অসমাপ্ত

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী (নভেম্বর ২০১২)

আনিসুর রহমান মানিক
  • ২২
  • ৩৭
এতক্ষন চোখমুখ বেঁধে রাখায় যে কষ্টটা পাচ্ছিল ইমরান চোখ খুলে দেয়াতে সে কষ্ট থেকে অনেকটা মুক্ত হল সে। ঘরে তীব্র আলো। সে আলোর ঝলকানিতে তাকে আবার চোখ বন্ধ করতে হল। এটা মনে হয় অনেকক্ষন চোখ বন্ধ রাখার কারনে হয়েছে। তার মুখের বাঁধনটাও খুলে দেয়া হল।
কতক্ষন এভাবে চোখমুখ বাঁধা অবস্থায় ছিল সেটা সে বলতে পারবেনা। হয়তো দুই ঘন্টা,১২ ঘন্টা কিংবা তারও বেশী। তাকে কেন অপহরণ করা হয়েছে সেটা সেও জানেনা। গাড়ীতে তোলার পরই তার মুখ চোখ বেঁধে ফেলা হয়। সে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করেছে লাভ হয়নি। ৪/৫ জন ছেলের সাথে সে একটা ১৬ বছরের কিশোর কি করে পারবে! তাই অসহায়ভাবে আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়েছে। সে ছটফট করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে হয়তো কিছুটা সময় ঘুমিয়েও পড়েছিল।
আবার আস্তে আস্তে চোখ খোলার চেষ্টা করে ইমরান।৪/৫ বারের বার সে সফল হয়।ঘরে তীব্র আলো জ্বলছে। কিছুটা দূরে তার সামনে বসে আছে বয়স্ক মতন এক লোক। তার দাঁড়িগোঁফ চুল সবকিছুই সাদা। চুল উসকো খুসকো। ঘরে তার পাশে দাঁড়ানো দুটো লোক। ঠিক লোক না বলে ২৮/৩০ বছরের যুবক বলাই ভালো। ইমরান মনে করার চেষ্টা করে এরা তাকে অপহরণ করার সময় ছিল।
এ ক"জন ছাড়া ঘরে অন্য আর কেউ নেই।
বৃদ্ধ লোকটি সাথের ছেলেদুটোর দিকে তাকিয়ে বলে, ওকে কিছু দেয়া হয়নিতো?
-না স্যার।
ইমরান ভাবে কি দেয়ার কথা জানতে চাচ্ছে লোকটি।
-কোন কেমিকেলস ইভেন এনি মেডিসিন লাইক সিডেটিভস ?
-না স্যার। কোন ঔষধ প্রয়োগ করার প্রয়োজন পড়েনি।
ইমরান সাথের ছেলেদের দিকে তাকিয়ে বিরক্ত হয়ে বলে,তোমরা আমায় ধরে এনেছো কেন ? আমি এখন কোথায়?
বৃদ্ধ লোকটি হেসে জবাব দেয়,শান্ত হও খোকা। তোমার কোন ভয় নেই।
-আমিতো তোমদেরকে চিনিনা। এখানে কোথায় এনেছ আমায়?
-চিনবে আস্তে আস্তে সবার সাথে পরিচিত হবে। এত অস্থির হচ্ছো কেন? অনেক লম্বা সময় জার্নি করেছো তুমি ক্লান্ত ,খাও দাও বিশ্রাম নাও। তারপর সব কথা হবে।
-আমি বাড়ি যাবো।আমায় ছেড়ে দাও। চিৎকার করে কেঁদে ওঠে ইমরান।
তার ঘাড়ে হাত রাখে সাথের ছেলের একজন।
লোকটি বলে,ইউ আর এ ব্রিলিয়ান্ট, সাহসী ছেলে।তুমি শান্ত হও।
লোকটি কথার মাঝে মাঝে ইংরাজী কথা বলছে। সেটা ইমরানের একদম অপছন্দ।তার ইচ্ছে করছে লোকটির মুখের উপর থু ছিটিয়ে দেয়। একেতো তাকে ধরে এনেছে তার উপর ইংরেজী ফলাচ্ছে। যেন সে এক মহাজ্ঞানী।
ইমরান বুঝতে পারে সহজে সে এখান হতে মুক্ত হতে পারবেনা। সে পালানোর বুদ্ধি বের করতে থাকে।সে জানেওনা এ জায়গাটা কোথায়। নিশ্চয়ই তার বাবা মা আত্মীয় স্বজন বন্ধুরা তাকে খুঁজছে ,তারা কষ্ট পাচ্ছে।

আবারও কিশোর অপহরন। অধিকাংশ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। বিস্তারিত সংবাদে বেশ গুরুত্ব সহকারে লেখা হয়েছে গত এক মাসে দেশের বিভিন্নস্থান হতে এ নিয়ে ৮/১০ জন কিশোর কিশোরী অপহৃত হল।অথচ আশ্চর্যের বিষয়,অপহরনকারীরা তাদের পরিবারের কাছে মুক্তিপন দাবী করেনি। পুলিশ ,গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়টি তদন্ত করছে। তারা সবগুলো বিষয় একসূত্রে গাঁথা কিনা সেটাও তদন্ত করে দেখছে। অপহরনকারীদের উদ্দেশ্যই বা কি সেটা নিয়েও বিভিন্ন টকশোতে আলোচনা হচ্ছে। কেন শুধুমাত্র কিশোর কিশোরীরা অপহৃত হচ্ছে । প্রত্যেকেই যে ধনী পরিবারের সন্তান তা নয়। কিংবা তারা প্রত্যেকেই যে রূপে গুনে সেরা সেটাও নয়। তাহলে কেনই বা তারা অপহৃত হচ্ছে। বিষয়টি সরকারকেও উদ্বিগ্ন করে তুলছে। কারা এই অপহরনকারী? তাদের গডফাদার কে?
-হ্যালো ফাদার/
-কিছু বলবে?টেবিল থেকে মাথা উচু করে তাকায় বৃদ্ধ লোকটি।
-আমার ক্ষুধা পেয়েছে।
-ও এসো বসো পাশে।
ক্লান্ত শরীরে বৃদ্ধ লোকটির পাশে গিয়ে বসে ১৫/১৬ বছরের কিশোর মামুন। তাকে দেখে মনে হচ্ছে এইমাত্র সে ঘুম থেকে উঠলো।
বৃদ্ধ লোকটি পাশের তাকে রাখা বোতলগুলোর মধ্য থেকে নীল রঙের পানীয় একটা গ্লাসে দিয়ে তাকে খেতে দিল।
মামুন গোগ্রাসে সেটুকু শেষ করে ফেলল।
বিছানায় এসে শুয়ে পড়ল মামুন।ষ্টেথোস্কোপ দিয়ে তার বুক পরীক্ষা করলেন ডাঃ সাদেক। পালস দেখলেন। এসে বৃদ্ধ লোকটিকে বললেন,সব ঠিক আছে।
-নতুন ছেলেটি কোথায়?
চিকিৎসক জবাব দিলেন,কাউন্সেলিং রুমে।
-এখনও কাউন্সেলিং শেষ হয়নি?
-শুরুই করতে পারেনি।সে শুধু কাঁদছে আর বাড়ি যেতে চাইছে।
একটু থেমে বৃদ্ধ লোকটিকে ডাঃ সাদেক বলে, ওকে কি কোন ঘুমের ঔষধ কিংবা কোন ট্রাংকুইলাজার দেবো?
-না না এটা করা যাবেনা। তাতে হিতে বিপরিত হতে পারে। আমাদের গবেষনা সেটা সমর্থন করে না।
-তা অবশ্য ঠিক কিন্তু-----
-কোন কিন্তু নয়। তাকে কাউন্সেলিং করতে হবে। তাকে বুঝাতে হবে। বুঝিয়ে তবেই না আমাদের কাজ শুরু করতে হবে। জোর করে করা যাবেনা। আবার ওকে ছেড়ে দেয়াও যাবেনা। এতে আমাদের গবেষনা ব্যাহত হবে। এমনকি চিরতরে বন্ধ হয়েও যেতে পারে। আমাদের গবেষনা সাফল্য না পাওয়া পর্যন্ত অব্যহত রাখতে হবে।


-হ্যালো স্যার আসতে পারি?
-এসেইতো পড়েছ।বলো কি বলবে?
আগন্তুক ছেলেটির দিকে তােিকয়ে বৃদ্ধ লোকটি বলে।
-আমরা কি অপারেশনে যাবো?
-কজন হয়েছে?
