এ কেমন প্রেম

এ কেমন প্রেম (আগষ্ট ২০১৬)

Firose Hossen Fien
  • 0
  • ৭৮
সূর্য যেমন নিয়ম করে পূর্ব আকাশে উঠতো। ঠিক তেমনি আমিও নিয়োম করে যেতাম সেই রাস্তার ধাওে, শুধু একটি আশায় এক নজর বিন্দু কে দেখার জন্য। কিন্তু কোন লাভ নেই আমার এ দেখা শুধু চোখের দেখা। বিন্দু মোটেও আমাকে লাভ করতো না। কারণ আমাকে লাভ করার জন্য কোন যোগ্যতা ছিলো না আমার। তবুও কেন যে আমি তার পিছু পিছু আমার মূল্যবান সময় নষ্ট করি তার আজও কোন সঠিক উত্তর পেলাম না। এর চেয়ে যদি আমি কোন কাজে মন দিলাম তাহলে অনেক ভালো হতো। জীবনের প্রতিটি কাজ যদি আমি হিসাব কওে করতাম। সুন্দরতর হতো আমাদের জীবন। বাঙালীর মতো বাঙালী আমরা আজও হতে পারলাম না। শুধু কথার জোর আমাদের ঠিকই আছে কাজের কাজ আমরা তেমন করি না। যা করার ১৯৫২ আর ১৯৭১ সালে করেছি।

যা হোক এভাবে এই রাস্তায় আসা আমার এক নেশায় পরিণত হয়ে গেল। সপ্তম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় স্যারের সাথে রাগ করে লেখাপড়ার ইতি টানলাম। তারপর দিনমজুর বাবার ঘরে বসে বসে খাওয়া। কাজে মন নেই পড়াশুনায় মন নেই। আমি নিজেও জানি না আমাকে দিয়ে কি হবে। কি আমার ভবিষ্যৎ। সারাদিন মেয়েদের পিছনে শুধু বাদরামি করে বেড়াই।


এ এক ভয়ংকর জঙ্গী কথা বলছিলাম আমি। যারা টাকার বিনিময়ে সব রকমের কাজ করতে পারে অতি সহজে। এসব কাজে তাদের জীবন বাজী রাখে।
কিছুদিন বিলাস বহুল জীবন-যাপন করে তারপর এরা মাঠে নামে।

স্কুল কলেজের মেয়েদের রাস্তাঘাটে নানা রকমের কথা বলার কারণে একদিন হঠাৎ রাসেলকে নির্বাহী অফিসার তাকে ইভটিজিং করার দায়ে ধনে নিয়ে যায়। তারপর তিন মাসের জেল। জেল থেকে বের হয়ে গ্রামে বেশি দিন থাকতে পারে নি রাসেল। ঢাকা চলে আসে। তারপর কোন এক বন্ধুর মাধ্যমে সে যোগ দেয় দেশের অন্যায় কাজে লিপ্ত হওয়ার সংগঠনের সাথে।

এক বছর হবার পর সে একবার গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলো। সবাই তো অবাক। এ কোন রাসেল এটি। চেহারা, পোশাক-আশাক সব আলাদা। যে বিন্দুকে দেখার জন্য রাসেল রাস্তায় ঘুরতো। তাকে বিয়ে করার পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে সে।

কিন্তু বিন্দু রাসেলকে মোটেও পছন্দ করে না। সে কেবল মাত্র নবম শ্রেণিতে পরছে। রাসেলের বর্তমান অবস্থা দেখে বিন্দুর মা-বাবা দুজন রাজি তার সাথে তাদের মেয়ের বিয়ের দিতে। দিন ঠিক হয়ে যায় আগামি শনিবার। হঠাৎ এ রকম একটা কঠিন সিধান্ত নিবে বিন্দুর বাবা-মা বিন্দু তা জানতো না।

আজ বুধবার বাংলাদেশ টেলিভিশনের রাত আটটার খবর দেখতে গ্রামের কিছু কিছু মানুষ চায়ের দোকানে বসে। হঠাৎ কিছু সন্ত্রাসীর ছবি দিয়ে একটি খবর বলা হচ্ছে।

ছবির একটি ছবি গ্রামের মানুষ চিনতে পেলো। আর সে হচ্ছে রাসেল। সবাই তো অবাক। চায়ের আসরে বসে ছিল গ্রামের হাইস্কুলের শিক্ষক সে সকলকে বললো বিষয়টি যেন কানাকানি না হয়। আমি এর ব্যবস্থা করছি। থানায় খবর দেওয়া হলো। বিয়ের দিন দুপুরে পুলিশ রাসেলের বাড়ির চারিদিকে ঘিরে তাদে গ্রেফতার করলো । বাল্য বিবাহ ও একটি সন্ত্রাসী ছেলের হাত থেকে মুক্তি পেল বিন্দু।
গ্রামের হাইস্কুলের শিক্ষক সবাইকে বলল। সবাই সাবধান ছেলে মেয়েদের কে ভালোভাবে মানুষ করুন। তাদের লেখাপরা করার। তানা হলে রাসেলের মতো জীবন-যাপন করতে হবে অনেককে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
পন্ডিত মাহী আরো অনেক চর্চা করতে হবে। শুভ কামনা রইল।
আহা রুবন লিখতে থাকুন আর সামনে যাই পান পড়তে থাকুন। শুভ কামনা রইল।
শামীম খান আপনার লেখা প্রথম বারের মত পড়ছি । এটা চেষ্টা করার বয়স । চেষ্টা চলুক , আমার শুভ কামনা রইবে ।
ফেরদৌস আলম ভালো লিখেছেন।

২১ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“জানুয়ারী ২০২৬” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৬ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী