প্রতিশোধের ফ্লাইট

প্লেন ক্র্যাশ (সেপ্টেম্বর ২০২৫)

তানহা জুবায়ের
  • 0
  • ৩১
১. শৈশবের আগুন
ঢাকার এক বর্ষার সকাল। বাইরে ঝিরঝিরে বৃষ্টি, আকাশের রঙ ধূসর, গলির মাথায় চায়ের দোকান থেকে ধোঁয়া উঠছে। সাত বছরের রাফি জানালার পাশে দাঁড়িয়ে কাঁপা কাঁপা চোখে তাকিয়ে আছে টেলিভিশনের স্ক্রিনে। নিউজ চ্যানেল ভাঙা ভাঙা শব্দে বলছে—
"আজ সকাল দশটা বিয়াল্লিশ মিনিটে ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুরগামী ফ্লাইট ৭০৯ বঙ্গোপসাগরের উপর নিখোঁজ হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিমানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে বিস্ফোরণ ঘটেছে… উদ্ধারকাজ চলছে…"
রাফির মা মেঝেতে বসে ছেলের কপালে হাত রেখেছেন, কিন্তু তাঁর চোখ ফাঁকা—যেন সব আলো নিভে গেছে। বাবা ছিলেন ওই ফ্লাইটে। বিদেশে চাকরি করতেন, বছরে একবার ফিরে আসতেন। এবারও ফেরার কথা ছিল না—হঠাৎ অফিসের কাজে সিঙ্গাপুর যেতে গিয়ে সেই দুর্ঘটনার শিকার।
পাড়ার মানুষ এসে ভিড় করছে, কেউ সান্ত্বনা দিচ্ছে, কেউ বলছে, "আল্লাহ ধৈর্য দিক।" কিন্তু রাফি কিছু শুনতে পাচ্ছে না। শুধু মনে হচ্ছে, আকাশটা আজ তার বাবাকে গিলে ফেলেছে।

২. বড় হওয়ার পথে
দশ বছর কেটে গেল। রাফি তখন কলেজে। মায়ের কষ্টের কাজ—টিউশন, সেলাই, এমনকি বেকারিতে নাইট শিফট—সব মিলিয়ে সংসার চলছে। কিন্তু রাফির বুকের মধ্যে সেই আগুন এখনো জ্বলছে।
একদিন লাইব্রেরিতে বসে খবরের পুরনো আর্কাইভ ঘাঁটতে গিয়ে সে কিছু খুঁজে পায়—ফ্লাইট ৭০৯ এর দুর্ঘটনা নিয়ে এক বিদেশি পত্রিকার রিপোর্ট। সেখানে লেখা, বিমান সংস্থার রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বাঁচাতে পুরনো ইঞ্জিন বদলানো হয়নি। কয়েকজন কর্মকর্তা আগেই জানতেন এই ঝুঁকির কথা, কিন্তু মুনাফার লোভে চুপ থেকেছেন।
রাফির বুক ধক করে উঠল। মানে… এটা দুর্ঘটনা ছিল না, বরং অবহেলা—যা ইচ্ছে করেই ঘটতে দেওয়া হয়েছিল।

৩. প্রতিজ্ঞা
সেদিন রাতে রাফি মায়ের সামনে প্রথমবারের মতো বলল—
"মা, আমি ওদের ছাড়ব না।"
মা চুপচাপ চা নেড়ে বললেন,
"প্রতিশোধে কিছু ফেরত আসে না, রাফি।"
"আসে, মা," রাফি দাঁতে দাঁত চেপে বলল, "বাবার ন্যায়বিচার আসে।"
তারপরের বছরগুলোতে সে শুধু একটা জিনিস করল—শেখা। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ল, এরোস্পেস ইঞ্জিনের খুঁটিনাটি শিখল, সিকিউরিটি সিস্টেম বোঝার চেষ্টা করল। ফ্লাইট সিমুলেটর, এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি—সব বিষয়ে পড়াশোনা করল।
এবং একদিন, সেই বিমান সংস্থায়ই চাকরি নিল—টেকনিক্যাল সাপোর্ট ডিপার্টমেন্টে। এখন সে ভেতরের সব রুটিন জানে।

