১ কাল রাস্তার বুকে দেখেছি আমি লোহিত রক্ত আছে জমাট বেধে ওটা মোর ভাইয়ের রক্ত সন্ত্রাস ভেঙে দেশকে গড়তে করেছিল বাহু শক্ত। তাইতো গিয়েছে আপন প্রাণ সন্ত্রাসীদের হাতে চলে গিয়েছে তার প্রিয় প্রাণ এ বসুন্ধরা থেকে কিন্তু কেন?শুধু শুধু এই পড়ছে অকাল দেহ জাতির হালকে ধরার মত নেই কি তবে কেহ । আর কত যাবে প্রান এভাবে স্বাধীন বাংলার বুকে রাস্তার মাঝে,হাটে, মাঠে, ঘাটে ছোট সড়কের ফাকে কত যাবে আর প্রাণ এভাবে আমারই মধুর ভাইদের ভাল মানুষকে হারাতে হবে এভাবে কত আমাদের । ওহে- ও আমার দেশ তুমি দেখাও না তোমার পূর্বের ক্ষিপ্র ভয়ংকর বেশ তোমার বুকে যে প্রবেশ করেছে শত শত মহাপাপী ওরা ছিটিয়েছে গভীর ভাবে এই দেশটাব্যাপী । তুমি জেগে ওঠ মাতা তাকিয়ে দেখ দূর দিগন্তে কাঁদে রক্তিম সবিতা হে দেশ মাতা আমার তোমার তরে কত ছেলে মরে হয়েছে তারা আজ অমর। কত রক্ত বাংলার বুকে ফেলেছে যে হায় ওরা সে মূল্য আজ দেয়না মানুষ পাষানে বুক ভরা । ২ কোথায় আছ মৃত ভাইরা তোমরা আজকে মরা কেউ দেবেনা তোমাদের বুকের রক্ত জলের দাম কিন্তু তোমরা ছুটে ছুটে দেশে ফেলেছো যত ঘাম । সে মূল্য এদেশের নিঠুর মানুষকে দিতে একদিন হবেই দ্বিতীয়বারের মত স্বাধীন সূর্য উঠবে একদিন উঠবেই । ভয় করোনা তোমরা একাত্তরের দিনের মত আবার জাগবে ওরা । কিন্তু আমরা হারাচ্ছি প্রতিবাদী মুখর মানুষ গুলো আমরা হারিয়ে ফেলছি । তোমাদের মত জ্ঞানী যারা সকল শত্রুকে এক মুঠোতে করতে পারে হানি তাদের হারিয়ে ফেলছি এ কি করছি মোরা করছি । তোমরাতো ছিলে নির্ভিক বাংলার বুকে নতুন করে জন্ম নিয়েছিল রফিক । সেই রফিক, সালাম নতুন করে হারাতে মোরা বসেছি হারাচ্ছি মোরা হারাচ্ছি তোমাদের মত জ্ঞানীদের মোরা হারাচ্ছি । যারা অন্ন মুখে তুলতে চেয়েছে অন্নহীনার মুখে অত্যাচারীর খড়গপানে দাড়াতে চেয়েছে রুখে কঠোর আঘাতে ভাঙতে চেয়েছে জল্লাদ গড়া পাহাড় কাছে চাইছে যাদের দেহে মাংসহীন কয়েক হাড় । সেই পুরুষদের হারাচ্ছি বীরদের মোরা হারাচ্ছি বিদ্রোহীদের হারাচ্ছি একি করছি, মোরা করছি । ৩ চোখে নির্ঘুম জল করে যেন ছল ছল গায়ে নেই কোন বল হয়ে পড়ছি র্দূবল । দেহটা ক্লান্ত শান্ত কিন্তু মনটা তপ্ত যেন হয়ে উঠছি ক্ষিপ্ত আর নয় আর নয় কিসে করে এত ভয় খুনের প্রতিকার চাই চাই সংগ্রাম চাই । শত মানুষ ওঠো জেগে প্রলয়ের দিকে যেতে হবে এবার ক্ষিপ্র ভয়ানক বেগে আমরা বাচতে চাই স্বাধীন দেশকে নতুন করে দেখতে মোরা চাই । মানুষ কেন হে সুপ্ত? হয়ে ওঠো সব জাগ্রত পুন্জিত ব্যাথা বক্ষ থেকে জাগিয়ে তোল তোমরা পাপীদের সাথে শেষ যুদ্ধ করব এবার আমরা। বদলা চাই বদলা জীবন রক্তের বদলা। এই বদলা নিতে গেলে মোদের ছাড়তে হবে জীবন মায়া মৃত্যুর পর হবেনা হয়তো মোদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া । মৃত দেহ পাপীরা মিলে হয়তো টেনে টেনে ফেলে দিবে দূরে ঝোপের আড়ালে অথবা পঁচা ড্রেনে। শিয়ালে ছিড়ে খাবে শকুনরা উল্লাস করবে ক্ষুদার্ত পেটে শব দেহ টেনে হিছড়ে গিলবে অনেকে এসে আমাদের দিকে কফ থু থু ফেলবে। আমাদের গায়ে হাত দিবে না ওরা বলবে ওটা কুকুর কিংবা বিড়াল শেয়াল মরা। নানা ছুতা দিয়ে চলে যাবে ওরা ঐ স্থান থেকে কেননা ওরা যে ভয়ার্ত,ওরা সত্য নয় ভয় করে পাপীদেরকে । দেখবে না কেউ আমাদের তবুও ভয়ংকর সংগ্রাম এবার করতে হবে মোদের হাতে উঠাব মষাল আগুন