টুয়েলভ নাইন

স্বপ্নলোক (অক্টোবর ২০২৩)

Faisal Bipu
  • ৩০
  • ২৫
ফজরের নামাজ পরে বেরুবার সময় পিছন থেকে শফিক সাহেব বললেন কি অবস্থা জহির?
- জি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?
- আলহামদুলিল্লাহ, অনেক দিন পর ফজরের নামাজে দেখলাম ভাল লাগলো।
- দুয়া করবেন ভাই। যেনো নিয়মিত হতে পারি।
বাসায় চলে আসলো জহির। ছাদে উঠে মাছ গুলোকে খাবার দিয়ে চলে গেলো রুমে। মোবাইল নিয়ে টুকটাক করে ঘুমিয়ে পড়ল।

শফিক সাহেব মেইন রোডে উঠে দেখলেন টিনের মসজিদের সামনে মুসল্লিরা জড়োসড় হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। এগিয়ে গিয়ে দেখলেন লাশ। ভালো ভাবে খেয়াল করে দেখেন হোসেন আলীর লাশ। মাথায় এলো না সত্তর ছুঁই ছুঁই বয়সী বৃদ্ধ রিকশা চালকটাকে কেউ কি জন্য মেরেছে। যদি রিকশা ছিনতায় এর জন্যই হয় রিকশা না নিয়েই চলে গেলো কেনো।?লোকটার কোন শত্রু থাকার কথা না। তবে কেনো? খুব ভোরে লোকটা রিকশা নিয়ে বের হয়। ইশ কি জীবন। কালকের হাসি খুশি মানুষটা আজ লাশ।

পুলিশ আসতে সময় লাগলো না। সব কিছু করে লাশ নিয়ে চলে গেলো। এতক্ষণে এলাকায় প্রায় সব লোক ই জড়ো হয়ে গেছে।

মাইকের শব্দ ঘুমটা আর হলো না জহিরের। মাইক এ ভেসে এলো।
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় এলাকাবাসী। একটি শোক সংবাদ। একটি শোক সংবাদ। পশ্চিম চত্তরপাড়া নিবাসী মোঃ হোসেন আলী ইন্তাকাল করেছেন। রাত ১০ ঘটিকায় তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজে অসুস্থ জনিত কারনে ইন্তেকাল করেছে হোসেন আলী। মরহুমের জানাজার নামাজের সময় পরবর্তিতে জানিয়ে দেওয়া হবে।

ঘুম ভেঙ্গে অবাক হল জহির। স্বপ্নে যে লোক হত্যা হলো সেই লোক বাস্তবেই মারা গেছে। এই ভোর বেলার এমন স্বপ্ন দেখার মানেই বা কি? উঠেই পানি খেলো জহির। ওর সমস্ত শরীর ঘেমে উঠছে। আবছা আবছা মনে পরছে রাতে এই বিষয়ে ও আরেকটা স্বপ্ন দেখেছে।
ভালো মতো মনে করার চেষ্টা করলো। রাত ৩ টার কাছাকাছি। জহির বসে আছে হোসেন আলীর রিকশায়। ভোর চারটার ট্রেন ধরতে বুড়োকে আগে ভাগেই বলে রেখেছিলো। বুড়ো রিকশা চালিয়ে একটু সামনে যেতেই, জহির বলল থামেন চাচা। থামতেই জহির সুতো বের করে বৃদ্ধের গলায় পেঁচিয়ে ধরলো। বৃদ্ধ অনেক ছটফট করছিল। জহির বলল চাচা আকাম তো জীবনে কম করলা না। তবে দশ বছর আগের করা ঐ ৯ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ এর কথা আমি জানি। তুমি মানুষ না। দুদিন পর এমনি ই মরে যাবা তবে মরার আগে শাস্তি পেয়ে মরো।
বৃদ্ধ সেখানেই শেষ। জহির শুধু হত্যা করে নি। বৃদ্ধের পুংলিঙ্গ ও কেটে নিয়েছিলো। স্বপ্ন ওখানেই শেষ।

