অভ্র! আজি এতো করে কাঁদছো কেন
কি হল তোমার?
কতটা বছর গত হল তোমার এমন কান্না শুনিনি,
সেই কবে কেঁদেছিলে শেষবারের মতন
আবার সেই কান্না তোমার, সেই আগের মতোই গর্জন।
এমন কী হল যে, তোমায় এমন করে কাঁদতে হবে!
কে কী বললো তোমায় বলো দেখি অভ্র!
তোমার নীল আঁচলের ছায়াতলেই
তো আমাদের বসবাস,
এ বাঁধন ছিড়ে গেলে যাবো কোথায় বলো।
বলে দিলুম! এ মায়াবী বন্ধন ছেড়ে যাবার
কোন ইচ্ছে নেই আমার।
তবুও এভাবে ইচ্ছে করে ঠেলে দিতে চাইছো কেন?
কী হল, কেনইবা আজ এত অশান্ত হয়ে ওঠলে
কিছুতেই থামছেনা তোমার কান্না,
জানতে পারি কার জন্য কাঁদছো তুমি,
কিই বা তোমার কষ্ট!
অভ্র আমাদের নিয়েই তো তোমার বসবাস।
আমরাই তোমার সুখে-দুঃখের সাথী,
তবে আজ এতটা অভিমানী কেন তুমি!
আমি আর পারছিনা তোমাায় নিয়ে,
এদিকে তোমার হাকডাক আর ঘনঘন গর্জনে
সবাই ভীতসন্ত্রন্ত হয়ে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে।
তোমার কান্নায় ভেসে আসা থই থই জলের শব্দে
রাতে ঘুমন্ত শিশুরাও আঁতকে ওঠছে।
আমি আর কত শান্তনা দিতে পারি বল!
তুমি কাঁদো চেরাপুঞ্জির পাদদেশে
ওই নির্জন কালো পাহাড়ে বসে
সেই কান্নার জল গড়িয়ে এসে পড়ে সমতলে
তখন সবাই কাঁদে, আমিও কাঁদি নীরবে।
এমনিতেই মহামারী করোনায় ক্লান্তশ্রান্ত এপারের মানুষ
কত দিন হলো ঘরবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন কাটছে।
এ যেন মহা দুঃসহ জীবন যাত্রা, বড়ো কষ্টে যাচ্ছে দিন
প্রতিনিয়ত প্রাণহানি , লঞ্চডুবিতে হচ্ছে সলিল সমাধি।
তার মধ্যে তোমার কান্নায় জলবন্দি এখন মানুষ
আহা! কী যেন এক নাকাল অবস্থা!
মানুষের অসহ্য দুঃখ কষ্টে
ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছি আমি নিজেই।
আর পারছিনে, কান্না এবার থামাও তোমার,
বাঁচতে দাও এ জনপদের মানুষদের।
জানো তো! তুমি হাসলে আমি হাসি,
হাসে সবাই মিলে,
তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখি হাজার দিন-রাতের।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।