বায়ান্নর রফিক

বাংলা ভাষা (ফেব্রুয়ারী ২০১৩)

আনিসুর রহমান মানিক
  • ১০
  • ৩৭
চোখে সূর্যের আলো এসে পড়ায় ঘুম ভেঙ্গে যায় লোকটির। আস্তে করে চোখ মেলে তাকায়। সকাল হয়ে গেছে। পাশ ফিরে শোয়।
চোখ বড় করে তাকিয়ে থাকে।অবাক হয়ে যায়। তার পরিচিত জায়গা। রাতে কখন এখানে এসে শুয়ে পড়েছিল টের পায়নি।দিনের আলো তাকে অবাক করে দেয়। ঐতো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সেই হাসপাতাল আর তার সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে শহীদ মিনার।
উঠে বসে সে। চোখদুটো তার ঝাপসা হয়ে আসে। স্মৃতি হাতড়াতে থাকে।

এক্সকিউজ মি। চিন্তায় ছেদ পড়ে তার। চমকে শব্দের উৎসের দিকে তাকায়।২০/২১ বছরের এক তরুণী। পোশাক আশাকে বেশ আধুনিক বোঝা যায়।
একটু সরে বসুন। এখানে আমি বসবো। লাফ দিয়ে তার পাশে গিয়ে বসে মেয়েটি।
লোকটি বলে এখন ক’টা বাজে?
মেয়েটির ব্যাগ হতে কিছু একটা বের করে সেটা দেখে জানায়, আটটা।
লোকটি ভাবে কি আশ্চর্য অদ্ভুত রকম ঘড়ি তাও আবার ব্যাগে রেখে দেয়া। সেখান থেকে বের করে দেখতে হয়।হঠাৎ হিন্দি গানের শব্দে লোকটি চমকে ওঠে।মেয়েটি অবাক করে দিয়ে সেই ঘড়িটি কানের কাছে নিয়ে কথা বলতে থাকে। তাহলে এটি ফোন। বিষয়টা লোকটিকে যতনা অবাক করে তার চেয়ে বেশী অবাক হয় সেটিতে হিন্দি গান শুনতে পেয়ে। সাথে কষ্টও পায়।
লোকটি অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখে।
মেয়েটি মোবাইলে কথা বলছে। বাংলা ইংরাজি মিশিয়ে যার সাথে কথা বলছে জানেনা সে,ওপাশের ছেলেটি কে?
কথা শেষ হতেই লোকটি বলে আপনার ঐ জিনিষটা কি?
এটা ?মুঠোফোনটা দেখিয়ে বলে মেয়েটি।
হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ায় লোকটি।
এটা চিনেন না ? আপনি কোন জগতের বাসিন্দা ? গরীব রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে বাচ্চারা চেনে মোবাইল ফোনকে, আর আপনি এটা কি জানেননা?
লোকটি বেশ উত্তেজিত হয়ে বলে ওঠে অনেক কিছুই জানিনা, বুঝিনা। তারপর একটু থেমে বলে আমাকে আপনি চেনেন না?
আপনাকে ? যেন আকাশ থেকে পড়ল মেয়েটি। আপাদমস্তক পর্যবেক্ষণ করে বলল আপনার পোশাক আশাক দেখেতো মনে হয় না আপনি কোন বিখ্যাত ব্যাক্তি। যাকে সবাই চিনতে পারে। আর বসেওতো আছেন পেপার বিছিয়ে।
সত্যি আমায় চেনেননা ?আরও অবাক হয়ে লোকটি বলে।
হাউ ফানি।কি তখন থেকে বলছেন আমাকে চেনেন না ,আমাকে চেনেন না...
আমি হলাম রফিক । বায়ান্নর রফিক।
বুঝলাম না। তারপর একটু থেমে বলে মেয়েটি আপনি কি কোন সন্ত্রাসী কিংবা ক্যাডার।
না আমি বায়ান্নর রফিক। আপনি ছালাম ,বরকত, রফিক, জব্বারের নাম শোনেননি?
হয়তো শুনেছি কিংবা শুনিনি।কোনটাইতো বিখ্যাত নাম বলে জানিনা। সবগুলোই সেকেলে নাম।
হ্যা নাম হয়তো সেকেলে। কিন্তু মানুষগুলো ?
মানুষগুলো কি? তারা কি কোন বিখ্যাত ব্যান্ডদলের সদস্য,গায়ক,অভিনেতা ,প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ কিংবা সেলিব্রেটি কেউ ?
এসবের জবাব দিতে পারবো না। তবে এটা কি চেনেন ?শহীদ মিনার দেখিয়ে লোকটি বলে।
হ্যা শহীদ মিনার।
কি হয় ওখানে?
কি হয় মানে? ওটা একটা স্তম্ভ।


