১.
গত তিন বছরে স্বামীর কাছ থেকে অবহেলা ছাড়া আর কিছুই জোটে নি। অবহেলার স্তূপ জমে জমে পর্বতসম; তার নিচে চাপা পড়ে দম বন্ধ হয়ে আসে। আর নিতে পারছে না। সময় এসেছে অবহেলার স্তূপ ফুঁড়ে বের হয়ে আসার।
ট্রলি ব্যাগটা টানতে টানতে রাস্তায় বেরিয়ে এলো রশ্মি।
২.
(তিন বছর আগের এক সন্ধ্যায়)
দ্রুত বাসায় ফেরা দরকার। কিন্তু চাইলেও জোরে হাঁটা যাচ্ছে না। আজ ভ্যালেন্টাইন্স ডে। হাতিরঝিল লোকে লোকারণ্য। হাঁটতে হচ্ছে ভিড় ঠেলে ঠেলে।
জুনায়েদ ছোটবেলা থেকেই নম্রভদ্র, মুখচোরা স্বভাবের। এমন মানুষ সমাজে ‘ভালো ছেলে’ তকমাই শুধু পায়, ‘প্রেমিক পুরুষ’ হতে পারে না। কোনোদিনই কি প্রেমপাখি তার কাছে ধরা দেবে না? ভাবতে ভাবতে একটু আনমনাই হয়ে পড়েছিল। চমক ভাঙল জোরালো এক ঘুষিতে
“হাউ ডেয়ার ইউ টাচ মাই গার্লফ্রেন্ড!”
ঘুষির তোড়ে তাল হারিয়ে পড়তে পড়তে জুনায়েদ নিজেকে সামলে নিল। নাক ফেটে রক্ত বেরিয়ে এসেছে; কিন্তু ব্যথার চেয়েও বেশি হতচকিত হতভম্ব। তার সামনে এক যুবক সমানে ইংরেজিতে গালাগাল দিয়ে যাচ্ছে। বাসন্তী শাড়ি পরা এক তরুণী তাকে সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে।
মেয়েটি কি সুশ্রী? জুনায়েদ ওর চেহারা পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে না। ঘুসির তোড়ে মোটা লেন্সের চশমাটা কোথাও উড়ে গিয়ে পড়েছে। জুনায়েদ সেটা অন্ধের মতো হাতড়ে খুঁজছে। পিঠে কারো হাতের আলতো স্পর্শে পেছন ঘুরল। মেয়েটার বাড়িয়ে দেয়া হাতে জুনায়েদের চশমাজোড়া।
চশমা চোখে দিতেই সামনে সহস্র কৌতূহলী চোখ ফুটে উঠল। সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে সে। এতগুলো মানুষের সামনে মার খেয়ে জুনায়েদ কুঁকড়ে গেল। কাঁধব্যাগের স্ট্র্যাপটা কোনোমতে পিঠে চেপে ভিড় ঠেলে বাসার পথ ধরল অবনত মস্তকে। পিছনে পড়ে রইল একাকী মেয়েটা।
ঘটনার আকস্মিকতায় মেয়েটি নিজেও হতচকিত। শাহেদ ওর ওপরকার রাগ ঝাড়ল অচেনা একজন মানুষের ওপর! রশ্মি লজ্জিত দুঃখিত ব্যথিত। পুরো ব্যাপারটার জন্যে ওর নিজেকেই দায়ী মনে হচ্ছে। ও যদি শাহেদকে কথাটা না বলত…
সকালে ভার্সিটি ক্যাম্পাস, দুপুরে রমনা পার্ক, বিকেলে হাতিরঝিলে নৌবিহার… স্বপ্নের মতো কেটেছে পুরোটা দিন। বিপত্তি বাঁধল সন্ধ্যা নামার পর। পার্কের এক কোনের আলো-আঁধারিতে রশ্মীকে আরেকটু কাছে পাবার ‘আবদার’ জুড়ে বসেছিল শাহেদ। “বিয়ের আগে ওসব না”- রশ্মির জবাবটা শাহেদকে ক্রুদ্ধ করে তুলেছিল-
“যা চেহারা তোমার! আমি ছাড়া আর কে তোমায় ছোঁবে?”
শাহেদের কথাটায় মুহূর্তেই রশ্মির মোহভঙ্গ হলো; উবে গেল গত এক বছরের ভাললাগা। সাথে শ্রদ্ধাবোধও।
৩.
