জীবনের পচ্ছদপটে এসেছে হাজার বিকেল বেলা হয়না তো আর সে দিনের মত অমন মজার খেলা।
সে দিন বাবা ছিল পাশে, ছোট্ট নদীর ঘাটে বৈশাখী মেলাটায় কত যে মজা করেছিলাম লেখা যাবে কি অত কবিতার খাতাটায়?
এ খাতা বড় নয় তো অত আমার বাবার মনটা যত এ খাতা তুচ্ছ অতি সেই হাসি মাখা মুখ আহা কি যে সুখ তুমি দেখতে যদি।
সেখানে না ছিল একফোটা রাগ না ছিল কার্পণ্য না ছিল মান অভিমান না ছিল অমান্য।
সহসা বেজে উঠেছিল ঢোল তবলা বাবা হুড় ঠেকিয়ে এনেছিল আমার পুতুল নাচ দেখিয়ে।
পাক চরকি ওঠা কি যে মজা না।
না চড়লে তা বুঝবানা।
জিলাপি মুড়ি বাতাসা যত পারবি তত খা লাল টুকটুকে তরমুজ মায়ের জন্য কিনেছি সখের হাঁড়ি ছবি আঁকা লাল সবুজ।
টেপা পুতুল সঙ্গে নিয়ে বাবার হাতে রেখে হাত আরো অনেক দাবি নিয়ে ফিরেছি সারাটি পথ।
আজ বাবাও নাই দাবিও নাই আছে শুধু স্মৃতি ছেলেবেলা হাতছানি দেয় ডাক দিয়ে যায় সে নদী।
ফিরিবার পথ খুঁজি অবরুদ্ধ করেছে সত্যের সীমানা যেতে হবে সম্মুখে পিছনে ফিরতে মানা।