(১)
অবসন্ন নিস্তেজ শরীরটাকে কোনোরকম টেনে এনে খাটে ফেলে দেয় ঈশিতা । ঘনঘন শ্বাস গুলো দীর্ঘশ্বাসের আকার নেয় । মাথার মধ্যে চিনচিনে একটা ব্যথা । মনে হয় অনেকগুলো ঝিঁঝিঁ পোকা ক্লান্তিহীন সুরে ডেকেই চলেছে ঝিঁইইইইইই............। দুহাতে সজোরে মাথা চেপে ধরে ঈশিতা ।
‘ও বৌমা , কই গেলা ? ডাকি হুন না ? কানে কি তুলা দিয়ে রাখছো ? এদিকে আস একবার ।’
পাশের রুম থেকে শাশুড়ির চিৎকার ভেসে আসছে । ঈশিতার মাথার মধ্যে ঝিঁঝিঁ পোকা গুলো রীতিমত নাচানাচি শুরু করেছে ।
বৃদ্ধ বয়সে মানুষ যে কতখানি যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে ঈশিতার শাশুড়িকে না দেখলে সেটা সে বুঝতে পারত না । ভদ্র মহিলার কাজই হল সারাদিন চিৎকার করে ঈশিতার ফোরটিন জেনারশনের মুণ্ডুপাত করা । তার শাশুড়ির ধারণা ঈশিতার বাবামা জোচ্চোর , তারা তার ছেলেকে কোন তুকতাক করে নষ্ট মেয়েকে গছিয়ে দিয়েছে ।
এরপর গালি শুরু হয়ে যাবে ,ঈশিতা ধীরেধীরে শাশুড়ির ঘরের দিকে পা বাড়ায় ।
আয়েশা বেগম খাটের উপর বসে পানশুপারি কাটছেন কিন্তু চোখ টিভির দিকে । তার গালের দু পাশ বেয়ে পানের লাল কস পড়ছে ঈশিতার ভেতরটা গুলিয়ে ওঠে ।
ঈশিতাকে দেখে আয়েশা বেগমের চোখ কুঁচকে যায় ,
‘সারাদিন খাটে হুইত্যা থাক কেন ? পোলা মাইয়া কি আর কারো হয়না ? ঢঙে আর বাচিনে । তাও যদি আমার বংশের কেউ হইত ।’
‘কি জন্যে ডেকেছেন সেটা বলেন । আমার শরীর ভাল নেই ।’ ঈশিতার কথায় বিরক্তি চাঁপা থাকে না ।
‘শরিল ভালা থাকব কেমনে ? শুধু খাওয়া আর শোয়া ছাড়া কাম কাইজ তো কিছু নেই।’
‘এ বাড়ির কাজকাম কে করে , আপনি ?’
‘কথা তো কম হিক নাই । যাও আমার লাইগা এক কাপ চা কইরা আনো । শরিল বিষ করতাছে দেখি চা খাইয়া কমে নাকি ।’
‘ পোলার সংসারে পোলাপাইন আইলে দাদা দাদির কত আমোদ লাগে । আল্লাহ আমার ভাগ্যে সে আনন্দ লেখে নাই । কোন জাতের বাচ্চা পেটে লইয়া ঘুরতাছে আল্লাহ মাবুদ জানেন ।’
ঈশিতা রান্নাঘরে যেতে যেতে শাশুড়ির বিষোদগার নিরবে হজম করে নেয় । এসব শুনতে শুনতে সে অভ্যস্ত হয়ে গেছে এখন আর কিছু হয়না ।
চা বানাতে গিয়ে মনে হল ঘরে দুধ নেই । শাশুড়ি আবার লাল চা খান না ।একবার ভাবল পাশের বাসা থেকে এককাপ দুধ চেয়ে আনবে কিনা । কিন্তু সে চিন্তা বাতিল করে লাল চাই করে ফেলল । চায়ের কাপ হাতে নিয়ে আয়েশা বেগম এমন ভাব করলেন যেন তার হাতে বিষের পেয়ালা তুলে দেওয়া হয়েছে । ‘একচুমুক মুখে দিয়েই থু করে ফেলে দিয়ে বললেন , এটা কি চা ? নাকি মুত ?’
