দিগন্ত ছুঁয়ে সবুজ শ্যামল আমার প্রিয় জন্মভূমি.........

দিগন্ত (মার্চ ২০১৫)

এই মেঘ এই রোদ্দুর
  • ২৭
  • ৫৭
কোন রূপকথা নয়গো বলছি শুনো!
এ আমার দেশ স্বপ্ন ভুমির কথা বলছি...
প্রভাতের স্নিগ্ধ হাওয়ায় পাখির কিচিরমিচির
সুরেলা ধ্বনিতে ঘুম ভাঙ্গে যেথায়..
যেথায় সকালের মিষ্টি রোদ্দুর আঁচড়ে পড়ে আমার জানালায়
রোদ্দুর হাত বাড়িয়ে ডাকে হেঁটে যেতে তার মেঠোপথ ধরে।

ভেজা পথ, ভেজা ঘাস, ভেজা ধূলি বালি কণা...
ঝিরঝির হাওয়ায় পাতাগুলো কাঁপে থিরথির
লাল কমলা ঝরা পাতা যেথায় বিছায়েছে মনোরম গালিচা
সে আর কোথায় বলো! আমার সোনার দেশের মাটিতে।

ঐ যে সবুজ পাতার ফাঁকে চড়ুই, শালিকেরা খেলছে লুকোচুরি
ধূসর রঙ্গা নাম না জানা পাখিটি উড়ছে ডালে ডালে
সে আর কোথায় রূপ কথার দেশে তো নয়
এ আমার সোনার দেশ বাংলাদেশে।

যে মানচিত্রে আঁকা জারি সারি ভাটিয়ালি.......
সুরের খেয়ায় ভেসে বেড়ানো বেলা
টেপরেকর্ডারের সুইচ টিপে শুনি উদাস দুপুরে চিরন্ত মুগ্ধ
ভাটিয়ালি পল্লীগীতির সুর.....
সুরের টানে হারাই বারবার.
না না, সে কোন রূপ কথার দেশে নয়গো
এ আমার চিরসবুজ বাংলার পতাকার ছায়াতলে।

বারোমাস পাখপাখালির কুজন
কোকিলের কুহু কুহু ধ্বনি ভাসে বাতাসে বাতাসে
পাশের ডোবায় রাজহাঁসেরা ভেসে বেড়ায়
টুপ টুপ ডুব দেয় পানকৌড়ি.....
মাছরাঙাটা ঝুপ করে ধরে নিল ঠোঁটে ছোট পুটিমাছটা
সে আর কোথায় দেখবে বল, কোন রূপকথার দেশে নয়তো
এযে আমার সোনার বাংলাদেশে।

ঝোপের আঁড়ালে কে হাসে ওরে !
লাল নীল হলুদ ফড়িং, না না সে নীল প্রজাপতি
তিড়িং বিড়িং নেচে বেড়ায় স্ব-অধীনতায়
ফড়িংয়ের লেজে সুতো বেঁধে ছেড়ে দিয়েছে দুষ্ট খোকা
ছেড়ে দে খোকা, ফড়িং ব্যথা পাবে যে!
অই যে গাঁয়ের কাছ ঘেঁষে বয়ে গেছে স্নিগ্ধ নদী...
বর্ষায় থই থই পানি, শীতে ধূঁ ধূঁ বালিচর..
সে তো আমার প্রিয় জন্মভূমি।

নদীর চরে অবারিত সবুজের মাঝে ফুঠে আছে হলুদ সর্ষেফুল
হাজার প্রজাপতি ফড়িং উড়ছে, ঘুরছে, ফুলের মধু নিচ্ছে ঠোঁটে;
বিকেলের সোনা ঝরা মিষ্টি রোদ্দুর তখনো ডাকে আমায়
আর বলে এসো এসো নতুন আলোর আহবানে ঘুরে আসি
গোধূলীর রক্তিম আভা হতে...... নিয়ে আসি আলো
প্রাথর্নায় হই রত, না না কোন স্বপ্নময় দেশের কথা বলছি না
সেযে আমার জন্মভূমি সে যে আমার প্রানপ্রিয় জন্মভূমি।

যেথায় সবুজ ঘাসের গালিচায় বসে আড্ডা
তরুর ছায়ায় বসে রাখাল বাজায় বাঁশি
দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠে দোল খায় ধানের শিষ
সুর ভেসে আসে বাতাসে শোঁ শোঁ শন শন
মুগ্ধতায় বন্ধ দুচোখ যেথায় হয়
সে আর কোথায় হবে!
সে যে আমার সোনার বাংলাদেশে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মো: রুবেল শেখ অসম্ভব ভাল লাগল কবিতা শুভ কামনা
কাজী সালমা শিল্পী আমাদের দেশের সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে । খুব সুন্দর হয়েছে
জামিউর রহমান কানন ভাল লাগল দেশের কবিতা শুভকামনা
ONIRUDDHO BULBUL "দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠে দোল খায় ধানের শিষ সুর ভেসে আসে বাতাসে শোঁ শোঁ শন শন মুগ্ধতায় বন্ধ দুচোখ যেথায় হয় সে আর কোথায় হবে! সে যে আমার সোনার বাংলাদেশে।" খুব ভাল লাগল কবি। শুভেচ্ছা জানবেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাল থাকুন ভাইয়া
ruma hamid onek sundor ! shuvokamona rakhlam apu .
ধন্যবাদ আপি ভাল থাকুন
জালাল উদ্দিন মুহম্মদ অসধারণ ! খুব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া ভাল থাকুন
মনতোষ চন্দ্র দাশ চমৎকারভাবে গোটা বাংলার রূপ ফুটিয়ে তুলেছেন কবিতার প্রতিটি লাইনে...শুভেচ্ছা ও ভোট রইল...
ধন্যবাদ দাদা । শুভেচ্ছা সতত
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্ এক কথায় চমৎকার ! এমন দেশাত্মবোধক কবিতা ভাল না লেগে পারে ! দো’য়া রইল এমন কবিতা আরও বেশী বেশী উপহার দেবার জন্য । ভোট রেখে গেলাম, সাথে শুভ কামনাও ।
আন্তরিক ধন্যবাদ ভাল থাকুন সাথেই থাকুন

০১ মার্চ - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৫৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