চিরমন্যু অন্তরে

অভিমান (এপ্রিল ২০২৪)

সাফি
মোট ভোট ১৬০ প্রাপ্ত পয়েন্ট ৫.৩৫
  • ২৭
  • ২৪৩
‘এইযে মশাই,
এখন বুঝি আর আগের মত অভিমান করেন না?’
‘কে বলেছে করি না?
হয়তো ধরো,
আটটা বাজতে আর এক মিনিট বাকি,
এখনো মাধবী রাতের ঘুমটা কাটেনি।
ইচ্ছে করে-তোমার হাতের এক কাপ চায়ে কম্বল ছেড়ে অফিসের জন্যে বের হতে।
কিন্তু কই পাই চিনি বেশি দেওয়া এক কাপ চা?
আর কই পারি তোমার আমোদ বাণে প্রলয় তুলে বেহায়া ঘুমটাকে তাড়াতে?
তাই অভিমান হয় ।

হয়তো ধরো,
বিরক্তিকর ফাইল গুলোর উপর নিজের যথেষ্ট বিদ্যে খাটানো হয়ে গেছে
কয়েক মিনিটের ফুরসত
ভাবি এই বুঝি ফোনের স্ক্রিনে ভেসে উঠবে তোমার ছবি
উপরে লেখা 'বুড়ি'; আমি তাকিয়ে থাকব,
মুখে স্বস্তির হাসি,
আগন্তুক কলার টিউনটা না হয় প্রলাপ করলো কিছুক্ষণ
কিন্তু কই আসে তোমার চিত্তবৃত্তে আবদ্ধ যান্ত্রিক ফোন কল?
আর কারে বলি মনের বজ্রসংঘাতগাথা?
হতচ্ছাড়া ফোনটা ব্ল্যাকআউটের ভং ধরে থাকে,
তাই অভিমান হয়।

হয়তো ধরো,
খালি পেটে ছুটতে ছুটতে বেজায় ক্লান্ত,
কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম।
তোমার নিজের হাতে নকশা করা সাদা রুমালটার খোঁজে-
পকেট হাতড়াতেই টের পাই,
রুমাল কেন, এক টুকরো কাগজ ও নেই ওতে।
কিন্তু কই?
ফেলেও তো আসিনি নিজের ছোট্ট ঘরটাতে।
আসলে ওমন একখানা রুমাল আমার কাছে নেই,
তাই অভিমান হয়।

হয়তো ধরো,
আজ নয়া ফাল্গুনের দিবালোকে স্বাগত বইমেলা
অন্তরের পাণ্ডুলিপির প্রথম প্রত্যয়ন
আমার পাশে তুমি,সাদা অফসেট এ পাতা ওল্টাচ্ছো
এদিকে আকুল আমি হারিয়ে নিজেকে
তোমার কেশাঞ্জলির সুরভীতে।
কিন্তু কই পাই সময়রেখার মাঝে দু-দন্ড বিশ্রাম?
আর কই পারি তোমার অস্তিত্বের পুরোটা জুড়ে নিজেকে খুঁজে পেতে?
তাই অভিমান হয়।

হয়তো ধরো,
কিছু এলোমেলো শব্দ আর হাজার কাটাকুটির পর,
একটা কবিতা লিখে তোমাকে দিয়েছি
সবার উপরে থাকল তোমার নাম।
তুমি নিলে,
কিন্তু কই পাই তোমার শ্যামস্নিগ্ধ মুখের শুভ্র হাসি?
আর কই পারি কবিতার লাইনগুলো বেঁধে রাখতে?
এক এক করে সব ভেঙে পড়ে,আমার মন ভাঙে
তুমি ভেঙে দিলে
তাই অভিমান হয়।

তোমাকে ভুলে ফিরি আমি প্রতিক্ষণ।
তার চেয়েও বেশিবার মনে করি তোমাকে
বেঁচে যাওয়া পার্থক্য টুকু শুধু ভুলতে পারি না কখনোই
অমৃত যে,
যেমন করে এই অভিমানী হৃদাম্বরের সত্য আখ্যানে তুমি।’
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ মাইদুল সরকার অভিনন্দন।
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ
Jamal Uddin Ahmed আপনার মন্যু হবার দরকার নেই। আপনি হর্ষের চাষ করুন। হবে। আমি আশাবাদী। অনেক আশীর্বাদ।
ধন্যবাদ কবি।আসলে বিরহী মন নিয়ে লেখালেখির সূচনা। এজন্য হর্ষের আবাদে রিক্তের বেদনা গুলো আগাছা রুপে জন্ম নিয়ে ফেলে। কখনো সে আগাছা কাঙ্খিত ফসলের চেয়ে বেশি গুরুত্ব লাভ করে আবার কখনোবা অভিশাপ বাণে জর্জরিত করে আমাকে।আপনার আশাকে সাধুবাদ জানাই।এভাবেই পাশে থাকবেন।
মাহাবুব হাসান দারুণ লাগল!
উৎসাহ পেলুম।পাশে থাকার জন্য অনুরোধ রইলো।
সাইফুল সজীব এক কথায় মুগ্ধ।।।
ধন্যবাদ সজীব ভাই!উৎসাহ পেলুম।এভাবেই পাশে থাকবেন।
মোঃ মাইদুল সরকার আপনার প্রথম কবিতা পাঠ করলাম। সুন্দর শব্দ চয়ন আর উপমা ভাল হয়েছে। চলতে থাকুক লিখনী।
উৎসাহ পেলুম।পাশে থাকার জন্য অনুরোধ রইলো।
মোঃ ফরহাদ হোসেন খুবই সুন্দর সৃষ্টি
ধন্যবাদ!উৎসাহ পেলুম।
মোঃ ফরহাদ হোসেন অনন্য সৃষ্টি
সাবিক অত্য আপনার শব্দচয়ন অনেক সুন্দর, নতুন কিছু শব্দ দেখতে পেলাম,ভালো লাগল।
আমি নতুনত্বে বিশ্বাসী, ধন্যবাদ আপনাকে।
Tiasa Kabir আমি মুগ্ধ!
ধন্যবাদ!উৎসাহ পেলুম

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

‘এইযে মশাই, এখন বুঝি আর আগের মত অভিমান করেন না?’

১২ মার্চ - ২০২৪ গল্প/কবিতা: ২ টি

সমন্বিত স্কোর

৫.৩৫

বিচারক স্কোরঃ ২.৬৮ / ৭.০ পাঠক স্কোরঃ ২.৬৭ / ৩.০

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