শ্রম আর সময়ের হস্তগত নাগরিক ফ্লাটের বাগানের মাটি। আমি অপেক্ষার ভিতর অপেক্ষা নিয়ে চেয়েছিলাম মাটি থেকে ছ’তলা উপরের মাটির দিকে। পালাবদলের নিয়মে অপেক্ষার পালাবদল মুগ্ধতায়, ছোট্ট গোলাপ চারার দেহে-সাত গোলাপের মাধুর্য। মোহিত মুগ্ধ আমি-আমার টনক নড়ে সাত গোলাপের একসাথে পচনের দৃশ্যে মাটি থেকে ছ’তলা উপরে মাটির বুকে সেই বীভৎসতা আমায় শিখিয়েছিল- ‘আমরা শুধু চলে যাওয়াটাই মনে রাখি’ আজীবনের না শেখা এই আমাকে একরাত্রি বমির সাথে।
পুরনো লোহালক্কড়ের জঙ্গলে কলের কুর্দন সয়ে যায় প্রথিতনামা জীবনে। আমরা অভ্যাসের মন্ত্রবলে পূজার থালায় রেখে দেই নিসর্গ। মাছেরা যেমন পানির পথ ভুলে যায় ভুলে যায় উত্তুরে বাতাস চরের কোন গভীরে তার জন্ম-অসমাপ্ত আলোর ঝিকমিক দেয়ালে তেমনি করেই একদিন ঘর্মাক্ত একদিন সন্তপ্ত সপ্তর্ষিও ভুলে যাবে ‘সবুজ’ কেমন ছিল পৃথিবী একসময় কেমন ছিল।
ল্যাম্পপোস্টের নিচে দাড়িয়ে একলা ‘অবগাহন’ আমি আনমনে হেঁটে যেতে যেতে হঠাৎ দেখা হঠাৎ সুতীব্র বাল্যকালে বিকেলের আলো কৈশোরের শেষদিনে কৈশোরের মুখে মাখা ঘুম অথচ আমার শুরুর কিছুই মনে পড়ে না- পড়ে না মনে আর এখন আমি আমার এখনকেই চিনি যৌবনের চারায় সাত গোলাপ উদ্ধত সুরভিত অকরুন সবুজ-যৌবনের প্রভা মোহিত মুগ্ধ জীবন-জীবন শেখায় আমাদের আকাঙ্ক্ষায় জাগে,বড় হয় গল্পের শেষটুকু গল্পের নটে গাছটি মুড়োলর মতো আমরা শুধু চলে যাওয়াটাই মনে রাখি আমাদের মনে থাকে চলে যাওয়া।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নৈশতরী
কবিতার গাথুনি খুব শক্ত, উনভুতি ও অসধারণ!! তবুও কেন যেন একটু অমিল অমিল মনে হচ্ছে , তোমাকে তুমি করেই বলছি,
তোমার অনেক গুলো কমেন্ট আমি দেখেছি সেগুলোতে তুমি গভীর জ্ঞনের পরিচয় দিয়েছ, আসলে বুঝতে পরছি তুমি সাহিত্য খুব পছন্দ কর, আমি গল্পকবিতায় নতুন, কিন্তু সাহিত্যের সাথে অনেক পুরনো সম্পর্ক, যায় হোক তোমার কতাই আমি ৪ দিলাম,
সুভকামনা রয়্লো ভালো থাকার,,নৈশতরী,,
সূর্য
‘আমরা শুধু চলে যাওয়াটাই মনে রাখি’//সন্তপ্ত সপ্তর্ষিও ভুলে যাবে ‘সবুজ’ কেমন ছিল
পৃথিবী একসময় কেমন ছিল।//আমরা শুধু চলে যাওয়াটাই মনে রাখি
আমাদের মনে থাকে চলে যাওয়া।...............প্রতিটি স্তবকেই আক্ষেপের এই যে ধারাবাহিকতা তা গোছানো একটা কবিতারই উদাহরণ। মুগ্ধ করলো। ("গল্পের নটে গাছটি মুড়োলর মতো" এ বাক্যটা কি না হলেই নয়!)
আলেকজান্ডার ভাই, গল্পময় কবিতা নিয়ে অভিযোগ করাটা কিন্তু বোকামি ও হাস্যকর। তাই সে জবাব আর দিলাম না। তবে হ্যাঁ, গল্পের লাইনের মতো কবিতার লাইন-এই অভিযোগ আপনি করতে পারেন। ছন্দ-মাত্রা ছাড়া আপনার বন্ধুরা কবিতার বিচার করতে পারে না...... তো অভিযোগ না করে আপনার উপায় কি?! নব্য কবিদের(!) ব্যাখ্যায় কাজ হবে না জানি তো পুরনো এক কবির উপলব্ধি ধার নেই-“গীতাঞ্জলির গানগুলি ইংরেজি গদ্যে অনুবাদ করেছিলাম। এই অনুবাদ কাব্যশ্রেণীতে গণ্য হয়েছে। সেই অবধি আমার মনে এই প্রশ্ন ছিল যে,পদ্য ছন্দের সুস্পষ্ট ঝঙ্কার না রেখে ইংরেজিরই মতো বাংলা গদ্যে কবিতার রস দেওয়া যায় কিনা। মনে আছে সত্যেন্দ্রনাথকে অনুরোধ করেছিলাম ; তিনি স্বীকার করেছিলেন ; কিন্তু চেষ্টা করেননি। তখন আমি নিজেই পরীক্ষা করেছি, ‘লিপিকা’র অল্প কয়েকটি লেখায় সেগুলো আছে......।” আলেকজান্ডার ভাই, যেহেতু আপনি নিজের প্রোফাইলে ছবি না দিয়ে অনেক অভিযোগ করছেন তো আপনি বুদ্ধিমান। আর শুনেছি বুদ্ধিমান মানুষদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট। তাই আপাতত আর কিছু লিখছি না। শুভেচ্ছা ও মতামতের জন্য ধন্যবাদ। আর ভালো থাকুন।
ইশারায় শিস দিয়ে অনেক কথাই বললেন ।ইশারায় যারা কথা বলে শুনেছি তারা বুদ্ধিমান হয় তাই আশা করি অন্যের ইশারা বুঝার চেষ্টা করবেন ।আর বেশী কিছু বল্লামনা ।ভালো থাকুন ।
আহমাদ মুকুল
গল্পকবিতাকে ধন্যবাদ, তাঁরা কবিতায় ২০ লাইনের সীমাবদ্ধতার নিয়মটি অলিখিতভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তা নাহলে এমন কবিতা পেতাম কী করে? বরাবরের মতই অসাধারণ নাহিদ!
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।