শাহেদের সাথে রশ্মির পরিচয় হৃদির বিয়ের অনুষ্ঠানে। শাহেদ বরের বন্ধু। হাসিখুশি প্রাণবন্ত রসবোধসম্পন্ন যুবক। হাসিঠাট্টায় পুরো আসর একাই মাতিয়ে রেখেছিল। ওর রঙ্গ-রসিকতা থেকে বাদ গেল না রশ্মিও।
“আরে, বিয়াইন কী ঝাক্কাস একটা শাড়ি পড়ছে! কালার সেন্সের জবাব নাই…”
“জ্বি, আমার নিজের কালারেরই তো জবাব নেই!”
কথাটা পাল্টা রসিকতা হিসেবে মন্দ না। কিন্তু রশ্মির বলার ভঙ্গি আর গলার স্বর বলছে কথাটা সে জোকস হিসেবে বলে নি।
সৌন্দর্যের প্রচলিত মাপকাঠিতে রশ্মি অসুন্দর। বেশ শুকনো, গায়ের রঙটাও খোলতাই নয়। ওকে নিয়ে কেউ রসিকতা করলে রশ্মির প্রথমেই মনে হয় ওর গায়ের রঙের কারণেই বুঝি রসিকতাটা করা হলো।
ওদিকে মুহূর্তেই বিব্রত ভাবটা সামলে নিলেও শাহেদের ভেতরটা খচখচ করছে রশ্মির কথাগুলোয়। ও এভাবে রি-এক্ট কেন করল?
এই ‘কেন’র উত্তর খুঁজতে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট, ইনবক্সে হাই-হ্যালো, টিএসসিতে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’… স্ট্যাটাস ‘জাস্ট ফ্রেন্ড’ থেকে ‘ইন রিলেশন’এ বদলে যেতে সময় লাগে নি।
ওরকম সুদর্শন একটা ছেলের পাশে সে বেমানান, রশ্মি জানে। কিন্তু শাহেদের আচরণে কখনো এটা প্রকাশ পায় নি। রশ্মি জীবনে প্রথম এমন কাউকে পেয়েছে যার কাছে তার চেহারা গৌণ।
শাহেদের সাথে স্বপ্নের মতো সুন্দর একটা সময় কাটছিল। এভাবে যে তার অবসান ঘটবে তা কে জানত!
“… আমি ছাড়া আর কে তোমায় ছোঁবে…?”
রশ্মির মুখের ওপর বাজে কথাটা বলে শাহেদ চলে যাচ্ছিল। পেছন পেছন আসছিল রশ্মি। ওর গায়ে বিপরীত দিক থেকে আসা জুনায়েদের সামান্য ছোঁয়া লেগেছিল অসাবধানে।
“এই যে দেখো, এই লোকটাই তো ছুঁলো!”
কথাটা রশ্মি রসিকতাচ্ছলে বলেছিল পরিস্থিতিকে হালকা করতে। শাহেদ তখনও রাগে ফুঁসছে।
গতিবিদ্যার একটি সূত্র হলো গতিশীল বস্তু বাধাপ্রাপ্ত হলে দিক পরিবর্তন করে। শাহেদের ভেতরকার রাগেরও দিকবদল হলো। রশ্মির ওপরকার রাগ গিয়ে পড়ল জুনায়েদের ওপর। আচমকা ঘুষি দিয়ে বসল। অথবা নিজেকে সুপিরিয়র প্রমাণ করতেই কাজটা করল। যে দেখো, তোমাকে প্রোটেক্ট করতে আর কেউ আসবে না আমি ছাড়া!
কারণ যাই হোক, রশ্মি তখনই বুঝে গেছে মানুষটার সাথে তার সম্পর্কের ভবিষ্যৎ।
৪.
লম্বা ছুটি শেষে জুনায়েদ অফিসে ফিরল। এই ক’দিনে শরীরের জখম শুকালেও মনের জখম শুকায় নি।
অফিস শেষে হাতিরঝিলের চিরচেনা পথে বাসায় ফেরা। আজ আর হাঁটার পথে ব্যাঘাত ঘটার কারণ নেই। কিন্তু ব্যাঘাত ঘটল
“একটু দাঁড়ান…”
“আমাকে বলছেন?”
“জ্বি! আমাকে চিনতে পেরেছেন?”