৪. সেই ফ্লাইট
পাঁচ বছর পর। ঢাকার গ্রীষ্মকাল। রাফি জানল, কোম্পানির চিফ এক্সিকিউটিভ এবং দুজন শীর্ষ কর্মকর্তা সিঙ্গাপুরে একটি কর্পোরেট কনফারেন্সে যাচ্ছেন—একই ফ্লাইটে, একই মডেলের পুরনো প্লেন, যা এখনও নিয়মিত আপডেট পায়নি।
রাফির মাথায় তখন একটিই পরিকল্পনা। এই ফ্লাইট হবে তার প্রতিশোধের মঞ্চ।
সে গোপনে প্লেনের মেইনটেন্যান্স রিপোর্টে হস্তক্ষেপ করল, নিরাপত্তা স্ক্যান এড়িয়ে ছোট আকারের বোমা তৈরি করল—যেটা কেবল তখনই বিস্ফোরিত হবে যখন সে রিমোট সিগন্যাল দেবে।

৫. অচেনা চোখ
ফ্লাইটের দিন সকালে রাফি বোর্ডিং গেটে দাঁড়িয়ে। প্লেনে ওঠার আগে যাত্রীদের চোখে সে খুঁজে বেড়ায় সেই কর্মকর্তাদের—মোটাসোটা এক বৃদ্ধ, ধূসর স্যুটে এক মহিলা, আর চশমা পরা মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি।
তাদের পাশ কাটিয়ে যেতে গিয়ে হঠাৎ তার চোখ আটকে গেল—জানালার ধারে বসা এক ছোট মেয়ে, বয়স ছয় কি সাত, মায়ের কোলে। মেয়েটা বড় বড় চোখ মেলে জানালার বাইরে তাকাচ্ছে, যেন আকাশের সাথে তার চেনা আছে।
রাফির বুকের মধ্যে এক ধরণের ধাক্কা লাগল। ঠিক বাবার মৃত্যুর দিনের নিজের চেহারার মত লাগছে মেয়েটির মুখ।

৬. আকাশের পথে
প্লেন উড়তে শুরু করল। জানালার বাইরে নীল আকাশ আর সাদা মেঘের তুলো। যাত্রীদের হাসি, কেউ বই পড়ছে, কেউ হেডফোনে গান শুনছে।
রাফি মাঝের সিটে বসে আছে, হাতে একটি ছোট কালো ব্যাগ—যেটার ভেতরে রিমোট ডিভাইস। তার চোখ কেবল সেই তিন কর্মকর্তার দিকে, যারা সামনের বিজনেস ক্লাসে বসে। মাঝে মাঝে দৃষ্টি চলে যাচ্ছে ডানপাশের জানালার সিটে—যেখানে ছোট মেয়েটি মায়ের কোলে ঘুমিয়ে পড়েছে।
"কেন দেখছি ওকে?" মনে মনে নিজেকে প্রশ্ন করল রাফি। "আমি তো জানি না ও কার মেয়ে।" কিন্তু অদ্ভুতভাবে মনে হচ্ছে, মেয়েটির চোখে বাবাহারা শিশুর চিরন্তন ভয় লুকিয়ে আছে।

৭. প্রথম সংকেত
ফ্লাইটের দুই ঘণ্টা পর, রাফি ধীরে ধীরে ব্যাগের ভেতর হাত দিল। আঙুল ছুঁয়ে গেল ঠান্ডা ধাতুর রিমোটে। শুধু একটুখানি চাপ দিলেই… সব শেষ।
হঠাৎ কানে এল মেয়েটির হাসির শব্দ। চোখ ঘুরিয়ে দেখল, মা মেয়েটিকে ক্যান্ডি দিচ্ছে, মেয়েটি ছোট হাত দিয়ে খেলছে। এই হাসি হঠাৎ করে রাফির শৈশবের সেই ভাঙা ছবিগুলো জাগিয়ে দিল—যখন বাবা তাকে খেলনা এনে দিতেন, তারপর হঠাৎ সব শেষ হয়ে যায়।
তার বুকের ভেতর ভারি হয়ে উঠল। "আমি কি আরেকটা শিশুর বাবাকে কেড়ে নেব?"

