বুক টান টান ভাব করে সে হাওলাদার সাহেবের কাঁচ ঘেরা কে প্রবেশ করে- স্যার আমার গ্রামেরই একটা মেয়ে নিয়া আসছি। খুব ঠান্ডা স্বভাবের মেয়ে! ওর বাপটাও খুব সহজ সরল।

তা মেয়েটা কোথায়?- হাওলাদার সাহেব উৎসুকভাবে রশীদের ঘাড় ডিঙিয়ে পিছনে দেখার চেষ্টা করে।

-স্যার রিসেপশনিষ্টের রুমে বসাইছি।

- যাও নিয়ে এস দেখি।

রশীদ মিয়া উড়ে গিয়ে মেয়েটাকে নিয়ে আসে। মেয়েটার পিছনে পিছনে এক জন শীর্ণকায় মধ্য বয়সী পুরুষ মানুষও এসে দাঁড়ায়। হাওলাদার সাহেব বেশ একটু ব্যস্তভাবেই বসার জন্য লোকটাকে একটা চেয়ার দেখিয়ে দেন। বুঝতে পারেন লোকটা মেয়েটার বাবা।

ভিতরে ভিতরে হাওলাদার সাহেবের মনে একটা দুশ্চিন্তা ছিল রশীদ মিয়া পাছে না একটা গেঁয়ো ভূত প্রেত ধরে নিয়ে আসে। বছর চৌদ্দ বয়সের পাতলা গড়নের মেয়েটাকে ভাল করে একবার দেখে নিয়ে মনে মনে বেশ খুশি হন। গায়ে কমদামী সালোয়ার কামিজ কিন্তু বোঝা যায় বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। লাল ফিতায় চুলে বেণী করা, চোখে অনভ্যস্ত হাতে কাজলের টান। পাতলা শরীরের ভাঁজে ভাঁজে যৌবন জোয়ারের উপস্থিতিও সহজেই বুঝা যাচ্ছে।

নিজের মেয়েটা বিদেশে চলে যাওয়ায় মনটা বেশ ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। এই মেয়েটাকে দেখে সত্যি তাঁর বেশ ভাল লাগতে শুরু করে তবে এই ভাল লাগাটা মেয়ের শুন্যস্থান পূরণ করার তৃপ্তিতে নয়। অনেকটা ঘরে নতুন আসবাবপত্র কিনতে পারার সুখের মত।

- কি নাম তোমার?

হাজেরা- মেয়েটার গলা কেঁপে উঠে।

-বস। হাওলাদার সাহেব বাপের পাশের চেয়ারটায় হাজেরাকে বসতে বলে।

মেয়েটা বসে না। হয়ত বাড়ী থেকে বের হওয়ার আগে থেকেই শহর দেখার একটা সীমাহীন আবেগে সে খুব চঞ্চল হয়ে ছিল। কিন্তু এখন কাঁচঘেরা করে যান্ত্রিক সৃষ্ট শীতল বাতাসে দাঁড়িয়ে সে আবার গ্রামের খোলা মাঠে বয়ে যাওয়া এক মুঠো মুক্ত বাতাসের অভাববোধ করছে। এই শহর যে তাঁর কল্পনার স্বপ্ননগরী না তা ভেবে হয়ত হাজেরা মনে মনে বিচলিত হতে শুরু করেছে।

হাজেরাকে রশীদের সাথে বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। বাবার কাছ থেকে মেয়ের বিদায় মুহুর্তটা হাওলাদার সাহেব গভীর মনোযোগ দিয়ে অনুভব করেন। নিজের মেয়েটাকে এয়ারপোর্টে বিদায় দেয়ার সময় এমনি কিছুটা আবেগঘন সময় তিনি নিজেও কাটিয়েছেন।

মেয়েকে নিয়ে কোন প্রকার দুশ্চিন্তা না করার অভয় দিয়ে হাজেরার বাপের হাতে হাওলাদার সাহেব পথ খরচ বাবদ আরও কিছু টাকা তুলে দেন এবং তা পথ খরচের চেয়ে ঢের বেশী। বেরিয়ে যাওয়ার আগে লোকটা দুহাত জোড় করে অনেকটা প্রার্থনার মত করেই অশ্র“রুদ্ধ কন্ঠে বলে- হুজুর, আইজ থাইকা আপনেই আমার মেয়েটার সব- আপনে ওরে দেইখা রাইখেন।



