বাহিরে রিম ঝিম বৃষ্টি ঝরছে। আমি বসে আছি বারান্দায় রাখা আমার সেই মান্দাতার আমলের ইজি চেয়ারে। চেয়ারটি বারবার দুলছিল। তুমার কথা মনে পড়ছিল।
তখনই দেখলাম তোমার বান্ধবী মনিকে।
জানি আজ আমার নিস্তার নেই। কারণ ওই মেয়েটা যেদিনই আসে, সেদিনই কোন না কোন গল্প তৈরি করে নিয়ে আসে। ইচ্ছা না থাকলেও শুনতে হয়। তাকে আসতে দেখে মন খারাপ হয়ে গেল আমার।
অন্যমনস্ক আমি।
মনিই প্রথম বলা শুরু করল।
আচ্ছা নীল তুমিই বলো,- কেউ যদি আমার সাথে ভালোবাসা করতে আসে
আমি তাকে কি বলবো? তার কথামতো আমিও বাসবো?
আমার কি নিজস্ব কোন মতামত নেই?
অনিচ্ছা স্বত্তেও বললাম,থাকবেনা কেন?
আমি মনির দিকে তাকালাম। সুন্দর না বললে ভুল হবে। তবে শরীরের অবস্থা করুন।
বললাম, মনি ভালোবাসা মনের ব্যাপার। দুজনের মনের মিল না হলে, এক তরফা ভালোবাসা হয়না।
উদাহরণ সরূপ আমার দিকে ফলো করো। তোমার বান্ধবী আমাকে......
আমার কথা শুনে মনি বললো,- তাইতো দিয়েছি ছেলেটাকে আচ্ছামতো করে। আর কোনদিনও আমার সাথে আর ভালোবাসা করতে আসবেনা!
নীলাঞ্জনা ঠিকই বলে “পুরুষ মানুষ বজ্জাতের হাড্ডি” মেয়ে মানুষ দেখলে তাদের কোন হুস থাকেনা। শুধু পিছনে পিছনে ঘুর-ঘুর করে। একেবারে ছিড়ে খেতে চায়।
আচ্ছা তুমিই বলো, সাপ কি বিনা কারণে কাউকে কামড় দেয়? দেয়না!
কেউ তাকে ভয় দেখালেই কামড় দেয়।
মনির মুখে তোমার নাম শুনেই চমকে উঠি।
তুমি নাকি বলেছো, পুরুষদের একেবারেই সহ্য করতে পারনা। কারণ তারা বজ্জাতের হাড্ডি।
মনে পড়লো তোমার সেদিনের বলে যাওয়া কথা! যদি তোমার চাহিদা মেটাতে তবেই তুমি আমাকে ভালোবাসবে।
মনিকে বললাম, পুরুষকে বজ্জাত বললে কেন?
মনি- আমি বলিনি।
আমি বললাম- তবে কে বলেছে?
মনি-আপনার ইয়ে.....
তাছাড়া সে তো আর আপনাকে বলেনি!
তবে কাকে বলেছে?
মনি- সেই সব পুরুষদের। যারা ভালবাসার নামে দিনে ১০ টা মেয়ে বদল করে ভাব করে!
আমি বললা,- আমি কি তাদের দলে পড়ি!
মনি-দাদা, কাকা, মামারা এসব দলে পড়েন না।
এই কথা শুনে আমি আরো বেশি অবাক হলাম। কি বলছে মেয়েটা? মাথা কি ঠিক আছে। তার এই কথার মানে কি দাড়ায়?
মনি- সত্যি কথা বলতে কি জানেন, বিষধর সাপকেও বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু কোন পুরুষকে এতো সহজে না!
মনির মুখ থেকে শুনলাম, তুমার কাছে পুরুষরা নাকি সাপের চেয়েও ভয়ংকর।
মনির কথায় রহস্যের গন্ধ পেলাম। বার বার তোমার দোহাই দিয়ে সে আসলে আমাকে কি বোঝাতে চাইছে?
তার কথা হলো কেউ ভালোবাসলো বলে তাকে তারও কি বাসতে হবে? তার কি কোন পছন্দ-অপছন্দ নেই? কেউ তাকে ভালোবাসলো, তারও কি তাকে ভালোবাসতে হবে?
আমি বললাম,- অবশ্যই না।
তোমার কথা মনে পড়লো। বলেছিলে,-“ভালো তাকেই বাসতে হয়,- যে আমাকে বাসে”
তোমার এ কথা যদি সত্যি হয়, তোমার উচিত আমাকে বাসা। কারণ তুমাকে আমি বাসি।
মনকে প্রশ্ন করি। কোন উত্তর পাইনা। বার বার স্মৃতি উত্তর খুজার চেষ্টা করি ভালবাসা কি, ভালবাসার মানে কি?
