এবার তপন স্যার ক্লাসের মধ্যে ‘তোমার প্রিয় রঙ’ নিয়ে রচনা লিখতে দিয়েছিল। জহির ভাই তাঁর খাতায় প্রিয় রঙ হিসাবে ‘কালো’ কে উপস্থাপন করে এই রঙের এত গুণাবলি লিখেছিল তপন স্যার তাঁকে ডাকতে বাধ্য হল। জহির ভাই স্যারের মুখের উপর কালোকে এমন ভাবে রঞ্জিত করেছিল যে, তাঁকে শেষ পর্যন্ত প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হলো উনি কালো মেয়েই বিয়ে করবেন। এসব কথা আমার জহির ভাইয়ের মুখ থেকেই শুনতে পাই। উনি আমাদের পড়াতেই থাকেন, ওনার মনের সব কথাই আমাদের সাথে শেয়ার করতে কার্পণ্য বোধ করেন না। জহির ভাই বেশ ক্রিকেট পাগল, বেশ বললে ভুল হবে, উনি পুরোপুরিই ক্রিকেট পাগল।বিশ্বকাপের টিকেট কাটতে উনি প্রথম দিনেই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। যে লাইনে দাঁড়ালেন ঐ লাইনে বেশী ভীড় দেখে ফাঁক বুঝে আরেক লাইনে ঢুকার মুহূর্তে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন, তারপরে যথারীতি পুলিশের উত্তম-মধ্যম।উনি হাল ছাড়লেন না, দুই দিন বাদে আবার টিকিট কাটতে গেলেন। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ-হল্যান্ডের টিকেট নিয়েই উনাকে সন্তুষ্ট হতে হলো। খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে গেলেন জাহির ভাই, ওনার পাশের সিটে বসল একটি ডাচ মেয়ে, তাতে উনি যারপরানই খুশি। কথা বলার সুযোগ খুঁজতে লাগলেন জাহির ভাই। এক সময় কথা শুরু হলো ইংরেজিতে। সংক্ষিপ্ত কথোপকথন: : হ্যালো, আমার টিম কিন্তু খুব খারাপ খেলছে আজ। :হুম। বাংলাদেশের বোলাররা ভালো বল করছে। বাংলাদেশের ভালো ব্যাটসম্যান কে? : আশরাফুল। ওকে আজকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। যা হোক আপনি কী আজকেই বাংলাদেশ ছেড়ে যাবেন? : না! কয়েক দিন ঘুরে তবে ফিরবো। এখানে কোন কোন জায়গাগুলো সুন্দর বলতে পারেন? : বাংলাদেশের সব কিছুই সুন্দর লাগবে আপনার। নদী হিসাবে পদ্মা-যমুনা যেমন, বুড়িগঙ্গাও ভালো লাগবে আপনার। বুড়িগঙ্গার পার্শেই আমার বাসা। জাহির ভাই আরো জানা-অজানা অনেক জায়গার নাম বলতে লাগলেন। : আচ্ছা, এখানে দেখলাম ইন্টারনেটটা একটু স্লো! : আর বলবেন না, এখানে মানুষ এত বেশী যে সবাই নেট ইউজ করে, তাই লোডটাও বেশী পড়ে। : আপনার সাথে পরিচিত হয়ে অনেক ভালো লাগল। আপনার ই-মেল আইডিটা একটু দেবেন? জাহিদ ভাই তৎক্ষণাৎ আমাকে ফোন দিয়ে বাংলায় বলতে লাগলেন : তোর ই-মেল একটু দে তো। আমার ই-মেল দিয়ে উনি কাজ সমাধান করলেন। তারপরের ঘটনা পর্যায়ক্রমে এগোতে থাকল। আর আমিও মাঝে মাঝে ই-মেইলটা চেক করে উনাকে আপডেট দিতে থাকলাম।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।