পাঠক এই পর্যায়ে গল্পের মোড় নিয়ে অনেকই অস্থির হয়ে উঠছেন বেশ টের পাচ্ছি। কিন্তু আমি পঞ্চাশোর্ধ বছর বয়সের হাওলাদার সাহেবের হাতে একদিন কিশোরী হাজেরার রগরগে ধর্ষণ কাহিনী বিবৃত করতে চাই না। আমারও ভাল লাগা মন্দ লাগা আছে, আছে কষ্ট, আছে ঘৃণা! হাজেরার দেহ কতটুকু রক্তাক্ত হয়েছিল, দেহের চেয়ে মনটা কতটুকু বেশি আহত, রক্তাক্ত হয়েছিল তা বিবৃত করাটাও আমার সাধ্যের বাইরে। তবে একটা কথা না বললেই নয়- সিংহের থাবা থেকে কদাচিৎ হরিণীর বেঁচে যাওয়ার কথা ভাবা যায় কিন্ত আমাদের সমাজে বাগে পাওয়া অসহায় নারীর পুরুষের লালসার হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার কথা ভাবা যায় না। ঘরে বাইরে নানা বিপদ আপদে আমাদের দেশের ল কোটি অসহায় নারীর অনেককেই হাওলাদার সাহেবদের হাতে পড়তে হয় হারাতে হয় অনেক কিছু, সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয় পর্বত প্রমাণ দুঃখ, কষ্ট আর গ্লানি।

হাওলাদার সাহেবরা শিক্ষিত মানুষ তাঁরা জানেন কীভাবে সন্তানকে নিরাপদ, সুরক্ষিত রাখতে হয়। হাজেরার বাপেরা অশিক্ষিত বলেই তা করতে পারে না। শিক্ষা হাওলাদার সাহেবদেরকে জ্ঞান দান করে, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন করে তোলে আর তাঁদের জীবনে এনে দেয়- সমৃদ্ধি। হাজেরার বাপদের শিক্ষা লাভেরই কোনো সুযোগ থাকে না। ফলে জ্ঞান, সুখ সমৃদ্ধি সব কিছুই তাদের কাছে থাকে অধরা। অভাব অনটন প্রতি নিয়ত তাদের দৃষ্টি শক্তি, চিন্তা শক্তিকে দূর্বল, ক্ষীণ করে। সন্তানের মুখে শুধু এক মুঠো ভাত তুলে দেয়ার ভাবনার বাইরে তাদের অন্য কিছু ভাববার শক্তি বা অবকাশ কোনটাই থাকে না।

হুজুর, আইজ থাইকা আপনেই আমার মেয়েটার সব- আপনে ওরে দেইখা রাইখেন। হাজেরার বাপদের এই সরল আত্মসমর্পণ আসলেই অসহায় গরীবের গরীবিরই নামান্তর মাত্র। তাদের মাঝে যতই সরলতা থাকুক গরীবির ছোঁবলে তাদের আক্কেল বিকশিত হতে না পেরে গরীবই থাকে বৈকি!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রোদের ছায়া শুরুর অংশটুকু পড়তে পড়তে আমার নিজের বুয়া সমস্যা বারবার মনে পরছিল , আজকাল একটা মানুষ যোগার করা সত্যি ভীষণ কষ্টের কাজ । গল্প নিয়ে বলব ...চিরচেনা প্রেক্ষাপটের সুন্দর উপস্থাপনা ।
সাদ্ বিন আদ্দিন তাদের মাঝে যতই সরলতা থাকুক গরীবির ছোঁবলে তাদের আক্কেল বিকশিত হতে না পেরে গরীবই থাকে বৈকি! মুগ্ধ হয়ে পাচ দিলাম সর্বপ্রথম আপনাকে।
ঝরা সেসের লিখাগুলি বেশ।
মোহাঃ সাইদুল হক অসাধারণ গল্প। শুভ কামনা রইলো।
ঐশী আমার খুব ভাল লেগেছে ----- শুভ কামনা !
সূর্য গল্পের শেষে গল্পটাকে আর গল্প রাখেননি বাস্তবতার একটা ছবি তুলে দিয়েছেন। তাতে একদিকে ভালই হল। মানুষ আমাদের আর নিজেদের কদর্য রূপটা নতুন করে দেখতে হলো না। তবে আক্তার ভাই আপনার আগের গল্পগুলোর আলোকে পুরো তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারলাম না।
আলেকজানডার নিকুচি করি সমাজে ভদ্রতার মুখোস পরা প্রগতিশীল এই হাওলাদার তথাকথিত সাহেবদের ।আক্তার ভাইজান মার্জিত লেখার কারনে আপনি আমার প্রিয়দের মধ্যে একজন।শিক্ষার অনেক কিছু আছে গল্পটিতে।শুভাশীর্বাদ।
শিউলী আক্তার নামকরণ যথার্থ ও সার্থক হয়েছে । শুভ কামনা ।
Mahi pondit আপনিতো অনেক সুন্দর গল্প লেখেন ভাই ।অভিনন্দন সাথে পুরো ভোট।
ফাইরুজ লাবীবা এক কথায় অসাধারণ ।বেশ হয়েছে ভা্ইয়া ।অনেক অনেক ভালো লাগলো ।শুভকামনা ।৫ দিয়ে গেলাম ।

২২ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