দাদিজান সৈয়দ বংশের মেয়ে। উপকথার কাঁসার মতো ঝকঝকে তার ঘটি-বাটি-শাড়ি-ঘর। বুননের সৃজনে সে ভাস্বর। পুরো গ্রামের হাত মিলেও অনতিক্রম্য তার স্বাদের দরজা। প্রাত্যহিক চকচকে জীবনের পিঁড়িতে যদি গৃহস্থ বাড়ির কেউ(যেমন আমার মা)এসে বসতো তবে সন্ধ্যায় সে পিঁড়ি না ধুয়ে আর ঘরে উঠতো না। দাদিজান খন্দকার বাড়ির বউ। এই রকম গল্পের সাথে আমরা কেউ(মায়ের সন্তানেরা)আর কিছু মেলাতে পারি না। তৃষিত টাইফয়েড তার কান নিয়ে গেছে। শাড়ি-চুলে সময়ের নিষ্করুণ দাঁত। জঙধরা দেহের রং শুধুই ব্যথাতুর সাদা। গোখরো সাপের মুখে বিষ থাকে এখন আর তার তা মনে নেই। সে রাতভর জেগে থাকে-জেগে থাকে তার একলা কাটানো একই সংলাপের বকবকানি নিয়ে। অন্তত আমার ঘুম ভাঙলে শুধু তাই মনে হয়। দাদিজানকে দেখেই বুঝি তার আগুন রঙা শাড়ির ভাঁজের পোষা নিষ্ঠুরতার চেয়েও বেশি পাষাণ-খিটখিটে সময় নামের এক বৃদ্ধ। বুঝি মাটিতে মিশে পচে গলবার আগে আমরা পায়ে স্যান্ডেল লাগাই-আস্তে হাঁটি মাটি লাগবার ভয়েই। আমরা পুরনো দরজা-জানালা। আমরা হলদে পুঁজের নষ্ট ঠোঁট। আমরা একদিন থেঁতলে যাওয়া জীবন। দাদিজান, তোমার জন্যই বোধের সমস্তটুকু আজ রক্তের অণুতে পোঁতা আছে। তবু স্বপ্নবাটির পাংশুটে ভয়-আমরা(মায়ের সন্তানেরা)একদিন গোপন অন্ধকারে সব ভুলে যাবো না তো? দাদিজান, মনে রাখা কি এতই কঠিন?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রি হোসাইন
আধুনিক কবিতা লেখার প্রয়াস প্রসংশনীয় ...... কিন্তু কাব্যরসবোধের অভাব আছে .... এর ফলে এটা কবিতায় রূপান্তর হতে পারে নি ..... গদ্য কে কাব্য রসবোধ দিয়ে-ই পদ্য তে রুপান্তরিত করেই এই রকম ফরম্যাট এ কবিতা লিখতে হয় ..... অনুজ প্রতিম লেখকের কাছে এই প্রত্যাশা রইলো
রি হোসাইন ভাই, আপনার উপদেশ পড়ে প্রিয় নবীর মিষ্টি খাওয়ার হাদিসটা মনে পড়ে গেলো! আশা রাখি, সামনের লেখায় আপনি চ্যালেঞ্জটা নিবেন! অন্তত কিভাবে লিখতে হয় সেটা দেখানোর জন্য হলেও এ ধারার একটা কবিতা আপনার কাছ থেকে পাবো এ আশা তো করাই যায়। ও অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।