সেই বৃষ্টির দিনে

বৃষ্টি ও বিরহ (আগষ্ট ২০২১)

মোঃ মাইদুল সরকার
মোট ভোট প্রাপ্ত পয়েন্ট ৫.২৫
  • 0
  • ৯৭
প্রতিদিন এই সাত সকালে রান্নার ঝামেলা আর ভালোলাগেনা। তবুও রাধতে হয়, নয়তো অফিস থেকে ফিরে রান্না করাটা নরকের আগুনের মতই যন্ত্রনা মনে হয়। সকালে রুটি বা পরোটা সাথে ডিম পোছ বা ভাজা হলেই হয়ে যায়। দুপুর আর রাতের জন্য মাছ কিংবা মাংস সাথে ডাল বা সবজি একজন মানুষের জন্য এই যথেষ্ট। যেদিন মন ভালো থাকেনা মুনিয়ার সেদিন এক বেলা উপুস আর দুই বেলা বাহিরে সেরে নেয়।

রান্নার ঝামেলা চুকিয়ে চা চড়িয়ে গোসলে ঢুকেছে মুনিয়া এদিকে মোবইলটা বেজেই চলেছে। চায়ে চুমুক দিতে দিতে সকালের প্রথম আলো পত্রিকা উল্টাতে উল্টাতে আবার বেজে উঠল দূরালাপনী যন্ত্রটা। ভ্রু কুচকে গেল মুনিয়ার । সাত সকালে কে হতে পারে ?

নিশ্চয় বড় আপু মালিহা। মাহিনের সাথে ঘটনাটা ঘটে যাবার পর থেকে আপুই আগলে রাখছে মুনিয়াকে। প্রতিদিন ফোন দেওয়া চাই-মুনিয়া ঠিক মত খেল কিনা, অফিসে গেল কিনা, কোথাও বেড়াতে যাবার ইচ্ছে আছে কিনা কিংবা সপিং-এ বেরুবে কিনা এরকম হাজারটা প্রশ্ন করা চাই এবং তার ঠিকঠাক জবাব জানা চাই। মুনিয়ার অবশ্য সব কথা শোনা বা প্রতিউত্তর করতে ইচ্ছে করেনা।

টেবিল থেকে ফোনটা হাতে নিতেই চোখ আটকে গেল স্কিনে উঠা নামটায়। মাহিন!
বিদ্যুতের শক খাওয়ার মতই অবস্থা হলো মুনিয়ার । বড় করে দম নিয়ে মনের ভিতর থেকে বেড়িয়ে আসা কথাটাকে জোড় করে আটকে রেখে নি:শব্দে কান পাতলো সে।

-হ্যালো। কেমন আছ তুমি ?
-আমি কেমন আছি সেটা জেনে তোমার আর কোন লাভ নেই। ফোন করেছো কেন সেটা বলো ?
প্রায় বছর খানেক হতে চললো মুনিয়াকে ছেড়ে চলে গেছে তার স্বামী মাহিন। যে পুরুষ তার বউকে এভাবে একা ফেলে চলে যায় তার মুখে এ প্রশ্ন তামাশারই নামান্তর।

অনেক কষ্টে নিজের স্নায়ুকে নিয়ন্ত্রন করে মুনিয়া বলল, নতুন কি মতলবে ফোন করেছো সেটা ক্লিয়ার বলো ?
-না না মতলব, টতলব কিছুনা। তুমি অফিসে বেরুচ্ছ মনে হয়, বিরক্ত করলাম।
মুনিয়া তেতে গিয়ে বলল-বিরক্ত শব্দের মানে যদি তুমি বুঝতে তবে এভাবে এতদিন পর ফোন করতে না।
অনেক্ষণ আর কারো কোন কথা নেই। যেন অনন্ত ণৈশব্দ নেমেছে দুজনের ভূবনে।
মাহিন বলল- আসলে আমার খুব প্রয়োজন ছিল তোমার ফ্ল্যাটে যাওয়ার। আমার জরুরী কিছু পান্ডুলিপি ও কাগজপত্র রয়েছে স্টীলের আলমারীতে। ওগুলো খুবই প্রয়োজন।
-তো আমি কি করবো ?
-তুমি যদি একটু ব্যাগে করে নিয়ে আসতে, আমি তোমার অফিসে গিয়ে সংগ্রহ করে নিতে পারতাম।
-তুমি ভাবলে কি করে এমন একটা কান্ড ঘটিয়ে তুমি পগারপার আর আমি তোমাকে আমার অফিসে এলাও করবো। আমি চাইনা তুমি কোন দিন আর আমার অফিসে আসো।

