মনের মতো বন্ধু

বন্ধু - তুই না থাকলে জীবনটা এমন হত (আগষ্ট ২০১৬)

Firose Hossen Fien
  • ৮৮
মনের মতো বন্ধু পাওয়া আসলেই অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। আমার বেলাই এই একই কথা । পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় আমার বন্ধু ছেলে মেয়ে সবাই ছিল। তারপর যখন হাইস্কুলে ভর্তি হলাম তখন মনের মতো বন্ধুর খোঁজ করলাম। কিন্তু এতো সহজে কারো দেখা পেলাম না। কি করি। এভাবে একা একা থাকলাম। বেষ্ট বন্ধু ছাড়া।
আসলে আমি ছোট বেলা থেকে ধূমপান কে অনেক ঘৃণা করতাম। কিন্তু কোন ছেলে যখন ধূমপান করতো আমি তাকে বন্ধু হিসাবে মেনে নিতে পারতাম না। আর আমার কøাসের সব ছেলেরাই প্রায় ধূমপান করতো। কি আর করা এভাবেই আমার স্বাভাবিক জীবন চলতে লাগলো।
এক পর্যায়ে আমার হাইস্কুলের জীবন শেষ হলো। ভর্তি হলাম কলেজে।
হাইস্কুল থেকে আমি স্কাউটিং করতাম সেই সুবাধে আমি কলেজে উঠে রোভার স্কাউটিং করা শুরু করে দিলাম। পরলেখার পাশাপাশি কিছু সময় আনন্দে কাটানোর জন্য এসব করা। বিভিন্ন দিবসে নানা রকম প্রোগ্রাম এর আয়োজন করতে হতো। এভাবে দুটি বছর পার হলো।

কিন্তু আমার সেই ভালো বন্ধু পাওয়া হলো না আজও। মনের মতো মন পাওয়া বরো দায়। সে বলে তো আর জীবন থেমে থাকে না। এভাবে চলতে চলতে হঠাৎ সাধন আর পলাশ নামে আমার দুজন শিল্পী ও কবি বন্ধুর দেখা পাই। কিন্তু মনের মতো হয়তো হয়নি তারা। তারণ কি জানেন তারা প্রচন্ড ধূমপান করতো। আর আমার সেটা খুব খারাপ লাগতো। কতবার ও তাদেরকে বুঝিয়েছি। কে শোনে কার কথা। যারা ধূমপান কওে তাদের কাছে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে বিবেচিত।

যাই হোকে হাসি কান্নায় আমরা একে অপরের পাশে আসতাম। নানা রকমের সাহিত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতাম। পত্রিকা বের করতাম। আরো অনেক ভালো কাজে যুক্ত হলাম। এভাবে দিন যেতে লাগলো ভালোই। সাধণ নামের বন্ধুটি ময়মনসিংহ ‘কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলো। আমি অনেক হ্যাপি হলাম কারণ আমার কোন বন্ধু ভালো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলো ।

পলাশ দাদা আমার চেয়ে বড়। সনাতন ধর্মের অধিকারী। মাটি দিয়ে সে অনেক সুন্দর সুন্দর ভাস্কর্য বানাতে পারতো। সাধন ছবি আঁকত ভালো।

বড়ো দুঃখের বিষয় আজ এই দুজন বন্ধু আমার তাদের অবস্থান ভালো মতো ধওে রাখতে পারে নি। ত্রিশালের সেই বন্ধু অর্ধপাগল হয়ে তার গ্রামের বাড়ি জামতলিতে অবস্থান করছে। আর অন্য জন সারাদিন পাগলের মতো মাটি দিয়ে ভাস্কর্য বানিয়ে গ্রামের রাস্তার পাশে প্রদর্শন করে।

কিন্তু এটাই কি তাদের সবোর্চ্চ প্রাপ্তি। কেনো এমন হলো তাদের জীবন।
গ্রামে গেলে ছুটে যাই তাদের দেখতে। ভালো লাগে না তাদের এই অবস্থানে। কত আশা স্বপ্ন ছিলো তারা অনেক বরো হবে। দেশের নাম বিদেশে ছড়াবে। কিন্তু আজ তারা পরিবারের অভিশাপ হয়ে বাড়ি বাড়ি বসে আছে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন

২১ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