জ্বালাব, আগুন জ্বালাব,আগুনের কোলাহল। ৪ মাথা করছে ঝিম ঝিম ক্রোধের জালে জড়িয়ে পড়ছি গা করছে হিম হিম রক্তের কনা ক্ষিপ্র টগবগ করে ফুটে চলছে মন জ্বলছে তীব্র । কি ঘটছে দেশে দেশে মহা ভয়ানোক বেশে এর প্রতিকার হবেনা সংগ্রাম কি হবেনা । দেখতে হবেকি পেপারে মনটা অবাক করে পাপীদের হাতে প্রায়ই মা-বোন হচ্ছে লাঞ্ছিতা সমাজ থেকে পাচ্ছে আবার অঢেল অঢেল ঘৃনা । দেখে না কেউ চেয়ে অপমান ঘৃনায় কত নারী আজ চলেছে পতিতা হয়ে । কত পুরুষের ভেঙে যায় নিজ মন নিজ স্ত্রী পাপীরা মিলে করে যবে ধর্ষন । দূর্বল পুরুষ বীর হয় ঠিক তখন লাঞ্ছিত বধূ ঘর থেকে তার বের হয়না যখন । সালিস বসে, বিচার বসে অসতী করতে বের এগিয়ে আসেনা কেউতো তব তাড়াতে পাপীদের । পাপীরা তাইতো উল্লাসে হাসে থামাতে ওদের কেবা আর আছে । ফেলছে কোথাও ইচ্ছে মত বোমা মৃত্যু থেকে ভাল মানূষ তাই পাচ্ছেনা আজ ক্ষমা । তাইতো দেখেছিলাম ড্রেনের পাশে মস্তকবিহীন লাশ যে করেছিল অন্যায় ভেঙে সংগ্রাম অকুতোভয় সাংবাদিক বলে কেড়ে নিয়েছে নি:শ্বাস । কি অবাক কান্ড চাই চাই, হ্যা চাই আজ তাই ওদেরই হোক দন্ড। কিন্তু থামানো যাবেনা ওদের থামানো যাবেনা ওরা দূর্দমনীয় কঠিন ওরা প্রাণকে নিয়ে ভয় করেনা নির্মম ভয়হীন । তাইতো সেদিন রাতে কম্পিত হয়ে লুটিয়ে পড়ি বিকট শব্দের ভয়েতে কিসের শব্দ ওটা পরে শুনলাম এখানে হয়েছে বিশাল বোমা ফাটা সন্ত্রাসী কতক ছেলে বিশাল বোমা বানাতে চেয়েছে শিক্ষাঙ্গনের হলে হঠাৎ ফেটেছে ওটা সেই ফোটনে ঝলছে গেছে এক ছোকরার মুখটা অন্ধ হয়েছে সে কব্জি একটা উড়ে গেছে শূন্য আকাশে তবুকি ওরা দুমছে আবার বোমা ছুড়ছে মারছে মানুষ মারছে । ৫ আর পারিনা, পারিনা হে মানুষ আর ঘুমিয়ে তোমরা থেকনা ভেঙেচুরে ঐ বদ্ধদেয়াল ডিঙিয়ে এস তোমরা হিংস্রবেগে কাপাবো দেশটা দ্বিতীয়বারের মত আমরা । স্বাধীন মোরা করবো দেশটা করবো তীক্ষ্ণ যুদ্ধ যুদ্ধ করবো, যুদ্ধ করবো, ওইবার শেষ যুদ্ধ । কেপে উঠছে অধর নি:শ্বাস তর তর একটাই মোর গান সংগ্রাম চাই সংগ্রাম, আর পাপীদের অবসান । জানি অনেকে মরেছে বেকার জীবন কুড়িয়েছে মা-বাবার অবহেলা পেয়েছে সকলের ঘৃনা নিয়েছে শুধু এক সংগ্রাম করে যা মৃত্যু ছাড়া দেয়না কিছু মানুষকে প্রাণ ভরে । তবু সংগ্রাম করবই দেশকে কম্পিত করবই গরীবের গান গাইব পাপীর অবসান চাইব ।
৬ আমি যেন এক বেহুশ কি করছি কি ভাবছি নেই তার কোন হুশ শুধু জানি আমি দুরন্ত এক দূর্বার চারিদিকে আমার ঘনিয়ে আসছে ব্যাকুল অন্ধকার । আমি যাচ্ছি আধারে মরন কালো আধারে মেঘাচ্ছন্ন কুয়াশাভরা একি ভয়ানোক আধার এবার বুঝি হারাতে হবে প্রিয় জীবনের ভার । হোক জীবনকে হারাতে পরোয়া নাই মৃত্যুতে তবু জগতে এবার আমি আলো ফিরিয়ে আনবো দেশদ্রোহীর সামনে সংগ্রামের অগ্নিমষাল জ্বালব ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
তানভীর আহমেদ
দীর্ঘ কবিতা। ভাব-ব্যঞ্জনা অসাধারণ। বিদ্রোহী গোছের। খুব ভালো। দেশের প্রতি খুব আবেগ না থাকলে এমনভাবে ঠিক লিখতে পারা যায় না। শুভ কামনা পল্লব ভাই। দুঃখ যে আপনাকে ইদানিং পাঠক হিসেবে পাওয়া যায় না।
সাজিদ খান
অনেক সময় নিয়ে পড়েছি,,,।অসাধারণ।আপনার ফিরে আসাকে স্বাগত ।কবিতাটি এত বড় না করে ছোট করে আরো ভাবটা প্রকাশ কররে ভালো হত।ভাল থাকবেন,মুভ কামনা রইলো।....
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।