-১০ জন।
-আপাতত আর নয়। এগুলোই আপাতত যথেস্ট। আর সরকার,মিডিয়া যেভাবে আমাদের পিছে লেগেছে। তাতে আমাদের তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে আর কিছু করা যাবেনা। এর চেয়ে তোমরা কিছুদিন লুকিয়ে থাকো। কারো কাছে ধরা দিয়ো না। এখানেও থাকতে পারো।
-ঠিক আছে। ছেলেটি ফিরে যায়।

ইমরানের ঘুম পাচ্ছে। যে চেয়ারটায় বসে আছে তার পাশেই দুটো লোক।
-তুমিতো অনেক ভালো ছেলে। লক্ষী ছেলে তাইনা ইমরান।
বিরক্তি ভাব নিয়ে তাকিয়ে থাকে ইমরান। মনে মনে সে অবাক হয় তার নাম তারা জানলো কিভাবে?তবে কি তার পরিচিত কেউ তাদের দিয়ে অপহরন করিয়েছে?
সে অবাক হয়ে বলে, আচ্ছা সত্যি করে বলতো তোমরা কারা?তোমরা আমার নাম জানলে কি করে?
-হ্যা এটা বলতে পারো,আমরা তোমার নাম জানলাম কি করে?
একটু থেমে লোকটা বলে এখানে যে দশজন ছেলেমেয়ে দেখছো। সাতজন ছেলে তিনজন মেয়ে। এদের সবার নাম জানি। আমরা অনেকদিন থেকে তোমাদের অনুসরন করেছি। তোমাদের আচার আচরন, চালচলন পর্যবেক্ষন করেছি। যখন আমাদের সবকিছু মিলে গিয়েছে তখনই তোমাদের তুলে নিয়ে আসা হয়েছে।আরো অনেক কিশোর কিশোরীদের পর্যবেক্ষন করা হয়েছে। কিন্তু তারা পাশ করতে পারেনি। তাই তাদের আনা হয়নি।
তোমরা সৌভাগ্যবান এটা বলতেই হবে।
লোকটির কথা কেড়ে নিয়ে ইমরান বলে,তোমরা আমাদের ধরে এনেছো আর বলছো আমি সেই সৌভাগ্যবান। কান্নাজড়িত কন্ঠে ইমরান বলে,তোমরা আমায় ছেড়ে দাও।তোমরা যা চাও আমি দেব। আমার বাবা মা অনেক চিন্তা করছ্।ে তোমরা আমায় বাবামার কাছে পাঠিয়ে দাও।
-শোনো ইমরান, তুমি বৃদ্ধ হতে চাও?
-মানে?
-মানে তুমি কি তোমার বয়স ধরে রাখতে চাওনা?
-ঠিক বুঝলাম না।
-তুমি কখনো বুড়ো হতে চাওনা। এমনকি তোমার কৈশোর সময়টাও অতিক্রম করতে চাওনা।অর্থাৎ তুমি চিরকাল কৈশোর থাকতে চাও।
-কেন এসব বলছো?
-তুমি ঠিক করে বলোতো তুমি তোমার বন্ধুদের কাছে মাঝে মধ্যেই এ কথাটা বলতে না?
-হ্যা বলতাম। এটাইতো সবাই চায়?
-না সবাই চায় না। অনেকেই বড় হতে চায়। বড় হলে স্বাধীনভাবে চলতে পারবে,বড় চাকরী হবে। গাড়ী বাড়ি হবে, বিয়ে করে সংসার করবে---
-হ্যা এটাইতো স্বাভাবিক।
-কিন্তু তুমি কৈশোরকে ধরে রাখতে চাও।
-এত জটিল কথা আমি বুঝিনা। কেন ধরে এনেছো সেটা বলো।
-তোমার ইচ্ছা পূরণ করতে।
-আমার ইচ্ছা মানে?
-তোমার কৈশোর ধরে রাখতে। এখানে যাদের নিয়ে আসা হয়েছে তাদের অন্য অনেক বিষয়ের সাথে এই একটা বিষয়ে অনেক গভীর মিল আর তা হলো সবাই কৈশোর ধরে রাখতে চায়।মনে প্রাণে একান্তভাবে।
-তবে কি এটাই আমাদের কাল হল?
-তোমাদের কাল হলো কিনা জানিনা,তবে আমাদের বেশ উপকার হলো। বেশ কয়েকবছর ধরে আমরা ছয়জন বিজ্ঞানী মিলে গবেষনা করছিলাম কিভাবে মানৃুষের বয়স আটকে রাখা যায়?গবেষনা মোটামুটি শেষ পর্যায়ে এসেছে। এখন শুধু ব্যবহারিক প্রয়োগ বাকি।
-তবে আমরা কেনো ? কত প্রাণী পশু ছিল।
-আমাদের এটা শুধুমাত্র মানুষের জন্য,অন্য প্রাণীর বয়স আটকে রেখে আমাদের কি লাভ?
-ও আল্লাহ! আমায় তোমায় ছেড়ে দাও। আমি সারাজীবন কিশোর হয়ে থাকতে চাইনা।
-আমরা তোমায় ছেড়ে দেব।অবশ্যই ছেড়ে দেব। এখানে কিছুদিন থাকতে হবে। কিছু ঔষধ প্রয়োগ করা হবে। তার পর এখানকার ফলাফল পজেটিভ হলে তোমাদের প্রকৃতির আলো বাতাসে ছেড়ে দেয়া হবে। তখন তোমরা চিরযৌবন প্রাপ্ত হয়ে ঘুড়ে বেড়াবে।

চেয়ার ছেড়ে উঠতে গিয়ে দাঁড়াতে পারেনা ইমরান। পা দুটো তার অবশ হয়ে থাকে। বুঝতে পারে তার শরীরে ইতোমধ্যে ঔষধ প্রয়োগ করা হয়েছে।
তাকে বিছাানায় শুয়ে দেয়া হয়।।
ধীরে ধীরে সে অন্য আর নয়জন কিশোর কিশোরীর মত বিজ্ঞানীদের অনুগত হতে থাকে। তারা যা বলে তাই করে। সে লক্ষ্য করে তার চোখের সামনে এখানকার লোকগুলোর বয়স বেড়ে যেতে থাকে। কিন্তু তারা একই রকম থাকে। তাদের শরীরের পরিবর্তন হয়না। সেই লোকগুলো অনেক বৃদ্ধ হয়ে যায়।এরই মধ্যে দু"জন মারাও যায়।
তারা নিজেদের চিনতে পারে। তাদের স্মৃতি অটুট থাকে। কিন্তু তারা বুঝতে পারেনা তারা এখানে কতদিন কতবছর ধরে আছে।তারা প্রকৃতিতে ফিরে আসতে চায়।সেইসব বিজ্ঞানীরা তাদের প্রতিশ্রুতি দেয় তাদের ছেড়ে দেয়া হবে প্রকৃতিতে।
প্রচন্ড এক ঝাকুনি হয় ল্যাবরেটরী রুম জুড়ে।ভেঙ্গে যেতে থাকে রুমের জিনিসপত্রগুলো। ওদের মধ্যে কেউ কেউ চিৎকার করে ওঠে ভুমিকম্প।
মাটি ফেটে যায়। প্রায় সবাই মরে যায়। বাইরের আলো মাটির ফাঁক দিয়ে ঘরে ঢোকে। প্রকৃতির বাতাস এসে লাগে তার শরীরে। বুক ভরে শ্বাস নেয়।ঘরের কোণে পড়ে থাকা ভাঙ্গা আয়নায় নিজেকে দেখে চমকে ওঠে ইমরান। তার মুখের চামড়া ঝুলে গেছে।মাথার চুল দু"একটা যাও আছে সাদা হয়ে আছে। অনেকগুলো দাঁত নেই।হাতের দিকে তাকিয়ে চমকে ওঠে। চামড়াগুলো ঝুলে গেছে। নিজেকে দেখে ষাট বছরের বৃদ্ধ মনে হয় তাকে। একটু আগে যে কিশোর ছিল মুহুর্তেই প্রকৃতির আলো বাতাস পেয়ে সেই কিনা বৃদ্ধ হয়ে গেল। ডুকরে কেঁদে উঠে সে। এ আল্লাহ একি হল!বিজ্ঞানীদের অসমাপ্ত গবেষনার ফল হয়তো এটা।
অনেক কষ্টে বের হয়ে আসে সেখান থেকে।সাথের সবাই মারা গিয়েছে। রাস্তাঘাটগুলো অচেনা লাগতে থাকে ইমরানের। হাঁটতে তার কষ্ট হয়। বিশাল বিশাল অট্টালিকা।প্রশস্ত রাস্তা। এ যে তার পরিচিত শহর কিংবা দেশ নয়। সে অন্য কোন দেশে নেইতো। না। সাইনবোর্ডগুলোতে বাংলায় দেশের নাম দেখে খুশীতে তার মন ভরে যায়। না সে নিজের দেশেই আছে। কিন্তু শহরের নামটা দেখে চিনতে পারলো না। এত পরিচ্ছন্ন শহর। নিজের দেশটা এত সুন্দর হয়ে গেছে। কিন্তু পরক্ষনেই তার মনটা ভার হয়ে যায়। এতো তার পরিচিত শহর নয়। সে কি করে চিনবে তার বাড়ি ঘর। তার পাড়া। তার আত্মীয় স্বজনকেই বা চিনবে কি করে!কত বছর যে মাটির নীচের সেই ঘরগুলোতে ছিল কে জানে?২৫ বছর ৩০ বছর কিংবা তারও বেশী। এখনতো সে একজন পুরোপুরি বৃদ্ধ মানুষ। তার আত্মীয় স্বজনই বা তাকে চিনবে কি করে! তার বাবা মা নিশ্চয়ই অনেক আগে মারা গিয়েছেন। তার ভাইবোন----- তারাও নিশ্চয়ই বুড়ো হয়ে গেছে। তাদের হয়তো নাতি নাতনি আছে। তারওতো একটা সুস্থ সুন্দর স্বাভাবিক জীবন হতে পারত। কিছু বিজ্ঞানীর খেয়ালখুশীর কারনে তার জীবনটা এরকম হয়ে গেল। হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে সে।
সে কি রাষ্ট্রকে জানাবে ?তার কথা। বিজ্ঞানীদের কথা। আজ হতে বেশ অনেক বছর আগে হারিয়ে যাওয়া কিশোরকিশোরীদের কথা। তারা কি বিশ্বাস করবে তার কথা। হয়তো ,হয়তোবা নয়। আকাশের দিকে তাকায় ইমরান। বৃদ্ধ ইমরান। তার এখন বিশ্রাম দরকার। খাবার দরকার। দু"জন পুলিশ দৌড়ে আসে তার কাছে। এভাবে রাস্তার ধারে ফুটপাথে বসে থাকা অন্যায়।তারা তার পরিচয় জানতে চায়। সে কি বলবে বুঝতে পারেনা। একটা গাড়ী এসে দাঁড়ায় তার কাছে। তারা ইমরানের কথা বিস্তারিত শোনার আগেই তাকে প্রবীন নিবাসের গাড়ীতে তুলে দেয়। তার গন্তব্য হয় বৃদ্ধ নিবাসে। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকে ইমরান। অবাক হয়ে আপনমনেই বলে উঠে এত্ত সুন্দর শহর। তার দু"চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়তে থাকে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ মানিক ভাই মুগ্ধ হলাম !
ঐশী অসম্ভব ভাল লাগলো আনিস ভাই ! খুব খুব সুন্দর লিখেছেন ।
সূর্য চমৎকার গল্প। কল্পনায় ভিন্নতা বেশ ভাল লাগল।
তানি হক ভাইয়ার সব সময় ভালো লিখেন ...খুব ভালো লাগলো গল্পটি ...সুভেচ্ছা নিবেন ...
আহমেদ সাবের নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে চির-যৌবন প্রাপ্ত ইমরানের পরিবর্তিত পরিবেশে ( ভূমিকম্পের পর) বৃদ্ধ হয়ে যাবার গল্প। "নিজেকে দেখে ষাট বছরের বৃদ্ধ মনে হয় তাকে। একটু আগে যে কিশোর ছিল মুহূর্তেই প্রকৃতির আলো বাতাস পেয়ে সেই কিনা বৃদ্ধ হয়ে গেল। ডুকরে কেঁদে উঠে সে। এ আল্লাহ একি হল!বিজ্ঞানীদের অসমাপ্ত গবেষণার ফল হয়তো এটা। "। খুব সুন্দর একটা থিম। সাবলীল লেখা। বেশ ভাল লাগলো গল্প।
এশরার লতিফ আপনার গল্প ভালো লাগলো...থিমটা ভিন্ন.....
রোদের ছায়া খুব সুন্দর লিখেছেন কাহিনীর শুরু থেকে পরিনতি সবই দারুন ভাবে গল্পে এসেছে ........ভালো লাগলো ......
মিলন বনিক কল্পনার ভিন্নতায় অভিনবত্ব পেলাম....সুন্দর সাবলীল গল্পটা স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে গেল বলে অনেক ভালো লাগল...শুভ কামনা...
মোহাঃ সাইদুল হক দারুণ লিখেছেন। ভিন্ন রকম একটা আইডিয়ার জন্য শুভেচ্ছা নিন। শুভ কামনা রইলো।
ওবাইদুল হক সুন্দর লেখা আরো ভাল লেখা আশা করছি ।

২০ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