ধর্ষণের ঘটনা সত্য। ফাতেমার বাবা ওকে একদিন কথায় কথায় বলে ফেলেছিল সেই গোপন ঘটনা। ওয়াদা ও করিয়েছিল কাউকে না বলতে। জহিরের তখন থেকেই একটা ইচ্ছে ছিলো ইশ যদি এই শয়তানের একটা শাস্তি হতো। কিন্তু এমন স্বপ্ন আজই কেনো ও দেখলো? যেদিন কাকতালীয় ভাবে মারা গেলো হোসেন আলী।

নভেম্বারের ২০ তারিখে নতুন চাকরীতে জয়েন করবে জহির। এর আগেই ছেলের বিয়ে করিয়ে ফেলতে চাচ্ছে আব্দুল জলিল। এবারের মেয়েটা সবারই পছন্দের। জহির টুকটাক কথা ও বলছে মেঘলার সাথে। সব ঠিক ঠাক থাকলে অক্টোবরে শুরুতেই বিয়ে হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। জহির বাংলাদেশ শ্রীলংকার এশিয়া কাপের ম্যাচ দেখছিল। ইজি জিতে যাবে যেই ম্যাচ দেখে মনে হচ্ছিলো সেটা কিনা এখন হারার শংকায়। মুশফিক আর হৃদয় এখন শেষ ভরসা।। রাগে টেনশনে অফ করে দিয়েছে খেলা। ঠিক তখন মেঘলার ফোন।

-হ্যালো
-হ্যালো
- আপনি বারো তারিখে ফ্রি আছেন?
- হুম। কেনো বলেন তো?
- আপনার সাথে জরুরী কথা আছে একটা।
- তা তো বুঝলাম তবে ১২ তারিখেই কেনো?
- বিশেষ কোনো কারন নেই। তবে '''
- আচ্ছা ঠিক আছে। ১২ তারিখে দেখা করছি।
কখন কোথায় জানিয়ে দেবেন।
ফোন কেটে দিলো মেঘলা। জহির ভাবতে লাগলো কি এমন বিশেষ কথা আছে তাও আবার তিন দিন পর। জহির ভাবতে লাগল। ভাবতে ভাবতে আবার ক্রিকবাজে স্কোর দেখল
৩১ ওভারে ১২৯ রানে চার উইকেট। রান ও লাগে ১২৯।
কাকতালীয় ব্যাপার হচ্ছে মেঘলা দেখাও করতে চাচ্ছে ১২/৯ অর্থ্যাৎ ১২ সেপ্টেম্বর।
১২/৯ কি ঘটতে যাচ্ছে?

আরেকটা ফোন কল এলো জহিরের ফোনে। বাদল ফোন করেছে। বাদল বলল
-বন্ধু এলাকায়?
- হুম। তুই তো শশুর বাড়ি যেয়ে হাওয়া।
- আরে নাহ কয়দিন আর হইলো ৭ দিন।
- হুম। তাও কথা।
- বন্ধু যে জন্য ফোন করছি শোন
- বল
- জনিরে তো চিনোস,
- আমাগো জনি?
- নাহ, ঐ যে শ্রাবনী, তোর ভাবির জন্য যারে জেলে দিলাম।
- হুম চিনি। কোন নেতার জানি পোলা,,
- হুম। অয় জামিনে বের হইছে বুঝছি। নয়তো পালিয়েছে।
- কি বলছিস?
- হুম সেটাইম এখন ঘটনা হলো অয় ইদানিং ডেইলি আমাদের এলাকায় যায়। জঙ্গলের দিকে।
- মনে হয় নেশা টেশা করে।
- হুম তাও একটু যদি দেখতিস। আমিও নাই। কি না কি ফন্দি করতাছে।
- ওকে বন্ধু দেখতাছি। আর তুই ঐ বিষয়ে কি ভাবলি
- কোনটা?
- আবুল হোসেনরে খুন করা নিয়ে স্বপ্নটা
- ওটা বাদ দে বন্ধু। সপ্ন তো স্বপ্ন।
- বার বার মাথায় ঘুরপাক খায় রে। থাক বাদ দে। আমি জনির বিষয়ে দেখি কি করা যায়।