‘ঘরে দুধ নাই আপনার ছেলে আসুক দুধ আনলে আবার চা করে দেব ।’
‘দুধ থাকব কেমনে ? সব তো খায় তোমার পেটের শয়তান ডা ।’
ঘৃণায় ঈশিতার মুখ বিকৃত হয়ে যায় কিন্তু এখন তার ঝগড়া করতে রুচি হচ্ছে না । সে আর কথা না বাড়িয়ে নিজের ঘরে এসে শুয়ে পড়ে ।
(২)
সেদিন কি বার ছিল আজ আর মনে নেই । মানুষ তার সুখের স্মৃতি সহজেই ভুলে যায় কিন্তু দুঃখের স্মৃতি গুলো যত্ন করে মনে রাখে । কিন্তু ঈশিতা তার জীবনের সেই দুঃসহ স্মৃতি মনে রাখতে চায়না বরং যত্ন করে ভুলে যেতে চায় , কিন্তু পারেনা । কলেজের পরীক্ষা গুলোতে বরাবরই প্লেস করা ছাত্রী ঈশিতার সামনেই এইস.এস.সি পরীক্ষা । স্যার এর বাসা , কোচিং আর বাসার পড়ার বাইরে অন্য কিছু ভাবার ফুরসত ছিলনা ।
স্বপন স্যার এর বাসায় ফিজিক্স পড়তে গিয়ে ফিরতে গিয়ে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে গেল । অন্যদিন সাথে মিলা থাকে কিন্তু ওই দিন কি একটা কারণে মিলা যেতে পারেনি । নওমহলের পুকুরের পাশেই একটা পড়ো বাড়ি । একতলা ভাঙ্গাচুরা দালানটার গা থেকে ইট খসে খসে পড়ছে । বড় বড় কিছু গাছ যত্নের অভাবে তাদের ডাল গুলোকে ইচ্ছেমত চারদিকে ছড়িয়ে রেখেছে । এই জায়গাটা দিনের বেলায় ও জমাট অন্ধকার থাকে । কোন এক হিন্দু পরিবার দেশ ত্যাগের সময় ফেলে রেখে গেছে । বাড়িটা সম্পর্কে নানা ভয়ংকর গল্প প্রচলিত আছে ।
মোড় ঘুরে বাড়িটার সামনে এসে অজানা ভয়ে ঈশিতার শরীর হিম হয়ে যায় । দ্রুত পা চালায় সে । হটাৎ মনে হল পিছন থেকে কেও তার মুখের উপর কাপড় জাতীয় কিছু শক্ত করে চেপে ধরেছে । ঈশিতার শ্বাস যেন আটকে আসছে দুহাত দিয়ে দুটি লোমশ হাতের স্পর্শ পায় সে । কিন্তু কিছু বুঝে উঠার আগেই তার হাত দুটো স্খলিত হয়ে পড়ে ।
তার পরের কথা গুলো সে আর মনে করতে চায়না । ওরা সংখ্যায় চার পাঁচজন হবে । সবার মুখে কাপড় বাঁধা হয়ত পাড়ার পরিচিত তারই কোন ছোট বা বড় ভাই । কে বলবে এদের বয়সের ছেলেরা একদিন দেশ মাকে বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ করেছিল
ঈশিতা কিভাবে বাসায় এসেছিল মনে নেই । তাকে দেখে মা চিৎকার করে কেঁদেছিল হাজার প্রশ্ন করেছিল । আর তার শান্ত বাবা অশান্ত হয়ে ঘরময় পায়চারী করছিলেন আর অসহায়ের মত হাত উল্টিয়ে চোখ মুছেছিলেন ।
জানাজানি হওয়ার ভয়ে ঈশিতাকে ডাক্তারের কাছে নেওয়া হলনা । আমাদের সমাজের বড় দুর্ভাগা বাবামায়ের মেয়েরা রেপড হয় । ধর্ষকেরা মাথা উঁচু করে যখন ঘুরে বেড়ায় ধর্ষিতারা তখন মাথা নিচু করে নিজেদের মুখ লুকায় । তারা বারবার ধর্ষিত হয় । কখনো সমাজের চোখ দিয়ে , কখনো তার জিহ্বা দিয়ে। ঈশিতা তাই মৌন হয়ে যায় ভয়ঙ্কর ভাবে মৌন । তার কিছু বলার নেই কোন নালিশ নেই । শুধু নিজের কাছে প্রশ্ন করে , সে শুনেছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক সেনারা এ দেশের অনেক নারীর সম্ভ্রম নিয়েছিল । তখন সেসব নারীদেরকে বীরাঙ্গনা নাম দেওয়া হয়েছিল । পাক সেনারা তাদের শত্রু ছিল এরা তো নিজ দেশের আপন মানুষ , তাহলে পাকসেনাদের সাথে এদের পার্থক্য কোথায় ? এখন ঈশিতাকে কি নামে ডাকা হবে ? বীরাঙ্গনা নাকি অন্যকিছু ?
