বিশ্বাসের লীলাখেলা

অসহায়ত্ব (আগষ্ট ২০১৪)

এফ রহমান
  • ৩২
১.
বরষার জল পেয়ে পুঁইশাকের চারা গুলো বেশ লকলকিয়ে উঠেছে। বিন্দুবাসিনী দেবী কিছু শুকনো ডাল জোগাড় করে এনে পুঁইয়ের জন্য মাচা তৈরী করছে। পুঁইয়ের ডগাগুলো কাঠির সাথে আলতো জড়িয়ে দিচ্ছে যাতে মাচায় উঠতে ক্লেশ না হয়। রাস্তার দিকে চোখ পড়তে দেখতে পেলো রাঙা পিসী ঝড়ের বেগে তাদের বাড়ির দিকে আসছে। বিন্দুবাসিনী মনে মনে শংকিত হলো। রাঙা পিসী গ্রাম সম্পর্কের পিসী। এই গ্রামের মেয়ে। বিধবা হয়ে বাপের বাড়ি ফিরে আসে অল্প বয়সে। তারপর থেকে ভাইদের সংসারেই আছে। হাসিখুশী মানুষ। এর ওর বিপদে ছুটে যায়। আজ আবার কার বিপদ হলো।

রাঙা পিসী বিন্দুবাসিনীর উঠোনে এসে ধপ করে বসে পড়লো। বিন্দুবাসিনী শশব্যস্ত হয়ে ছুটে গেলো। “ওকি পিসি! মাটিতে বসে পড়লে কেন? দাওয়ায় উঠে বসো’।

খুব জোরে হেঁটে আসায় হাঁপ ধরে গেছে। বয়স হয়ে যাওয়ায় আগের মত হাঁটতে পারে না। অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠে। বিন্দুবাসিনী এক গ্লাস জল হাতে দিলো। ঢকঢক করে আর্ধেকটা জল খেয়ে রাঙাপিসী বিন্দুবাসিনীকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো। বিন্দুবাসিনী রাঙা পিসীকে সান্তনা দিতে লাগলো। কি হয়েছে বারবার জানতে চাইছে।

আঁচলে নাক মুখ মুছে রাঙাপিসী আস্তে আস্তে বলল, ‘বিন্দু, অমর আর নেইরে। তোর হাতের নোয়া খুলে ফেল’।

ব্যাপারটা বুঝতে বিন্দুবাসিনী সময় নিলো। ধপাস করে সে মাটির উপর পড়ে গেলো।

‘ও পিসি তুমি এ কি কচ্চো... ও ভগমান তুমি আমার এ কি সর্বনাশ করলে... ও পিসি এ আমার কি হ... ভালো মানুষটা সকাল বেলা ভাত খেয়ে থানা সদরে গেলো... ভগমান তোমার কাছে আমি কি অপরাধ করিছি, বারেবারে কেন তুমি আমারে এত শাস্তি দ্যাও... ’

বিন্দুবাসিনী ডাঙায় তোলা মাছের মত উঠোনে তড়পাতে থাকে। তার বিলাপে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। রাঙাপিসী তাকে বৃথা সান্তনা দেয়ার চেষ্টা করে। খবরটা গ্রামে চাউর হতে সময় লাগে না। মুহূর্তেই পাড়ার সব মানুষ হাজির হয়ে যায়। মুসলমান পাড়া থেকেও কয়েকজন এসেছে। সবাই সমবেদনা জানায়। অমর লোকটা শান্ত নির্বিরোধী মানুষ ছিলো। কারো সাথে পাছে থাকতো না। বাড়ির লাগোয়া জমিখানি নিয়ে পাশের শরীকের সাথে বিরোধ চলছে কয়েক বছর। সেটা কোট কাছারী পর্যন্ত গড়ায়। আজ ছিলো মামলার তারিখ। সকালে ভাত খেয়ে অমর মিত্র কয়রা থানা সদরে চলে যায়। সাথে গেছিলো নৃপেন ঘোষ। নৃপেন জমিজোতের ব্যাপারসাপার ভালোই বোঝে। বিকেলে ফেরার সময় কোটের বারান্দায় অমর হার্ট এট্যাক করে মারা যায়। সেই তো লাশ দাহ করতে হত। বয়ে আনার কোন মানে নেই। মুখাগ্নি করার মত তো কেউ নেই অমরের। তাই ওখানেই দশজনের উপস্থিতিতে তাকে দাহ করা হয়েছে।