তাহলে আমি যদি সন্ধ্যায় একবার আসি তোমার ওখানে , তুমি থাকবেতো ?
মাহিনের কথা শুনে মুনিয়ার মেজাজ বিগড়ে যাচ্ছিল। দাঁতে দাঁত চেপে বলল-ন্যাকামি করোনা। তোমার জিনিষ তুমি এসে নিয়ে যাবে তাতে আমার থাকা না থাকার কি আছে।

ঝাঁঝটা যেন গায়েই লাগেনি এমন ভঙ্গি করে মাহিন বলল- তাহলে সন্ধ্যায় দেখা হচ্ছে, থেকো প্লিজ। কথাটা বলেই লাইনটা কেটে দিলো মাহিন।

মুনিয়াকে যেন বিষাক্ত বিচ্ছু কামড়েছে সর্বাঙ্গ তার কিশকিশ করছে নীল বিষে। নিজেরটা ষোল আনা ছাড়া কিছুই বুঝেনা মাহিন। শুধুই নিজের প্রয়োজনে ফোন করেছে। আবার কায়দা করে জানতে চায় কেমন আছ ? লজ্জা বলে কি পুরুষ মানুষের কিছু নেই নাকি! এমন একটা ঘটনা ঘটিয়ে আবার কি করে এ ঘরে পা রাখতে পারে ভেবে পায়না মুনিয়া। পুরুষের পক্ষেই এমন নির্লজ্জ হওয়া সম্ভব। সম্পর্ক পুরোপুরি শেষ না করেই তাকে চরম অসম্মান আর প্রশ্নের মুখোমুখি ঠেলে দিয়ে ফের মুনিয়ার সামনে আসার সাহস পায় কি করে মাহিন ?

লোকটা ফোন করে সকালটাই মাটি মাটি করে দিলো মুনিয়ার। শরীর যেন পাথরের মত ভারী হয়ে গেছে। অফিস যাওয়া তো দূরের কথা বসা থেকে উঠতেই ইচ্ছে করছেনা। বসকে ফোন করে না করে দিতে হবে। আজ আর সে অফিসে যেতে পারবেনা।

শরীর ভালোনা বলে একটা অযুহাত দিতে হবে। নাস্তা খাওয়ার তাড়াটাও উবে গেল। দপ দপ করছে মাথাটা। ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক সেই দিনটার কথা মনে পড়ে গেলো।

সে দিন বৃষ্টি ছলো। বৃষ্টির দিনে ছোলা-মুড়ি মাহিনের বেশ পছন্দ। মুনিয়াও কায়দা করে অফিস থেকে আগে আগে বের হয়ে নাস্তার দোকান থেকে ছোলা, পেয়াজু, বেগুনী, আলুর চপ কিনে ফিরলো বাসায়। ছাতা দিয়েও আটকানো যায়নি বর্ষার বৃষ্টির তোড়। ভেজা কাপড় পাল্টে বসার রুমে যখন আয়েশ করে বসেছে তখনই সেন্টারটেবিলে পেপারওয়েট দিয়ে চাপা চিরকুট। সংক্ষিপ্ত এক লাইনের বয়ান-তোমাকে ছেড়ে চলে যেতেই হলো। ভালো থেকো।

