অন্ধকারের মধ্যে মাতালের মতো ঢুলতে ঢুলতে হেঁটে চলেছি। নুড়ি-কাঁকর বিঁধছে খালি পায়ে, সেদিকে আমার খেয়াল নেই। পেছনে ফেলে এসেছি এক চিলতে আলো। সামনে রেললাইন, তার ওই পাশে নিরেট অন্ধকার। বাতাস কেটে কেটে বহুদূর থেকে ভেসে আসছে ট্রেনের ঝিঁক ঝিঁক ঝিঁক ঝিঁক শব্দ…
১.
[এক বছর আগে]
আমি নিশাচর মানব। আমার রাত হয় ভোরে, ভোর হয় দুপুরে। সকালের একটা ক্লাসও করি না, করতে পারি না। লাঞ্চের পরের ক্লাসগুলো এটেন্ড করি, তাও যদি ইচ্ছে হয় তো! সেই ইচ্ছেও আর ইদানিং সেভাবে হয় না। হতাশার শূন্যোদ্যানে সু-অভ্যাসের ফুলগুলো কলিতেই ঝরে গেছে। ফণীমনসার মতো সেখানে জন্মেছে লক্ষ্যহীনতা, উন্মত্ততা, মাদক, আড্ডাবাজি…
সেই দুপুরটা ভুলব না। সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে বাইক চালাচ্ছিলাম ভার্সিটির উদ্দেশ্যে। আচমকা সামনে এসে পড়ল কেউ। না ভুল বলেছি! কেউ সামনে পরে নি; ট্রাফিক সিগনালের লাল বাতি উপেক্ষা করে আমিই জোরে হাঁকিয়েছিলাম। জেব্রা ক্রসিং ধরে সে পা বাড়িয়েছিল রাস্তার ওইপাড়ের উদ্দেশ্যে। হার্ড ব্রেক কষেও সঙ্ঘর্ষ এড়ানো যায় নি।
মেয়েটা হাঁটু চেপে ধরে বসে পড়েছে। ওর মুখটা দেখতে পাচ্ছি না। বাইক পার্ক করে আমি ত্রস্তভাবে গেলাম ওর অবস্থা দেখতে। মেয়েটা বাতাসে একগুচ্ছ রেশমি চুল উড়িয়ে আমার দিকে মুখ ফেরাল। আমি কাণ্ডজ্ঞান ভুলে ওর দিকে বিস্ময়াভিভূত হয়ে তাকিয়ে আছি। মানুষ এত সুন্দর হয় কী করে!
সম্বিৎ ফিরল মানুষের হট্টগোলে। এটুকু সময়ে এত মানুষ কোত্থেকে এসে জড়ো হলো বুঝতে পারছি না। সুন্দরী তরুণী আহত হলে সবাই সিনেমার হিরো হয়ে যায়। সেই হিসেবে এতগুলো হিরোর সামনে একা খলনায়ক আমি। আমার বাবার প্রভাব প্রতিপত্তি কিছুই এখন আমাকে বাঁচাতে পারবে না।
অবাক হলাম। মেয়েটা এই অবস্থাতেও আমার প্রতি করুণা দেখাতে ভুল করল না। সুন্দরী মেয়েদের সবচেয়ে বড় অহম বোধয় তাদের করুণাবোধ।
মেয়েটা সবাইকে আশ্বস্ত করছে এক্সিডেন্টটা তার দোষেই হয়েছে। তবু জনতা আশ্বস্ত হতে পারছে না। হয়ত জীবন ও জগতের প্রতি জমা ক্ষোভগুলো আমার ওপর উগরে দিতে না পারার হতাশায়। অগত্যা তাকে হাসপাতালে পৌছে দেয়ার অফার একসেপ্ট করার মাধ্যমে আমাকে উদ্ধার পাওয়ার একটা সুযোগ করে দিলো সে। মেয়েটা যখন অবলীলায় আমার বাইকের পেছনে চেপে বসল তখন স্পষ্ট দেখতে পেলাম উপস্থিত জনতার মধ্যে সুযোগ হারানোর হতাশা, আক্ষেপ আফসোস…
২.
