করছি আমি পড়ালেখা, করতে পূরণ বাবার আশা।
বাবা করেছেন কত আদর, দিয়েছেন কত ভালোবাসা।
বাবা পড়াচ্ছেন আমায় ডাক্তারি, ডাক্তার হবো বলে।
পড়ার জন্য বাবার কাছ থেকে বহুদূরে গেছি চলে।
বাবা বলেন ডাক্তার তোকে হতেই হবে, নাহলে চলবে না।
ডাক্তার হয়ে রোগীর সেবা দেবে, নাহলে দেখবে আমার কান্না।
বাবার এই স্বপ্নের পেছনে রয়েছে এক অশ্রুঝরা কাহিনী!
আমায় একদিন কাছে নিয়ে বুক ফাটিয়ে বলেন তিনি,
তুমি তখন ছোট ছিলে, মাত্র দু’মাসের ফুটফুটে ছেলে,
গ্রামটা তখন কত সুন্দর ছিলো, ছিলাম আমি জেলে।
মোদের এ গ্রামে ছিলো না সেকালে একটা পাকা রাস্তা,
গাড়ি আসতো না এই গ্রামে গর্তে পড়ে যেতো আস্তা।
হঠাৎ একদিন আমার মা হলেন প্রচন্ড জ্বরে আক্রান্ত।
মায়ের জন্য ঘরের সবার মন হলো কষ্টে ভারাক্রান্ত।
মাকে রেখে গ্রামে ডাক্তারের খোঁজে চলে গেলে,
খানিক্ষণ পর মনমরা চেহারা নিয়ে ঘরে এলে,
বোন বলল উঠে আমায় ডাক্তার কি খোঁজে পেলে?
আমি বললাম এই গ্রামে ডাক্তার কি আর মিলে?
দিন এগিয়ে আরোও পাঁচদিন চলে গেলো,
মায়ের জ্বর ক্রমশ আরোও বৃদ্ধি পেলো,
আজকের দিনে মোদের চোখের অশ্রু গড়ালো,
আজ মা আমাদের ছেড়ে ওপারে চলে গেলো।
ডাক্তারের অভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যেতে হলো মাকে,
সেদিন আমি বলেছিলাম ডাক্তার হতেই হবে তোকে।
বল, ডাক্তার হয়ে গ্রামে আসবি তুই!
আমি বললাম বাবার মাথা ছুঁই,
চিন্তা কর না বাবা, একদিন দেখবে তুমি,
বড় এক ডাক্তার হয়ে এসেছি গ্রামে আমি।
বাবার আশা করতে পূরণ করছি পড়ালেখা,
ডাক্তার হয়ে আমি বাবার সামনে দেব দেখা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।