নৃপেনের মুখে খবরটা শুনে বিন্দুবাসিনী আছাড় বিছাড় করতে থাকে। ‘এ তুমি কি করিছো ঠাকুরপো। মানুষটারে কেন দাহ করলে। মানুষটা আগুনরে জমের মত ভয় করে। সে আমারে সব সময় বলতো বিন্দু দেখিস আমারে যেন্ন মরার পরে দাহ না করে। আমারে যেন সমাধি করে রাখে। এ তুমি কি করিছো নৃপেন’।

অমর আগুনকে ভয় পায় এটা নৃপেনের জানা ছিলো। কিন্তু সমাধি করার কথা জানতো না। সে নানা ধান্দা ফিকিরে ব্যস্ত থাকে। সব সময় সব কথা শোনা হয় না। সে অনুশোচনা বোধ করে। হাত জোড় করে বিন্দুবাসিনীর কাছে ক্ষমা চায়। বিন্দু কোন কিছু লক্ষ্য করে না। সে বিলাপ করতে থাকে।

আগুনকে অমর সংগত কারণেই ভয় করে। অনেকের কাছে অগ্নি দেবতা কিন্তু তাদের দুজনের কাছে এক সর্বগ্রাসী রাক্ষস। অমরের বাম বাহুর পোড়া ক্ষতদাগ সেই ঘটনাকেই সাক্ষ্য দেয়। অমর আর বিন্দুর এক ছেলে ছিলো। সে অনেক দিন আগের কথা। এক কুড়ি ৫ বছর আগে। মাঝরাত্তিরে অমরের ঘরে আগুন লাগে। সবাই গভীর ঘুমে অচেতন। আগুনের আঁচে প্রথমে বিন্দুর ঘুম ভাঙে। আকাশের হাজার তারা যেন ঘরের চালে এসে জ্বলছে। বিন্দু চিৎকার করে ওঠে। কাঁচাঘুম ভেঙে অমর হিতাহিতশূন্যভাবে বিন্দুর হাত ধরে ঘরের বাইরে চলে আসে। আসতেই মনে পড়লো ছেলে কই। ছেলে তো ঘরের ভিতরে। অমর বিন্দু দুজনেই ছুটে যায়। আগুন বেশ ছড়িয়ে পড়েছে। কড়ি বরগা খসে খসে পড়ছে। দেয়ালের চাপে দরজা আটকে গেছে। অমর পাগলের মত দরজা ঝাঁকাতে থাকে। ছেলের নাম ধরে ডাকে। ছেলে সাড়া দেয় না। অমরের শরীরে আগুন ধরে যায়। কাঁচা মাংস পোড়ার গন্ধ ওঠে। কোনদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। সে দরজায় লাথি মারতে থাকে। ততক্ষণে পাড়া প্রতিবেশীরা চলে এসেছে। কেউ বালতিতে করে পানি মারে। কেউ শাবল মেরে দেয়াল ভাঙে। অবশেষে দেয়ালের এক অংশ ভেঙে ছেলের ঘরে ঢুকতে সফল হয় অমর। ঘরের কড়িকাঠ পড়েছে ছেলের বুক বরাবর। সেই কাঠের প্রজ্বলিত আগুনে ছেলের শরীরের অনেক অংশ পুড়ে গেছে। দগ্ধ মৃত ছেলেকে বুকে চেপে ধরে বেরিয়ে আসে অমর। হিংস্র বাঘিনীর মত ফুঁসতে থাকে বিন্দু। ‘দেবতা, তোমার এত ক্ষুধা! আমার ছেলেকে তুমি গিলে খেলে। আমাকেও খাও’। সে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সবাই তাকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে আসে। বিন্দু অজ্ঞান হয়ে যায়। উপস্থিত মানুষগুলো নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। মৃত্যুর কাছে মানুষ যে বড় অসহায়।