পা ভাঙে নি, তবে মচকেছে। ডাক্তার ওর পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে দিলে আমি আবার ওকে বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দিতে চাইলাম। মেয়েটা এবারেও না করল না।
আমার বহুবার ইচ্ছে হয়েছে মেয়েটার নাম জিজ্ঞেস করি। কিন্তু সঙ্কোচে জিজ্ঞেস করতে পারি নি।
মেয়েটার বলা ডিরেকশন অনুসরণ করে ওদের বাসায় পৌছলাম। বাসা বলতে একটা দুই রুমের টিনশেড ঘর। বাইরে ঝোলানো দড়িতে কাপড় মেলছিল এক মাঝবয়সী নারী। মেয়েটার মা। সাড়া পেয়ে এগিয়ে এলো। মহিলা ভীষণ অবাক। তার কতটা মেয়ের পায়ে ব্যান্ডেজ দেখে, আর কতটা অচেনা যুবকের বাইকের পেছনে চেপে আসতে দেখে তা বোঝা গেল না। মেয়েটা অবশ্য মাকে আশ্বস্ত করল তার খুব বেশি চোট লাগে নি, এবং আমি রেসকিউয়ার বৈ ভিন্ন কিছু নই।
মেয়েটা কিছুদূর গিয়ে মাকে কী যেন বলল। তারপর বইয়ের ব্যাগটা তার হাতে দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এলো আমার দিকে। হয়ত থ্যাংকস জানাতে
“আপনি সেই তখন থেকে খুব উশখুশ করছেন খেয়াল করেছি। আমার নাম জানার জন্যে, তাই তো? আমি…”
“জানি! আদিবা!”
“আপনি আমার নাম জানলেন কী করে?”
মেয়েটা ভীষণ অবাক। আমি ঝাপসা চোখে তাকিয়ে আছি ওর মায়ের দিকে। মাকে ভীষণ মনে পড়ছে; দীর্ঘ চৌদ্দ বছর পর মাকে আমার সামনে জীবন্ত করে তুলেছেন তিনি।
৩.
আমার জীবনের প্রথম সাত বছরই আমার আসল জীবন। বাকিটা ছায়াজীবন। যে জীবনে আছে বিত্তবৈধব- বিলাসিতার উল্টোপিঠের অন্ধকার, উশৃংখলা আর একবুক হতাশা। অথচ আমার জীবন তো এমন হবার কথা ছিল না!
বলছিলাম আমার সাত বছরের রঙিন জীবনের কথা। সেই জীবনে ছিল আমার মা। একটা হাসিখুশি সুখী পরিবার। বিত্ত না থাকলেও রিক্ততা ছিল না। কিন্তু এক মারণব্যধি বাসা বাধল আমরা মায়ের বুকে, সাথে আমাদের সংসারেও। মা আস্তে আস্তে অক্ষম হয়ে পড়তে লাগল। আর আমি আস্তে আস্তে নিঃসঙ্গ। সেই সময় আপনজন হয়ে আমাদের সংসারে আবির্ভাব ঘটল এক কেয়ারগিভারের। খাদিজা আন্টি!
মায়ের টেক-কেয়ার আর সংসার গোছানো- বিশাল দুই দায়িত্বই এক হাতে পালন করতে লাগলেন তিনি। স্বামী কারখানায় কাজ করে, তার আয়ে সংসার চলছিল না। তাই আন্টি নিজেই নেমে পড়েছেন কাজে। রোজ সাথে করে পিচ্চি মেয়েটাকে নিয়ে আসে আমাদের বাড়িতে। মা কথা বলার সাথী পায়, আর আমি খেলার সঙ্গী। মা বিছানায় আধশোয়া হয়ে দুচোখ ভরে আমাদের দেখেন, কী সুন্দর হেসেখেলে বেড়াই আমরা দুজন!
