আই লাভ ইউ

ভালোবাসা / ফাল্গুন (ফেব্রুয়ারী ২০১৫)

রবিউল ই রুবেন
  • ২৩
  • ৫২
কথাটা বলতেই তার মুখটা কালো হয়ে গেল। মুহূর্তের মধ্যে তার সকল উচ্ছাস দূর হলো। সে নিথর নি¯—ব্ধ হয়ে গেল। আমি বুঝতে পারলাম না তার মাঝে কেন এমন পরিবর্তন হলো। সে কেন এমন আচরণ করল আমার কথা শুনে। কেন তার মন খারাপ হলো? আমি কি মন খারাপ করা মতো কোন কথা তাকে বলেছি? মনে হয় না। আই লাভ ইউ বললে যে কারো মন খারাপ হয় সেকথা জানা ছিল না। জানতাম না আই লাভ ইউ বললে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়। যে কথায় মানুষ দূরত্ব ভুলে কাছে আসে, একে অন্যকে ভালোবাসে, একে অন্যের মধ্যে সেতুবন্ধন রচিত হয়। যে কথায় পর আপন হয়। যে কথায় মানুষের মনে প্রশাšি— আসে। যে কথায় অনš— সুখ নিহিত। যে কথায় একজন অন্যজনকে ভালোবাসতে শেখে। যে কথায় মজে শত্র“, মিত্র হয়। খারাপ লোক ভালো হয়। যে কথায় মানুষ সুখের ¯^প্ন দেখতে পায়। নতুন দিনের কথা কল্পনা করে। নতুন নতুন ¯^র্গ রচনা করে। আর সেই আই লাভ ইউ” যে কারো মনে দুঃখের অবতারনা করতে পারে সেকথা আমার জানা ছিল না। কারো কাছে এমনটি শুনিনি। যা বিশ্বে বিরল, বিশ্বাসেরও অতীত।
আমি ভেবে পাই না। আমার সাথে জেরিনার দেখা হলে সে কেন মুখ ফিরিয়ে নেয়? কখনো ওড়নায় মুখ ঢেকে চলে। আমি কি এমন আপরাধ করেছি? সে আমাকে তার মুখ দেখাতে চায় না বা আমার মুখ সে দেখতে চায় না। ভালোবাসা কি তবে জঘন্য কোন কিছু? সেটা কেমন করে হয়। শুনেছি ভালোবাসা বড় পবিত্র জিনিস। ভালোবাসা কেন জঘন্য হতে যাবে। ভালোবাসা, ভালোবাসায়। তার সাথে কোন কিছুর তুলনা চলে না। কিš—ু আমার বেলায় সব উল্টো। ভালোবাসা = মিছে আশা। ভালোবাসা চাওয়াটাই যেন আমার বড় ধরনের অপরাধ, মারাত্মক পাপ।
তার আচার আচরণ, কথা-বার্তা সবই কি মিথ্যে কোন নাটক ছিল? দেখা হলেই মিষ্টি করে হাসতো। অনর্গল কথা বলতো। পাশে এসে বসতো। নানা রকম উল্টা-পাল্টা কথা হতো। তখন তো সে কিছু মনে করতো না। তখন তো সে মুখ ঢাকতো না।
পরামর্শ নেবার জন্য বাসারের স্মরনাপন্ন হলাম। মনের মধ্যে উথাল-পাথাল ঝড় বইছে। কিছুতেই মনকে মানাতে পারছি না। মানুষ কিভাবে এতটা বদলে যেতে পারে। সেই হাসি, সেই কথা কোথায় হারিয়ে গেল। সে এখন অন্যজগতের অন্যমানুষ।
আমাকে দেখেই বাসার বলল, কিরে, কি হয়েছে তোর? মুখটা একদম শুকনা শুকনা লাগছে। কোন অঘটন ঘটিয়েছিস নাকি? না তোর আব্বা তোকে বকেছে কিংবা মেরেছে। বল আরিফ, আমাকে বল তোর কি হয়েছে।
কি বলবো বুঝতে পারছি না। কষ্টে আমার বুক ভেঙ্গে যাচ্ছে। মুখ গলে কোন কথা বের হতে চাইছে না। আমি যেন বোবা হয়ে গেছি। বাসার আমার খুব ভালো একজন বন্ধু। ওর সাথে আমি আমার সব কথা শেয়ার করি এবং সমস্যার সমাধান বের করার চেষ্টা করি। বাসারও আমার সাথে তার সবকিছু শেয়ার করে। সে আমার বিশ্বাসের মর্যাদা দেয়, আমিও তার বিশ্বাসের মর্যাদা দিই। বাসারই আমার একমাত্র বন্ধু, যাকে মনের সব কথা বলতে পারি নিশ্চিšে—। কোন সমস্যা হয় না। সে আমাকে খুব ভালোবাসে, আমিও তাকে ভালোবাসি।
আমাকে চুপ থাকতে দেখে বাসার বলল, এই আরিফ, তুই কি বোবা হয়ে গেলি? আমারগায়ে মৃদ্যু ধাক্কা দিয়ে বলল, এই কথা বলছিস না কেন? কি হয়েছে তোর?