মেঘলার সাথে দেখা করে বাসায় ফিরছে জহির। সন্ধ্যা ৭ টা বাজে। মেয়েটার কথা গুলো শোনার পর থেকে রাগে জহিরের পুরো শরীর কাঁপছে। তবে ওর মনে একবারও আসছেনা ও এই ধর্ষিত মেয়েকেটাকে ও বিয়ে করবেনা। বরং ওর মাথায় আসছে ঐ হারামজাদাটাকে জবাই করতে পারলে খুব ভালো হতো। তবে খুন খারাবি তো আর বাস্তবে এতো সোজা নয়। আর জহির অমন ছেলেও নয়। ইশ স্বপ্নের ঐ জহির যদি ও একবার হতে পারতো মেরেই ফেলতো আজাদ নামের লোকটাকে। আবুল হোসেন ও তো ধর্ষক ছিলো। ঐ স্বপ্নের সাথে কি এর কোন লিংক আপ আছে?
মেঘলার বলা কথা গুলো ওর বার বার মনে পরছে। ৫ বছর আগে মেঘলা বাসায় একা ছিলো। মেঘলার বাবার পাঠানো একটা পার্সেল দিতে মেঘলাদের বাসায় এসেছিল আজাদ। মেঘলাকে একা পেয়ে ___________।

মেঘলা এ ঘটনা কারো সাথেই কখনো শেয়ার করেনি। করার মতো সাহস ওর নেই। তবে যেই ছেলেটার সাথে ওর বিয়ে হবে তাকে না বললে তাকে ঠকানো হবে মেঘলার তাই মনে হয়। তাই সব রকম সংকোচ দূর করে আজ বলে দিলো। বিয়ে না হলে হবে সত্য জানা টা তার অধিকার। তবে জহিরের কাছে এর পরে এরকম ফিডব্যাক পেয়ে অনেক আনন্দিত। ছেলেটা ওকে বলেছে মেঘলা এটায় আপনার কোন হাত নেই। আর আমি অমন না যেয়ে সব জেনে বিয়েতে না করে দেবো। তবে একটা কথা আমি একবার ঐ নরপিচাশটাকে চিনতে চাই।

লাশের পুংলিঙ্গ ছিলো না এমন কথা এখন পুরো এলাকায় ছড়িয়ে গেছে। সবার কাছে ঘটনা রহস্যঘন হলেও জহির এর কাছে ব্যাপার টা সাংঘাতিক। ও লাশের গোসল করানো ছাদেক চাচার সাথে দেখা করতে এসেছে। চাচা বললেন হুম বাপধন ঘটনা সত্য। তবে আমি চাইপা গেছিলাম। ছাব্বিরে পাঁচ কান করছে। তুমি আপনা লোক তাই কইলাম কাউরে কয়োনা। কইবা গুজব।

গভীর রাত। সাব্বির কে সাথে নিয়ে গুরুস্থানে এসেছে জহির। লাশ খুঁড়ে ও বিষয়টা দেখতে চায়। সাব্বির এর ও ঐ বিষয় তুমুল আগ্রহ। আরো কিছু টাকা পাবে শুনে এক বারেই রাজি হয়ে গেছে। চারিদিকে থমথমে পরিবেশ। ভয় ভয় লাগছে তাও দুজন পিছপা হল না। শাবল কোদাল নিয়ে এসেছে। দুই তিন বার কোদাল চালানোর পর কারো পায়ের শব্দ পেয়ে লুকিয়ে গেলো ওরা। কেরে কেরে বলে কিছু লোক এদিকে এগিয়ে আসতে লাগলো। তাদের দেখে কোদাল হাতে দৌড় দিল সাব্বির। জহির ও বাঁচতে জঙ্গলে ঢুকে গেলো। জঙ্গলে কিছুদুর যেয়ে বাগান বাড়ির পিছে লুকিয়ে পড়লো ও। সাধারণত বাগান বাড়ি ফাঁকা থাকে।
তবে আজ কেউ আছে। ওদের কথা শোনার চেষ্টা করলো জহির। কেউ বলছে
অনেক মাইয়া নষ্ট করছি মিয়া তবে শ্রাবণীরে যদি পাই জ্যান্ত কবর দিমু। আমার সব শেষ কইরা দিছে ঐ মাইয়া আর বাদল হারামজাদা। ওরা এলাকায় ঢুকলেই মাইরা ফেলামু। অন্য একজন বললো, তা জনি কথা হইলো তোমার আব্বা জামিন পাইলেন না তুমি কেম্নে? আর কয়েন না আজাদ ভাই। মামা অনেক কষ্টে জামিন করাইছে। তবে আব্বার বিষয়টা জাতীয় পর্যায়ে যেহেতু গেছেগা ওটা এতো সোজা হইবো না। হুম ভালোই।মাতালের মতো হাসতে লাগলো আজাদ। মাতালের মতো বললে ভুল হবে মাতালই তো দুজন ভর প্যাক খেয়েছে।। আজাদ বলল, যাই কউ মিয়া আমি যেই কয়দা মাল খাইছি কাক পক্ষিজানে না। কোনো bad record নাই। জাইনা খুশি হইবা আসে পাশের এলাকায় নাকি আবার আমার খাওয়া এক মালের বিয়া। বলে পিশাচের হাসি হাসলো।