শুধুই স্তম্ভ। আর কিছু নয়। একুশে ফেব্র“য়ারী,ভাষা আন্দোলন------ এসব কিছুনা?
উফ্ , রাবিশ। আপনার সাথে আমার কথা বলতে ভাল লাগছে না।

এমন সময় মেয়েটি যার অপেক্ষাতে বসেছিল সেই ছেলেটি এসে উপস্থিত।
তাকে দেখে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে মেয়েটি।
ও এসেছো। বসো।দেখোনা রাজিব লোকটি কি আবোল তাবোল বকছে।
থাক মৌসুমি, ওসব শুনে লাভ নেই। আপনি চলে যান এখান থেকে।

লোকটি সেখান থেকে উঠে দাঁড়ায়। তারও এখানে বসে থাকতে ভাল লাগছে না।সে যে পোষ্টারটির উপর বসে ছিল সেটা সেখানে পড়ে থাকে।পোষ্টারটিতে কালো কালিতে লেখা রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই।
লোকটি হাঁটতে থাকে। মেয়েটি আর ছেলেটি বসে গল্প জুড়ে দেয়। ভালোবাসার গল্প।
হঠাৎ চিৎকার শুনে তাদের ভালোবাসার গল্পে ছন্দপতন ঘটে। সবাই দৌড়ে যেদিকে যেতে থাকে তারাও সেদিকে এগোয়। কেউ একজন গাড়ী চাপা পড়েছে। ভিড় ঠেলে তারা এগোয় আক্রান্ত পথচারীটির দিকে। লোকটি কাঁতরাচ্ছে।
একটু আগে যে লোকটিকে তারা উঠিয়ে দিয়েছিলো এ লোকটি যে সেই। তাদের মধ্যে অপরাধবোধ জাগে। লোকটিকে সেখান হতে উঠিয়ে না দিলে হয়তো দূর্ঘটনাটা হতো না।
এসব ভাবার সময় এখন নেই। লোকটিকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
তারা লোকটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।জরুরী বিভাগের নার্স বলে, লোকটির কোন পরিচয় জানেন।
মৌসুমী বলে ঠিক সেভাবে বলতে পারবো না তবে উনি বলছিলেন ..একটু থেমে নেয় সে। উনি বলছিলেন উনি বায়ান্নর রফিক।
এটা কোন পরিচয় হল। অবাক হয়ে সিস্টার মৌসুমিকে বলে। ওনার নাম ঠিকানা খাতায় লিখতে হবে যে।
ঠিক আছে আমার কেয়ার অফ লিখে দিন। আমি মৌসুমি,৩য় বর্ষ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
জরুরী বিভাগের আনুষ্ঠানিকতা সেরে ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেয়া হয় রোগীটিকে। তারা কিছু প্রয়োজনীয় ঔষধ কিনে এনে দেয়। লোকটির চিকিৎসা চলতে থাকে।
সারাটাদিনই বেশ মন খারাপ করে থাকে মৌসুমি। আচ্ছা লোকটি কে? কি বা তাকে বলতে চেয়েছিল। কোত্থেকেই বা এসেছিল ?
রাজীব সান্ত্বনা দেয়। তুমি অযথাই লোকটিকে নিয়ে বেশী ভাবছ। এরকম প্রতিদিন কত দূর্ঘটনা ঘটছে,কত্ত মানুষ মারা যাচ্ছে।
না আমি দূর্ঘটনার জন্য ভাবছি না। আমি ভাবছি লোকটি আমাকে বা আমাদেরকে কিছু বলতে চেয়েছিল। লোকটি, জানো আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বলছিল, আমাকে চিনেন না। আমি বায়ান্নর রফিক। তার পর তিনি বলছিলেন আপনি সালাম,বরকত,রফিক ,জব্বারের নাম শোনেননি?
এই থাম থামো। কি বললে রফিক, বরকত..বায়ান্ন..
হ্যা, ঠিক তাই, এসবই বলছিলেন।
রাজিব বলে, কিন্তু কি করে সম্ভব! কিছু একটা ভাবতে থাকে রাজিব।
কি ভাবছ? মৌসুমীর ডাকে সম্বিত ফিরে পায় রাজিব। আর কি সম্ভব অসম্ভবের কথা বলছ।
হ্যা তোমার মনে নেই। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্র“য়ারী ভাষা আন্দোলনের দাবীতে মিছিল হয়েছিল। মিছিলে গুলী পড়েছিল। সালাম,বরকত,রফিক, জব্বার সহ অনেকেই শহীদ হয়েছিল।
হ্যা এসবইতো ইতিহাসের কথা। কিন্তু তাই বলে উনি বায়ান্নর রফিক রফিক বলে----


হ্যা উনি সেই রফিক। যিনি শহীদ হয়েছিলেন। হয়তোবা আমাদের বাংলা ভাষার প্রতি উদাসীনতা দেখে বাংলা ভাষার অমর্যাদা দেখে আমাদের শুধরাতে এসেছিলেন। ভাষার মর্যাদা রাখতে বলতে চেয়েছিলেন। তারপর একটু থেমে বলে, তিনি কত না কষ্ট পেয়েছেন তুমি তাকে চেনোনি বলে।
আমি কি এর আগে তাকে দেখেছি যে চিনবো?
তা হয়তো দেখোনি, কিন্তু বাঙালী হিসেবে আমাদের জানার কথা তাদের মনে রাখবার কথা। শুধু শহীদ মিনার,আর একুশে ফেব্র“য়ারী কিংবা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসই সব নয়। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রয়োগ অনেক জরুরী।
আমায় ক্ষমা করো।
আমার কাছে নয়। লোকটির কাছে আমাদের ক্ষমা চাওয়া দরকার।
চলো হাসপাতালে যাই। লোকটির কাছে ক্ষমা চেয়ে বলি, তাকে চিনতে পেরেছি।
হ্যা যাওয়া দরকার। কিন্তু এই রাতে--- কাল সকালে না হয়..
না বড্ড দেরী হয়ে যেতে পারে।লোকটির অবস্থা ভালো মনে হয়নি। হয়তো রাতেও মরে যেতে পারে।
ঠিক আছে চলো।
ওয়ার্ডে ঢুকে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসে দু”জনের। যে বেডে রেখে গিয়েছিল লোকটিকে সেই বেডে অন্য এক রোগী শুয়ে আছে।
ধীরে ধীরে এগোয় বেডটির কাছে। রাজিব আস্তে করে পাশের বেডের রোগীর সঙ্গের লোকটিকে জিজ্ঞেস করে এ বেডে যে রোগীটি ছিল উনি কই?
যে উত্তর শোনার জন্য উদ্বিগ্ন মনে প্রস্তুত ছিল তারা দুজনে,সেই লোকটি,সে জবাব না দিয়ে তাদের,অবাক করে দিয়ে বলে উঠলেন,যে লোকটি শুয়ে আছেন,উনিইতো রোগী। সাতদিন হলো ঐ বেডে আছেন।
আকাশ থেকে যেন পড়লো মৌসুমি।শুধু অস্ফুট কন্ঠে বলে উঠল সে,মানে..