অনেক সময় নিয়ে মুখ খুললাম। আচ্ছা বাসার, তুই কি কখনো শুনেছিস বা দেখেছিস আই লাভ ইউ বললে মানুষের মন খারাপ হয় কিংবা কেউ দুঃখ পায়।
কি বলছিস তুই! এরকম কি হয় কখনো? আমি তো কোনদিন কারো কাছে এমন কথা শুনিনি। আমি জানি, আই লাভ ইউ বললে, যাকে বলা হয় তার চোখে মুখে অন্যরকম হাসি ফোঁটে এবং দেহ, মনে, প্রাণে নতুন স্পন্দন এবং ভালোলাগা অনুভূত হয়। মনে মনে ¯^প্নের জাল বোনা শুর“ হয়। নতুন পৃথিবীর কথা চিš—া করে, নতুন ¯^প্ন দেখে শিহরিত হয়। আবেগে আপ­ুত হয়, সকল কাজে সে নতুনত্ব খুঁজে পায়। জীবনে প্রশাšি— আসে, আনন্দে আত্মহারা হয়ে কখনো মনের অজাšে— দু’লাইন প্রিয় কোন গান গেয়ে ওঠে। আর তুই বলছিস আই লাভ ইউ শুনে কারো মন খারাপ কিংবা দুঃখ পায় কিনা? অসম্ভব। একথা শুনে কেউ মন খারাপ করবে কেন? দুঃখ পাবে কেন? আচ্ছা আরিফ তুই আজ একথা বলছিস কেন? তোর এমন কি হয়েছে? বাদদে ওসব কথা।
বাদ দেবো কেন? আমি তো তোকে একথা শুনাতেই এসেছি। যা তোর কাছে অসম্ভব, অবা¯—ব, অবিশ্বাস্য তাইতো এখন সম্ভব, বা¯—ব এবং বিশ্বাস্য বিষয় হয়ে উঠেছে।
বাসার জানতে চাইল, কেমন করে?
তবে শোন, আমি একজনকে বলেছিলাম আই লাভ ইউ। তুই তো জানিস, এ পর্যš— আমি কাউকে আই লাভ ইউ বলার সাহস পায়নি বা বলতে পারিনি। মনের সাথে অনেক যুদ্ধ করে, বুকে অনেক শক্তি সঞ্চয় করে, মনে সাহস যুগিয়ে, অনেক অনেক প্রতী¶ার পর, দুর“ দুর“ ব¶ে, ভীর“ ভীর“ মনে, কাঁপা কাঁপা গলায়, ফিসফিসিয়ে তার কানে অতি সাবধানে বলেছি আই লাভ ইউ। কথাটা শুনেই তার মুখটা কালো করে ফেলল। নিমিষই সে অন্যমানুষ হয়ে গেল। তার আচরণে আমূল পরিবর্তন ল¶্য করলাম। তত¶ণে আমার বুক শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। কেন, কেন? এমন হয় আমার বেলায় বলতে পারিস? সে আমাকে ভুল বুঝেছে। আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
শাš— হ আরিফ, শাš— হ। কে সেই মেয়ে, যে তোর আই লাভ ইউ শুনে মন খারাপ করেছে? কে সেই, কি তার নাম?