৮. ভেতরের ঝড়
প্লেন তখন আন্দামান সাগরের উপর দিয়ে যাচ্ছে। ক্যাপ্টেন ঘোষণা দিলেন সামান্য টার্বুলেন্স হবে।
রাফি মাথা নিচু করে বসে। তার হাত কাঁপছে—এটা ভয় না দ্বিধা সে বুঝতে পারছে না। প্রতিশোধ এতদিন তার কাছে একটাই পথ ছিল, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এই পথ হয়তো অন্য কারো জীবন ভেঙে দেবে, যেমনটা তার হয়েছিল।
সে ঠিক করল—বোমাটা নিষ্ক্রিয় করে ফেলবে।

৯. বিপরীত মোড়
রাফি ব্যাগ খুলে রিমোটের প্যানেল খুলল। সার্কিট কেটে দেওয়ার আগেই হঠাৎ তীব্র ধাক্কায় প্লেন কেঁপে উঠল। কেবিনের ভেতর আলো নিভে আবার জ্বলে উঠল।
যাত্রীরা চিৎকার করছে। এয়ার হোস্টেস দৌড়ে গিয়ে ঘোষণা দিল, "ইঞ্জিনে সমস্যা… সবাই সিটবেল্ট বাঁধুন!"
রাফির মনে হল, এ কি করে সম্ভব? বোমা তো সক্রিয়ই হয়নি! সে উঠে দাঁড়িয়ে সামনের দিকে তাকাল—পাইলটের কণ্ঠ কেঁপে আসছে,
"মে ডে! মে ডে! ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেছে… নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছি…"

১০. শেষ মুহূর্ত
ছোট মেয়েটি জেগে কেঁদে উঠল, মা তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁপছে। রাফির চোখে জল চলে এল—সে কি এভাবেই বাবার মতো হারিয়ে যাবে?
সে বুঝতে পারল, প্রতিশোধের হিসাব কেউ হাতে রাখে না—জীবন নিজের মতো করে সব মিটিয়ে দেয়।
প্লেন নিচের দিকে ঢলে পড়ছে, জানালার বাইরে শুধু সাদা মেঘ আর নীল জল। রাফি ব্যাগ শক্ত করে ধরে চোখ বন্ধ করল। শেষ মুহূর্তে শুধু মনে হল—হয়তো বাবার সঙ্গে এবার দেখা হবে।

১১. ধ্বংসস্তূপের নীরবতা
একটি তীব্র শব্দ… তারপর সব নীরব।
সাগরের উপর ছড়িয়ে পড়েছে বিমানের ধ্বংসাবশেষ। সাদা লাইফ জ্যাকেট, ভাঙা সিট, ছিঁড়ে যাওয়া কাগজ… আর মাঝেমাঝে ভেসে উঠছে মানুষের কোনো হাত কিংবা অচেনা মুখ।
দুই দিন ধরে উদ্ধারকারীরা কাজ করল। ৭৩ জন যাত্রীর মধ্যে কেউ বেঁচে নেই। খবরের শিরোনামে লেখা—
“ঢাকা–সিঙ্গাপুর ফ্লাইট ৭০৯এ: ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত, তদন্ত শুরু”

১২. ব্ল্যাকবক্সের কথা
এক সপ্তাহ পরে সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হলো ব্ল্যাকবক্সের ভয়েস রেকর্ড। শেষ মিনিটগুলোয় পাইলটের সাথে কেবিন ক্রুর কণ্ঠ, যাত্রীদের চিৎকার, আর একটি অস্পষ্ট পুরুষ কণ্ঠ শোনা গেল—
"যদি পারো, এই মেয়েটাকে বাঁচাও…"
সেই কণ্ঠ রাফির।
বিশেষজ্ঞরা বলল, ক্র্যাশের আগে রাফি ককপিটে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন, হয়তো ইঞ্জিন মেরামত করতে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গিয়েছিল।