রাজিব বলল,সকালে যে এ্যাকসিডেন্টের এক রোগী এখানে এই বেডে ভর্তি হল মানে আমরা ভর্তি করে দিয়ে গেলাম..
কই এখানেতো আজ কেউ ভর্তি হয়নি। তারপর একটু থেমে বলে লোকটি,আপনারা হয়তো ভুল করছেন। হয়তো অন্য কোন ওয়ার্ডে অন্য কোন বেডে..
না সব ঠিক আছে। এই ওয়ার্ড, এই বেড।রাজিব মৌসুমি দুজনেই ওয়ার্ড নম্বর দেখে, বেড নম্বর দেখে।তাদের স্মৃতিশক্তি এত দূর্বল নয় যে ,ভুল হতে পারে।

তারা জরুরি বিভাগে আসে।সিস্টার ভর্তি রেজিষ্টার খুলে দেখে তাদের অবাক করে দিয়ে জানায় আজ সকালে কিংবা সারাদিন এ্যাকসিডেন্টের কোন রোগী ভর্তি হয়নি। তারা নিজেরাও খাতা দেখে। প্রতিটা লাইন ধরে দেখে। না, সত্যিইতো নেই কোন রফিক কিংবা মৌসুমির ঠিকানার কোন রোগী।
গোলক ধাঁধায় পড়ে যায় দু”জনে।দূর্ঘটনাস্থলে আসে। আশপাশের কেউ বলতে পারেনা সকালে কিংবা সারাদিনে এখানে কোন দূর্ঘটনা হয়েছিল কিনা!তারা শহীদ মিনারের পাশের সেই জায়গাটায় আসে।যেখানে পোষ্টারটা ছিল যার উপরে লোকটা বসেছিল।
না জায়গাটা পরিস্কার। দুএকজন জানালো,পড়ে থাকা কাগজ,এখানে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা কুড়িয়ে নিয়ে যায়।
কাগজ কুড়ানোর দু একটা ছেলের ঠিকানা যোগাড় করে তাদের বস্তিতে আসে দুজনে। কুড়োনো কাগজগুলো বস্তির পিছনে একখানে জড় করে রাখা।কাগজগুলো ঘাটতে থাকে তারা।একটু দূরে মধ্যবয়স্ক একজন লোকও কি যেন খুঁজছে কাগজগুলো থেকে।

লোকটির কথায় তারা চমকে তার দিকে তাকায়। আপনারা এটা খুঁজছেন?
লোকটির হাতে পোষ্টারটি,রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই।
হ্যা কিন্তু আপনি?
মৌসুমি মনে করার চেষ্টা করে, লোকটি কি সকালের সেই লোকটি। না ঠিক ওরকম না। না ঐ চেহারা,না ওরকম পোশাক।
সে কথার জবাব না দিয়ে লোকটি বলে,পোষ্টার নিয়ে কি করবেন।
না ঠিক..রাজিব কিছু বলতে নিয়েও আর বলে না।
শোনেন বাংলা ভাষায় কথা বলেন।গল্প করেন।কাজ করেন। নিজের ভাষায় কথা বলার আনন্দই আলাদা।বাংলা ভাষা অনেক সমৃদ্ধ।
আপনি জ্ঞান দিচ্ছেন কেন?মৌসুমি বিরক্ত হয়ে বলে।
আমি জ্ঞান দিচ্ছিনা। মনে করিয়ে দিতে চাচ্ছি, এ ভাষার জন্য মানুষ প্রান দিয়েছে।
আপনি কে? ভয়ার্ত কন্ঠে জানতে চায় মৌসুমি।
আমাকে আপনারা চিনবেন না। আমি বরকত,বায়ান্নর বরকত।
ঘামে দু”জনের পুরো শরীর ভিজে উঠছে।কোনমতে তারা দৌড়ে সেখান হতে সরে আসে।