জেরিনা।
কোন জেরিনা?
জেরিনা জেরিনাই। এ এলাকায় জেরিনা ক’জন আছে বল? একজনই।
চিনেছি, চিনতে পেরেছি। তাইতো বলি, ওছাড়া এমন কাজ কে করতে পারে। তুই আর মানুষ পেলি না আই লাভ ইউ বলার। দেশে কি মেয়ের অভাব পড়েছে, যে তুই জেরিনাকে, ছিঃ ছিঃ। অন্যকোন মেয়েকে বলতি, তাহলে বুঝতে পারতি তার অনুভূতি। থাক আর ওর গুনকীর্তণ করতে চাই না। দেখি আমি কিছু করতে পারি কি-না। যদি কিছু করতে পারি। তুই আর এটা নিয়ে ভাবিস না, দেখিস সব ঠিক হয়ে যাবে। আমি বলছি আমি দেখবো।
না, না তোকে কিছুই করতে হবে না। তুই ওকে কিছু বলতে যাবি না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বাসার পি­জ তুই ওকে কিছু বলবি না, কিচ্ছু না।
আচ্ছা কথা দিলাম ওকে কিছু বলবো না।
বাসারের সাথে কথা শেষ করে ভাবতে ভাবতে বাড়ির পথ ধরলাম। একটা কথা মনে পড়ে গেল। জেরিনা বলেছিল, আপনি কেমন মানুষ বুঝতে পারি না। আসলে আপনি কেমন যেন। শুধু ডায়লগ দিতে চান কিš—ু কিছুই বলতে পারেন না। আমি কি বলবো, না বলবো আসলে আমি নিজেই জানি না, সে জানবে কেমন করে। আমি কোন কথা কাউকে সহজভাবে বলতে পারি না। একধরনের জড়তা কাজ করে আমার মাঝে। ভাবি এক, করি আর এক। ভাবনার সাথে কাজের সাদৃশ্য খুব কম ল¶্য করা যায়। আমিও বুঝি না কেন এমন হয় আমার।
একবার জেরিনার সঙ্গে কথায় কথায় সে বলল, কিচ্ছু বোঝে না। আসলে কিছু বুঝি না আমি। বুঝেই কি আর না বুঝেই কি? যে লাউ সেই কদু। আমার ভালোবাসা কেন যে সে গ্রহণ করছে না, সেটা আমার মাথায় আসে না। বুদ্ধিতে ধরে না, কি তার কারণ? আমি কি অযোগ্য? কিসের কমতি আমার মধ্যে? কি নেই আমার? সবই আছে শুধু একজন প্রিয়তমা নেই। বড় শূন্য লাগে সবকিছু, নিজেকে খুব একা মনে হয়। সবকিছুতেই অপূর্ণতা। ফাঁকা ফাঁকা মনে হয় চারপাশ। আমি একবার তার কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, জানতে চেয়েছিলাম। কাউকে কিভাবে ভালোবাসার কথা জানাতে হয়? জেরিনা বলেছিল, যাকে ভালোবাসেন তার সামনে দাঁড়িয়ে বলবেন আই লাভ ইউ। আমি তোমায় ভালোবাসি, তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না। তোমাকে না পেলে নদীতে ঝাপ দিবো। ব্যাস প্রেম-ভালোবাসা হয়ে যাবে।
কিš—ু আমি কি কাউকে এভাবে এসব কথা জানাতে পারবো? পারবো না। পারিনি। শুধু আই লাভ ইউ বলেছি তাই আকাশ উল্টে গেছে। নদীর ঢেউ থেমে গেছে। গাছের ফুল সকল ঝরে গেছে, পাতাও ঝরছে। চাঁদটা ডুবতে শুর“ করেছে। সকালে হয়তো সূর্যটাও উকি দেবে না। পাখীর গান থেমে গেছে। আর যদি নদীতে ঝাপ দেওয়া পর্যš— বলতাম, তাহলে তো পৃথিবী উল্টে আকাশ নিচে এবং মাটি উপরে চলে যেত। পৃথিবী লয় হয়ে যেত। যাক বাবা বাঁচা গেছে যে, আমি নদীতে ঝাপ দিতে চাইনি। এভাবে আর ভালোলাগে না। একটা কাজ করলে কেমন হয়? আমি যদি আমার কথা তুলে নিই তবে কি গাছে গাছে নতুন করে ফুল ফুটবে? পূর্ব দিগšে— সূর্য উকি দেবে? নদীতে ঢেউ ছুটবে? রাতে আকাশে চাঁদ উঠবে? পাখী গান গাইবে? যদি তাই হয় তাহলে আমার কথা আমি তুলে নেবো। আমি না হয় ভালোবাসা বঞ্চিতই রইলাম। আমার জন্য প্রকৃতির এতকিছু তো থেমে থাকতে পারে না। আমার মাঝে না হয় একটা শূন্যতা থাকলোই। আমার কপালে ভালোবাসা নেই। ভালোবাসা বিহীন মানুষ একজন আমি। কেউ আমায় ভালোবাসতে চায় না। কেউ ভালো না বাসে, না বাসুক। আমি আমার কথা তুলে নেবো।
