ভার্সিটি লাইফ শুরু হয়েছে আমার। দুই তিন সপ্তাহ হল ক্লাস করছি যদিও সব সাবজেক্টের ক্লাস এখনও শুরু হয়নি।নতুন স্থান, নতুন পরিবেশ, নতুন নতুন বন্ধু-বান্ধবী খুবই ভাল লাগছে আমার। বিশেষ করে ছেলেমেয়ে একসাথে ফ্রিলি চলাফেরা কখনো হয়নি আমার জীবনে। সেই ক্লাস ওয়ান থেকে ইন্টার পর্যন্ত বয়েজ স্কুল এন্ড কলেজে পড়াশুনা করে এসেছি। এ কারনে ফ্রেন্ড হিসেবে মেয়েদের সাথে কখনো মেশা হয়নি আমার। তাই কোন মেয়ে বন্ধু হয়ে উঠেনি এতদিনে। কিন্তু ভার্সিটিতে এত অল্পদিনেই সবার সাথে কেমন যেন সখ্যতা গড়ে উঠেছে। বন্ধু, বান্ধবী, আড্ডা আসলে সব কিছু মিলে লাইফটা জোশই লাগছে।
সেদিন ক্লাসে আমার পাশে বসে ছিল শিপন। ওর সাথে আমার ভালই বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে এ কয় দিনেই। এর যদিও কারন আছে। আর কারনটা হল আমি ভার্সিটির পাশে যে ছাত্র হোস্টেলে ভাড়া থাকি সেই একই হোস্টেলে ভাড়া থাকে ও। সুতরাং বন্ধুত্বটা অন্য সবার থেকে একটু বেশি হবারই কথা। শিপন, তিথি আর আমি কথা বলছিলাম। হঠাৎ স্যার ঢুকলেন ক্লাসে। সবাই উঠে দাড়ালাম। স্যার সবাইকে বসতে বললেন। আমাদের নতুন একটা সাবজেক্ট আজ থেকে শুরু করবে স্যার। আসলে স্যার হিসেব উনিও নতুন।এ বছরই আমরা ভার্সিটিতে আসার কিছুদিন আগে উনি লেকচারার হিসেবে জয়েন করেছেন।
ক্লাসের শুরুতেই স্যার সবার সাথে পরিচিত হলেন। আমরা কে কোথা থেকে এসেছি এসব কথা শুনলেন। স্টুডেন্ট লাইফ সম্পর্কে বিশাল একটা বিরক্তিকর যদিও গুরুত্বপূর্ন বয়ান শোনালেন। এরপরই জীজ্ঞাসা শুরু করলেন আমাদের কার কি ইচ্ছা ভবিষ্যতে। স্যার পিছন থেকে জীজ্ঞাসা শুরু করলেন। কেউ ভার্সিটির টিচার, কেউ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কেউ পুলিশ কর্মকর্তা, কেউ ফরেন অ্যাফেয়ার্স ইত্যাদি হবার আশা ব্যক্ত করতে লাগল। এসব কথা শুনে শিপন আমার কানের কাছে মুখটা নিয়ে এসে বলল- দোস্ত, আগে তো জানতাম না ভার্সিটিতে পড়তে গেলেই কোন ইচ্ছা থাকতে হবে। কি বলি এখন বলতো। যা পারিস একটা বলে দে- আস্তে করে ওকে বললাম। কিন্তু শিপন যেকোন একটা বলতে নারাজ। ওকে ভাল কিছু একটা বলে দিতে হবে আমার। আমি খুব আস্তে আবার বললাম- আচ্ছা, তোর মনের কাছে ভাল করে জীজ্ঞাসা করে দেখতো কোন ইচ্ছা বের হয় কিনা? হ্যা, ওই একটা ইচ্ছাই বের হচ্ছে। কি সেটা? শ্রুতি আপুকে বিয়ে করার ইচ্ছা। ওর কথা শুনে তো ভো ভো করে হেসে উঠলাম আমি। কিন্তু পরমুহূর্তেই স্যারের তাড়া খেয়ে দুজনেই চুপ। স্যার দুজনকেই দাড় করালেন। জ্ঞান দিলেন যে এটা স্কুল নয় ভার্সিটি। মাথা নিচু করে দুজনই শুনলাম। ভাবলাম জ্ঞান দেওয়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে। কিন্তু না। কিছুসময় জ্ঞান দেবার পরে ঠিকই উনি আমাদের ক্লাস থেকে বের করে দিলেন।
