অতূপ্ত বর্ষার কথা

বর্ষা (আগষ্ট ২০১১)

জাবেদ ভূঁইয়া
  • ৪৯
  • 0
এক
বৃষ্টির সহিত আমার হৃদয়ের বন্ধন আজতককার নয় ।সে তখনি থেকে শুরু হইয়াছিল যখন আমার হৃদয়ের গহিনপটে বর্ষার নাম প্রবেশ করিয়াছিল ।সে সময়টা ছিল আজিকা থেকে প্রায় ৪ বছর আগের কথা ।যখনি বর্ষার টুংটাং মৃদ্যু স্বরে আমার হৃদয়ের এক মধুর আলোড়ন আলোড়িত হইয়াছিল ।
আজও মনে পড়িয়া থাকে ; বর্ষার সেই মধুর কন্ঠ , কি দেখিয়া আমাতে তুমি মিশিয়াছ বলতো ?
আমিঃ ভালোর মাঝে মিশিবার জন্য আরও কিছু ভালো থাকা আবশ্যক নহে !
বর্ষাঃ রাখতো তোমার ঐ দার্শনিকের বুলি ।
এই বলিয়া বর্ষা তাহার কোমল চিরুণ হাতখানি আমার হ্স্তের মধ্যে নিবিদ্ধ করিয়া বসিয়া থাকিতো ।কখনো সখনো আবার ওর সহিত আমার ঝগড়া বাঁধিত কাব্য মোহনা নিয়া ।ও বলিতঃ আজকালকার রচনায় কই সে আগের মধু সেই সূভাস ।আজকের কাব্য রচনা রচিত হয় শুধুই একক অর্থে ।তারমাঝে আমি কোন বিশেষ অর্থ খুঁজিয়া পাইনা ।
ওর এইসব অকট্য ব্যখ্যায়ও আমি বাঁধা দিয়া উঠিতাম ,তোমার ব্যাখ্যা কেন জানি আমার আত্নায় মিশিতেছে না ।বারবার কথায় অম্র আধ্যিক্যে আমার বেদবমি হইবার বোধ হইতেছে ।
শুনিয়া বর্ষা যে না রাগিয়া থাকিতো এমন নহে ।
বাঁধবেড়া দেওয়া নির্জন পরিবেশ থাকিতে বাহির হইয়া যাইবার সময় বলিয়া যাইতো ,তোমার সাথে কখনই আমার মিলন হইবার নয় ।
আমিঃ কেন ?
বর্ষাঃ শুনেছি তৈল আর জল কখনো মিশখায়না ।রাধুনী যতই তাহালে অগ্নিতে দগ্ধ করিয়া ,নাড়িয়া একত্রে মিশাইয়া একিভূত করিতে যায় ততই তৈলের অহংকার বাড়িয়া যাইয়া তাহাকে জলের উপর দেশে প্রতিষ্ঠা করিয়া লয় ।
ঝগড়া থামিবার আগেই ঘন কালো মেঘ আবৃত্ত মেঘটা কাঁদিয়া সাড়া হইবার জন্য বর্ষণ শুরু করিয়া দিত ।
এমনি ভাবে ঝগড়া ,আর হাস্য রসে ডুবিয়া ওর সাথে আমার হৃদয়ের বন্ধন ক্রমেই আরও গহিন হইয়া যাইতে লাগিল ।দুই
বছরান্তে বর্ষার পিতৃদেবের সহিত আমার পরিবারের জমি সংক্রান্ত ঝগড়া বাধিয়া গেল ।
আমি চিন্তায় পড়িলাম ।
সত্যই আমার চিন্তার প্রতিফলন বর্ষাকে গ্রাস করিয়া আমার বাহু বন্ধন থেকে ওহাকে ক্রমশ দূরে নিয়ে যেতে থাকলো যাহা আমাদিগকের মধ্যে স্পষ্টই প্রতিয়মান হইতে লাগিল ।যাহোক পাঠকমহলের কাছে আর কিছুই লুকাইব না ।আমার মরহুম পিতার মৃত্যুর পর তাহার ভাই বর্ষার পিতৃদেবের ওপর আমামাতা র কি জানি এক সন্দেহ জাগিল ।দিনরাত খালিই তাহার মনে হইতে লাগিল আমাদিগকের ভূ এর পরিমাণকে ছাড়াই ক্রমের কাকা বাবুর (বর্ষার পিতা)সম্পত্তি বাড়িয়া চলিয়াছে ।সেই সন্দেহ হঠাত্‍ করি ঝগড়ার রূপ নিয়া আমা আর বর্ষার অতৃপ্ত ,অখন্ডনীয় বন্ধন তীব্র শ্লেষে দূরে ঠেলিয়া দিতে লাগিল তাহা হইতো কাটিয়া উঠিবারও জোগাড় শুরু করিয়াছিলাম আমরা ।
কিন্তু শ্লেষটাকে আরও বাড়াইতে বর্ষার বিবাহ ঠিক হইল ,আমাদিগকের শত্রু মোতিলাল নাগরের জৈষ্ঠ পুত্র হরির সহিত ।আমি সংবাদ অবগত হইয়া তীব্র ঝাকুনিতে কাঁপিয়া উঠিলাম ।
বর্ষার সহিত গোপনে স্থির করিলাম পলায়নের ।
তবে কেন জানি বুকের কোন আকপটে একটা তীব্র কাপুরোসত্বের ধিক্কার অনুভব করিলাম ।যা হোক বর্ষার বিবাহের রাত্রিরে উহাকে লইয়া পলাইয়া ছোট একটা গরুর গাড়িতে করিয়া যোধপুর যাইবার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম ।রাত্রি ছিল পূর্ণিমা ।পূর্ণিমার আলো ঘনগাছের পাতার ফাঁক গলাইয়া বর্ষার বধূ বেশকে দেখাইয়া আমাকে বারেবারে পুলকিত করিয়া দিয়া গেল ।আমি হস্ত বাড়াইয়া ভয়ে শিক্ত বর্ষার হাত খানি আমার হাতের মুঠিতে লইয়া লইলাম ।বর্ষার মুখে কি রূপ অনুভূতির আবেশ হইলো তাহা বুঝিতে পারলাম যখন তীব্র একটা বজ্রপাতের আলো স্পষ্টা বর্ষার মুখটার উপরিদেশে সগভির কালো নয়নের কোন ভাসিয়া যাওয়া অশ্রুর ফোয়ারা দেখিতে পাইলাম ।
এদিকে খনিকের সেই পূর্ণিমার চন্দ্রটাকে অকপটে গিলিয়া খাইয়া নিশ্চিন্ত দম !দম ! করিয়া বজ্রপাতের নিগুঢ়তায় চন্দ্রবিহিন আন্ধার রাত্রিটাকে ঘনিকের আলোয় ভাসাইয়া দিয়া যাইতে লাগিল ।চমক ভাঙ্গিতে আমার হৃদয়টা হু ..হু. করিয়া উঠিল ,"আমি যাহাকে সাথে লইয়া আসিলাম তাহার মর্যাদা আমাদ্বারা হয়তোবা সংঘটিত হইলনা"
একটা দীর্ঘশ্বাসে বর্ষা চমকিয়া উঠিয়া কহিলঃ তোমার কি হইয়াছে ?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
বিন আরফান. আফসোস অসাধারণ মালিক গল্পটিকে আক্রোশ বসত পিছনের কাতারে পাঠিয়ে দিল.
ভালো লাগেনি ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১১
জাবেদ ভূঁইয়া মন্তব্য করার জন্য Amar ami ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
amar ami বেস ভালো লেখা তাই সমালোচনাও হয়েছে বেশ....মৌলিক হলে এমন লেখা আরো পেলে হয়ও বেশ .....
জাবেদ ভূঁইয়া বাঁধন এবং কৃঞ্চ কুমার গুপ্ত ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
কৃষ্ণ কুমার গুপ্ত অনেক সুন্দর লেখা। পড়তে পড়তে মনে হচ্চিল অনেক পুরনো কোন লেখকের লেখা পড়ছি । শুভ কামনা রইলো।
Muhammad Fazlul Amin Shohag ভালো লাগলো।
জাবেদ ভূঁইয়া M.A HALIM ভাই আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা ।"ঈদ মোবারাক"
M.A.HALIM বন্ধুর জন্য ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ।
জাবেদ ভূঁইয়া মনির মুকুল ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
মনির মুকুল রচনাটি অনেক আগেই আমার দৃষ্টিগোচর হইয়াছিল কিন্তু পড়িবার সময়-সুযোগ হয় নাই। সবেমাত্র পড়িয়া শেষ করিলাম। ইহা পড়িয়া রচিয়তার বয়সের সহিত রচনার ভাষাগত মিল করিতে না পারিয়া আমি যেমনই বিমোহিত হইয়াছি তেমনই চিন্তিত হইয়াছি। তাহার যে বয়স উল্লেখ রহিয়াছে তাহাতে প্রতিয়মান হয় যে, তিনি গরুর গাড়ীর আমলে আবির্ভূত হন নাই। ইহারপরও তিনি তৎকালীন আমলের এই নিগুঢ় অভিজ্ঞতা কিভাবে সঞ্চিত করিলেন তাহা আমাকে ঢের ভাবিয়া তুলিয়াছে। তবে ইহাতে বেশি মাথা না ঘামাইয়া রচিয়তার অধিক প্রতিভা ভাবিয়া “অসাধারণ”-এ নোঙ্গর ফেলিয়া দ্রুত প্রস্থান করিলাম।

২০ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