রাজপথে ভীষণ কোলাহল,
গলিপথে ব্যস্ততা আর বোঝা,
অফিসের পথে ক্লান্ত পা চলে,
কেউ চায় না জীবন এভাবে ঝোঁজা।
শিশুরা চায় স্কুলে যেতে,
ছাত্ররা ছুটে ক্লাসে পড়তে,
কিন্তু পথে বাধা যেন রুদ্র,
তাদের স্বপ্নে গাড়ি থামে চলতে।
অ্যাম্বুলেন্সে রোগীর হাহাকার,
জীবনমৃত্যুর খেলা চলছে যে,
মাঝপথে থামা ঐ নির্দয়তা,
মৃত্যু হাসে, সময় চলে গেছে।
জ্বালানি পুড়ে, সময় হয় ধুলো,
নষ্ট হয় কোটি টাকার শ্রমঘণ্টা,
আরেকটা দিন এলো ফের ক্লান্তি,
এ যানজট কি কখনো হবে সংহত?
আমরা কবে দেখব মুক্ত পথ,
যাত্রা হবে স্বস্তি আর আরাম,
নাগরিক জীবন হবে সহজ,
থাকবে না আর কোলাহলের দাম?
হয়তো একদিন আসবে সকাল,
যানজটের ভিড় থামবে চিরকাল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
কাজী জাহাঙ্গীর
প্রথম প্যারায় মনে হল মাত্রা না মিললেও অন্তমিল ঠিক রাখবেন। কিন্তু নিচের দিকে গিয়ে দেখি অন্তমিল ধরি রাখা যায়নি, আবার শেষ দুলাইনে ঠিকঠাক.. চালিয়ে যান ভাই, অনেক শুভকামনা।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
যানজটের কারণে শহরে স্বাভাবিক স্বচ্ছন্দ যাতায়াত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যানজট শুধু আমাদের অমূল্য সময়ই কেড়ে নিচ্ছে না, নাগরিক জীবনেও ডেকে আনছে নানা দুর্ভোগ। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিক, পথচারী সবাই আজ সর্বগ্রাসী যানজটের শিকার। এখন নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর কোনো নিশ্চয়তা নেই। নাগরিক জীবনে মানুষের অন্তহীন কাজ। জীবন ও জীবিকার তাগিদে সবাইকে ছুটতে হয় অফিস-আদালত, হাসপাতাল ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে। ছাত্রছাত্রীরা যাচ্ছে স্কুল-কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কিন্তু পথে নামলেই যানজট দৈত্যের মতো পথ আগলে দাঁড়াচ্ছে। যানজটের কারণে গতি থমকে থাকলেও সময় থমকে থাকে না। কর্মস্থলে সময় মতো না পৌঁছার কারণে কাজের কাজ কিছুই হয় না। দশ মিনিটের রাস্তা পেরোতে লাগে দু ঘণ্টা। ফলে কাজে বেরুলে প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা দেয় ব্যর্থতা। সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা, যখন-তখন, যেখানে-সেখানে যানজট। রাজপথ, গলিপথ, ফুটপাত কোথাও স্বস্তি নেই। সর্বত্র ভিড় আর ভিড়, যানজটের ভিড়, ভিড় মানুষের। যানজটের ভিড়ে একবার আটকে গেলে কখন তা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তা বলা মুশকিল।
১১ আগষ্ট - ২০২৩
গল্প/কবিতা:
৮ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।