কেউ আমাকে একদিন বলেছিল ভালোবাসা হলো: একই হৃদয়ের অনুভূতি। একটিতে কম্পন হলে, অন্যটিতেও হতে হয়’।
মনি কখন চলে গেছে টেরও পাইনি।
অলস মাথায় ইজি চেয়ারটি বসে সে মনির বলে যাওয়া কথাই চিন্তা করছিলাম।
২
সেদিন রাতে ঘরে বিদ্যুৎ ছিল না। চারপাশে ঘুটঘুটে আধার। অন্ধকারে ‘খারাপ লাগার যত মূহূর্ত রয়েছে সেগুলো ভাবতে ভাবতে মনটা খারাপে ভরে উঠছিল। মাথাটা ঝিন ঝিন করছিল।
সবেমাত্র কোল্ড ড্রিংক্সের বোতলে একটা চুমুক দিয়েছিলাম। আর এমন সময়ই সে হুমড়ি খেয়ে পড়ল আমার উপর? ইজি চেয়ারটা থেকে পড়ে গেলাম আমি। গলাটা দুহাতে জড়িয়ে ও আমাকে বলল-তুমি খুশী হয়েছ? পড়ে গিয়ে চোখে কিছুটা নেশা চলে এল। নেশার ঘোরে ঝাপসা দেখছিলাম। উঠার চেষ্টা করতেই কানে ভেসে এল...
বন্ধুর জন্য বন্ধু এইটুকু করবে না তো, কে কার জন্য করবে বল?
জোর করছিলাম। নিজ থেকে উঠার শক্তি ছিল না একেবারেই।
আবেগ চলে এল মনে। তাকে বললাম-এই জন্যই তো তুমি সবার থেকে আলাদা। ততক্ষণে উঠে দাড়িয়েছি আমি।
ও আমাকে দেখছে। আকাঙ্খার ইশারা। আমার মুখের হাসি নেই। অর্থ বুঝে নিতে অসুবিধা হল না ওর। আমি ওর কামনার ধন।
কিন্তু সে আমার কামনার ধন নয়।
যুগে যুগে এইসব কাজে ইন্ধন জুগিয়ে এসেছে নারীরা। স্বেচ্ছায় তার মূল্যবান বস্তুটি তুলে দিয়েছে তার প্রেমিকের হাতে .. আমি চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ালাম। ও আমাকে দেখছে। আকাঙ্খার ইশারা।
আমার মুখের হাসি নেই। ওর মুখে হাসি। অর্থ বুঝে নিতে অসুবিধা হল না আমার।
যুগে যুগে এইসব কাজে ইন্ধন জুগিয়ে এসেছে নারীরা। স্বেচ্ছায় তার মূল্যবান বস্তুটি তুলে দিয়েছে তার প্রেমিকের হাতে। আমি তাকে পাত্তাই দিলাম না!.....
সমর্পন করলাম না আমি নিজেকে।
এমন সময় বিদ্যুৎ চলে এল। বিদ্যুতের আলোয় তাকে দেখলাম। দেখে চমকে উঠলাম।
সে কি নিপা। এত রাতে সে এখানে কেন? কালই না তার স্বামী তাকে নিতে আসছে!
আমার স্বামীটা না, পৃথিবীর সব স্বামীর চেয়ে আলাদা। তুমার মতন নয়।
ও হাঁসছিল। আজকালকার স্বামীরা সব পাখনা মেলে উড়ে বেড়াতে চায়।
কিন্তু তুমি....
আমিও গোমরা মুখে দাড়িয়ে রইলাম।
আমার প্রশংসা এর অন্যের মুখে।
বললাম-কেন তোমার নিজের স্বামী কি খারাপ?
ছবিতে তো দেখলাম, মুখটা কি সুন্দর। মিষ্টি। দেখলে যে কারোর মায়া পড়ে যাবে। সেইতো প্রকৃত স্বামী।
ঠিক বলেছ। একদম ঠিক। তবে...
তবে কি?
ও আমার স্বামী। ও আমাকে ভালবাসে। কাছে থাকি না বলে রোজ ফোন করে। চাকুরীর কারণে দুর থাকে বলে একা একাই কষ্ট পায়। বুকের ভেতর অজানা কষ্ট লুকিয়ে রাখে।
কিন্তু আমি....
আমি কি?
নিপা- আচ্ছা তুমিই বল, দাম্পত্য জীবনে ভালবাসাই কি সব? আর কিছু থাকতে পারে না!
নতুন বিয়ে করেছে, স্বামীকে কাছে পায় না এটা কি ঠিক?