চলতি পথেই জেরিনার সাথে দেখা হয়ে গেল আমার। বুকের মাঝে ধ্বক করে উঠল। আমাকে দেখে সে তার মুখটা ওড়নায় ঢেকে দিলো। আমার বুকটা এবার পুরোপুরি ভেঙ্গে চৌচির হয়ে গেল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
পবিত্র বিশ্বাস ভাল লাগলো... শুভ কামনা রইল। আমার পাতায় আমন্ত্রণ।
ভালো লাগেনি ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
ঝরা সুন্দর বটে ই
ভালো লাগেনি ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
রেনেসাঁ সাহা খুব খুব সুন্দর হয়েছে গল্পটি। শুভকামনা অনেক ও ভোট রইল।
ভালো লাগেনি ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
ধন্যবাদ রেনেসাঁ সাহা গল্পটি সুন্দর লাগা এবং ভোট করার জন্য।
ভালো লাগেনি ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
Hasina খুব ভালো লেগেছে। দারুন গল্প। শুভকামনা সাথে ভোট করলাম।
ভালো লাগেনি ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য ও ভোট করার জন্য।
ভালো লাগেনি ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
Majharul খুব ভালো লাগার মত একটি গল্প। বানানে একটু সমস্যা দেখা গেছে মন্ব্য দেখে মনে হয়েছে ফন্টের সমস্যা। ভোট রইল।
ভালো লাগেনি ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
ধন্যবাদ মাজহারুল আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভালো লাগেনি ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
Elish খুবই ভালো গল্প। বানানগুলোতে যা একটু সমস্যা। শুভকামনার সাথে ভোট রইল।
ভালো লাগেনি ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
Thanks Elish.
ভালো লাগেনি ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
শফিকুল ইসলাম অসম্ভব রকমের ভালো লাগল। ভোট করলাম। শুভকামনার রইল।
ভালো লাগেনি ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য ও ভোট করার জন্য।
ভালো লাগেনি ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
সুস্মিতা সরকার মৈত্র গল্পের বিষয়বস্তু ভালো লাগল। ভোট রেখে গেলাম। বানানের দিকে একটু নজর দিলে ভালো হয়।
ভালো লাগেনি ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
ভালো কথা বলেছেল। ফন্ট পাল্টে যাওয়ায় যুক্ত বর্ণগুলো ওলট-পালট হয়ে গেছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য ও ভোট করার জন্য।
ভালো লাগেনি ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
রাজু ভালো লাগলো । ভোট রেখে গেলাম ।
ভালো লাগেনি ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
ধন্যবাদ রাজু ভাই ভোট করে অামার লেখা সাপোর্ট করা জন্য। ভালো থাকবেন।
ভালো লাগেনি ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
Salauddin অসাধারণ। ভালো লাগল ভোট দিলাম। শূভকামনা রইল।
ধন্যবাদ সালাউদ্দন ভাই। ভালো থাকবেন।

১৯ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