থেমে গেল একটা জীবনের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য ছকে ফেলা সকল কাজ । বই খুললে ঈশিতা সেখানে শুধু কালকাল পোকা দেখে । শরীর বেয়ে তারা উঠে আসতে চায় । ভয়ে বই বন্ধ করে ফেলে ।
মাস খানেকের মাথায় শরীর সতর্ক বানী পাঠালেও ঈশিতা কিছুই বুঝলনা । মা যখন মেয়ের অবস্থা বুঝতে পারলেন তখন সময় পার হয়ে গেছে । বাবামায়ের আতংকিত মুখ দেখে ঈশিতা বারবার ভেবেছে নিজেকে উঁচু ছাদ থেকে ফেলে দেবে , রেললাইনে মাথা রেখে শুয়ে থাকবে । কিন্তু পারেনি , কারণ ততদিনে পেটের মধ্যে বেড়ে উঠা শয়তানের বীজটার প্রতি তার মোহ জন্মে গেছে ।
বাবামা চিন্তায় পাগলের মত হয়ে গেলেন । কুমারী মা হয়ে এই সমাজে বেঁচে থাকা কঠিন । তার সাথে স্বামী নামক একটা সীলমোহর থাকা আবশ্যিক কিন্তু সবকিছু জেনেশুনে কে ঈশিতাকে গ্রহন করবে ? তারা ঠিক করলেন ঈশিতাকে দূরে কোন আত্মীয়ের বাড়ি পাঠিয়ে দেবেন । এমন সময় দেবদূতের মত হাজির হল নিয়াজ নামের সাধারন চেহারার অসাধারণ একজন মানুষ ।
নিয়াজ ঈশিতাদের বাসার কাছেই একটা মেস এ থাকে । ‘আশা’ নামক এনজিও তে ফিল্ড অফিসার । ঈশিতা তার চোখে যে মুগ্ধতা দেখেছিল সেটা অপার্থিব মনে হয়েছিল । ঈশিতার জীবনে ঘটে যাওয়া সব কিছু শুনেও যখন নিয়াজ বিয়ে করতে রাজী হয়েগেল তখন আনন্দে বাবার চোখে দ্বিতীয় বারের মত পানি এল ।
(৩)
‘কি গো পোটলার মায়ের আজ বুঝি মন খারাপ ?’
নিয়াজের কথায় ভাবনায় ছেদ পড়ে ঈশিতার চোখ মুছে সে খাটের উপর উঠে বসে ।
‘ওমা ,কখন এলে ? আজ এত তাড়াতাড়ি যে ?’
‘হটাৎ করে তোমার জন্য মনটা কেমন করছিল তাই ফাঁকি দিয়ে চলে এলাম ।’
‘আহা ! তাই বুঝি ? কিন্তু অফিস ফাঁকি দেওয়া তো মোটেই ভাল কথা নয় মশাই !’
‘আরে প্রেমের খাতিরে মানুষ সিংহাসন ত্যাগ করে আর আমি তো মাত্র একদিনের জন্য অফিস ত্যাগ করেছি ।’
‘আচ্ছা সে যাক তোমার মন খারাপ কেন বলত ? কতবার বলেছি এ সময় হাসিখুশি থাকতে । আমাদের ছেলেটা গোমড়া মুখো হোক তুমি কি সেটা চাও ।’
নিয়াজ কখনই কোন আচরণেই আজ পর্যন্ত বুঝতে দেয়নি যে এটা তার সন্তান না । মানুষ এত ভাল কেমনে হয় ? চোখের পানিতে আবারো ঈশিতার চোখ দুটো ভিজে ওঠে ।
‘আরে ! আরে ! এটা কি হচ্ছে পাগলী মেয়ে ? নিয়াজ ঈশিতাকে বুকের মধ্যে চেপে ধরে , আমি জানি মা হয়ত আবার তোমাকে কিছু বলেছেন । তুমি তো জান মায়ের বয়স হয়েছে তাছাড়া সারাজীবন গ্রামে কাটিয়েছেন । সরল সাদাসিদা মানুষ যা মনে আসে বলে ফেলে । তুমি মন খারাপ করোনা । ভেবে দেখেছ তোমার সাথে যে ঘটনা ঘটেছে আমাদের সমাজের কজন মানুষ সেটা সহজ ভাবে মেনে নেবে ।’
‘তাইতো , তুমি ফেরেশতা তাই মেনে নিয়েছ । অভিমানে ঈশিতার ঠোঁট কেঁপে ওঠে ।’
‘হাহাহা , এই যে মহারানীর রাগ হয়ে গেল । আচ্ছা বাদ দাও । ওঠ এখনো নিশ্চয় খাওনি , চল খাবে । আমি মাকে ডেকে আনছি ।’
আয়েশা বেগমের হাতে টিভি রিমোরট কন্ট্রোল চোখ টিভি স্ক্রিনে । সেখানে নাদুসনুদুস শাশুড়ি টাইপের এক মহিলা হাতমুখ নেড়ে নেড়ে সম্ভবত তার অনুপস্থিত বউ এর আয়ু বাড়িয়ে দিচ্ছে । নিয়াজ একটু মুচকি হেসে মাকে পিছন দিক থেকে জড়িয়ে ধরে আহ্লাদের সুরে বলে ,
‘কেমন আছ মা ?’
‘আইছস বাবা ?’ আবার কি মনে হতেই গলা থেকে নিয়াজের হাত সরিয়ে দেয় আয়েশা বেগম । মুখ ভারী করে ফেলে ,
‘বাবা, তুই আমারে দ্যাশে রাইখা আয় । এইহানে কেমুন জানি ফাপর ফাপর লাগে ।’
নিয়াজ জানে এটা মায়ের মনের কথা না । সে মায়ের হাতটা ধরে পাশে বসে , অনুযোগের সুরে বলে , ‘তুমিও যদি এমন কর কিভাবে হবে মা ? আমি জানি তোমার মনে কষ্ট আছে আর সেটাই স্বাভাবিক কিন্তু তুমি ঈশিতার কথা একবার ভেবে দেখ । ওর কি দোষ ? তুমি না আমার লক্ষ্মী মা ।’
‘হ , কইছে তরে , তোর বউ তো আমারে জল্লাদি হউরি ভাবে । পারলে ঘরথন বাইর কইরা দেয় ।’
‘হাহাহা ! কি যে বল মা ! ওর এত বড় সাহস ? আচ্ছা দাঁড়াও দেখছি । এখন চলতো খাবে ।’
(৪)
আজ সকাল থেকেই ঈশিতার শরীরের মধ্যে একধরণের অস্বস্তি চলছে । দুপুর না হতেই অস্বস্তিটা ক্রমেই সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে । কোমর থেকে অসহ্য একটা ব্যথা যেন শিরশির করে নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে । ইশিতার পা দুটো অসাড় হয়ে আসছে । ঈশিতা বহুকষ্টে শাশুড়ির ঘরের দরজায় দাঁড়ায় , অস্ফুট স্বরে ডাকে ,
‘মা !’
আয়েশা বেগম চমকে ঈশিতার দিকে তাকান । ঈশিতার পায়ের দিকে তাকিয়ে তার চোখ বিস্ফারিত হয়ে ওঠে তার মুখ সাদা কাগজের মত দুই পা বেয়ে লালচে পানি গড়িয়ে এসে মেঝে ভাসিয়ে দিচ্ছে । আয়েশা বেগম দৌড়ে এসে ঈশিতাকে ধরে ফেলে ।
‘ও বৌমা , কি হইছে ? হুত মা হুত । নিয়াজ রে ফোন করছ ? হায় আল্লাহ আমি অহন কি করতাম ? মাগো তোমার কোন ভয় নেই আমি আছি । আমারে শক্ত কইরা ধইরা থাক । আল্লাহ্রে ডাক ।
লাইলাহা ইল্লাহ আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজজোয়ালেমিন ।’ আয়েশা বেগম দ্রুত পড়তে থাকেন ।
ঈশিতার শ্বাস দ্রুত হয়ে আসে কপাল গলা দিয়ে দরদর করে ঘাম পড়ছে । চোখ দুটো নিস্তেজ হয়ে আসছে ঈশিতা শাশুড়ির দিকে তাকানোর চেষ্টা করে সেখানে আবছাভাবে মায়ের মুখ দেখতে পায় , তার কানে ভেসে আসে ,
‘মাগো সাহস হারাইও না আমি আছি আল্লায় আছে ।’
ঈশিতার মনে হল এই সহজ সরল মানুষটার মধ্যে যে তার মা বাস করত এতদিন তাকে সে কেন চিনতে পারল না ?
ঈশিতা সাহস হারায়না । তার তলপেট যেন ছিঁড়ে যাচ্ছে তবুও সে সাহস হারায়না । দাঁতে দাত চেপে ব্যথা সহ্য করে । হটাৎ যেন সে কোন গভীর খাঁদে নেমে যাচ্ছে । দূর থেকে ভেসে আসা একটি শিশুর আর্তনাদের সুর শুনতে পায় ঈশিতা সাথে এক মমতাময়ী বৃদ্ধার চিৎকার , মাগো আমার নাতি হইছে গো মা । একটু চাইয়া দেহ ...
ঈশিতা খাদের আরও গভীরে নেমে যেতে থাকে এখানে আর কান্নার শব্দ শোনা যায়না সেখানে শুধুই নিরাবতা । দুঃখী মেয়েটার দুচোখের আলো নিভে গিয়েছে কিন্তু ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠেছে । বিদ্রুপের সে হাসিতে সমাজের কাছে একটা প্রশ্ন , এখন তোমরা আমাকে কি নামে ডাকবে ? বীরাঙ্গনা মাতা ? নাকি অন্য কিছু ?
০৩ মার্চ - ২০১১
গল্প/কবিতা:
২০ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“ডিসেম্বর ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী