ভোরে ঘুম থেকে উঠে কাজের খোঁজে যেতে হয় সাধারণ মানুষ তথা শ্রমিককে। এক দিন কাজে না গেলে পরের দিন অনাহারে থাকতে হয় এসব লোকের। অভাবের মধ্যে দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করে এসব লোক। বড় বড় দালান কোটা তৈরী করে দেয় এসব সাধারণ লোক। এতো কষ্টের পরও তাদের সুখ বিরাজ করে না তাদের ঘরে। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করার জন্য তাদের অর্থের অভাব হয় প্রতিনিয়ত। যদিও প্রতিটি বাবা মা চায় তাদের সন্তান কে ভালোভাবে মানুষ করতে। কিন্তু সাধারণ শ্রমিকের এই কাজ শুধু স্বপ্ন হয়ে থাকে। অর্থের অভাবে তাদের ছেলে-মেয়ে লেখাপড়ার শেষ করতে পারে না। এ ছাড়াও প্রতিদিনের খাবার, দৈনন্দিন খরচ এসব কিছু তাদের ভাবায় প্রতিনিয়ত। বিশ্বের প্রতিটি দেশে একটি দিনে আট ঘন্টা কাজের নিয়ম থাকলেও আমাদের দেশে এই নিয়ম এখনো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় নি। এই দেশে সাধারণ শ্রমিক বা লোকের কথা কর্তা ব্যাক্তিরা ভাবে না। শুধু ভোটের সময় ভোট প্রার্থনা করে। নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেড়াই। নির্বাচনে জয়লাভ করার পর সবাই সাধারণ লোক বা শ্রমিকের কথা ভুলে যায়। আমাদের দেশে জনপ্রতিনিধিরা শুধু কথা বলে, কাজের বেলাই কারো খরব নেই। বছরে একটি মাত্র দিন শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। সেখানে নেতারা বলে আমরা শ্রমিকদের পাশে থাকবো কিন্তু পরে দেখা যায়, শুধু সে দিনের জন্য সে কথাটি বলে। বাকি দিন কোন খোজ খরব নেইনা এসব নেতা ব্যাক্তিরা। ছোট বেলার করিতার কথা মনে পড়ে বারবার “আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।” দেশে কাজ করার লোকের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকজন। মৌখিক ঘোষনা সবাই দিতে পারে। দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা এসব সাধারণ লোকের কথা কথনো কি ভাবার সময় পায় না। যাদের ভোট নিয়ে তারা আজ দেশের তথা রাষ্ট্রের প্রধান ব্যাক্তি হিসাবে পরিগণিত হয়েছে আজ তারা সাধারণ তথা শ্রমিক শ্রেণির কথা ভুলে গেছে। আমাদের দেশ তথা বিশ্বের সব বড় বড় অট্রালিকা যাদের হাতে তৈরী তারাই মাঝে মাঝে মাথা গোজার ঠাঁই পায় না। কাউকে আবার অনাহারে দিন যাপন করতে হয়।
সরকার চাইলেই দক্ষ শ্রমিক তৈরী করে বিদেশে তাদের জন্য কাজের সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু কে নেই কার খোজ।
যারা আজ সাধারণ শ্রমিক তথা জনগনের দ্বারা নেতা নির্বাচিত হয়। তারা নিজেকে অনেক বড় ভাবে। তাদেও সাধারণ জ্ঞান টুকু নেই। তারা কি জানে না ‘নিজে যারে বড় বলে বড় সে নয় লোকে যারে বড় বলে বড় সে হয়।’ আমাদের প্রিয় নবীর সেই কথাটি মনে পরে বারবার “শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আাগে তার শ্রমের মূল্য দিয়ে দাও।” আসুন আমরা শ্রমিক শ্রেণিদের জন্য কাজ করি। তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করি। মনে রাখতে হবে পৃথিবীতে সকল শ্রমের মূল্য আছে, কোন পেশাকে ছোট করে দেখা উচিৎ না। লেখকের স্বার্থকতা সেখানেই, কেউ যদি তার লেখা থেকে কোন শিক্ষা নেয় এবং তা তার বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ফেরদৌস আলম
এটি আসলে প্রবন্ধ হিসেবে চমৎকার হয়েছে! শুভ কামনা রইলো।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।