ডিভোর্সী আমিনা

পরগাছা (আগষ্ট ২০২৫)

Mst Shahanaz Begum
  • 0
  • ৬০
আমিনা এখন ডিভোর্সী-ওর স্বামী ওকে দিয়েছে ছেড়ে
জীবনখানা তাই পরগাছার মত পড়েছে নূয়ে।
নাওয়া নাই খাওয়া নাই দিনরাত কান্না
দূচোখে বহিছে শুধু অশ্রুর বন্যা ।
সাথে আছে তিন তিনটি ছেলেমেয়ে কোথায় পায় ভাত কাপড়
কে দেয় স্নেহ মমতা কে দেয় একটু আদর !
ওষধপথ্য পায় কোথা লেখাপড়াটাও দরকার
একটি মানুষ বিনা একটি পরিবার ছারখার ।
বাবা ওদের বিয়ে করেছে পরকিয়ায় মেতে
যা কিছু কামাই রোজগার যায় ওর পেটে ।
ছিড়ে ফেলেছে আমিনার বিয়ের বন্ধন যেন আগাছার ডগা
ভুখাফাকা পড়ে রইল আমিনা হতভাগা।
বয়স যখন দশ কি বারো সবে ভূলেছিল পুতুল পুতুল খেলা
তাতেই তার বিয়ে হয়েছিল পড়ালেখায় করে হেলা ।
পর তো আর নয় - আপন চাচাত ভাই
ভেবেছিল পিতামাতা, এই বুঝি সুখের ঠাঁই।
অটুট রহিবে চিরোদিন আত্মীয়তার বন্ধন
যতদিন রহিবে আমিনার বুকে স্পন্দন।
বাপ মা এখন মরে গেছে আছে শুধু ভাই
এই ভাইয়েই তার একমাত্র ঠাঁই এ ছাড়া আর কেউ নাই।
পরের গোগ্রাসে থাকাটা কেমন কেমন যেন তার লাগে
মনটা খুবই খারাপ হয় ভাবিটা যখন রাগে।
ভাইয়ের বউয়ের মুখ ঝামটার চেয়ে বিষ খাওয়া বেশ ভালো
প্রতিটি মূহূর্তে আমিনা নিভিয়ে দিতে চায় জীবনের আলো।
মরণ নামের সেরণ মালা নিত্য হয়েছে সাথী
বলে- হয়না কেন এ দেহে একটি মরণ ব্যাধি ।
ধরে না কেন ভুত আজরাইল কি তারে চেনে না !
তবে কি খোদা ভালবাসে না ?
জীবিকার অন্বেষণে আমিনা ঢাকায় দিয়েছে পাড়ি
সে এখন কাজ করে পরের বাড়ি বাড়ি।
পরের বাড়িতেই খায় দায় পরের বাড়িতেই ঘুমায়
কাজের বিনিময়ে করে পরের মন জয় ।
এমোনি অনেক পরজীব রমনী ঢাকায় জমিয়েছে ভীড়
নাই তাদের জীবনের সংকূলান নাই কোন নীড়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি ওষধপথ্য পায় কোথা লেখাপড়াটাও দরকার একটি মানুষ বিনা একটি পরিবার ছারখার । ওষধপথ্য না হবে ঔষধপথ্য। সে যাই হোক স্বামী ছাড়া একজন মহিলার করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে । ভালো হয়েছে।
ফয়জুল মহী খুবই সুন্দর লিখেছেন।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

আমিনা এখন ডিভোর্সী-ওর স্বামী ওকে দিয়েছে ছেড়ে জীবনখানা তাই পরগাছার মত পড়েছে নূয়ে।

১৩ সেপ্টেম্বর - ২০২৪ গল্প/কবিতা: ৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“সেপ্টেম্বর ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী