নিলে নীল নীড়

বন্ধু (জুলাই ২০১১)

খন্দকার নাহিদ হোসেন
  • ৫৭
  • 0
সত্য কি –সত্য ?
প্রতিটিক্ষণ খুলির ভিতর ধড়ফড় করে কিছু
সত্য পদবাচ্য নিয়ে;
যন্ত্রণার আলোর নিচের সত্য
প্রখর সুখে যন্ত্রণার আলোর নিচে কি নেই?
পুরো কৈশোর জীবনে একবার-ই ভালোবাসা হয়
এই ভেবে ভেবে যাকে ভালোবাসলাম একবার-ই
আজ অন্য কারো পাশে শুয়ে গভীর আবেগে
ঘুমন্ত এক দেবীর মুখ দেখে দেখে ভোর হয়
আর প্রতিটিক্ষণ পোড়া খুলির ভিতর
ঘুঙুরের মতো বাজে এক প্রশ্ন- সত্য কি?

ইমন, আমাদেরও না তোর মতো দেরি হয়ে যায়
তোর কি একদিন মনে থাকবে তুই বলেছিলি-
‘তুইতো কাঁদতে পারিস
আমার না কষ্টে অশ্রু আসেনা, আনন্দে নয় হাসি।’
বিজ্ঞানের ছাত্র বলেই জানি চেইন রিঅ্যাকশন কেমন
তবু জানবার ভয় এই আমায় রেহাই দেয়নি
বুকের বামপাশটাকে আজ তুই
অবলীলায় হিরোশিমা বলে ডাকতে পারিস
আমিতো জানি তবু মানুষকে ভালোবেসে কারো
শিকল কিংবা গুলি ছাড়া আর কিছু মেলেনা।

বুঝলি- অন্ধকার রাতের আধারে ভূত নেই যেদিন জানলাম
সেদিন থেকেই হারালো প্রিয় দেখার দূরবীনটা
আজকাল মানুষকে এত কাছ থেকে দেখতে মন লাগেনা
দূরত্বের পথের ঘরগুলোর ব্যথা বুকে জমা রাখি
একদিন নিজের জন্য খুঁটেখুঁটে খুঁজে একটু জায়গা কি পাবো?
ভয় হয়- ভয় হয় বড্ড ভয় হয় হিমহিমে শীতে
নদীরা কেন জানেনা- কেন বোঝেনা?
সীমানাকে ভালোনাবেসে কখনো নদী হওয়া যায়না।

চোখের সামনে এক পথ পলাতক মানুষ-মানুষীর
আমি গুনে চলছি সময় বুকে একরকম অহংকারের ভিড়
এ পৃথিবীর দক্ষিণের এক শহরে মাথা রাখি রোজ
কখনো কখনো শীতের পাখিও দলছাড়া হয় হয়ে নিখোঁজ
বলতো- সে জীবনের কী মানে যার আরেক নাম অস্থিরতা?
সবার জমানো কিছু সত্য থাকে যেমন এই বুকে জমে কথা-
হে ভালোবাসা, আমায় এত সহজে জিততে দিয়োনা
আমারও কখনো কখনো ভাঙচুর ভাললাগে।

জীবনে ফিরে আসা বলে কিছু নেই, ফিরতে হয়
এ জীবন, ভালোবাসা সেতো শেষে ঘাস-খড়-পাতা
আমায় দিয়ে হয়না, আমি ওসব পারিনা
পুরাতন বাজির ঝুঁকি হয়তো রক্তে নিয়েই জন্মেছি
একে তুই পাগলামি বলিস-আর আমি পথিক পথহারা
তবু গুনে গুনে মরতে নই রাজি একবার ছাড়া
জানি সকল আয়োজন নিয়ে একদিন শীত ছেড়ে যাবে ঘর
একদিন আমিও মুঠোখুলে যেতে দিবো সেই জমানো ঝড়
চোখে-চোখে জনমে-জনমে নিলে নীল নীড়
নক্ষত্র নয়, উড়তে না-জানা মানুষ-মানুষীর।

কখনোই নয় সমান কারো ছায়া আর সে নিজে
দিন-রাত্রির শ্মশানে যাই মাটির দেহ বয়ে ভিজে ভিজে
থামবার সুযোগ কই?
অপার্থিব আয়োজনের চক্রাকার এই পথে
যে যত দূরে পারুক পালিয়ে যাক
যে পারে সে করুক উঁচু তার পাপের ভাগ
নিজে কেঁদেছিল বলে যদি কেউ অন্য কাউকে কাঁদায়
সে পরিতৃপ্তিও থাকুক জমে তার গড়া ঈশ্বরের পাতায়
বন্ধুরে, শুধু এপিটাফে জ্বলজ্বলে লেখা দেখি-
‘সত্য হলো-আসরের তাস বাটা হয়ে গেছে।’
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খন্দকার নাহিদ হোসেন মুকুল ভাই, আপনার দোয়া মাথা পেতে নিলাম। আর ঐ লাইনগুলি আমাকেও বড্ড ভোগায়! ও বকুল ভাই, জানি বেশি করেই বললেন তবু মন্তব্যটুকু পড়ে খুব ভালো লাগলো। দুজনকেই ধন্যবাদ আর ভীষণ ভালো থাকুন।
মিজানুর রহমান বকুল কবিতার শব্দভান্ডার এক কথায় অনবদ্দ্য যা কবিতাটিকে সেরাদের সেরা করেছে। অসাধারণ ।
আহমাদ মুকুল পুরো কবিতাটিই দারুন। ...মানুষকে ভালবেসে শিকল কিংবা গুলি ছাড়া কিছু মেলে না।...সীমানাকে ভাল না বেসে নদী হওয়া যায় না...কথাগুলো বেশ লাগল মননে। তোমার কাব্যচর্চ্চার অতিশীঘ্র শিখর কামনায়....
খন্দকার নাহিদ হোসেন Rahela chowdhury ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ভালো থাকুন।
Rahela chowdhury কিছু কিছু কবিতা থাকে যা ভাষা দিয়ে প্রকাশ করা যায় না ।এই কবিতাটি সেই রকম একটি কবিতা।শুভেচ্ছা রইল।
খন্দকার নাহিদ হোসেন রোহান শিহাব, ওরে বাবা বলে আপনি তো আর একটু হলে আমাকেই ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন! এ ভুবনে স্বাগতম। ধন্যবাদ আর ভীষণ ভালো থাকুন।
রোহান শিহাব ওরে বাবা, এটা তো বিশাল কবিতা । অসম্ভব কঠিন । নজরুলের কবিতা কখনো বুঝিনা। তবু ভালো লাগে । আপনার কবিতাও সেই রকম লাগলো । লেখে যান । একদিন সবাই পছন্দ করবেই ।
খন্দকার নাহিদ হোসেন আরফান ভাই, ভাবছিলাম আপনি আমার এ কবিতাকে আপনার ৫ জনের লিস্ট এ রাখবেন!! যাইহোক জিতিয়ে দিতে চেয়েছেন বলে ভালো লাগলো। মমতার জন্য ধন্যবাদ। আর ভীষণ ভালো থাকুন।
বিন আরফান. এগিয়ে যাও. এগিয়ে যাও আমরা আছি সঙ্গী হয়ে. আমার একশত আইডি খোলার ক্ষমতা থাকলে সব প্রয়োগ তোমাদের মত কয়েক জন কে করতাম. তুমি কবিই বটে বন্ধু.
খন্দকার নাহিদ হোসেন Akther Hossain (আকাশ) ও আনিসুর রহমান মানিক ভাই, ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। অনেক ভালো থাকুন।

২৩ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