বাসন্তী শাড়িতে একটি তরুণী যখন এমন প্রশ্ন করে তখন মুখের ওপর ‘না’ বলা মুশকিল। জুনায়েদ কী বলবে বুঝতে পারছে না
“বুঝতে পারছি আপনি আমাকে চিনতে পারছেন না। ওই যে দু’সপ্তা আছে ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে শাহেদ আপনাকে… আপনার চশমাটা পড়ে গেছিল, আমি তুলে…”
ফ্ল্যাশব্যাকের মতো সবকিছু মনে পড়ে গেল। সেদিন মেয়েটাকে সেভাবে খেয়াল করা হয় নি।
“আপনি প্লীজ আমাকে মাফ করে দিন। সেদিন আমার কারণেই শাহেদ আপনাকে…”
জুনায়েদ দুটো সপ্তাহ যাবত যে ঘটনা ভোলার চেষ্টা করছে সেটা আবারো চোখের সামনে ঝলসে উঠল। ঘৃণায় মনটা ভরে গেল ওর। কিন্তু মেয়েটা এরপর যা করল তার জন্যে ও মোটেই প্রস্তুত ছিল না। জুনায়েদ চলেই যাচ্ছিল; মেয়েটা “আপনি এভাবে চলে যাবেন না” বলেই ওর পা দুটো জড়িয়ে ধরল। জুনায়েদ হতবিহ্বল হয়ে চারধারে তাকালো। অজস্র কৌতুহলী চোখ ওদের দেখছে। জুনায়েদ খুব অস্বস্তিবোধ করছে
“আপনি আমার কাছে কী চান?”
“আমি চাই আপনি আমার সাথে বসে এক কাপ কফি খাবেন আর আমাকে ক্ষমা করেছেন কিনা বলবেন”
“ঠিক আছে চলুন”
“এবার বলুন, আপনি আমায় ক্ষমা করেছেন?”
“তার আগে বলুন আপনি কী করে বুঝলেন আমি সবসময় এই পথ দিয়েই যাতায়াত করি?”
রশ্মি পার্স থেকে জুনায়েদের আইডি কার্ডটা বের করল। সেদিন চশমার সাথে সাথে আইডি কার্ডটাও ছিটকে পড়েছিল।
“ব্যাংকের নাম দেখে মনে হলো এই পথ দিয়েই সবসময় যাতায়াত করেন। জানেন, সেদিনের পর থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর হাতিরঝিলের ওদিকটায় বসে থাকি এই আশায়- যদি আপনাকে পাই! রোজ সেদিনের শাড়িটাই পড়ি যাতে আপনি দেখেই আমাকে চিনতে পারেন। এতদিনেও আপনার দেখা না পেয়ে শেষমেশ ভেবেছিলাম আপনার অফিসেই চলে যাব…”
“আপনি আমার অফিসের ঠিকানাও জানেন?”
“বা রে, এদিকটায় আপনাদের ব্যাংকের শাখা তো ওই একটাই!”
“তাও ঠিক!”
“আপনি এখনো বললেন না আমাকে মাফ করেছেন কিনা!”
“আপনি কেন মাফ চাইছেন? আপনি তো কিছু করেন নি। যা করেছে তা আপনার বয়ফ্রেন্ড…”
“এক্স…”
“হুঁ?”
“এক্স বয়ফ্রেন্ড! সেদিনই আমাদের ব্রেক-আপ হয়ে গেছে”
“বলেন কি! আমাকে মেরেছিল- এজন্য?”
“যদি বলি তাই?”
“তাহলে আপনি ভুল করছেন! ভুলে হোক আর যেভাবেই হোক, আমি তো আপনাকে টাচ করেছিলাম। সে যেটা করেছে সেটা প্রটেকটিভ বয়ফ্রেন্ড হিসেবে যে-কেউই করত”
“প্রটেকটিভ না, পজেসিভ… নইলে যে মানুষটা….” (নীরবতা)
“যে মানুষটা?”
“নাহ্ থাক! চলুন ওঠা যাক”
“ঠিক আছে, আবার দেখা হবে…”
“কেন?”
“বা রে, ব্রাঞ্চ তো চেনেনই! আসবেন না একাউন্ট খুলতে?”
রশ্মি হেসে ফেলল। হাসল জুনায়েদও। কিন্তু ও অবাক বিস্ময়ে দেখল রশ্মি ঠিকই পরদিন ওদের ব্রাঞ্চে এসেছে। জুনায়েদ বুঝল স্রেফ একাউন্টের প্রয়োজনে না, রশ্মি একাউন্ট ওপেনিং ফর্মে নিজের ফোন নম্বরটা সযত্নে লিখেছে অন্য কোনো কারণে…
৫.
