স্নেহের ক্ষুধা

ক্ষুধা (সেপ্টেম্বর ২০১১)

জাবেদ ভূঁইয়া
  • ৪০
  • 0
।। এক ।।
মায়া ট্রাম হইতে অতি ব্যস্তাতার সহিত নাম বাজারের ব্যাগ দুটো টানিয়া রাস্তায় নামাইয়া আঁচলখানি কপালের ঘাম মুছিয়া যেইমাত্র দাড়াইল অমনি তাহার অপর হাতের কাহার যেন টান পড়িল ।
মায়া ঘুরিয়া দাড়াইয়া দেখিল একটা শিশু তাহার হস্তের মধ্যে নিবিদ্ধ ব্যাগখানি টানিয়া কইলঃ মা আমি এইটা লইয়া যাই ?
মায়া বাঁধা দিবার পূর্বেই শিশুটি তাহার হস্ত হইতে ব্যাগ খানি লইয়া কহিলঃ কোন দিকে যেত হবে মা একটু দেখাইয়া দাও ।
মায়া তাহার কোমল আর কালোময় মুখখানি দেখিয়া মায়ায় জড়াইয়া পড়িল ।
পথে যেতে যেতে মায়া শিলুটির নাম জানিয়া লইল ।ওহার নামঃ লাল মিয়া ।যদিও ওহার সর্বাঙ্গের কোন স্থানে লাল রংয়ের বালাই নাই ।

। । দুই । ।
বাড়ি আসিয়া লালমিয়া বোঝাখানি বারান্দার একপাশে নামাইয়া চুপ করিয়া দাড়াইয়া রহিল ।
মায়া তাহার হস্তে দশটা টাকার একটা নোট গুজিয়া দিয়া কহিলঃ এইটে দিয়ে কিছু কিনে খাস যেন ।
লাল হস্ত বাড়াইয়া নোট খানি লইয়া একটি বার ভাল করিয়া দেখিয়া আবার তেমন ঠাই দাড়াইয়া রহিল ।মায়া অন্তপুরে গিয়ে কাজে জড়াইয়া রহিল ।অপরাহ্নে মায়া কি কাজে যেন বাইরে আসিয়া দেখিল লাল তখনো বারান্দায় বসিয়া আছে ।তাহার পার্শে দশটাকার নোটখানি গড়াগড়ি খাইতেছে ।
:- কিরে লাল এখনো যে বসে রইলি ?আকাশে যে মেঘ জমেছে ।পরে বৃষ্টি হইলে কি করে যাবি ?
লাল মিয়া কিছুখন চুপটি করিয়া তেমন ঠাই বসিয়া রইয়া কহিলঃ যাচ্চি মা ।
পরক্ষনেই ওহার শীর্ণ লুঙ্গির ঘুট দিয়া চোখ মুছিতে মুছিতে স্বগত কহিলঃ কোথায় যাব মা আমার যে আর থাকিবার স্থান নাই ।

মায়া দাড়াইয়া দেখিয়া চলিল যে লাল কাঁদিতেছে ।ওহা পেটের ক্ষুধা ই নাকি একটু খানি স্নেহের ক্ষুধা তাহা দীর্ঘ ৫ টি বছর বিনা সন্তানহীন ঘরসংসার করা একটি সন্তানহীন মাতৃহৃদয় মাত্রই বুঝিতে পারে ।বোধ করি মায়াও তাহা বুঝিয়াছিল ।

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিজানুর রহমান রানা প্রথমত মায়া নামটি আমার প্রিয় নাম। দ্বিতীয় তোমার গল্প ভালো লেগেছে। তবে শব্দভাণ্ডার বাড়াবে মনের মাঝে। ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১
জান্নাতি বেগম ভালো লিখেছো...
ভালো লাগেনি ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১১
M.A.HALIM অল্প কথায় চমৎকার বিশ্লেষণ। খুব ভালো লাগলো তোমার গল্পখানা।
ভালো লাগেনি ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১১
প্রজাপতি মন সাধু ভাষায় আমার পড়তে তো ভালই লাগে, তবে অনেক সময় ব্যয় হয় এই ভাষাতে পড়তে গেলে। তবুও বলবো অনেক সুন্দর লিখেছ অল্প কথায়। গল্পটি আর একটু বড় করলে ভাল হতো। তোমার মঙ্গল কামনা করি।
ভালো লাগেনি ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১১
চৌধুরী ফাহাদ অনেক সুন্দর লিখেছ, আরেকটু বিস্তৃত করলে ভালো লাগার পরিমাণটা বেশি হতো.
ভালো লাগেনি ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১১
ফাহিমা আক্তার চাঁদনী কোথায় যাব মা আমার যে আর থাকিবার স্থান নাই । সুন্দর! আরও বড় গল্প চাই।
ভালো লাগেনি ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১
সুমন কান্তি দাস ভালো,আরো ভালো আশা করছি............
ভালো লাগেনি ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১
সেলিনা ইসলাম থিমটা অসাধারন তবে সাধু ভাষায় গল্প পড়ে আত্বতৃপ্তি পেলাম না । চলিত ভাষা সহজ সরল স্বাভাবিকতা এনে দেয় সাথে স্বাচ্ছন্দ্য । প্রতিনিয়ত যে ভাষাতে কথা বলছি সেই ভাষাই বেশি গ্রহন যোগ্য । আপনার কাছ থেকে ভাল লেখা পাবার আশা রাখছি । শুভকামনা
ভালো লাগেনি ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১
Azaha Sultan আসলে সাধু একটি মার্জিত ভাষা, উঠার কখনও মৃত্যু নেই--এখনও অফিস-আদালতে এ ভাষার প্রচলন আছে। তবে সকলে যখন সহজসরলে নেমে আসতে চাচ্ছে সেখানে জটিলতার পদচলনে ত বাধা আসবে.....সুতরাং, নিখুঁত বর্ণনা যদি সাধুরীতিতে হয়; কখনও যে অগ্রাহ্য হবে এমন কথা নয়...কিন্তু, সংলাপ অবশ্য সহজসরল চলিতরীতিতেই হওয়া একান্ত দরকার....সাধুচলিত মিশ্রণে নয়....আর তুমি ছোট মানুষ বড়রা তোমাকে শ্রদ্ধা করবে: বড়রা সব সময় তোমার লেখা পড়বে- এ কেমন কথা? তুমি ত বেশি করে সবার লেখা পড়া চাই। তুমি পড়লে তোমার সুবিধাটা কি জান, এখানে একেকজনের লেখা একেকধরণের--তাই তুমি অনেক কিছু শিখতেও পারলে বা তুমি কিছু জানলে সেটাও শেয়ার করতে পারলে। অর্থাৎ- তুমি কিছু শিখতেও পারলে এবং শিখাতেও পারলে--ভাল নয় কি?
ভালো লাগেনি ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১

২০ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