আন্টির নিজের জীবন নিয়ে কোনো হতাশাবোধ নেই। আফসোস স্বামীকে নিয়ে। সংসার চালাতে আংকেল হাড়ভাঙা খাটেন। ঘর পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন বলে বাবা এবং শ্বশুর দুই পক্ষের আনুকূল্য থেকেই বঞ্চিত হয়েছেন। তারও নিজের জীবন নিয়ে হতাশা নেই। স্ত্রী আর সন্তানকে সচ্ছ্বল জীবন দিতে পারে নি, সমস্ত হতাশা এই নিয়েই।
আমি আন্টির কথা শুনি, আর নীরবে দীর্ঘশ্বাস ফেলি। ওইটুকু বয়সেই বুঝতাম আমাদের সংসারে সবকিছু ঠিকমত চলছে না। আমাদের প্রাচুর্য আছে, কিন্তু হতাশা আছে ঢের বেশি। আন্টিরা কাছেই থাকতেন, আমাদের তিন তলার বারান্দা থেকে ওনাদের বাসা দেখা যেত। আমি দেখতাম সারাদিনের হাড়ভাঙা খাটুনির পর ওনারা বাসায় ফেরেন, রাত গভীর হওয়ার আগেই ঘরের বাতি নিভে যায়। আর ঝাড়বাতির আলো প্রাচুর্যের প্রতীক হয়ে রাতভর আমাদের আলিশান বাড়িটাকে আলোকিত রাখে। সব থাকতেও আমার বাবা মায়ের রাতে ঘুম হয় না। আমি ঘুমাই, স্বপ্নহীন ঘুম।
আমাদের মা-ছেলের হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন খাদিজা আন্টি। ভীষণ হাসিখুশি মানুষ। মাকে নিজের বোনের মতো যত্ন করত। আর আমাকে নিজের ছেলের মতো স্নেহ। যতক্ষণ তিনি থাকতেন, আমাদের বাড়িটার প্রাণ থাকত। সেই তিনিই হঠাৎ করে চাকরিটা ছেড়ে দিলেন। মা মুখফুটে কিছুই বলেন নি। তার চোখ দিয়ে ফোটায় ফোটায় গড়িয়ে পড়ছিল পানি।
আন্টিরা এলাকা ছেড়ে চলে গেলেন। তার দুদিন পর মা-ও আমাকে ছেড়ে চলে গেল।
এতগুলো বছর পর আন্টিকে সামনে থেকে দেখে আমি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লাম।
৪.
এভাবেই একাকী নিঃসঙ্গ জীবন পেরিয়ে যাবে ভেবেছিলাম। হতাশার গহীন সমুদ্র থেকে ওঠার কোনোই উপায়ই ছিল না। কিন্তু আমি এবারেও ভুল প্রমাণিত হলাম। আমার পাশে যে এখন আদিবা আছে! আদিবা-ই আমাকে টেনে তুলল হতাশার চোরাবালি থেকে।
এতগুলো বছর আদিবাও আমাকে মিস করেছে। বাল্যকালের বন্ধুত্ব থেকে আমার আরো খানিকটা এগিয়ে গেছি। মায়ের মতো আদিবাও ভীষণ হাসিখুশি আর মায়াময়। জীবন নিয়ে আমার সকল হতাশার কথা ওকে বলি। ও আমাকে আগলে রাখে।
মা মারা যাওয়ার পর আমি আক্ষরিক অর্থেই একা হয়ে গেছিলাম। অর্থের পেছনে ছুটতে গিয়ে বাবা সব পিছুটান কাটিয়েছিলেন। হাতে কাঁচা টাকা আসার পর মানুষকে মানুষ বলে মনে করতেন না। আসলে মা মারা যাওয়ার অনেক আগেই আমি হারিয়েছিলাম সেই মমতাময় বাবাকে।
কিশোর বয়সেই আমার সঙ্গী হয়েছিল একবুক হতাশা। হতাশা কাটাতে আমি হাতে তুলে নিলাম সিগারেট, গাঁজা, মদ। পরিণামে তলিয়ে গেলাম আরো হতাশায়। জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা চলে এলো। জীবনের সব শৃংখলা ধূলায় লুটিয়ে গেল। কিন্তু স্নেহের পরশটুকু পাই নি বাবার কাছ থেকে।
আদিবা আমার জীবনে এসেছে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে। আমার সব যন্ত্রণা শুষে নিয়ে যায় সে। আমি বুঝি, এক কঠিন মায়ায় বাধা পড়েছি ওর সাথে।
৫.