ওদের বিয়ের থার্ড অ্যানিভার্সারি আজ। একশ’টা লাল-নীল বাতি জ্বলে উঠতে পারত; বাগানের বুক উজাড় করে একগোছা লাল গোলাপ রশ্মির হাতে উঠতে পারত জুনায়েদের হাত ধরে। ফেসবুকে ওদের যুগল ছবির নিচে শোভা পেতে পারত শয়ে শয়ে লাইক-কমেন্ট। কিন্তু এর কিছুই হয় নি! রশ্মি দু’হাতের তালুতে ভেজা চোখজোড়া মুছে লাগেজ গোছানোর দিকে মন দিল। না চাইতেও মন বারবার পিছন ফিরতে চায়।
একাউন্ট ওপেনিং ফর্ম থেকে রশ্মির ফোন নম্বর জুনায়েদের ফোনে উঠতে সময় লাগে নি। এত দ্রুত দুজন এক্সিডেন্টালি-মেট মানুষের একাত্ম হওয়ার পেছনে এক্স-ফ্যাক্টর কী ছিল তা শুধু জুনায়েদই জানত। চটজলদি দুজনের আঙটি বদলের নেপথ্যে কি সেই এক্স-ফ্যাক্টরই কাজ করেছে?
বাসর রাতকে স্মরণীয় করতে কতজন কত কী করে। কিন্তু জুনায়েদ যা করল তা রশ্মি ভাবতেও পারে নি।
লাল শাড়িতে রশ্মিকে মনে হচ্ছিল বিছানা ফুঁড়ে বেরুনো একটা লাল গোলাপ। অপেক্ষা কখন জুনায়েদ ওর লম্বা ঘোমটা তুলে চিবুক স্পর্শ করবে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর জুনায়েদ আসলো বটে; কিন্তু বসল অনেকখানি দূরত্ব রেখে-
“আজ থেকে তুমি আমার স্ত্রী। কিন্তু জেনে রেখো আমি কোনোদিনই তোমাকে ছোঁব না!”
সেদিন রশ্মির কথাটা জুনায়েদের কানে গেছিল-
“এই যে দেখো এই লোকটাই তো ছুঁলো…”
সেদিনের পর থেকে পলে পলে কথাটা কানে বেজেছে ওর। যতখানি ঘৃণা শাহেদের প্রতি হয়েছে তার চেয়েও বেশি হয়েছে তার প্রেমিকার প্রতি।
রশ্মির আবারো মোহভঙ্গ হলো। তার মানে এই ছ’টা মাসের সবকিছু মিথ্যা ছিল! শুধুমাত্র প্রতিশোধ নিতেই…
কথা রেখেছে জুনায়েদ। গেল তিন বছরে একবারের জন্যেও রশ্মিকে ছোঁয় নি।
কতদিন এভাবে চলবে? রশ্মির প্রশ্নের উত্তর জুনায়েদ দিয়েছিল নাকের নিচের কাটা দাগটা দেখিয়ে-
“যতদিন চেহারায় এই দাগটা থাকে…!”
৬.
একসাথে থেকেও একাকার হতে না পারার কষ্ট রশ্মিকে অহোরাত্র পিষ্ট করে। জুনাদের নিজের মতো খায়-দায়, আড্ডা দেয়। রশ্মির দিকে ফিরেও তাকায় না। অসুখ হয়ে পড়ে থাকলেও না। এতটা অবহেলা ও আর নিতে পারছে না। সময় এসেছে…
ঘরের বৌকে বিয়েবার্ষিকীর দিন ঘর ছাড়তে দেখে বাড়ির লোকজন ভীষণ অবাক। ঘরভর্তি মানুষের কৌতূহলী চোখের সামনে জুনায়েদ আবারো চুপসে গেল।
স্ত্রীকে বঞ্চিত করার জন্য ইদানিং ওর নিজেরও গিল্টি ফিলিং হচ্ছে। ঠিক করেছিল বিয়েবার্ষিকীর দিনটাতেই রশ্মিকে বুকে টেনে নেবে। একগোছা লাল গোলাপ কেনাই আছে। কিন্তু সেতারের সুর যে কেটে গেছে!
রশ্মি সব ছেড়েছুড়ে চলে যাচ্ছে। পেছন থেকে জুনায়েদ ওর হাতটা টেনে ধরলো।
“আমাকে ছোঁবে না”
“কেন?”
“কারণ তোমার কাটা দাগটা এখনো যায় নি…”
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
গত তিন বছরে স্বামীর কাছ থেকে অবহেলা ছাড়া আর কিছুই জোটে নি।
৩০ সেপ্টেম্বর - ২০২৩
গল্প/কবিতা:
২১ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