দিন যেতে থাকে। আস্তে আস্তে শিপন আর আমার মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা গাড় হতে থাকে। কখনো কোন সমস্যা হলে দুজন শেয়ার করে স্যলুশন বের করি। কিন্তু শিপনের একটা সমস্যার স্যলুশন আমরা দুজনের কেউ বের করতে পারছিনা। আর সেটা হল শ্রুতি আপুকে নিয়ে। শিপনের ভীষন ইচ্ছা শ্রুতি আপুর সাথে প্রেম করার। কিন্তু তা কি করে সম্ভব। আমি শিপনকে বোঝাতে চেষ্টা করি। কিন্তু ও উল্টো অনেক রকম উদাহরন, লজিক দেখিয়ে আমাকে চুপ হয়ে যেতে বাধ্য করে।
আসলে শ্রুতি আপুটা অনেক সুন্দরী। থার্ড ইয়ারে পড়লেও দেখলে মনে হয় যেন ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার কিংবা সেকেন্ড ইয়ারে পড়া কোন তরুনী। শ্যামলা মেয়েটার লাবন্যময়ী মুখটার দিকে তাকালে যে কেউ তাকিয়ে থাকতে বাধ্য। ইংলিস ডিসিপ্লিনে পড়েন আপু। আমি যতদূর শুনেছি ইংলিস ডিসিপ্লিনেরই এক বড় ভাইয়ের সাথে আপুর রিলেশন। অবিশ্বাস করার কিছু নাই। এমন চেহারার একটি মেয়ের প্রেম থাকবেনা সেটা কি হয়।
শিপনকে শ্রুতি আপুর রিলেশনের কথা জানিয়ে বোঝানোর পরও সে বুঝতে নারাজ। আপুর সাথে সে প্রেম করবেই। এ নিয়ে আমাদের দুজনের মধ্যে সামান্য মনোমালিন্য তৈরি হয়। আমি শিপনের ব্যক্তিগত বিষয়ে আর কোন হস্তক্ষেপ করতে চাইনি। শিপনও আর এ বিষয় নিয়ে আমার সাথে কথা বলতে চায়না। কিছুদিন কেটে যায়। শিপন একদিন ঠিকই প্রোপোজ করে শ্রুতি আপুকে। সেটা আবার সরাসরি। শ্রুতি আপুকে শহীদ মিনারের পাশে ডেকে নিয়ে প্রায় এক ঘন্টা কথা বলেছিল। সাথে শ্রুতি আপুর এক বান্ধবীও ছিল। শহীদ মিনারের পাশে বসে শিপন একা একাই কথা বলেছে আপুর সাথে। অথচ দুই বছরের বড় কোন আপুর সামনে এ ধরনের কথা বলতে এতটুকু ভয় বা লজ্জা করেনি ওর। শ্রুতি আপু নাকি নিরবে শুনেছিল ওর কথা। কিন্তু কোন কথা বলেনি। তবুও শিপন ভীষন খুশী। অন্তত সে জানাতে তো পেরেছে তার মনের ইচ্ছাটা।
দুই
ছয় মাস পার হয়ে ফার্স্ট টার্মের পরীক্ষা হয়ে গেল আমাদের। এখনও শিপন শ্রুতি আপুকে দেখলেই তাকিয়ে থাকে। ছুটির পর ভার্সিটির বাসে করে শ্রুতি আপু চলে যাবার সময় ও একই গাড়িতে উঠে পড়ে। তারপর গাড়ির পিছনের দিকে দাড়িয়ে শ্রুতি আপুকে দেখতে থাকে যতক্ষন পর্যন্ত না সে গাড়ি থেকে নামে। শ্রুতি আপু যে শিপনের এসব পাগলামী মোটেও খেয়াল করেনা তা নয়। সে ও মজা পায়। হাজার হোক মেয়ে মানুষতো। তাছাড়া ভক্ত বাড়লে কার না ভাল লাগে।
এভাবেই সময় পেরিয়ে যায়। আমরা ফার্স্ট ইয়ার সেকেন্ড টার্মের পরীক্ষা শেষ করে সেকেন্ড ইয়ারে উঠি। শ্রুতি আপুও ফোর্থ ইয়ারে উঠে যায়। এক বছর পার হয়ে গেছে, পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছুরই। আমিও এর মধ্যে প্রেম করে ফেলেছি। কিন্তু পরিবর্তন হয়নি শিপনের। সেই আগের শিপন এখনও তেমনই আছে।
