১৯৯২ সালে জন্ম নেয়া একটি শিশু। আজ ২৩ বছর পেরিয়ে চলছে তার ভবিষ্যৎ কে উজ্জল করার জন্য। সে জানেনা তার জীবন কেমন যাবে সারাজীবন। ছোট বেলা থেকেই অন্যের দোকানে, কারো বা বাড়িতে, কখনও কয়েকটি ছাত্র কে প্রায়ভেট পড়িয়ে, আবার কোন দীর্ঘ সময় গ্রামের কোন কিন্ডারগার্টের স্কুলে ১০০০ টাকা মাসের বিনিময়ে কাজ করে করে আজ এই ২৩ বছরে পর্দাপন। তবুও আজ সে জানে না সামনে তার জন্য আর কত জীবন যুদ্ধ অপেক্ষা করছে। ছোট পরিবারে জন্য তার। এক ভাই বোনের সংসার। বাবা দিনমজুর। দু-দিনের টাকা থাকলে দুদিন বসে থাকা তার স্বভাব। মা অন্যের বাড়িতে রান্না করে কিছু টাকা এনে সংসারে সাহায্য করে। তবুও হাজার ও অভাব সংসারে। ছোট একটি বোন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে। মাঝে মাঝে মনে হয় কেন এতো লেখাপরা করলাম আমরা দুই ভাই বোন। কি লাভ, যে দেশে মেধাবীদের কোন মূল্যায়ন হয় না, সেই দেশে ভালো শিক্ষা দিয়ে কি হবে। মানবতা দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে সকলের মাঝ থেকে। ছোটরা বড়দের সন্মান করে না, বড়রা ছোটদেরকে স্নেহ করে না। শিক্ষকের সামনে যে দেশে ছাত্ররা হাতে সিগারেট, অস্ত্র নিয়ে যাওয়া আসা করে ।
সোনার বাংলা করবে কারা। যাদের অঢেল টাকা আছে তারা। সোনার বাংলা করতে বুঝি অঢেল টাকা লাগে! না,না, না সোনার বাংলা টাকা দিয়ে কোনদিনে হবে না। মানুষের মাঝে যখন মানবতা বিকশিত হবে, মেধাবীরা যখন তাদের মেধার দাম পাবে তখন দেশ সোনার দেশে পরিনত হবে। যে বিদ্যালয়ে টাকার বিনিময়ে অদক্ষ একজন শিক্ষক চাকুরী লাভ করে, সে শিক্ষক কি শিক্ষায় প্রদান করবে তার ছাত্রকে।
সে পরিবারের সন্তান খেয়ে না খেয়ে, অন্যের ছেলে মেয়েকে পড়ায়ে নিজের পড়াশুনা চালিয়ে যায়, ভালো একটা ডিগ্রী নিয়ে সে কি করবে। এই প্রশ্নের জবাব দিবে কে? হে মানব তোমরা জেগে ওঠো অন্যায়ের বিরুদ্ধে?
আজ দেশ কোথায়? যাচ্ছে কোথায়? আমাদের কি করণীয়? কি করছি আমরা ?
আইন সকালের জন্য সমান। কোথায় এর বাস্তবতা। আজ টাকা যার আইন তার। পাশের দেশ থেকে আমরা কিছু শিক্ষা নিতে পারি না। চুরি ডাকাতি ছিনতাই দিন দিন বেড়ে চলছেই। কি ভাবছেন কেন বাড়ছে। গরীব পরিবারের ছেলেরা যখন চাকুরী না পেয়ে হতাশায় পরে তখন তাদের কি করার থাকে। চাকুরী সে তো টাকার গোলাম। টাকা আছে যার চাকুরী তার। দুঃখ ভরা জীবন দুঃখ ভরা সময় শুধু কি তাহলে আজ গরীবদের একাই বহন করতে হবে। দুঃখের কথা বলে কি লাভ বলেন এর সমাধার কে দিবে। যে ছেলের মা রাতদিন কষ্ট করে কিছু টাকা এনে পরিবারকে উন্নত করতে চায়। সেই একই পরিবারে আবার বাবা আলসেমি করে বিড়ি খেয়ে দিন যাপন করে। ছোট পরিবারে সে দুবেলা খাবার জোগাতে পারে না। খাবার খেতে হয় প্রতিদিন কোন না কোন কথা শুনে শুনে। হায়রে কপাল সারা জীবন দুঃখ নিয়ে কাটালি তোর জীবন। সুখের দেখা পাইলি না। কেউ কি বলতে পারেন মা জাতিরা এতো মহৎ হয় কেন। তাদের জন্যই এই পৃথিবী টিকে আছে।
অনেক আশা ছিল মায়ের জন্য কিছু করবো যে মা আমাকে এতো কষ্ট করে মানুষ করলো।
কিন্তু আমাদের মতো গরীবরা কি এই আশা পূরণ করতে পারবে। কিভাবে পারবে বলতে পারেন। আশা কি সারাজীবন মরিচিকা হয়েই থাকবে।
অভিমান করে আজ মায়ের ছেলে বাড়িতে নেই । সে কাজের সন্ধানে আজ রাজধানী শহরে। ভালো কোন কাজ পেলেই সে বাড়ি ফিরবে মায়ের জন্য সুখ নিয়ে। আজ দুমাস হলো সে তার পরিবারের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ রাখে না। বাড়িতে বেকার থেকে থেকে সে আজ কান্ত। একটা পরিবারে বেকার হয়ে থাকলে পরিবার তার সাথে যে কি ধরনের ব্যবহার করে তা একমাত্র বেকার ছেলেরাই জানে। মেধা আছে সে বেকার ছেলে কিন্তু সে মেধার কোন প্রকার দাম নেই এই সমাজের কাছে। মাঝে মাঝে সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে চায়। শুধু তার মায়ের কথা মনে পরলে সে আজ সে কাজ করে না। তার অনেক বড় আশা। একদিন সে ভালো অবস্থানে গিয়ে তার মাকে সে সুখী রাখতে পারবে। তার মাকে আর কোন বাড়িতে কাজ করতে হবে না। তার ছোট বোনের বিয়ে দিতে পারবে ভালো করে। কথা গুলো মনে বলে আর চোখ দিয়ে জল গরিয়ে পরে। কি করার আছে?
গরীবের দুঃখ স্থায়ী? একবার এলে আর যেতে চায়না অন্যের বাড়ী।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোজাম্মেল কবির
বাক্য গঠন এবং শব্দ প্রয়োগে সতর্কতা দক্ষতা প্রয়োজন। গল্প বলার স্টাইল রপ্ত করতে হবে। আরো কিছু বিষয় আছে লেগে থাকলে ঠিক হয়ে যাবে। শুভ কামনা রইলো।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।