হাঁপাতে হাঁপাতে বড় রাস্তার কাছে চলে আসে তারা ।সোডিয়াম বাতির আলোতে শহরটাকে অনেক সুন্দর লাগছে।বড় বড় বিলবোর্ডগুলোতে ইংরেজীতে বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে। আশপাশের দোকানগুলোতে হিন্দি গান বাজছে।নিজেই নিজেদের প্রশ্ন করে দুজনে, তাদের ভাষা কি? জবাবের অপেক্ষাতে আকাশ পানে চেয়ে থাকে তারা-------/
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
বশির আহমেদ আপনার গল্প পড়ে ভাবনায় পড়ে গেলাম । আমরা আমাদের ভাষাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছি তা উপলব্দি করার সময় এসেছে । চমৎকার লিখেছেন ।
ভালো লাগেনি ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
রোদের ছায়া আমার কাছে খুব ভালো লাগলো গল্পটি , অদ্ভুত সুন্দর গল্পের কাহিনী ....আপনার জন্য শুভকামনা ....
ভালো লাগেনি ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
তাপসকিরণ রায় উপস্থাপনা খুব সুন্দর--ভাষা ভিত্তিক গল্পটি চমৎকার লেগেছে আমার।লেখককে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
জালাল উদ্দিন মুহম্মদ প্রাণবন্ত একটা লেখা । লেখকের পর্যবেক্ষণ ও উপস্থাপন সত্যি ঈরষনীয়। ধন্যবাদ ও শুভকামনা সতত।
ভালো লাগেনি ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
মিনহাজুর রহমান জয় খুব সুন্দর লাগলো. আমার গল্পটি পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো.
ভালো লাগেনি ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন চমতকার ভাবে বুঝিয়ে দিলেন, আমাদের কী মনে রাখা উচিৎ, কী করা উচিৎ। খুব ভাল লাগল। শুভেচ্ছা রইল।
ভালো লাগেনি ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
আহমেদ সাবের বরাবরের মতোই সুন্দর, ছিমছাম সাবলীল একটা গল্প। মৌসুমির মতো সবার কাছেই যদি আবার ভাষা শহীদেরা ফিরে আসতেন, তবে আমাদের হয়তো বোধোদয় হতো। বেশ ভালো লাগলো গল্প।
ভালো লাগেনি ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
সূর্য রফিক, বরকত ফিরে এলো যেন চপেটাঘাত করে মনে করিয়ে দিতে, শুধু শহীদ মিনার আর পোস্টার মিছিলে নয় বাংলার চর্চা করতে হবে ঘরে বাইরে অন্তরে মননে। অনেক সুন্দর আবেগী গল্পের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ভালবাসা (ভোট দেয়ার অপসন তো আর খুলবেন না তাই ভালবাসা দিয়েই ধন্য হই)।
ভালো লাগেনি ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
ভালবাসার চাইতে আমার কাছে অন্য কোনো কিছুর মুল্য নাই / ধন্যবাদ সূর্য /
ভালো লাগেনি ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
মিলন বনিক মানিক ভাই...অসাধারন আর ঘুণে ধরা সমাজটাকে বদলানোর জন্য এক অপূর্ব অনুভুতি আর আবেগ দিয়ে চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন...আমাদের সমাজে যেন এই শিক্ষাটায় কাজে লাগে.....
ভালো লাগেনি ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
এফ, আই , জুয়েল # সুন্দর গল্প । এর শিক্ষনীয় দিকটা চমৎকার । = ৫ দিলাম ।।
ভালো লাগেনি ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

২০ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