প্রথমে বৃষ্টির দিনে রসিকতা মনে করেছে মুনিয়া ব্যাপারটাকে । মূল ঘটনার কিছুই যেন বুঝতে পারেনি মুনিয়া। কতক্ষণ আনমনে বসে থেকে ফোন দিলো মাহিনকে। কিন্তু মাহিনের তখন পোয়া বারো, ফোন ধরলে তো ! ফোন একটানা বেজে গেলো তারপর সংযোগ বিচ্ছিন্ন। মোবালেই সুইচ অফ।
মুনিয়া একা সমস্ত ফ্ল্যাট জুড়ে যেন নি:সঙ্গতা ব্যঙ্গ করছে তাকে। রাত গভীর হচ্ছে কিন্তু মাহিন ফিরলনা। শহরের ব্যস্ততা কমে গিয়ে ক্রমস নির্জনতায় ছেড়ে গেল সবকিছু কিন্তু নিন্দ্রা নেই মুনিয়ার চোখে। ভাবনার শত ডানার প্রজাপতি কেবল পাখা বিস্তার করছে মনে। সংবাদিকদেরতো অনেক কাজ থাকে তারউপর সে লেখক। কোন গোপন সংবাদ সংগ্রহ বা লেখালেখির জন্য কি কোথাও গিয়েছে ? হয়তো মুনিয়াকে চমকে দিতেই ফোন ধরছেনা। কিন্তু প্রতিবারইতো বাহিরে থাকলে নিদেনপক্ষে একটা এসএমএস করে জানায়। বন্ধু বান্ধবের পাল্লায় পড়ে কোথায় ঘুড়তে যায়নি তো ? গুমতির পাড়, শালবন কিংবা লালমাই ? যেমন মাঝে মাঝে যায় কিন্তু তখনতো এমন করে চিরকুট রেখে যায়না। মোবাইলটাও বন্ধ রাখেনা। মজা করছেনাতো ? না এটা রসিকতাও নয়। প্রায় পাঁচ বছর ধরে সংসার করছে দুজনে এখন কি এ ধরনের রসিকতা মানায় ?

নানান ভাবনায় শেষ রাতে ঘুমিয়ে গেছে মুনিয়া। সকালটা শুরু হলো নতুন এক সত্যোর মুখোমুখি হয়ে। মাহিন নিজেই ফোন করল। মুনিয়া কোন কথা বলার আগেই মাহিন গম্ভীর গলায় বলল, সরি মুনিয়া। তোমাকে একা রেখে আমাকে চলে আসতেই হলো।

মুনিয়া অবাক হয়ে বলল, কোথায় ?
-সানিয়ার ফ্ল্যাটে।
-মানে কি ?
-মানে আবার কি। তোমার সঙ্গে আমার আমার যাচ্ছেনা। এখন থেকে আমি আর সানিয়া একসঙ্গে থাকবো। মুনিয়ার পৃথিবী যেন মহূর্তেই আঁধারে ছেয়ে গেল, স্বপ্ন যেন কাচের টুকরোর মত ভেঙ্গে পড়লো, মুনিয়া স্তম্ভিত সেই থাকে বাকরুদ্ধ। মুনিয়া ভাসা ভাসা শুনেছে উঠতি মডেল সানিয়ার সাথে মাহিনের নাকি ঘনিষ্টতা সবার নজর কাড়ছে। সেই কানাঘুষা যে আচমকা সত্যি হয়ে সাপের মত ছোবল দিবে মুনিয়া ভাবতেও পারেনি।

তুমি না বলতে লোকে তোমাদের দুজনকে নিয়ে মিথ্যে রটনা রটাচ্ছে। আর ওই মেয়েটা ব্রেনলেস একটা মেয়ে। ওর সাথে কোনদিনও তোমার সম্পর্ক হতে পারেনা, কোথায় গেল সেই সত্যবানী ?
-ধারনাতো মানুষের চিরকাল এক থাকেনা, পাল্টায়। ওর সাথে মিশে, কথা বলে মনে হয়েছে আমাকে ওর প্রয়োজন, ওকে আমার প্রয়োজন।
মুনিয়া যেন অন্ধকার গুহায় পতিত হয়েছে, কি বলবে কি করবে বুঝে উঠতে পারছিলনা। মাহিনেই আবার বলা শুরু করল- দুই তরীর মাঝি না হয়ে এক তরীতেই পা রাখলাম। তুমি তোমার মত করে থাকো মুনিয়া। ভালো থাকো।
কথা এখানেই শেষ হয়ে গিয়েছে। মুনিয়া বুঝতে পারছে কোথাও তার একটা ভুল হয়েছে। নয়তো এভাবেই তাদের সম্পর্কের মৃত্যু ঘন্টা বেজে উঠার কাথা ছিলনা। যেন এলেবেলে একটা সম্পর্ক শেষ করতে পরেই মাহিনের আনন্দ। ধুলো ঝাড়ার মত গা থেকে তাকে ঝেড়ে ফেলে দিলো তার ভালোবাসার মানুষটি এই দু:খ, এই কষ্ট কিছুতেই মেনে নিতে পারছেনা মুনিয়া।

ভুলটা কি ? পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনে সন্তান না নেওয়া। সন্তান নেওয়াতে মুনিয়ার কখনো আপত্তি ছিলনা। বরং মাহিন বলতো-আরেকটু ঘুচিয়ে নেই, তারপর নতুন অতিথি আসুক। মুনিয়া যখন অফিসে থাকতো কিংবা বন্দের দিনও কাজে ছুটতে হতো তখন মাহিন তাকে সেভাবে কাছে পেতনা । এভাবে কাছে না পেতে পেতেই কি অন্য নারীতে সে আসক্ত হয়ে পড়েছে ? সন্তান থাকলে সংকটে সেতুর মত সংযোগের কাজ করে। আজ যদি একটা সন্তান থাকতো মাহিন কি এভাবে হুট করে চলে যেতে পারতো। কপাল। সবই কপাল।

এমন বিদঘুটে পরিস্থিতে পড়তে হবে তাকে কে জানতো। এখন সমাজে মুখ দেখাবে কি করে সে, আর পরিজিতজনদেরই বা কি বলবে ?
নিজের কাছে নিজেরইতো কোন উত্তর নেই মনকে প্রবোধ দেবার। মাগো মা এমন সবর্নাশ করলো তাকে মাহিন। এমন অপমান কেই কাউকে করে ? এতটুকু মানসিক প্রস্তুতি ছাড়াই মিলিত জীবন ছিন্ন হল, তিলে তিলে গড়া সংসার শেষ হয়ে গেলো ? অথচ বিয়ের ব্যাপারে মাহিন ছিল বেশি ইচ্ছুক। দুটি বছর কি একজন মানুষকে চিনতে পারার মত কম সময়। সম্পর্কের ঠিক দুবছর পর তাদের বিয়ে হয়েছিল। তাড়াহুড়া করলে না হয় বলা যেত না জেনে শুনে ভুল মানুষকে পছন্দ করে বিয়ে করেছে বলেই আজ এই অবস্থা।

সেদিন থেকে চিতার অনল বুকের ভিতর জ্বলছে। বছর খানেক হওয়ায় শোকটা কিছুটা স্তিমিত হয়েছে কিন্তু আগুন জ্বলছেই। আজকে মাহিনের ফোনটা পেয়ে আগুন যেন লক লক করে পুরো মুনিয়াকেই পুড়িয়ে দিচ্ছে।

পাশের রুমে গেল মুনিয়া। সারা ঘরময় এখনো মাহিনের অনেক জিনসপত্র। সব যেন স্মৃতি জোনাকী হয়ে জ্বলছে আর নিভছে। এবার আসুক শয়তানটা। সবকিছু নিয়ে যেতে বলবে সে। সব স্মৃতি ঝেটিয়ে বিদেয় করে তবেই শান্তি।

পান্ডুলিপি না ছাইপাশ কে জানে। ঘাটাঘাটি করে হাপিয়ে গেলো মুনিয়া। আবার শোয়ার রুমে এলো সে। সবখানেই মাহিন আছে, ছেড়ে যাওয়ার স্বামীর এহেন স্মৃতির উপস্থিতি কতটা বিদায় করতে পারবে মুনিয়া। পুরো ফ্ল্যাটেতো মাহিনের অর্ধেক দাবী। দুজনের টাকাতেই দুরুমের ফ্ল্যাট কেনা হয়েছিলো। দলিলও করা আছে দুজনের নামে। এবার কি তবে চুলচেড়া বিশ্লেষন করে মাহিনের অংশ মাহিনকে বুঝিয়ে দেবে।

নাকি এসব স্মৃতির জ্বালাতন আর বিরহের হাহার ভুলতে সে নিজেই অন্য কোথাও গিয়ে উঠবে। একরুমের কোন ফ্ল্যাট বা কারো বাসায় পেয়িং গেষ্ট। আর মাহিন উঠুক এই ফ্ল্যাটে সানিয়াকে নিয়ে। সুখে সংসার করুক তারা। না কি দায় পরেছে এতটা উদার হওয়ার বরং যে জাহান্নামে মাহিন আছে ওখানেই থাকুক। মুনিয়ার দিন কেটে যাবে একভাবে না একভাবে। ফ্ল্যাটের অর্ধেক তার নিজের সে কেন তা পরিত্যাগ করবে। কার জন্য, কোন যুক্তিতে?