২.
মাস তিনেক পেরিয়ে গেলো। স্বাভাবিক নিয়মেই গ্রামের জীবনযাত্রা অতিবাহিত হতে লাগলো। কৃষকেরা পশ্চিম বিলে ধানের বীজতলা তৈরী করতে লাগলো। জেলেরা দহমাথায় জাল ফেলে মাছ ধরতে লাগলো। গুটিকয়েক লোক প্রথম দিকে বিন্দুবাসিনীর খোঁজখবর নিত। এখন তারা নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত। শহরজীবন আর পল্লীজীবন যাই বলা হোক সব জায়গাতেই আজকাল মানুষ নিজেদের নিয়ে একটু বেশী ব্যস্ত থাকে। রাঙা পিসী আজকেও খুব দ্রুত পায়ে বিন্দুবাসিনীর বাড়ির দিকে ছুটে আসছে। সদর দরজায় একগাদা পুরুষ মানুষের ভীড়। এই গ্রামের মেয়ে হওয়া সত্বেও সে চিরায়ত প্রথানুযায়ী সদর দরজা দিয়ে না ঢুকে খিড়কি দিয়ে বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়লো। বারান্দায় একটা খুঁটিতে ঠেস দিয়ে বিন্দুবাসিনী বসে আছে। রাঙা পিসী বিন্দুর পাশে মাটিতে বসে পড়ল।

“ও বিন্দু, এ কি শুনলাম, তুই নাকি মোছলমান হয়ে গেছিস!”
বিন্দু আঁচলে চোখ মুছে মাথা নেড়ে সায় দেয়। রাঙাদির বুকের মধ্যে হাতুড়ির বাড়ি লাগে যেন।
“ও বিন্দু! এই দুর্মতি তোর কেন হলো!”
“রাঙাদি, আর কেউ না জানুক তুমি তো জানো আগুনকে আমরা স্বামী স্ত্রী কি রকম ভয় করি। এই দেখ আমার কাঁদের সেই আগুনে পোড়া দাগ। আমার সোনা মানিক জ্যান্ত আগুনে পুড়ে গেছে। আমাদের দুজনের শরীরে আগুন লেগেছিলো। আমি জানি দিদি আগুনে পোড়ার কষ্ট। আমি আরেকবার আগুনে পুড়তে সাহস করিনে’।
‘আগুনে যে তোকে পুড়তেই হবে সেরকম তো কোন কথা নেই বউ’।
‘তোমাদের ভাইও তো আগুনে পুড়তে ভয় পেত। সে আমাকো বলতো বিন্দু দেখিস, আমার শরীরটা যেন দাহ না করে। আমার খুব ভয় লাগে। আমাকে তুই রক্ষা করিস। আমি তাকে রক্ষা করতে পারিনি দিদি। বেঁচে থাকতে আমি তাকে বলতাম অলুক্ষণে কথা বলো কেন। কিন্তু সেই ভয় আমাকে ধরেছে দিদি। মোছলমানেরা তো আর আগুনে পোড়ায় না। সেই সাহসে আমি হুজুর ডেকে বললাম আমি মোছলমান হবো”।

হিন্দু পাড়ার মেয়ে ছেলেরা অনেকেই এসেছে। কিন্তু কেউ আজ আর বিন্দুর দাওয়ায় ওঠে নাই। যে দাওয়াতে তাদের এতদিন অবারিত ওঠাবসা ছিলো সেই দাওয়াটা হঠাৎ করে আজ মোছলমানের দাওয়া হয়ে যাওয়ায় তাদের বাঁধো বাঁধো লাগছে। চিরায়ত সংস্কার বলে যে কথাটা আছে এটা সহজে উপেক্ষা করা যায়। সবাই সেটা পারেনা। হিন্দুপাড়ার জোয়ান ছেলেরা সব দল বেঁধে এসেছে বিন্দুর ঘর ভেঙে দিতে। হিন্দু পাড়ার মাঝখানে তো আর মুসলিম বাস করতে দিতে পারা যায় না। কয়েকজন মিলে টানাটানি করে গোঁয়াল ঘরের চাল নামিয়ে ফেলেছে। বিন্দু অসহায় চোখে তাকিয়ে দেখছিলো। তাদের ঘর যখন পুড়ে যায় তখন এই মানুষগুলোর কেউ কেউ স্বেচ্ছায় তার ঘরের চাল ছেঁয়ে দিয়ে গিয়েছিলো।

খবর পেয়ে মোছলমান পাড়া থেকে লাঠিসোটা হাতে একদল মানুষ ছুটে এলো। বিন্দু এখন তাদের কওমের লোক। নিজ কওমের লোককে তারা তো আর বেইজ্জতি হতে দিতে পারে না। দুই পক্ষে লাঠালাঠির উপক্রম হলো। কয়েকজনের মধ্যস্থতায় বিবাদটা তখনকার মত থামলো। বিন্দু স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহন করেছে। তাকে কেউ প্ররোচিত করে নাই। গ্রামদেশে কোন কিছু গোপন থাকে না। তাই হিন্দু পাড়ার খুব বেশী কিছু বলার ছিলো না। তারা আস্তে আস্তে সরে পড়লো। কয়েকজন মোছলমান জোয়ান কাজে লেগে গেলো। সন্ধ্যার আগেই গোঁয়াল ঘরের চাল ছাওয়া হয়ে গেলো। মানুষ কি সহজে মানুষকে গোত্রচ্যুত করতে পারে আবার তত সহজেই গোত্রভুক্ত করে নিতে পারে। সবই বিশ্বাসের লীলাখেলা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সহিদুল হক বেশ ভালো লাগলো লেখাটি, শুভ কামনা থাকল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শহীদুল ভাই।
রতন কুমার প্রসাদ ব্যতিক্রমধর্মী লেখা। ভাল লেখনী।
ধন্যবাদ দাদা।
আখতারুজ্জামান সোহাগ পাকা হাতের লেখা। গল্পে টান ছিল। একদমে পড়েছি। গোত্রচ্যুত আর গোত্রভুক্ত কতই না সহজ! শুভকামনা লেখকের জন্য। আরও লেখা চাই।
ধন্যবাদ ভাই। আপনার জন্যও শুভপ্রত্যাশা
শামীম খান খুব সুন্দর লেখার হাত আপনার । গল্পের পটভূমিতে কাহিনীর বিশ্বাসযোগ্যতা উতরে যাবে । সংলাপ বলিষ্ঠ । বোঝা যায় লেখকের আশেপাশে ই বেড়ে উঠেছে এই চরিত্রগুলো । শুধু আগুনে পোড়ার হাত থেকে বাঁচতে জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা ধ্যান ধারনা , বিশ্বাসকে বিসর্জন দিতে দেখার অভিজ্ঞতা সীমিত । একটু খটকা লেগেছে বিষয়বস্তুর এই অংশে । বিশ্বাসের অলৌকিক দৃঢ়তা বা শক্তি এখানে উপজীব্য হলে কাহিনী সতন্ত্র মর্যাদা পেতো । ধন্যবাদ । শুবকামনা রইল ।
বিশ্বাসের অলৌকিক দৃঢ়তা থাকে গল্পে এবং ইতিহাসে। বাস্তবতা কিন্তু উল্টোটা হয়। কিছু টাকার জন্য , একটু ভালো থাকার জন্য আমার এলাকায় প্রচুর মানুষ খ্রিস্টান হয়ে গেছে। আর এই গল্পটি মূল সারবস্তু আগুনের ভয়ে ধর্মান্তর একটি সত্য ঘটনা যা সিলেট এলাকায় ঘটেছিলো। আপনার বিশদ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
অপদেবতা হুম , ব্রাজিল - আর্জেনটিনা , যাওক ,শুভ কামনা থাকল।
মন্তব্যটি প্রাসঙ্গিক বলে মনে হচ্ছে না। ধন্যবাদ। :-D
সাদিয়া সুলতানা চিরায়ত সংস্কার বলে যে কথাটা আছে এটা সহজে উপেক্ষা করা যায়। সবাই সেটা পারেনা। হিন্দুপাড়ার জোয়ান ছেলেরা সব দল বেঁধে এসেছে বিন্দুর ঘর ভেঙে দিতে। হিন্দু পাড়ার মাঝখানে তো আর মুসলিম বাস করতে দিতে পারা যায় না।............ভিন্ন একটা প্লটে লিখে গল্পকার যে সাহস দেখিয়েছেন, তার জন্য সাধুবাদ। এত ভাল একজন লেখক আছে তা পাঠকদের তো জানতে হবে। অন্যদের লেখা পড়ুন। সময় দিন। ভাগ্যিস আপনাকে খুঁজে পেলাম। তাই প্রথম পাঠেই মুগ্ধতা। শুভকামনা।

০৪ মার্চ - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