জহির না চাইতেও ওদের খুব কাছাকাছি। ও একবার ভাবলো নিয়তি ওকে এখানে নিয়ে এসেছে। হয়তোবা প্রকৃতি চাচ্ছে ওর হাতেই এদের মৃত্যু হোক। কিন্তু দুজনের সাথে কি ও পারবে। আর পারলেও তো পরে ধরা পড়তেই হবে। আবার সাহস সঞ্চার করলো ও। ভাবলো মাতাল দুজন লোককে সায়েস্তা করা ওর পক্ষে অসম্ভব নয়। গলা উঁচু করে বললো, ও করিম ভাই আমি রতন বিদেশী মদ লইয়া আইছি দরজা খুলেন। আজাদ বললো করিম আবার কেডা? আর রতনই কেডা? জনি বললো যেই হোক মিয়া। বিয়ার লইয়া আইছে এইডা আসল কথা। যান লইয়া আহেন। আজাদ টলতে টলতে দরজা খুললো। শাবল দিয়ে ওর মাথায় বাড়ি মারলো জহির। এক আঘাতেই নিঃশব্দে মাটিতে লুটিয়ে পরলো ও। শব্দ শুনে জনি বললো কেডারে? কি হইলো আজাদ ভাই। জহির দৌড়ে ভিতরে ঢুকলো। যেয়ে এলোপাথাড়ি সাবল চালিয়ে হত্যা করলো জনিকে।

লাগাতার দরজায় ধাক্কা। আব্দুল জলিল ডাকছে কিরে জহির। ডেইলি ডাকন লাগে। উঠ নামাজের সময় হইছে।
জহিরের ব্রেন স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগলো। তবে কিনা এটাও সপ্ন ছিল। কিন্তু কিছুতেই স্বপ্ন মনে হলো না ওর। ছাদেক চাচার বাসায় যাওয়া যদি সত্য হয়। সাব্বির কে টাকা দেওয়া কি স্বপ্ন? হিসাব ওর মিলছে না। উঠে গিয়ে প্যান্টের পকেটে গিয়ে দেখে ৩২০০ টাকা আছে। মনে পড়লো সাব্বির কে দেওয়ার পর একবার গুনেছিল টাকা ৩২০০ ই ছিলো। কিন্তু সত্যিই যদি হয় তবে ও বাসায় এলো কিভাবে?

ফেসবুকে ঢুকে আরেকবার শক খেলো জহির। স্থানীয় সাংবাদিক মাসুদ এর পোষ্ট দেখে। বাগান বাড়িতে হুট করে আগুন। দমকলবাহিনী উদ্ধারের কাজ করছে। সম্ভবত বাড়িতে কেউ ছিল। ধারনা করা হচ্ছে আলোচিত আসামি জমির শেখের পুত্র জনি এখানেই ছিলো। বিস্তারিত জানতে অপেক্ষা করুন।

১২/৯। সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখ নয় ডিসেম্বারের ৯ তারিখ। জহির তার নববিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে মহানগর এক্সপ্রেসে চট্টগ্রামে যাচ্ছে। কেবিনে ওরা দুজন ছাড়া আরো আছে বাদল আর শ্রাবণী। বাদল শ্রাবণী সম্পর্কে যারা না জানেন জুলাইয়ের বৃষ্টি বাদল সংখ্যায় বিস্তারিত জানতে পারবেন। এখানে মূলত জহিরের গল্প আপনাদের জানাচ্ছি। জহির বলল সবই খুলে বললাম তোমাদের। কি বুঝলে? মেঘলা বলল এতো বুঝতে চাইনে। বাসর রাত থেকে আজ পর্যন্ত চারবার বললে তোমার স্বপ্নলোক নিয়ে। তবে তোমার এতো চিন্তার কিছুনেই। এগুলো শুধুই স্বপ্ন। আর যদি বাস্তব ও হতো আমি একটুও কষ্ট পেতাম না একজন খুনির বউ হওয়াতে। বরঞ্চ নিজেকে গর্বিত ভেবে নিতাম ধর্ষকদের হত্যাকারীর স্ত্রী হওয়ার জন্য। আর স্বপ্ন তো স্বপ্ন। আর এরকম স্বপ্ন একজন ভালো মনের মানুষই দেখতে পারে। জহির মুচকি হাসল। শ্রাবণী বলল হুম ভাইয়া ভাবি একদম ঠিক বলেছে। আর ভাবি কি জানো বললা স্বপ্নলোক না কি? নামটা দারুন হয়েছে। ভাইয়ার স্বপ্নলোকের গল্প শুনতে শুনতে চট্টগ্রামে পৌঁছে যাবো। বাদল বলল দোস্ত। থ্যাংকস রে। জনির কেসটা এতো সহজে সলভ করে দেওয়ার জন্য? শ্রাবণী তাল মিলালো। জহির বলল ধুর আমি আবার কি করলাম? সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে তিনজন মারা গেছে। আর আমারটা তো স্বপ্ন। বাদল বলল তুই তো আবার খুন করার পর আগুন ও লাগিয়ে দিতে পারিস। সবাই হো হো করে হেসে উঠলো। জহির বলল আমার দেহ ঘরে কিভাবে এলো ? বাদল বলল
-তোর দেহ সর্বদা ঘরেই ছিলো বন্ধু তোর আত্মা যেয়ে কার্য সমাধান করেছে। (আবার হাসল সবাই।) বাদল আবার বলল
-তা বন্ধু ওটা কই রেখেছিস?
-কোনটা?
-কোনটা আবার হোসেন কাকার ঐটা।
-ধুর ব্যাটা ফান রাখতো।
-ফান না বন্ধু। একটু মনে কর খুঁজে দেখতাম।
-তুই ও বিশ্বাস করতে শুরু করলি আমার মতো?
-হুম বন্ধু কেনো জানো বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হচ্ছে। আর ইচ্ছে করছে,বাস্তবেই লেগে পরি তোর সাথে।
ঐ সব সমাজের কীটপতঙ্গ গুলোকে উপরে ফেলি।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে জহির বলল, বাদল একটা কথা বলা হয়নি রে। কাল রাতের স্বপ্নে একজনকে হত্যা করেছি কক্সবাজারের এক হোটেলে। আর কি বলবো আমার সাথে তুই ও ছিলি।
শ্রাবনী কেঁপে উঠলো বলল ভাইয়া গলায় ফাঁসি দিয়ে জানালা দিয়ে ঝুলিয়ে দাওনি তো?
সবাই শ্রাবনীর দিকে ফিরলো। জহির বলল হুম। তুমি কিভাবে জানলে? শ্রাবণী বলল একমিনিট। মাত্রই খবরটা অনলাইনে পড়লাম সবাই দেখো।

