আমাকে পাবে নাকো আর আমি চলে যাব স্বর্গপ্রিয়ার সাথে দিনবসনে-গোধূলি আঁধারে নিশীথে ফুটে যে কুসুম, তারি ঘ্রাণ হয়ে বেড়াব হেসে খেলে জোছনা-ভূতলে- আমাকে খোঁজে পাবে না আর; আমি কৃষ্ণ জলের বিরাট বিলে ফুটিব শাপলা হয়ে আবার, নীর পরীদের সাথে প্রণয় লেনদেনে মগ্ন হব কমল-সরোবরে আমাকে কোথাও পাবে না আর; আমি বাদল বালিকার নিগূঢ় প্রেমে বেরিয়ে পড়িব চন্দ্র নগরে, সেখানে দূরে-বহুদূরে-আরও দূরে ভ্রমিব নক্ষত্র কুমারীদের সনে- আমাকে চিনিতে পারিবেনা কেহ; আমি অদৃশ্য মানবীদের সাথে
দৃশ্যহীনে ছুটিব অবাধ প্রান্তরে, গিরি-পর্বত-গুহায় দাঁড়িয়ে হাসিব বিকট হাসি হা-হা-হা আমাকে দেখিতে পাবে না আর; আমি অতল মহার্ণবে হারিয়ে যাব তিমি-হাঙ্গর-চিংড়িদের ভিড়ে- শুভ্র বলাকার ঝাঁকে তুমি যেথায় চাও যেতে পার- কানিজের পুত্র মালিজের সাথে অথবা ছেনোকার দৌহিত্র রেবিলের সঙ্গে ভেনিস শহর , যবদ্বীপ, জাফলং হয়ে- অথবা হিমালয় থেকে হিমচাঁদের দেশে আকাশ থেকে আরও আকাশে যেথায় চাও যেতে পার পৃথিবীর পথে-প্রান্তরে- কোকাফ নগরে-বাঁধনহারা সাধনের কাছে বন্দি হও বন্ধনের বাহুডোরে আমার কথা নাইবা মনে করো- আমি রয়ে যাব তোমার স্মৃতির কুলায় ভুলে যাব এসব বেদনার নীলদর্শন দেখিব বন্দনার প্রণয়হরিৎ মন আমার অভিযোগ- আমি অত্যন্ত বিমুখ তোমার নিতান্ত অভিলাষের কাছে আমি অধীন-আমার বাসনা তুচ্ছ- তবু বিরহ হোক আগামীর পথেয়। আবার যদি আমার জন্ম হয়- এই হিজলছায়ায়-ডুমুরের তলে জন্ম হোক বাংলার পর্ণকুটিরে তোমার রাজপ্রাসাদের মর্মর-কায়ায় আমার কামনা মুক্তি পায় যেন কলমি-গুঞ্চ-লজ্জাবতীর ডাঁটায় আমাকে পাবে না কখনও- বৈরত, বেজিং, বার্লিন, রোম, প্যারিস, লন্ডন, টোকিও, নিউয়র্ক- এই বেতবনে-বাঁশঝাড়ে ডাহুক হয়ে যদি জন্ম লই ধন্য আমি-শত জনমে, আবার আমি এ বাংলার পরে জন্মিতে চাই-শিশিরের মাঠে ঘুঘু, শালিক, দোয়েলের বেশে আবার আমি সাবসরূপে আসিব- আবার-সুদর্শ এ শাপলা-কমলের দেশে শভ্র বলকার ঝাঁকে খেলিব সারা দিন মুক্তসৈকতে আমাকে পাবে না আর; আমি সৃষ্টির সমস্ত রঙে মিশে যাব-- ধুলা-বালি-জলে-ঘাসে; কারও মনে দোলা দেব না আর।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিজানুর রহমান রানা
খেলিব সারা দিন মুক্তসৈকতে
আমাকে পাবে না আর;
আমি সৃষ্টির সমস্ত রঙে মিশে যাব--
ধুলা-বালি-জলে-ঘাসে;
কারও মনে দোলা দেব না আর।----------সুলতান ভাইয়া, কবিতাটি ভালোভাবেই পড়লাম। সত্যিই শাকিল ভাইয়ের সাথে একমত। কিছুটা জীবনানন্দীয় ঢং পাওয়া যায়। আমি তাঁর ভক্ততো। আপনার কবিতাটি আমার খুব পছন্দ হয়েছে। সময়ই বলে দেবে, আপনার কবিতা কোন্ পথে হাঁটবে। আপনাকে অজস্র মোবারকবাদ।
sakil
জীবন আনন্দ দাসের আবার আসিব ফিরে ধানসিরিতির তীরে . সে রকম কবিতার সাদ পেলাম . ভালো আপনার বিচক্ষণতা , আপনার লেখার শব্দ চয়ন , আমার কাছে ভালো লেগেছে . লিখতে থাকুন আমাদের জন্য দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের ভালো বাসার জন্য , কবিতার মাঝে বেছে থাকবেন অনন্ত দিন , তখন আর ফিরে আসতে হবে না .
শাহ্নাজ আক্তার
এই কবিতা বোঝার মত ক্ষমতা আমার নেই , শুধু জানি আমি চাইলেই লিখতে পারবনা I হাজার বছর সাধনা করে হয়ত দুই-একটা লাইন লিখতে পারব ....এর বেশি সম্ভব না , সালাম আপনাকে I
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।