নব্বই এর দশকে জন্ম। ধীরে ধীরে বুজতে শিখা । অনেক জানার কৌতহল। বাবা মায়ের নিকট বড়ো হতে শুরু করেছি অর্থাৎ স্কুল এ ভর্তি করে দিলো। শুরু হলো বিরক্তিকর জীবন শুরু, সবকিছু ছোট হয়ে আসতে লাগলো। সকালে উঠো স্কুল এ যাও - বিকালে প্রাইভেট পড়ো এমন আরো অনেক কিছু। কিন্তু তখন আলাদা একটা মজা ছিলো। এখন হাজার টিভি চ্যানেল এর ভিড়ে কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখবো, কি বা দেখবো সেই সময় কি আছে ? মোবাইল টিপো, ফেইসবুক চালাও , হোয়াটস্যাপ এ কল করো আর তখন একটা চ্যানেল ছিলো নাম তার বিটিভি , ভাবতাম কবে শুক্রবার আসবে কত সময় পার হলে সিনেমা দেখবো, আলিফ লায়লা , সিন্দাবাদ , ইত্যাদি আরো কত কি। সবাই একসাথে বসে সিনেমা দেখতাম এটুকুই বুজি আর কিছু বুঝার জ্ঞান ছিল না। এক সময় সিনেমা বুজতে শুরু করলাম। ৭১ এর যুদ্ধের পেক্ষাপট নিয়ে নির্মিত সিনেমায় হাজারো বীর বাঙালী মুক্তি সেনার কষ্ট , অসহায় নারীদের আর্তনাদ দেখে চোঁখে জল চলে আসতো। মনে হতো যদি পারতাম তাদের মুক্ত করে একটা সুন্দর জীবন উপহার দিতে পারলে আমার মতো সুখী কে আর হতো। দাদা আর দাদী প্রিয় বন্ধু ছিল তাদের কাছে বায়না ধরতাম যুদ্ধের গল্প করো। তাদের মুখেই শুনা দেশের জন্যে লক্ষ্য দেশপ্রেমিক এর অবদান। নিরস্র বাঙালীর অসহায় জীবন আর ভয় পেয়ে পালানোর করুন বর্ণনা। নানার মুখে শুনা রাজাকার এর লাইন এ দাঁড়ানো লাইন হতে আর বন্দুকের গুলি হতে বেঁচে ফিরা ভয়ানক এক বর্ণনা। টিভিতে যুদ্ধের সিনেমা দেখে মনের অজান্তেই বাবা মা কে প্রথম বলা আমিও যুদ্ধে যাবো। দেশের জন্যে যুদ্ধ করে হয় শহীদ হবো নয়তো দেশকে স্বাধীন করবো একটাই লক্ষ্য। এতটা বুঝার জ্ঞান ছিল না যে দেশ তো তখন স্বাধীন হয়ে গেছে। ধীরে ধীরে ক্রিকেট খেলা বুজতে শুরু করলাম। টিভিতে বাংলাদেশের খেলা দেখাতো.. প্রায় ম্যাচ এ হারতে হতো তবুও আশায় থাকতাম কবে জিতবো আমরা? খেলা শেষ এ কান্না পেতো তবুও আশায় বুক বেঁধে পরের ম্যাচ এর অপেক্ষায় থাকতাম। সবাই মিলে স্কুল এ জাতীয় সংগীত গাইতে গিয়ে শরীরের প্রতিটি লোম দাঁড়িয়ে যেত। মনের অজান্তেই একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করতো। তিরিশ লক্ষ্য শহীদের বিনিময় এ আমরা পেয়েছি বাংলাদেশ এর পতাকা। দেশের জন্যে ঝাপিয়ে পরে শহীদ হতেও পিছপা হয়নি বীর বাঙালী দামাল সন্তানেরা। তাদের ত্যাগ কখনো ভুলার নয়। দেশপ্রেম অর্থ বলতে এগুলোই বুজতে শিখেছি ছোটবেলা হতে। বর্তমান ডিজিটাল যুগে এসে এসকল অনুভূতি কাজ করে কিনা আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
ভালোবেসে দেশকে-- দিতে পারি প্রাণ
জীবন দিয়ে বাঁচাবো মোরা দেশের সম্মান ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ফয়জুল মহী
মনের কথাগুলো অপূর্ব করে
ফুটিয়ে তুলেছেন I
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।