আমার জীবন রহস্যের ছানি ;
রুপ কথার গল্পে ভরা !
এক বাবা দু’মাতা ;
নিজ মা মৃত !
সেই মায়ের দুই ছেলে -তিন মেয়ে ,
আমিই সেজো ।
জন্মের পর বাকপ্রতিবন্ধী ;
গাত্রে বিশ্রি ভরা !
দেখিলে গিন্না লাগিত মোরে ,
র্সদি কাশিতে রোগা ।
ওঝা, বৌদ্ধ ,ডাক্তার ,কবিরাজ ,
দিন রাত করিয়াছে পার ,
শুধু আমার জন্য ।
বড় বোনের নাকের নদ হারাইয়া
কাঁদিতে লাগিতেছে গাছ তলায় বসিয়া !
সেই কান্নার ভাগ লইয়া ,
আমি উঠিলাম কাঁদিয়া ।
সংসারের কত অভার ,
অন্যের কাজ তাহার স্বভাব ।
কিছু পাইলে নিজে না খাইয়া ,
আমাদের দিতো খাবাইয়া ।
বাবার হাতের মার খাইয়া ,
আমাদের জড়াইয়া ধরে ,-
উঠিত কাদিয়া ।
ছিন্ন কাপড় পরিয়া থাকিতো ,
মুখ বুঝে সব সর্হ্য করিতো ।
নানার বাড়ীত যাইয়া ,
খালাতো ভাইয়ের সাথে ঝগড়া করিযা ,
পথ গেলাম হারাইয়া ।
সবাই খুঁজিতেছে ,
বড় বোন খুঁজে পাইছে ।
বাড়ির পাশে মামার বাড়ি ,
নিয়ে গেল মা ।
মামতো ভাইয়ের সাথে ঝগড়া করে ,
আমি কি আর সেথায় থাকি ।
আমি একমত হতাম না -
বোনের সাথে ,
বোন এক মত হতো না -
আমার সাথে ।
এই যেন ইসরাঈল ফিলিস্তিন এর দন্দ ।
লুকোচুরি হৈ চৈ দুষ্টামি ভরা ,
ইহা এক রঙিন জীবন ,
রুপ কথার গল্পে ভরা ।
2002 সাল মে কিংবা জুন ,
কে যেন বলিলো তোর দেবর খুন ।
সেখানে গিয়া মাথায় ঘুরিয়া -
রইলো পড়িয়া ।
শুনতে পাইয়া গেলাম ছুঁটিয়া ,
দেখিলাম তারে মাটিতে শুয়ে আছে ,
মহিলাদের কান্নার শোর গোল বাডিয়াছে ,
পিতাকে খুঁজিতেছি
কিছুক্ষন পর খুঁজে পাইছি ,
সবাই মিলে নিয়ে গেল -
ফেণী সদর হাসপাতালে ।
দুপুর দুইটা অচিন পুরের খবর আসে ,
মামারা মামলা করে অনেকের নামে ,
পোস্ট মর্ডান ছাড়া -
ডাক্তার লাশ নাহি দেয় ।
সেই কি বিশ্রি মাতার শরীর ,
ভয়ানক দানবের থাবা ।
আকাশ বাতাস কান্নায় ভারি ,
আত্মীয়দের আহাজারি ।
রাতে দিনে আসে পুলিশ ,
যখন তখন দেয় হানা ।
যে হারায় সেই বুঝে
বিরহের কি যন্ত্রণা ।
বছর খানিক মামলা চলে ,
সাক্ষীর খুবই অভার ।
আসামিরা নির্দোষ প্রমানিত হলে ,
যত দোষ মোদের বলে ।
দুই বছর পর বাবা -
আবার বিয়ে করে ,
তত দিনে বড় বোন সংসারের হাল ধরে ,
এই বার-ছুটি তার ,
নতুন মা দাবি ধার ।
যে হারায় সেই বুঝে
বিরহের কি যন্ত্রণা ।
অল্পতে কান তোলে ,
বাবার কাছে নালিশ করে ।
নিজেকে ভাবে মহারাণী ভিক্টোরিয়া ,
খাইতে মানা ,চাইতে মানা ,
কিছু বলিলে 144 ধারা জারি ।
জীবনটাকে মনে হয় -
জেল খানার কয়দী ।
যে হারায় সেই বুঝে
বিরহের কি যন্ত্রণা ।
পিতা কোন কিছু না বুঝে ,
সৎ মায়ের কথা ধরে ,
পুরুষ কেন এতো ভীতু !
কোথায় তার স্বাধীনতা ।
আমি ভীতু নয় স্পষ্ট প্রতিবাদী ,
যে দিন পিতা বিনা দোষে শাসন করে ,
সেই দিন হয়ে উঠি বিদ্রোহী ।
চোখ মুছে মুখ বন্ধ করে ভাইদের শুনায়-
গুণীজনদের বাণী ,
সুযোগ বুঝে জামা কাপড় নিয়ে -
হয়ে গেলাম ফেরারী ।
আমার জীবন রহস্যের ছাঁনি ;
রুপ কথার গল্পে ভরা !
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
এই কবিতায় সৎ মায়ের অত্যাচার সহ্য ,
করতে না পেরে পালিয়ে যাওযার,
কথা তুলে ধরা হয়েছে ।
২৫ মার্চ - ২০২২
গল্প/কবিতা:
৯ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