কক্সবাজারের এক পাঁচ তারকা হোটেলে একজন ব্যবসায়ীকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতনের পর গলায় দড়ি বেধে হোটেলের জানালা দিয়ে ঝুলিয়ে দেয় লাশ। কে বা কারা এর সাথে জড়িত এখনো জানা যায়নি। তবে এতোবড় হোটেলে এমন কর্মকাণ্ড চারিদিকে নিন্দার ঝড় চলছে। হোটেলের শিকরিউটি নিয়ে টুরিস্টরা আতংকিত।। খুন হওয়া ব্যক্তির নাম নিরঞ্জন। গতবছর এক ধর্ষণ এবং হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ছিল সে।

রাত ১২:৯। ট্রেন চলছে ট্রেনের গতিতে। সবার মনে চলছে জহিরের রহস্যঘন স্বপ্নলোকের গতিবিধি। জহির আবার ঘুমিয়ে পরেছে। ঘুমিয়ে পরেছে বললে ভুল হবে সে যাত্রা করেছে স্বপ্নলোকে। কোন ধর্ষককে তার প্রাপ্ত সাজা দিতে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Fahad Anwar ভাই অনেক দিন নতুন গল্প দিচ্ছো না কেনো?
অথই মিষ্টি সুন্দর হয়েছে
Jamal Uddin Ahmed অন্য ধরণের গল্প। ভাল লাগল। চালিয়ে যান।
ধন্যবাদ ভাই। আমার লেখা শেষ গল্প এটাই ছিলো আর লিখবো না
Uday Hossen অন্তত এমাসে আপনার গল্প এড়িয়ে দেতে ছেয়েছিলাম। শুরু করে ভুল করলাম শেষ করতেই হলো
অসম্ভব ধন্যবাদ ভাই
Md Sajib ভালো লাগলো গল্পটা, খুব ভালো হয়েছে।
sohan ahmed গল্পটি নিয়ে তেমন কিছু বলব না,,,খুবিভালো লেগেছে. এমন গল্প লেখে জান।এমরা এর পরতে চাই
ধন্যবাদ স্নেহের ছোট ভাই
মোঃ মাইদুল সরকার মুভি টাইপ গল্প। +++
Pervez Chowdhory পজেটিভ নেগেটিভ দুই বলবো। নেগেটিভ দিক হলো গল্পে অন্য একুটা গল্পের চরিত্র ঢুকানোর দরকার ছিলো না। পজেটিভ দিক হল গল্পটা গভীর রাতে পড়েছি কাহিনীর মধ্যে ডুবে ছিলাম। সকাল ঘুম ভাঙ্গার পর মনে হচ্ছিলো কাল কি জানো একটা মুভি দেখলাম। পরে মনে পড়লো আপনার গল্প পড়েছিলাম।
চারিদিকে ইউনিভার্স চলে তো তাই মন চায় আরকি। হাহাহা। ইটলি কুমার হতে চাই। কিন্তু একটা প্রডিউসার আর একটা শাহরুখের অভাবে হতে পারলাম না। হা হা হা
ধন্যবাদ মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার গল্প পড়ার জন্য। আবার পরদিন এসে অনুভূতি জানানোর জন্য
Sajjad Saddam শ্রাবণী কে ভাই? সব গল্পেই থাকে? ভাবি নাকি?? আপনার লেখা সত্যি দারুন
ভাই শ্রাবণী নামটা প্রথম মাথায় আসে বৃষ্টি বাদলের গল্প লেখার সময় তারপর ভয়াল রাতের গল্পেও নামটা ভালো লাগায় ব্যবহার করে ফেলি। আর এই গল্পে ঐ বাদল শ্রাবণীকের আবার উপস্থিত করেছি
ধন্যবাদ এতো ব্যস্ততা নিয়ে আমার গল্প পড়ে দেখার জন্য।।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

স্বপ্নে যাকে খুন হতে দেখছে পরদিন তার মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমবার কাকতালীয় মনে হলেও সময়ের সাথে সাথে বার বার ঘটতে থাকে ব্যাপারটা। এই রহস্যের জট খুলতেই এবারের গল্প টুয়েলভ নাইন

১৯ এপ্রিল - ২০২৩ গল্প/কবিতা: ১৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "যানজট”
কবিতার বিষয় "যানজট”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৮ অক্টোবর,২০২৪