সেদিন সকালে আমার ঘুম ভেঙেছিল বাবার চেঁচামেচির শব্দে। আমি নিচে নামার আগেই বাবা অফিসের জন্যে বেরিয়ে গেছিল। ড্রইংরুমে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল রমজান চাচা।
গত তিনদিন ধরে আমার প্রচণ্ড জ্বর। খেতে পারি না, চলাফেরা করতে কষ্ট হয়। কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হয় না। জ্বর হলে আমি মায়ের স্নেহস্পর্শ খুব মিস করি। ডাইনিং টেবিলে আমার অনুপস্থিতি বাবাকে উদ্বিগ্ন করে না। হয়ত আমার অসুস্থতার খবর উনি জানেনও না। অবশ্য জানলেই বা কী!
এদিকে আমার দেখা না পেয়ে এবং ফোন বন্ধ পেয়ে আদিবা উদ্বিগ্ন। একদিন সকালে খুঁজে খুঁজে আমাদের বাড়ি এলো আমার সাথে দেখা করতে। বাবা তখন অফিসের জন্যে বেরুচ্ছিলেন। আদিবা সামনে পড়ে যায়। ‘আংকেলকে’ দেখে সে উচ্ছ্বাসের সাথে সালাম দিয়ে নিজের পরিচয় দেয়। ও ভেবেছিল এতদিন বাদে দেখা হয়ে আংকেল খুশি হবেন। কিন্তু আমার সাথে ওর সম্পর্কের ব্যাপারটা আঁচ করে বাবা ওকে অনেক অপমান করে। আদিবা কাঁদতে কাঁদতে চলে যায়।
রমজান চাচার কাছে সব শুনে আমি ছুটলাম আদিবাদের বাড়ি। আদিবা বাসায় নেই। ফোনও বন্ধ। ওকে নিয়ে টেনশন আর বাবার রূঢ় আচরণ- দুইয়ে মিলে আমি বিপর্যস্ত। সেই ছোট্টবেলার মতো স্নেহস্পর্শ নিয়ে খাদিজা আন্টি আমাকে সামলালেন। আমি যেন ফিরে গেলাম সেই ছোট্টবেলায়। ভীষণ অভিমান হলো আন্টির উপর। তিনি পাশে থাকলে আমি জীবনের পথ ছেড়ে এতটা দূর চলে যেতাম না।
“একটা কথা জিজ্ঞেস করি আন্টি?”
“বলো বাবা”
“আপনি সেদিন মাকে ফেলে চলে গেছিলেন কেন? আপনি পাশে থাকলে অন্তত শেষ দুটো দিন মা স্বস্তিতে থাকতেন”
আন্টি চমকে গেলেন আমার প্রশ্নটা শুনে। বিষয়টাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে লাগলেন। আমার সন্দেহ হলো। চেপে ধরলাম তাকে। অবশেষে মায়ের দিব্যি শুনে খুলে বললেন পুরো ঘটনা। আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। বুঝতে পারলাম কেন আদিবাকে দেখে বাবা সকালে ওরকম রি-এক্ট করেছিলেন।
৬.
রাতে জীবনে প্রথমবারের মতো বাবার মুখোমুখি হলাম। মায়ের মৃত্যুর কৈফিয়ত চাইতে!
মায়ের মৃত্যুটা স্বাভাবিক ছিল না। তাকে দিনের পর দিন ভুল ওষুধ দিয়ে তিলে তিলে মেরে ফেলা হয়েছে। বাবা তাকে মেরেছে! মায়ের নামে করা বিরাট অঙ্কের ইনস্যুরেন্সের টাকাই ছিল লক্ষ্য।
মায়ের সেবনকৃত ওষুধ দেখে খাদিজা আন্টির সন্দেহ হয়েছিল। গোপনে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ওষুধের আড়ালে ওনাকে আসলে খাওয়ানো হচ্ছে আর্সেনিক বিষ! স্লো ডেথ, নো সিম্পটম। আন্টি ভেবেছিলেন ডাক্তারের ভুল। ভালো ভেবে বাবাকে গিয়ে জানান ব্যাপারটা। বাবা তাকে চাকুরিচ্যুতই করেন নি, ভয় দেখিয়ে এলাকাছাড়াও করেছিলেন।
বাবার মুখের ওপর ছুঁড়ে দিয়েছিলাম প্রশ্ন। বাবা উত্তরটা মুখে নয়, দিলেন হাতে। জীবনে প্রথম আমার গায়ে হাত তুললেন। চাবুকের পর চাবুক পড়ল আমার পিঠে। বাধা দিতে গিয়ে রমজান চাচাও রক্তাক্ত হলো।
৭.
আমি ক্লান্ত চরণদুটো টেনে টেনে এগিয়ে চলেছি। পাশাপাশি রেললাইনের দুটো ট্র্যাক। একটা পেরিয়ে আমি পরেরটার দিকে যাচ্ছি। হঠাৎ শুনলাম পেছন থেকে কেউ আমার নাম ধরে ডাকছে। আদিবা!
আমি পেছন ফিরলাম। আদিবা ছুটে আসছে আমার দিকে। আমি দুই রেললাইনের মাঝে দাঁড়িয়ে। কয়েক কদম পরেই নেক্সট রেললাইন, সেখানে হুঁইসেল বাজিয়ে ট্রেন আসছে। আদিবা প্রাণপণে ছুটছে ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়া থেকে আমাকে আটকাতে!
পাগলি! আমি কি সুইসাইড করতে এসেছি নাকি? আমি তো যাচ্ছি শুধু বাবার অহমনিবাস ছেড়ে। কিন্তু কথাগুলো ওকে বলার অবকাশটুকু পেলাম না।
আমাদের দুজনের মাঝের রেললাইনেও ট্রেন চলে এসেছে। আমি গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে আদিবাকে থামতে বলছি। কিন্তু ট্রেনের শব্দে হারিয়ে গেছে আমার গলার আওয়াজ।
রেললাইনের দিকে আদিবার খেয়াল নেই। ওর সমস্ত ধ্যানজ্ঞান আমার ওপর নিবদ্ধ। বাকি দুনিয়া ওর কাছে নিশ্চল হয়ে আছে যেন।
………………………………………..
দুই রেললাইনের মাঝে আমি হাঁটু গেড়ে বসে পড়েছি। হতবিহ্বল, বোধহীন, অসার… আমার উদ্দেশ্যহীন অন্ধকার জীবনে আলো এনে দেয়া আশার একমাত্র প্রদীপটা মাত্রই এক ফুঁৎকারে নিভে গেছে।
আকাশের বুকে দীপ্তি ছড়ানো চাঁদ, অস্পষ্ট কিন্তু নিশ্চিত তারকারাজি অথবা সামনে-পিছে কান-ফাটানো আওয়াজ তোলা বিপরীতমুখী দুই ট্রেন… এর কিছুই নয়, আমার দৃষ্টির সামনে এখন একরাশ অন্ধকার শুধু। সেই অন্ধকারের মধ্যে হতাশার চোরাবালিতে আমি ডুবছি তো ডুবছি, কোনো তল নেই যেন এর...
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
হতাশাপূর্ণ জীবনে হঠাৎ আসা আশার প্রদীপ নিভে গেলে যে ততোধিক হতাশা মানুষকে গ্রাস করে সেটা নিয়েই এই গল্প।
৩০ সেপ্টেম্বর - ২০২৩
গল্প/কবিতা:
৪৩ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ অক্টোবর,২০২৫