ভাবনার আঘাতে এবার বিছানায় শুয়ে একটু আরাম খুজলো মুনিয়া। বিজ্ঞাপন এজেন্সিতে কাজ করে মুনিয়া। আজকে একটা বিজ্ঞাপন শেষ করার কথা ছিল। নিশ্চয় তার অনুপস্থিতিতে এজেন্সির বস মনোজ কুমার অখুশি হবেন। সুনিধি চৌহানকে ফোন করে তার কাজ করে দেয়ার অনুরোধ করলো। অন্য দিন সুনিধি না আসতে পারলে ওর প্রয়োজটা মুনিয়া মিটিয়ে দেবে।

সুনিধি ভালো মনের মেয়ে । অসুখ করেনিতো দিদি ? ঠিক আছে না আসতে পারলে আমি ম্যানেজ করে নেবো। তুমি বিশ্রাম নাও। ঠিক যেন নিজের মায়ের পেটের বোন।

চোখ বুঝতেই ঝাক ঝাক ছবির ভীর । সরিয়ে দিলেও ফিরে আসে। বিজ্ঞাপনের সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা ছিপছিপে তরুন মাহিনের সাথে প্রথম পরিচয় একটা ফ্যাশন শোতে। তারপর জানাশোনা, মন দেওয়া-নেওয়া। তাদের পরিচয় পর্বের দিনটিও বৃষ্টিময় ছিল। সম্পর্কে শেষও হয়ে গেলো বৃষ্টির দিনে। কত রাত-দিন বিরহের সাগরে ভেসেছে মুনিয়া কই তখন তো মাহিন একটি বারের জন্য যোগাযোগ করেনি। জানতে চায়নি একলা কেমন আছে মুনিয়া।

আজ নিজের প্রয়োজনে যেচে আলাপ করছে। কে জানে মুখোমুখি হলে আবার কোন গল্প ফাঁদে ? নাকি মুনিয়ার কাছে আসার জন্য এটা একটা বাহানা মাত্র।

মডেল হওয়ার সুযোগটা নষ্ট হলো মাহিনের অনিচ্ছার কারণে। মুনিয়া প্রস্তাবটা তুলতেই মাহিন বলল- আজ মডেল, কাল অভিনেত্রী, পরশু জাতীয় চলচিত্র তারপরতো অসকারের জন্য দৌড়-ঝাপ। বাপরে বাপ তুমি যদি একজনই সবকিছু বগলদাবা করো বাকিরাতো ভাতে মরবে। তারচেয়ে বরং চাকরিটাই কন্টিনিউ করে যাও।
নিজের ক্যারিয়ার বিসর্জন দিয়েছে সংসারের জন্য। আর সেই সংসার কিনা আজ বানের জলে ভেসে গেলো। সানিয়া বোকা মেয়ে নয়। মাহিনের ভুজুং ভাজুং-এ সানিয়া হয়তো তার ক্যারিয়ার বিসর্জন দিতে রাজি নয় বলেই দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। কে জানে কতদিন ধরে হয়তো চলছে মনোমালিন্য । সে মেয়ে হয়তো মাহিনকে চুষে খেয়ে ছাবরার মত ছুড়ে ফেলে দিয়েছে আর তাই হয়তো মক্কেল এখন মুনিয়ার কাছে ফিরার জন্য মরিয়া হয়ে ম্যাও ম্যাও করছে।

যদি ফিরে আসে মাহিন কি করবে মুনিয়া ? মাফ করে দিবে! এত সহজে তার কষ্ট, যাতনা, বিরহ ভুলে যাবে। এই বৃষ্টির দিনে মুনিয়া কি করবে এখন ? ফিরিয়ে দেবে না গ্রহণ করবে? যদি মাহিন তার জীবনে আবার আসে তবে একে কি হেরে যাওয়া বলে, নাকি জিতে যাওয়া বলে মুনিয়া ঠিক বুঝে উঠতে পারছেনা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
doel paki what a story!!

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

ভালোবেসে বিয়ে করার পর ভালোবাসার মানুষ যদি চলে যায় তখন মানুষের জীবনে যে দু:খ, কষ্ট, যাতনা, বিরহ নেমে আসে তারই বয়ান এই গল্পটি।

২৪ আগষ্ট - ২০২০ গল্প/কবিতা: ৯৮ টি

সমন্বিত স্কোর

৫.২৫

বিচারক স্কোরঃ ২.৮৫ / ৭.০ পাঠক স্কোরঃ ২.৪ / ৩.০

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“ডিসেম্বর ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী