পাঁচ ছেলে আর তিন মেয়ে নিয়ে দশ সদস্যের বিশাল সংসারটা আব্দুস সালাম শেখ সামলেছেন কৃষিকাজ করে। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়ে পার করেছেন। তার সাধ ছিল ছেলেদের উচ্চশিক্ষিত করবেন। বড় দুই ছেলে স্কুলের গণ্ডি পেরোবার আগেই ঝরে পড়েছে। একজন গ্যারেজে, আরেকজন ইলেক্ট্রিকের দোকানে কাজে ঢুকে গেছে। আয়রোজগার শুরু হতেই বাবা ওদের বিয়ে করিয়ে বৌ ঘরে এনেছেন।
আব্দুস সালামের আশা-ভরসা বাকি তিন ছেলেকে নিয়ে। সেজ ছেলে হামিদুল মাশা’আল্লাহ লেখাপড়ায় খুব ভালো। গ্রামের স্কুল-কলেজ থেকে ভালো রেজাল্ট করে ভর্তি হলো নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে। লেখাপড়া শেষ হতেই জুটিয়ে নিল ভালো একটা চাকুরি। উচ্চশিক্ষিত ছেলের জন্যে বাবা শিক্ষিত সুন্দরী বৌ ঘরে আনলেন।
আব্দুস সালামের বড় ইচ্ছা সবাইকে নিয়ে এক সংসারে থাকার। ছেলে-ছেলেবৌ আর তাদের সন্তানদের হাসি গান কলকাকলিতে মুখর উপচে পড়া সুখ থাকবে সেই সংসারে। বড় আর মেজ ছেলে বিয়ে করার পর একসাথেই ছিল। ঝামেলা বাধল সেজ ছেলের বিয়ের পর।
আব্দুস সালাম বেছেখুটে মনমতো ছেলেবৌ ঘরে এনেছেন। নিজে শিক্ষিত না বলে শিক্ষিত মানুষের কদর করেন তিনি। সেজ বৌ তুলিকে বাকি দুই ছেলেবৌয়ের মতো মূল্যায়ন করেন না। তাকে আরো বেশি সম্মানের সাথে দেখেন। অনেক বিষয়ে তার সাথে শলাপরামর্শ করেন, তার মতের দাম দেন। এসব দেখে হিঃসায় জ্বলে মরে তুলির বড় দুই জা।
কেন এক সংসারে সব পুত্রবধুর সমান মূল্যায়ন হবে না? কেন দুই বৌকে খেঁটে মরতে হবে, অন্যজন রাজরাণী হয়ে পায়ের ওপর পা তুলে বসে থাকবে? কেন মন চাইলেই বাপের বাড়ি যাবে, তাও আবার শ্বশুর নিজে গিয়ে দিয়ে আসবে?
হামিদুলের বেতন মোটামুটি, যৌথ সংসারে কম টাকা ঢালে না। তবু তুলির দুই জায়ের আক্ষেপ, তুলি যেমন সেজেগুজে পরিপাটি হয়ে থাকে ওরা তো তা পারে না। ক্ষেতের ধান গম সরিষা ওদেরকেই শুকাতে হয়, গোলায় ভরতে হয়। রান্নাঘরে কালিঝুলি আর আগুনের আঁচে শ্যামলা চেহারা কালো করতে হয়।
সেজ বৌকে নিয়ে স্বামীর আদিখ্যেতায় বিরক্ত তার স্ত্রী আফরোজা বেগমও। ওয়াক্তে ওয়াক্তে তার কানে বিষ ঢালার জন্যে দুই পুত্রবধু তো আছেই! একা আব্দুস সালাম বটবৃক্ষ হয়ে আগলে রাখে তুলিকে। কিন্তু একদিন শ্বশুর হুট করে মারা গেলে ছায়াহীন হয়ে যায় তুলি। ততদিনে তার কোলজুড়ে এসেছে ফুটফুটে এক কন্যা।
এতদিন আড়ালে আবডালে তুলিকে খোঁচা মারত বড় দুই জা। শ্বশুরের অবর্তমানে তারা এখন প্রকাশ্যে তাকে খোঁচায়। শাশুড়িও এখন অনেক কঠোর। একমাত্র মেয়ে হিসেবে তুলি ছিল বাপের চোখের মণি, ঘর-গেরস্থালি কোনোদিনও করতে হয় নি। এখন করতে হচ্ছে। তুলি নীরবে সবকিছু হজম করে। সপ্তায় সপ্তায় হামিদুল বাড়ি আসে, কিন্তু তার পর্যন্ত কোনো কথা পৌঁছায় না।
তুলি মুখে কিছু না বললেও তার চেহারার মলিনতা আর ক্লান্তিই হামিদুলকে সব বলে দেয়। তুলি তবু মুখ খোলে না। হামিদুল ছোট বোন নিশির কাছে সব খবর পায়। এ নিয়ে কিছু বলতে গেলে আফরোজা বেগম ক্ষেপে যান। ছেলে হয়ে মায়ের কাছে বৌয়ের দালালী করছে- নিশ্চয়ই বৌ ওর কাছে শাশুড়ি-জাদের নিয়ে কানপড়া দিয়েছে!
হামিদুল এমনিতে সভ্যভদ্র, কিন্তু রাগলে কাউকে মানে না। মায়ের সাথে বেশ বাকবিতণ্ডা হলো তার। এক হাত নিলো ভাবীদেরও। এ নিয়ে বড় ভাইদের সাথে চরম ঝগড়া-ফাসাদ। শেষমেশ হামিদুল সিদ্ধান্ত নিল স্ত্রী-কন্যাকে ঢাকায় নিয়ে যাবে। ঘোষণা দিলো, যে সংসারে তার স্ত্রী-সন্তান থাকতে পারল না সেখানে একটা ফুটো পয়সাও আর দেবে না!
সিদ্ধান্তটা হামিদুলের একার। তবু এরমধ্যে সবাই তুলির অদৃশ্য হাত দেখতে পায়। দুই জা গ্রামভরে দুর্নাম ছড়ায় অসুস্থ বৃদ্ধা শাশুড়িকে ফেলে পুত্রবধুর শহরে যাওয়া নিয়ে। ঘরেবাইরে তুলিকে নিয়ে ছি ছি রব ওঠে। তারমধ্যেই একদিন গ্রাম ছাড়ে ওরা। শহরে গিয়ে ওঠে বড় একটা ফ্ল্যাটে।
বিয়ের তিন বছর পর সত্যিকার সংসারের স্বাদ! হামিদুল ভীষণ খুশি। তুলিও খুশি। তবে তাকে নিয়ে হামিদুল যা করে এসেছে তা নিয়ে আপসেটও। যত যা-ই হোক, বিপদে আপদে পরিবারের মানুষ পাশে থাকবে- এই না হলে সংসার! কিন্তু সেই জায়গাটা ওরা হারিয়ে এসেছে। হামিদুল ওকে আপসেট হওয়ার সুযোগ দেয় না। আদরে-সোহাগে ভরিয়ে রাখে। একসাথে সংসার সাজায়। ছুটিছাটার দিনে বাইরে থেকে ঘুরে আসে। কক্সবাজার সেন্টমার্টিন কুয়াকাটা জাফলং, বছরের পাওনা অর্জিত ছুটিতে আরো বড় গন্তব্য সিঙ্গাপুর থাইল্যান্ড। ফেসবুকে হামিদুলের ভাই-ভাবী ওদের সুখের ছবিগুলো দেখে ঈর্ষার আগুনে দগ্ধ হয়।
জীবন কাকে কোথায় নামিয়ে দেবে তা বলা মুশকিল। হামিদুলের জীবনটাও এক লহমায় উলটে গেল।
সেদিন অফিস থেকে ফেরার পথে এক এক্সিডেন্টে দুই পা মারাত্মক জখম হয়। হাঁটুর নিচ থেকে কাটা পড়ে দুটো পা-ই। অফিস থেকে চিকিৎসা খরচ পেলেও চাকুরিটা আর থাকে নি। সার্ভিস বেনিফিটের টাকায় কিছুদিন চলবে- তারপর?
তিন বছরের শিশুসন্তান আর পঙ্গু স্বামীকে নিয়ে অথৈ সাগরে পড়ল তুলি। শ্বশুরবাড়িতে দেখাবার মুখ নেই। বাবার বাড়িতেও প্রায় একই অবস্থা। বাবা মা দুজনই মারা গেছে। বড় দুই ভাই আছে, তবে বোনের ব্যাপারে দুজনই উদাসীন। এমতাবস্থায় একজন শিক্ষিতা নারী যা করে তুলিও তা-ই করল, একটা চাকুরিতে ঢুকে গেল। বেতন খুব বেশি না হলেও সঞ্চয়পত্রের মুনাফা মিলে সংসার মোটামুটি চলে যাবে। আরেকজনের মুখাপেক্ষী হওয়া লাগবে না।
তবে সব সমীকরণ কি এত সহজে মেলে? কিছুদিন পর শুরু হলো নতুন অশান্তি।
হামিদুল সারাজীবন কাজের ওপর থেকেছে; এখন সারাদিন ঘরে থেকে থেকে তার মেজাজ খিটখিটে হয়ে গেছে। মেয়েটা মাকে না পেয়ে সারাদিন কাঁদে। হামিদুল আদর করে শান্ত করতে চাইলেও থামে না। হামিদুল মেজাজ হারিয়ে বকা দেয়, মেয়ে ভয় পেয়ে আরো কাঁদে। মা ঘরে ফিরলে বাপের নামে বিচার দেয়।
স্ত্রীর টাকায় সংসার চলছে, হামিদুলের ভালো লাগে না। ও বুঝতে পারে এ নিয়ে মানুষ আড়ালে অনেক কিছুই বলে। নিজের অক্ষমতায় নিজের ওপর রাগ হয়, সেটা গিয়ে পড়ে তুলির ওপর। ওর সবসময় মনে হয় সংসারে তুলির আগের মতো মন নেই!
বৌ সুন্দরী হলে স্বামীরা একটু সন্দেহপ্রবণ হয়। হামিদুল কখনো এমনটা ছিল না। কিন্তু এখন একা একা থেকে মনের ভেতর অনেক সন্দেহ দানা বাধে। পাশের বাসার ভার্সিটি পড়ুয়া হ্যান্ডসাম ছেলেটা প্রায়ই তুলিকে উঁকিঝুঁকি মেরে দেখে- হামিদুল বহুবার এটা নোটিস করেছে। তুলিও যেন পাশের ফ্ল্যাটের নিবিড় দা’র সাথে একটু বেশিই হেসে কথা বলে! বাসা ভাড়া দিতে গিয়েই বা বাড়িওয়ালার সাথে এত সময় গপ্পসপ্প করার কী আছে?
অফিসে সাধারণ কর্মী হিসেবে জয়েন করার কিছুদিন পরই কোম্পানির চেয়ারম্যান তুলিকে নিজের পিএস করে নিয়েছে। বেতন বেশি, সম্মান বেশি- হামিদুল এসবের মধ্যে সন্দেহের গন্ধ পায়। এতকিছু কি শুধুই তুলির যোগ্যতার প্রাপ্তি? নাকি চেহারাও একটা অন্যতম অথবা একমাত্র কারণ?
রোজ অফিস থেকে বাসায় ফিরে হামিদুলের বিরক্ত চেহারা দেখে দেখে তুলিও ক্লান্ত। সারাদিন অফিস সামলে বাসায় ফিরে আবার সংসারের সব কাজই ওকে করতে হয়- হামিদুল কামাই রোজগার করতে পারে না, একটু ঘর তো সামলাতে পারে!
সুখের সংসারে এখন রোজ রোজ অশান্তি, ঝগড়া। তুলি হাপিয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই অফিস থেকে বেরোতে বেরোতে ওর ইচ্ছে হয় বাসায় না গিয়ে অন্য কোথাও চলে যাবার। হামিদুলের সাথে আর চলছে না। হাত বাড়ালে অপশনের অভাব আছে! বসের সাথে একটু ঢলাঢলি করলেই অফিসে তার ক্যারিয়ারের সিড়ি লিফটে পরিণত হবে। বস একটু বয়সী; তা হোক, পয়সাদার তো! ওকে যে মনে মনে কামনা করে তুলি তা বেশ জানে। বহুবার প্রাইভেট ট্রিপে নিতে চেয়েছে, তুলি মেয়ের কথা বলে পাশ কাটিয়েছে। তুলি জানে, ও একবার হ্যাঁ বললেই অনেক সুযোগ সুবিধা পায়ের কাছে গড়াগড়ি দেবে।
ইয়াং ছেলে চাইলে সেটাও আছে। কতই বা বয়স তুলির! এখনো দেখতে ২৩/২৪। পাশের বিল্ডিংয়ের হ্যান্ডসাম ছেলেটা ফেসবুকে নক দিয়ে রেখেছে, তুলি এখনো একসেপ্ট করে নি। করে দেবে নাকি শিমুলের রিকোয়েস্টটা একসেপ্ট?
“আর কতকাল পঙ্গু স্বামীকে টানবেন? চাইলেই তো নতুন করে জীবন শুরু করতে পারেন” অফিসের ডিভোর্সি কলিগ এই কথার আড়ালে কী ইঙ্গিত দিয়েছে তা বুঝতে তুলির কষ্ট হয় না। ওনারও একটা ছেলে আছে, ভালোই মিলবে দুজনার! অন্তত সৎমেয়ে নিয়ে তো ঝামেলা হবে না। ওনাকে বলবে নাকি, “হ্যাঁ! নতুন করে শুরু করতে চাই!”
তুলির মনের অলিগলিতে কথাগুলো ঘুরেফিরে বেড়ায়। আসলেই এই ক্লান্ত জীবনে একটু ‘মুভ অন’ প্রয়োজন!
একদিন হামিদুল তুলির ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে শিমুলকে দেখতে পায়। শিমুল আর তুলির সেলফি- শিমুল ছবিটা নিজের ওয়ালে পোস্ট করেছে। এতকিছু হয়ে যাচ্ছে হামিদুলের অগোচরে! তার মানে এতদিন যা সন্দেহ করেছে ঠিক তাই! আরো ঘাটলে নিবিড়দার সাথেও কিছু না কিছু পাওয়া যাবে। আর তুলির বস তো এখন রাতবিরাতেও কল দিচ্ছে!
শিমুলের সাথে তুলির সেলফিটা হামিদুলের মাথায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আরো অজস্র সন্দেহের তরী হৃদয়বন্দরে নোঙর ফেলেছে। হামিদুল আর কিছু নিতে পারছে না। আজ এস্পার হবে, নয় ওস্পার! ছোরাটা ভালোমত শান দিয়ে বালিশের নিচে রেখে দিয়েছে। এমন চরিত্রহীন কুলটা স্ত্রীর কামাই খাওয়ার চাইতে তাকে খুন করে জেলের ভাত খাওয়া শ্রেয়।
তুলি সন্ধ্যা ছটা-সাড়ে ছটা নাগাদ বাসায় ফেরে। আজ রাত নয়টা গড়িয়ে গেছে, তুলির খবর নেই। মোবাইলে দু’বার কল করেছিল, দু’বারই কেটে দিয়েছে। হামিদুল নিজের ভেতরের চিতার আগুনে নিজেই ভষ্ম হতে থাকে। (গালি) আজ কার সাথে শুতে গেছে কে জানে! বের তো হয়েছে লকারের সবচেয়ে গর্জিয়াস শাড়িটা পড়ে…
অবশেষে রাত দশটার পর ডোরবেল বাজে। হামিদুল হুইল চেয়ারের চাকা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গিয়ে দরজা খুলে দেয়। তুলি! আলুথালু পোশাক, পায়ে স্যান্ডেল নেই। এলোমেলো চুল, ব্লাউজের একটা কোনা ছেঁড়া। ঘামে, ক্লান্তিতে চেহারা ভচকে আছে। চোখেমুখে আতঙ্ক। তুলি ধপ করে হামিদুলের পায়ের কাছে বসে পড়ে। হামিদুল তুলির হাত দুটো নিজের হাতে তুলে নেয়। তুলির হাতের তালুতে ছোপ ছোপ তাজা রক্ত!
আজ ওর বস অনেক রাত পর্যন্ত অফিসে ছিল। তুলিকেও থাকতে হয়েছে। সবাই চলে গিয়ে ফ্লোর যখন খালি তখন বস ওকে সরাসরি কুপ্রস্তাব দেয়। তুলি ঘৃণার সাথে সেই প্রস্তাব, সাথে চাকুরিটাও বসের মুখের ওপর ছুঁড়ে দিয়ে চলে আসতে চেয়েছিল। পেছন থেকে বস ওকে জাপটে ধরে। অসহায় আত্মসমর্পণ করতে করতেও তুলির সামনে ভেসে ওঠে একটা সুখী সংসারের ছবি- তুলি হামিদুল আর ওদের ছোট্ট রাজকন্যা। ছবিটাকে সে নষ্ট হতে দিতে চায় নি। আর তাই হাতের নাগালে পাওয়া পেপার কাটারটাই সে কাজে লাগায়, পোঁচে পোঁচে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে লম্পটটার চেহারা।
তুলিকে শক্ত করে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরেছে হামিদুল। ও বুঝতে পারে বেশিক্ষণ তুলিকে ধরে রাখতে পারবে না। পুলিশের জীপ থেমেছে বিল্ডিংয়ের সামনে। ওই তো শোনা যাচ্ছে সিঁড়িতে ওদের উঠে আসার শব্দ…
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
পাঁচ ছেলে আর তিন মেয়ে নিয়ে দশ সদস্যের বিশাল সংসারটা আব্দুস সালাম শেখ সামলেছেন কৃষিকাজ করে
৩০ সেপ্টেম্বর - ২০২৩
গল্প/কবিতা:
৩৩ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ মে,২০২৫