১৩. সংবাদপত্রের ফাঁকে ফাঁকে সত্যি
স্থানীয় এক সাংবাদিক তদন্ত করতে গিয়ে অবাক হয়ে গেল। খুঁজে পেল এক অজ্ঞাত টেকনিশিয়ানের নথি—যেখানে বলা আছে, এই মডেলের প্লেনে একই ইঞ্জিন ত্রুটি আগেও ঘটেছিল, কিন্তু খরচ বাঁচাতে মেরামত করা হয়নি।
যে তিন কর্মকর্তা মারা গেছে—তারা সেই অনুমোদন দিয়েছিল।
রাফি হয়তো সত্য জানত, হয়তো প্রথমে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে সে বোমা চালায়নি।

১৪. মেয়েটির ছবি
দুর্ঘটনার এক মাস পর, উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের জিনিসপত্রের মধ্যে একটি ছোট পুতুল আর এক শিশুর ছবি পাওয়া গেল। ছবির পেছনে লেখা—
"বাবা, তুমি ফিরে এলে আমি তোমাকে দেখাব আমার নতুন জামা।"
তদন্তে জানা গেল, ছোট মেয়েটির বাবা ছিলেন সেই ফ্লাইটের কো-পাইলট। সেদিনই প্রথমবার সে মেয়েকে নিয়ে উড়ছিল।
রাফির শেষ দৃষ্টি ছিল হয়তো ওই মেয়েটির ওপর—যে একদিন বাবাহারা হয়ে যাবে, যেমন সে হয়েছিল।

১৫. মায়ের কাছে চিঠি
দুই মাস পর ডাকবাক্সে রাফির মায়ের কাছে একটি চিঠি এলো—দুর্ঘটনার আগের দিন লেখা।
"মা, হয়তো আগামীকাল আমি তোমাকে ফোন করব… অথবা কখনোই করব না। যদি না পারি, মনে রেখো—আমি বাবার ন্যায়বিচারের জন্য লড়েছি, কিন্তু শেষ মুহূর্তে বুঝেছি প্রতিশোধ সব নয়। ভালো থেকো।"
মা চিঠি বুকে চেপে ধরে অনেকক্ষণ বসে রইলেন। তার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল, কিন্তু ঠোঁটে একটুখানি হাসি—কারণ তিনি জানতেন, ছেলে শেষমেশ ভালো মানুষ হয়েই বিদায় নিয়েছে।

১৬. প্রতিশোধের অর্থ
তদন্ত শেষ হলো। সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলো পুরো ঘটনা। বিমান সংস্থাটি বন্ধ হয়ে গেল, তিন কর্মকর্তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা হলো, কিন্তু তাতে রাফি ফিরল না।
মানুষ হয়তো তাকে এক সময় সন্ত্রাসী ভাবত, কিন্তু যারা সত্য জানল তারা বলল—
"সে শেষ মুহূর্তে নিজের প্রতিশোধ ছেড়ে দিয়েছিল, শুধু যাতে অন্য কারো জীবন তার মতো ভেঙে না যায়।"

১৭. আকাশের ওপারে
ঢাকার আকাশে একদিন হালকা বৃষ্টি পড়ছে। রাফির মা জানালার পাশে বসে আকাশের দিকে তাকালেন। তার মনে হল, মেঘের ওপারে ছেলে আর স্বামী হয়তো একসাথে আছে—হাসছে, কথা বলছে।
আর কোনো প্রতিশোধ নেই, শুধু মুক্তি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ফয়জুল মহী বেশ চমৎকার শুভকামনা সবসময়
Al Amin সুন্দর লিখেছেন
মেহেদী মারুফ গল্প ভালো ছিলো। বিশেষ করে রাফি যখন প্রতিশোধ নিতে চেয়েও নেয়নি। তবে প্রকৃতি ঠিকই প্রতিশোধ নিয়ে ফেলেছে। বিমান ধ্বংস হলে বিমানের যাত্রীরা মারা যায় ঠিকই, কিন্তু সারাজীবন আক্ষেপ বয়ে বেড়ায় তার পরিবার। শুভ কামনা রইলো।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

বিষয় ছিল প্লেন ক্র‍্যাশ। আর গল্পেপ্লেন ক্র‍্যাশ নিয়ে যুবকের প্রতিশোধপরায়ণতা ও পরে আপনজন হারানোর কষ্ট অন্য্রা যেন না পায় সে ঐ চেষ্টা করেছে।

০৬ আগষ্ট - ২০২৫ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "হতাশা”
কবিতার বিষয় "হতাশা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর,২০২৫