আমি হলে তো মরেই যেতাম বউকে কাছে না পেলে।
যাকে মন দিয়েছি, শরীর দিয়েছি, ভালবাসা দিয়েছি। তাকে ছাড়া আমি কি বাঁচতাম? চিন্তাই করতে পারি না।
প্রথম যেদিন নিপাও তার স্বামীর সাথে আমার দেখা হয়েছিল। ওরা আমাকে মুগ্ধ চোখে দেখছিল।
তাদের চোখে দেখেছিলাম সেদিন একে অন্যকে ছেড়ে না যাওয়ার প্রতিশ্রুতি। অথচ নিপা এত রাতে আমার এখানে কেন?
ভালোবাসা শব্দটার এমনই মায়াজাল। যে বিশ্বাসে পতি পত্নী একই বন্ধনে আবদ্ধ থাকে চিরকাল। কিন্তু বিশ্বাস না থাকলে তা এক নিমিষেই পন্ড হয়ে যায়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিশ্বাস অটুট থাকলে পৃথিবীর কোন শক্তি নেই যে দুজনকে আলাদা করবে। ভালবাসার এমনই গুন।
ও আমাকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করছিল। এবার তাকে ধমক দিলাম। কি করছ তুমি! বললাম তুমি আর কোনদিন এখানে আসবে না। চলে যাও।
প্রার্থনা করি তোমাদের বিবাহিত জীবন আরো সুখময় হোক। তবে আফসোস, তোমার জন্য তোমার স্বামীকে একদিন কষ্ট পেতে হবে, আফসোস করতে হবে!
কাল থেকেই তো কাছে পাচ্ছ স্বামীকে। আর চিন্তা কি?
আমি রোমের দরজায় গিয়ে খিল দিলাম। একটু পরে বেরিয়ে গেল ও।
৩
মেয়েরা যে শুধু সেক্সের জন্যই বিয়ে করে খুশি হয়, তা নিপা চলে যাওয়ার বুঝলাম।
শুধুই কি মেয়েরা! ছেলেরাও সেক্সের জন্যেই প্রেম করে এবং বিয়ে করে।
তুমি নীলাঞ্জনা তাই আমাকে যাবার বেলা বলেছিলে একটি মেয়ের কাছ থেকে ছেলেরা প্রথমই কি চায়? আমি সেদিন কোন উত্তর দিতে পারিনি।
নীলাঞ্জনা একটা কথা তুমি অবশ্য ঠিক বলেছিলে, বিয়ে করলেই তো সবাই অবাধে সেক্স করতে পারে।
আমি সেদিন বোকার মত তোমাকে বলেছিলাম একথা ঠিক নয়। যদি তাই হত তাহলে কারো সংসার ভাল টিকে আর কারো সংসার ভাল টিকে না কেন?
যাদের সংসার ভাল টিকে না তাদের স্বামী বা বউ কি ভাল সেক্স করতে পারে না ? এটা নিশ্চয় ঠিক নয়। তাহলে কি তাদের মধ্যে ভাল সম্পর্ক থাকে না। কেন থাকে না?
হয়ত তারা একজন যা চায়,অন্যজন তা দিতে পারে না। হয়ত বউ চায় একটু গল্প করতে, একটু ঘুরতে, একটু সময় কাটাতে, কিন্তু তার স্বামী হয়ত তা করতে পারে না সময়ের অভাবে। অফিস থেকে এসেই ঘুমিয়ে পরে। রাতে খেয়ে দেয়েই আবার ঘুম, সকালে আবার অফিস এবং এভাবেই তাদের দিন যে কিভাবে চলে যায় তারা নিজেও জানে না। এভাবে অনেক দিন চলতে চলতে তারা হঠাৎ একদিন আবিস্কার করে যে ২০ বছর সময় পার হয়ে গেছে সেই কবে। তখন সে তার বউকে হয়ত আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায় কিন্তু তখন আর সময় থাকে না। কারন বউ তখন সংসারের কর্মব্যস্ততার ফাঁকে কখন যে তার যৌবন আর তারুণ্যের সময় পার করে এসেছে তা সেও জানে না। তারপর আর তাদের আর কখনও বনিবনা হয় না। এর জন্যে যা করার শুরুতেই করা উচিৎ ছিল।
আর একটা জিনিস মেয়েরা চায়, তা হল, সংসারের সচ্ছলতা।
কথায় আছে, অভাব যখন দরজা দিয়ে আসে, ভালবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়।
তবে নীলাঞ্জনা তোমাকে আমি আশ্বাস দিতে পারি যে, আমার দিক থেকে তোমার কোন সমস্যা হবে না। তুমি চলে যাবার পর একবার ভেবেছিলাম তোমাকে ব্ল্যাকমেইল করব। কিন্তু কিভাবেই করব? কোন স্মৃতি চিহ্নইতো রেখে যাওনি। যেই তারপরও সেদিন রাতে তোমার খোজে তোমাদের বাসায় গিয়েছিলাম।
কিন্তু তুমি...