বিকালের দিক। শিপন আজ আমাকে জোর করে রুম থেকে বের করে ক্যাম্পাসে নিয়ে এল। ওর উদ্দেশ্যটা আমার জানা আছে। ভার্সিটির বাস ছাড়ার সময় হয়ে আসছে।। শ্রুতি আপুকে দেখার উপযুক্ত সময় হয়ে এসেছে। যাহোক কোন কাজ না থাকায় ওর সাথে এলাম ক্যাম্পাসে। অদম্য বাংলার পাশে বসে আছি দুজন। হঠাৎ একটি ছেলে এসে সামনে দাড়াল। তারপর শিপনকে বলল- হ্যালো ভাইয়া, আপনাকে ডাকছেন। কে ডাকছে- ছেলেটার দিকে তাকিয়ে শিপন জীজ্ঞাসা করল। ছেলেটা দুরে দাড়ান শ্রুতি আপুকে দেখিয়ে চলে গেল। আমি তো অবাক। তার থেকে বেশি অবাক শিপন। তারপরও নিজেকে সামাল দিয়ে উঠে দাড়াল শিপন। আস্তে আস্তে হেলে দুলে একাই গেল শ্রুতি আপুর কাছে। আমি বসে রইলাম। আর দেখতে থাকলাম কি ঘটে। দেখলাম শিপন শ্রুতি আপুর সামনে দাড়িয়ে কিছু সময় কথা বলল। তারপর দুজন হাটতে হাটতে ক্যাফেটেরীয়ার দিকে চলে গেল। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম।
কিছুদিন যাবত শিপনকে খুব ব্যস্ত দেখাচ্ছে। আমার সাথে কথা বলারই সময় নেই ওর। মোবাইল কানে সবসময় কথা চলে ওর। ক্যাম্পাসে দেখা যায় ক্লাস বাদ দিয়ে শ্রুতি আপুর সাথে বসে আছে ক্যাফেটেরীয়ায়, নতুবা কটকায়, কখনোবা পুকুর পাড়ের বেঞ্চে। আমার কিন্তু মনে মনে সত্যি ভাল লাগে। অবশেষে হয়তোবা ওর ইচ্ছাটা পূরন হবে।
দেখতে দেখতে আরও একটা বছর পার হয়ে যায়। আমরা এখন থার্ড ইয়ারে পড়ি। পড়াশুনা, প্রেম, টিউশুনি সবকিছু নিয়ে হাপিয়ে উঠছি আমি। আগের মত আর ক্যাম্পাসে আড্ডা দেবার সময় হয়ে ওঠেনা। শিপনের সাথেও মেশা হয়না খুব বেশি। এখন আমি খান বাহাদুর হলে থাকি কিন্তু ও থাকে খান জাহান আলী হলে। একারনে ক্লাসে ছাড়া ওর সাথে খুব কমই দেখা হয় আমার। আবার ক্লাসের আগে বা পরে ওর বা আমার কারোরই তেমন ফ্রি টাইম থাকেনা একসাথে বসে আগের মত সময় কাটানোর। শিপন যদিও আগের মত খুব বেশি কথা বলেনা কারোর সাথে। সব সময় চুপ চাপ থাকে। বিশেষ করে শ্রুতি আপু স্কোলারশীপ নিয়ে বিদেশে চলে যাওয়ার পরই ওর মধ্যে বড় একটা পরিবর্তন এসেছে।
তিন
মেয়েটা যে কি দুষ্টু। রাতে ঘুমাতে দেরি হয় বলেই সকালে একটু দেরি করে উঠি। কিন্তু ও সকালে উঠেই যে চিৎকার চেচামেচি শুরু করে তাতে ঘুমটাই যায় ভেঙে। বাধ্য হয়েই তাড়াতাড়ি উঠতে হয় ঘুম থেকে। মেয়েটার সাথে খুনসুটী করতে করতেই কেটে যায় এক ঘন্টা। তারপরই ফ্রেশ হয়ে গোসল সেরে খেয়ে দেয়ে উঠতে উঠতেই অফিসের সময় হয়ে আসে। কিন্তু অফিসে গিয়েও সারাক্ষন মেয়েটার কথা মনে পড়ে। পাখির মত কথা শিখেছে ইদানীং ও। সবসময়ই কিচির মিচির।
আমি এখন বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত আছি। আমার ভার্সিটি লাইফের ফ্রেন্ডরা অনেকে অনেক জায়গায় আছে। শুনেছি আমাদের ব্যাচের দুজন ভার্সিটির টিচার হিসাবে ভার্সিটিতেই আছে, অনেকে দেশের বাইরে স্কোলারশীপ নিয়ে চলে গেছে। দুই জন পুলিশ কর্মকর্তা, দুই জন প্রসাশনিক কর্মকর্তা হিসেবে এবং অন্যরাও ছোট বড় বিভিন্ন পেশার সাথে যুক্ত হয়েছে। সবার সাথে কথা বা দেখা হয়ে ওঠেনা। ব্যস্ততায় কেটে যায় দিন।
