অন্ধকার বাঁটা কোপ্তার বাসনকোসনে বিন্যাস পেঁয়াজ ছেঁচা রসের ঘন্ট কাঁসার থালায় ভাপা ভাত-ভাতের আঁচ সালুনের বুক থেকে উঠে আসা ঝাঁঝ হঠাৎ কলম হাতেই ডাক পড়ে সমানুপাতিক জীবনের উঠে চলে যাই যাওয়ার নিয়মে শূন্যতার জলে জেগে থাকা ক্ষুধার্তের চরে স্বল্পালো কুপির বাতি থেকে দূরে আরো দূরে যাওয়ার নিয়মেই পিছনে থাকে-শুধু পড়ে থাকে বাসনকোসনের বিন্যাসে সালুনের বুকের ঝাঁঝ।
এইতো আমি যুগোপযোগী কালশিটে নিয়ে পরিব্রাজকের পায়ে ভাঝ খোলা কাপড় গায়ে একটুক্ষণের স্থির ভূমিকা; বোধে খননে খননে জনপদ সম্মোহ মধ্যবিত্ত সময় পাঠের ছাঁচে বিকোলাম কড়ি মোহর মেলেনা কিছু কিচ্ছু না। খুদকুঁড়ো দূরে থাক নিংড়ানো তেতোও মেলেনা ভাগে।
অথচ ওড়াউড়ির কলমটা জানে কোন দণ্ডাদেশে কি আয়োজন ছেড়ে আমার উঠে আসা; কালক্ষয়ে আঁটকুড়ে কবির গর্ভপাতের যন্ত্রণা অচিকিৎসায় যাপিত জীবন, সুঁইয়ের ডগায় ফোটে অন্তর্গত সত্যের কাঁথায়- “ক্লিনিক্যাল ডেড” বুঝি নজরদারির অভাবে ধানফুল ঝরে যায় গোচরযোগ্যতার ভুলেই মাকাল ফলে দেই কামড় দিনানুদৈনিক বাঁধাছাঁদা- পাত্তা পায়না কিছু চলার কাছে ঝরে যায় ঝরে ঝরে নিভৃতের বকুল, কাঁচা শিশিরের ঘ্রাণ, জিভের ডগার ক্ষুধা......
সন্ধ্যার সানকিতে বাবেলের চূড়া- প্রত্নতাত্ত্বিক সুখানুভূতি আত্মমগ্নতার তুষে সাফল্যের মালশায় আলো ব্যস্ত বাস্তবতার ব্যস্ততায় আমি-আমার আড়ালে উপোষী বাস্তুহারা কবির সেমেটিক কবর যেমন আড়ালে প্রতিকৃতি স্বরচিত জন্মকথার ফ্রেমবন্দী ডালপালা থেকে সেখানে আর যাই হোক শিউলি কুড়ানো ভোর কেউ খুঁজে পাবেনা। কেউ না।
সরল অঙ্কের সরলতার ছোঁয়ায় নিরুত্তরের ঝাপটা ভাঙনের মাটির কাছে অঙ্কুরিত রাত রাত বাড়ে ভাঙনের পাড়েই স্ত্রস্ত রাত বাড়ে......ছলাৎ ছলাৎ হঠাৎ মগজের উঠোনে অবচেতনের শ্যামা পাখি গহনের বাক্যবন্ধগুলি উপচায় ধারাজলে প্রতিটি কবিতার কৌটোয় পাই- প্রত্যাবর্তন প্রতিটি কবিতার ভিতর টান মারে চোখ বোজা জীবন প্রতিটি কবিতায় আমার শুধু ঝুলে থাকা-ঝুলেই থাকা ঘূর্ণায়মান শব্দের গ্রহ আর ক্ষুধার্তের চরের ভিতর হায় সরলের সরলতায় মেলেনা কিছু , কিচ্ছু না; নিরুত্তর অঙ্কের উত্তর-একই রোজনামচা সাথে দশমিকের পাশে পুনঃপৌনিক পুনরাবৃত্তি পুনরাবৃত্তি পুনরাবৃত্তি......
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খন্দকার নাহিদ হোসেন
লিখে এতো মমতা আর ভালোবাসা পাবো কখনো ভাবি নি। নাম ধরে ধরে ধন্যবাদ দিতে পারলে আমার খুব ভালো লাগতো। কিন্তু তাতে আবার ধমক খেতে পারি পাকামি করছি বলে! তো সে চেষ্টায় না যেয়ে শুধু এটুকু বলি- আপনাদের খুশি করতে পেরে আমার বড় ভালো লাগছে। সবাই ভীষণ ভালো থাকুন। শুভ রাত্রি।
তানভীর আহমেদ
অঢেল ভালোবাসা ও প্রাণ উজাড় করা অভিনন্দন নাহিদ ভাই। আমার প্রথম কমেন্টেই যা বলার বলে দিয়েছিলাম। এখন এমন উচ্চ মার্গীয় কবিতার পাশে আমারটাও এই সুতায় গাঁথা হলো। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়ে দেখা দিল, “প্রকৃত ভালোর পাশে আমার কবিতা দাঁড় করালে মনে হবে অতি দীন-হীন, ক্ষুধায় কাতর”।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।