যাইহোক পরক্ষনেই আবার তোমাকে ব্ল্যাকমেইল করার চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিলাম। কারন জোর করে একবার, দুইবার যৌবনে তৃপ্তি অনুভব করা যায় কিন্তু প্রকৃত ভালবাসা পাওয়া যায় না।
তুমি কোনদিনও বুঝবেনা, আমার ভালবাসা কতখানি প্রেম ছিল। আর তুমি আমার সরল প্রেমের সুযোগে....
আজকাল কেবল তুমার কথাই মনে আসে। মনে পড়ে যাবার বেলা বলে যাওয়া কথাগুলো। আমি হয়তো তুমাকে স্পষ্ট করে বলতে পারব না কতটুকু ভালবাসি।
কিন্তু তুমিইতো আমাকে বলেছিলে মনে রাখতে, মেয়েরা যাকে ভালবাসে তার কাছ থেকেই সন্তান নিতে চায়।
তুমি যা চেয়েছিলে, আমি তোমাকে তা দিতে পারেনি। কেন পারেনি? সেটা যে কেউ বুঝতে পারবে?
ভালবাসা এক জিনিস আর সন্তান দেয়া এক জিনিস। এই ছোট কথাটি তোমাকে বুঝাতে পারেনি বলেই হয়তো তুমি....
বরং তুমি এখন যেমন করছ, এটা আর কয়েকদিন পর অন্য কোন ছেলে তোমার জীবনে আসলে হয়ত তুমি ভূলে যাবে। মেয়েরা এক ছেলেতে সন্তুস্ট হতে পারে না। তারা সবসময় নতুন মানুষ নতুন দেহ খোজে বেড়ায়, তা আমি জানি!
নীলাঞ্জনা তোমার জন্য কষ্ট হয় আমার, আবার মাঝে মাঝে ঘিন্নাও করে। আমাকে নিয়ে আমার সর্ম্পকে তুমি তাহলে ওইসবই ভাবতে। শুধু তোমাকে ভালবাসতাম তাই.. তোমার বান্ধবী বলে, আগে জানলে আমি তার সাথে দেখাই করতে যেতাম না!
৪
বছরখানেক তোমার একটা চিঠি পেয়েছিলাম,তুমি লিখেছিলে- আমি নাকি হিজড়া টাইপের ছেলে। যা তুমি পছন্দ করতে না!
আমার ভালবাসা নাকি ভালবাসা নয়। আমার কাছে যেটা ভালবাসা তোমার কাছে সেটা শুধুই শারিরীক চাহিদা”
আমি জানতাম কেবল তোমার বান্ধবী মনিই কেবল মিথ্যা বলতে পারে!
আমি সেদিন তোমার চিঠির কোন উত্তর দেইনি!
আমি বলতে পারলাম না যে তোমাকে আমি দুই দিন আগেও ভালবাসতাম। এখনও বাসি। সারাজীবন বাসব।
আমি তোমাকে ভালবাসি না? আমি তোমাকে যে মন থেকে চাইনা, আমার বিরুদ্ধে আনার তোমার অভিযোগ মিথ্যা?
নীলাঞ্জনা তুমি বুঝবে না, কোনদিনও পারবে না।
এখন তোমার মাঝে যা আছে তা শুধু আবেগ আর মোহ,এটা যদি ভালবাসা হত তাহলে আমি সবচেয়ে খুশি হতাম।
ভালবাসা কাকে বলে?- ভালবাসাকে কখনো শারিরীক সম্পর্কের সাথে তুলনা করলে তুমি সত্যিকারের ভালবাসা কি বুঝতে পারবে না?
একটা মানুষকে যখন তুমি ভালবাস তখন তার চেহারা, ফিগার বা ধন-দৌলত তোমার কাছে অর্থহীন মনে হবে। সবসময় সে কিসে খুশি হয় সেটা তোমার মাথায় ঘুরবে। নিজে কস্ট করে হলেও তাকে একটু সুখ দেওয়ার চেস্টা করবে। তুমি যদি কিছু কর তার ভাল লাগার জন্যে করবে, নিজের জন্যে নয়। তার ভাললাগাকে প্রাধান্য দিবে আগে। সেই ব্যক্তি তোমার কাছে মুখ্য হবে, তুমি নিজে নও। তবে আমি আপ্রাণ চেস্টা করে যাব নীলাঞ্জনার কাছ থেকে সত্যিকারের ভালবাসা পাওয়ার জন্যে। অন্য কোন মেয়ের কাছ থেকে নয়!
তোমাকে বলি, শোন!
ভালবাসা কখনও শারিরীক সর্ম্পকে হয় না। কিংবা ভালবাসাকে প্রমান করা যায়না।