আমার বন্ধু শিপনের সাথে ঠিকই মাসে দেখা হয় একবার। ও আমার কাছে প্রত্যেক মাসে এসে কিছু টাকা ধার নিয়ে যায় কোন একদিন ফিরিয়ে দেবে এই শর্তে। আমি জানি ওর সে সামর্থ্য কোনদিন হবেনা। ভার্সিটির সব ফ্রেন্ডসদের মধ্যে ও ই একমাত্র বেকার। নেশার রাজ্যের বাসিন্দা এখন। চাকরি যে ওর হয়নি তা নয়। তবে কোন চাকরিই ধরে রাখতে পারেনি। নেশার রাজ্যের অন্ধকার কাল ধোয়া গ্রাস করেছে ওর সবকিছুই। শ্রুতি আপুর জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে অধৈর্য শিপন বেছে নেয় নেশার পথ। এই খারাপ পথটিতে ও এত গোপনে এগিয়েছে যে আমাদের কারোরই জানা ছিলনা সেটা। নেশা করতে করতে ওর শরীর ভেঙে পড়েছে। বুঝতে পারি ও আর বাঁচবে না বেশি দিন। অনেক চেষ্টা করিয়েছি ডাক্তার দেখিয়ে। কিন্তু কোন কাজই হয়না। কিছুদিন পরই চলে যায় আবার নেশার জগতে। বাড়িঘর, জমি প্রায় সবকিছুই শেষ করেছে নেশার পিছনে। এখন আমার ও আরও দুই একজন বন্ধুর সহযোগীতায় টিকে আছে কিছুদিন পৃথিবীতে।
শ্রুতি আপুর কথা কিছুদিন আগে শুনেছিলাম। সে দেশে ফিরে নাকি বিয়ে করেছে। আমার কয়েক ফ্রেন্ড গিয়েছিল আপুর সাথে কথা বলতে। কিন্তু আপু ওদের বলেছে, শিপনকে নাকি সে ভাইয়ের মতই দেখত। এ কথা শোনার পর আর কোন কথাই বলেনি ওরা। ফিরে এসেছে নিরব ভাবেই।
শিপনকে আমরা কিছুই জানাইনি শ্রুতি আপু সম্পর্কে। ও জানে শ্রুতি আপু এখনও বিদেশে। সে সত্যিই একদিন ফিরে আসবে শিপনের কাছে ওর ইচ্ছাটাকে পূর্ণ করতে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সূর্য
গল্পের চরিত্রগুলো কখনো বলে না তারা কেমন। সরল ভাবনায় পাঠক ঠিকই আঁচ করে নেয়। এই যে শ্রুতি বেশ কিছুটা সময় শিপনের সাথে ঘুরে বেড়ালো সে কি বুঝতেই পারলোনা শিপন কি চায়, বা তার সম্পর্কে কি ভাবে? শিপনের ভুল ভাঙ্গিয়ে দেয়ার দরকার ছিল ওর। এমন কিছু ছেলে মেয়ে থাকেই যারা তাদের অবসর যাপনের একটা অনুসঙ্গ ভাবে তার প্রতি দূর্বল মানুষটাকে। ভালো লাগলো গল্প।
নাফিসা রাফা
পাঠক কে লেখার মাঝে চুম্বকের মতো আটকে রাখার কায়দা যেখানে অনেকেই জানেন না,সেখানে আপনার এই লেখা কেন শেষ হয়ে গেলো সেই দুঃখ আমিও অন্য পাঠক দের মতো করছি।।খুব ভালো লেগেছে।।চালিয়ে যান।।
তানি হক
মুগ্ধ হয়ে পরছিলাম গল্পটি.. এত সুন্দর সাবলীল করে লিখেছেন যে ..গল্পের ধারাবাহিকতা বুঝতে বা পড়তে কোনো সমস্যা হয়নি ..কাহিনী টাও খুব সুন্দর ...মনে আকর্ষণ জাগানোর মত ..তবে শেষ অবধি এসে খুব কষ্ট পেলাম ..আসলে যা নি না শিপনদের আর শ্রুতিদের আপুদের জন্য কি বলার আছে ... আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ শিশির ভাই .. আশকরি নিয়মিত আপনার লিখা পাব ..শুভেচ্ছা রইলো
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“ডিসেম্বর ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।