বাবা আমাগো গেরামের সবার বুঝি ধান কাটা শেষ তাইনা? বাবা/হ মা.বাবা বলল/গ্রাম থেকে ফুলি ও তার বাবা মা এসেছে ক এক মাস হলো/ফুলির মা এক বাড়িতে কাজ নিয়েছে/গ্রামে তাদের সব ছিল....কিন্তু সর্বনাশা নদী কেড়ে নিয়েছে সব/ফুলির বাবা কোনমতে রোজগার করে সংসার চালিয়েনিচ্ছে/তার এক হাত অকেজো/ফুলি সারাদিন বস্তির ছেলে-মেয়েদের সাথে খেলে সময় কাটায়/ ফুলির কদিন ধরে জ্জর, তার মা খুব সকালে উঠে ভাত দিল/আর বাইরে যেতে বারণ করলো/এবার সে কাজে গেল/ফুলির মাথায় হাত বুলিয়ে দিল তার বাবা/সে বলল মারে একা থাকতে পারবি ?ফুলি বলল হ বাবা পারমু/তুমি যাও/আহনের সময় একটা সোয়েটার আইনো বাবা/ফুলির বাবা বলল দেখি মা কি করণ যায়/এই বলে বাবা চলে গেল/ খুব ঠান্ডা পরেছে এবার/ফুলির মা কোনমতে শাড়ি জড়িয়ে কাজে গেল/কলিংবেলে টিপ দিতে দরজা খুলে দিল একজন/এতক্ষণে এলে?নাও তারাতারি কাজ কর/ফুলির মা করুন সুরে বলল আফা মেয়েটার অসুখ করছে/এই বলে সে কাজে লাগলো.কাজ যেন শেষ হয়না /মিসেস রকিয়া,এনার বাসায় কাজ করে ফুলির মা/এরমধ্যে সে জানিয়ে দিল যে তারা গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে/এক মাসের জন্য/ফুলির মা খুব আশা নিয়ে বলল ,আফা বেতনটা?এসে দিব.... বলল /এবার এস কাপড়গুলো গছিয়ে দাও/কত রকম গরম কাপড় যে নিল/মনে মনে ভাবলো আহারে মেয়েটা কি কষ্ট পাইতাছে ঠান্ডাতে /আর এদের কত কাপড়/মনে জোর নিয়ে বলল আফা একটা সোয়েটার দিবেন?তোমাদের একটা দোস....খালি চাই-চাই/মন খারাপ হে গেল ফুলির মার/চোখ মুছতে মুছতে চলে গেল. মা কি আনছ?ফুলি বলল....নারে মা.....দিলনা ওদের অনেক লাগে..আমাগো দিব কি? সন্ধার পর ফুলির বাবা এলো/খালি হাতে/ফুলির জ্জর বাড়তে লাগলো/চারদিকে কুয়াশা যেন তাদেরকে ঘিরে ধরল/আজ সরকার থেকে গরমের কাপড় দিতাছিল,পাইলাম না/আমার নাকি কিসের কার্ড লাগব/আহারে যদি আমার কার্ড থাকত?ঘরে কোনো খাবার নেই,আজ না খেয়ে থাকতে হবে তাদের/ফুলি কোনো কথা বলছে না দেখে মা বলল....মারে কথা কও...?কি রে মা...কথা ক/ফুলি আসতে আসতে বলল মা...আমার গরম ভাত খাইতে ইচ্ছা করতাছে/মা বলল দিমুমা সকালে দিমু/ফুলি বলল মা চল আমরা গেরামে ফিরা যাই/সহরের মানুষ ভালা না/ফুলির মা বলল যামু মা চুপ কর/আরজে পারতাছিনা মা আমারে ধর/কি গ ফুলির বাপ ফুলি অমন করে কেন?এই বলে ফুলির মা ফুলিকে আচল দিয়ে জড়িয়ে ধরল/ফুলির বাবা চিল্লিয়ে উঠলো কৈ যামু আমি?ফুলির বাবা দৌড়ে বাইরে গেল/ফুলির মা ফুলিকে ধরে বসে আছে/রাত যেন কাটতে চায় না/ কখন যে ঘুমিয়ে পরেছে টের পায়নি/ঘুম ভাঙ্গলো চোখে এল পরাতে/ফুলি নড়ছে না/মা ওঠ মা/কি রে কি হইলো ওঠ/ফুলি নিথর....ফুলির মা তাকিয়ে আছে/ফুলির বাবা একটা সোয়েটার হাতে ঘরে ঢুকলো/ চারদিকে আলো ফুটতে শুরু করেছে/ফুলির বাবা মা ফুলিকে নিয়ে বসে আছে/আর ফুলির পের কাছে পরে রইলো সেই সোয়েটার /যার এখন কোনো মূল্যে নেই তাদের কাছে/
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সেলিনা ইসলাম
নদী ভাঙ্গনে সর্বস্বান্ত হয়ে অনেক সচ্ছল পরিবারও জীবন বাঁচাতে শহর মুখী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন , ফুলিদের জন্য কষ্ট হয় নিয়তির সাথে সাথে প্রকৃতিও করে পরিহাস ! গল্পের থিম সুন্দর ,আরো একটু যত্ন নিলে খুব সুন্দর পরিপূর্ণ একটা গল্প হত তবে আগামীতে আরো লেখা পাবার প্রত্যশায় শুভেচ্ছা ও শুভকামনা
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“মে ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ মে, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।