আবছা আবছা বাবার স্মৃতি

বাবা (জুন ২০১২)

জাবেদ ভূঁইয়া
  • ১৯
  • ১৭
বাবাকে আমার মনে পড়ে ঠিকই ।কিন্তু স্পষ্ট নয় ।কেমন যেন ধোয়াটে ধোয়াটে একটা স্মৃতি ।কয়েকটা স্মৃতি অবশ্য বেশ স্পষ্ট ।
তখন আমার বয়স তিন কি চার ।বাবার কাঁধে চড়ে প্রতিদিন সকালে বাজারে যেতাম ।
ছোট্ট একটা দোকানে প্রতিদিন ভাজা হত গরম গরম পরোটা ।বাবার কোলে চড়ে সেখানেই ঢুকতাম আগে ।
বাবা খাইয়ে দিত ।আর কত বায়না ধরতাম ।হয়তো পরোটার টুকরো একটু বড় হয়ে গেছে ,বলতাম বড় করে দিলে খাবনা ।
তখন ছোট করে নিয়ে মুখে তুলে দিতেন ।কখনও বা আবার বায়না ধরতাম ,এটা বেশি ছোট ,এটা খাবনা ।
এই তো গেল একটি স্মৃতি ।তখন Meatsels বলে একধরনের চকলেট পাওয়া যেত ।এটি ছিল আমার প্রিয় একটি জিনিস ।প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বালিশের নিচে হাত পেতে খুঁজতাম ।ঠিক পেতাম ।প্রতিদিন ৫টি চকলেট বাবা বাজার থেকে আসার সময় নিয়ে এসে আমার বালিশের নিচে রেখে দিত ।
এভাবেই কাটছিল সময় ।আবছা আবছা যতটুকু মনে পড়ে ,বাবা আমাকে কখনো বকেন নি !হয়তোবা বকা খাওয়ার বয়স হয়নি তখন !কিংবা বাবার স্নেহ ভালবাসা ওটা আকরে রেখেছিল ।

২০০০সালের কোন এক সকাল ।মায়ের কান্নায় ঘুম ভাঙ্গল ।বাবাকে দেখলাম তখনও ঘুমিয়ে ।মা তার মাথার পাশে বসে কাঁদছে ।বাড়িতে অনেক লোক ।
বালিশের নিচে হাত ঢুকালাম আমি ।১০টা চকলেট আজ ।ধ্বক করে উঠল বুকটা ।এটা বাবার শেষ দান ! এটা কি বিদায়ের আগে শেষ একটু বেশি ভালবাসা ।

মাঝে বাবাকে খুব মিস করি ।বাবাকে আর ফিরে পাবনা ।আর কখনও বাবার কাঁধে চড়ে বাজারে গিয়ে পরোটা খাওয়ায় বায়না ধরতে পারবনা ।আর কখনই কেউ আমার বালিশের নিচে রোজ রোজ রেখে দিবেনা আমার প্রিয় চকলেট ।
ভাবতেই কেমন লাগে বলুন তো ?
পিতৃহারা সন্তানরাই বুঝতে পারবে আমার অনুভূতি ,আমার হৃদয়ের ছোট্ট একটা কুঠুরে দীর্ঘ ১২টি বছর ধরে জমে থাকা ব্যথা ,দুঃখের এক বুক ফাটা আর্তনাদ ।
আজও বাবার সেই আবছা আবছা স্মৃতিগুলি মনে পড়ে ।মনে পড়ে সেই শ্রেষ্ঠ চারটি বছরের কথা ,যখন আমার বাবা বেচে ছিল ।আমার সান্নিধ্যে ছিল ।যখন আমি বাবার সাথে কথা বলতে পারতাম ,বায়না ধরতে পারতাম ,অন্তত বাবার সাথে হেটে হেটে মসজিদে যেতে পারতাম ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Lutful Bari Panna জাবেদ বাবা হারানোর কষ্ট আমিও পেয়েছি। তবে তোমার মত ছোট বয়সে নয় পরিনত বয়সে। তোমার প্রতি সহানুভূতি। পড়াশোনা করে সত্যিকারের বড় হও। আশিষ রইল।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি valo laglo tobe jabed tomake onnoder lekha beshi beshi porte hobe .....chaliye jao...........
সূর্য অনেক সুন্দর লিখেছ জাবেদ, এবার তোমার গল্পগুলোকে একটু একটু করে বড় করার পালা। অনেক সামনে এগিয়ে যাও কামনা থাকলো।
বশির আহমেদ জাবেদ তোমার লেখার হাত বেশ ভাল । নিয়মিত লিখে যাও ।
মিলন বনিক তোমার বাবার স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা মনে করে মনটাই খারাপ হলে গেল..আর তার জন্যই তোমাকে অনেক অনেক বড় হতে হবে...শুভ কামনা থাকলো...
মৌ রানী বেশ সুন্দর, ভালো লাগলো।
জাবেদ ভূঁইয়া অসংখ্য ধন্যবাদ ।
শাহ্‌নাজ আক্তার বুঝেছ বাবা কাকে বলে , বাবার আদর্শে বড় হয়ে সাবলম্বী হও| অশেষ দোআ রইলো তোমার জন্য | লিখতে থাক অনন্তকাল ................
রফিকুল ইসলাম সাগর ভালো লিখেছেন । আরও বড় হলে অনেক ভালো লাগতো । ভালো থাকুন ......

২০ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী