সেই ছোট বেলা থেকেই ভীষণ প্রিয় ছিল আমার মায়ের শাড়ি বলতে গেলে সারাক্ষনই আমার হাতে সেটা থাকত । এইভাবে কত শাড়ি যে মায়ের হারিয়েছি , শিশু কালে কত শিশুর স্বভাব থাকে তার আঙ্গুল খাওয়া আর আমার ছিল মায়ের শাড়ি চেটে খাওয়ার শখ । কত বারণ কত শাসন তবু বিরত করতে পারেনি আমাকে স্কুলে যখন গেলাম,মা তার আঁচল ছিড়ে সাথে দিত , ঘুমোতে গেলেও তার শাড়ি আমার সাথে থাকত সকালে উঠে মা হেসে বলত কিরে মা তুই কি বড় হবি না ? কোনো দিন যদি মায়ের শাড়ি ছাড়া ঘুমিয়েছি মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে যেত, চোখ বন্ধ করে আলনার কাছে যেতাম ঘ্রাণ শুকে ঠিকই মায়ের শাড়ি নিয়ে আসতাম । তেতুলের কথা ভাবলে অনেকের মুখে পানি আসে আর আমার মায়ের শাড়ির কথা ভাবলে মুখে পানি আসে । কি যে ভালো লাগত আমার মায়ের শাড়ির ঘ্রাণ মা যখন কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে বসতো , আমি মায়ের কোলে মাথা রাখতাম মায়ের শাড়ি ভেজা থাকত সেই ঠান্ডা যখন আমার নাকে মুখে লাগত খুব ভালো লাগত । আজ মা নেই,সেই শাড়ি দিয়ে বানিয়েছি কাঁথা মনে হয় মা জড়িয়ে আছে আমাকে কিন্তু সেই শাড়ির ঘ্রাণও নেই ।
কবিতাটি আমার মাকে দিলাম ..........
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোহাঃ সাইদুল হক
আজ মা নেই,সেই শাড়ি দিয়ে বানিয়েছি কাঁথা
মনে হয় মা জড়িয়ে আছে আমাকে কিন্তু সেই শাড়ির ঘ্রাণও নেই --------অসম্ভব সুন্দর লাগলো। শুভ কামনা রইলো।
ওবাইদুল হক
আসলেই মাকে নিয়ে কেউ ভাল কিছু বললে বা কেউ কিছু লিখলে মনটার আকার বদলে যায় । তেমনিও আপনার এই মায়ের জন্য লেখা অসাধারণ । সেই সাথে আপনার এই দুই লাইনটা ভীষন ভাল লাগল ---- কি যে ভালো লাগত আমার মায়ের শাড়ির ঘ্রাণ
মা যখন কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে বসতো আমার কাছে । আসলেই আমি আবেকপ্লুত হয়ে পড়লাম । শুভকামনা ।
মোঃ সাইফুল্লাহ
কোনো দিন যদি মায়ের শাড়ি ছাড়া ঘুমিয়েছি
মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে যেত, চোখ বন্ধ করে আলনার কাছে যেতাম ---------------------অসাধারণ কবিতা । কবিকে ধন্যবাদ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।