জয়-বাংলা

মুক্তিযোদ্ধা (ডিসেম্বর ২০১২)

F.I. JEWEL N/A
  • ১৩
  • ৫০

বৈশাখ মাস । মেঘলা আকাশ । কাল-বৈশাখীর ঘনঘটা । দিরীম দিরীম শব্দ আর বিজলীর চমকানী । সরলাবতী চিতকার করে উঠলো....., " ইয়ে বাংলা মুলুক ক্যায়ছে হ্যায় .., আসমান মে কামান দাগা । আর ক্যায়ছা হুয়া থমকে থমকে জয়-বাংলা বাত বলতা হ্যায় । "
চারিদিকে গগন বিদারী আওয়াজ ... " জয়--বাংলা " । একি যাদু-মন্ত্র , নাকি ধর্মীয় সুধায় পরিপূর্ন কোনো শব্দ ধ্বনী । --- যা হৃদয় মনকে নাড়া দিয়ে মুক্তি পাগল করে তোলে ।

" উপরে চাঁদের আলো , নিচে শ্রাবনের স্বচ্ছ জল ।
শত্রুর বিবর ঘাঁটি, অদ্য রজনীর লক্ষ্যস্থল । "
------এরুপ প্রেরনায় উজ্জীবীত হয়ে হাজার হাজার জনতা এগিয়ে চলেছে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট দখল করার জন্য । তাদের হাতে বাউঙ্কা , লাঠি ,বল্লম , শরকী । আদিবাসী সাওতালদের হাতে তীর ধনুক । চারপাশের অলিগলি আর ধানের ক্ষেতের মাঝ দিয়ে এগিয়ে চলেছে জনতার ঢল । ক্যান্টনমেন্টের কাছাকাছি এসে গেছে । স্বাধীন হওয়ার তীব্র বাসনা আর জয়-বাংলা আওয়াজ তাদের বীরত্বকে বহুগুন বাড়িয়ে দিয়েছে ।

আক্রমনের পূর্ব মুহুর্ত । তার আগেই পাকিস্তানী কমান্ডারের নির্দেশে ব্রাউনিং মেশিনগান দিয়ে বৃষ্টির মত গুলি বর্ষন চলতে থাকে । শত শত মুক্তিকামী জনতা প্রান হারায় । হাজার হাজার লোক আহত হয়ে আর্তনাদ করতে থাকে । কমান্ডারের নির্দেশে নিহত লাশগুলো ক্যান্টনমেন্টের ভীতরে জড়ো করে পেট্রোল দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয় ।

গোয়েন্দা তথ্য আর সমর জ্ঞানের অভাবে সেদিন পরাজয় ও মৃত্যু বাঙালীর সাথে উপহাস করলেও...., তাদের বিজয়ের আকাংখা দেখে বিশ্ববাসী অবাক হয়ে গিয়েছিল ।
ওদের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে ওদেরকে আঘাত করার যে বীরত্ব , প্রেরনা ও সাহস রংপুরের মানুষ সেদিন সৃষ্টি করেছিল....., তা বিশ্বের ইতিহাসে এক অবিস্মরনীয় ঘটনা । এই ঘটনার পর পরেই জয়-বাংলার আওয়াজ আরো বিপ্লবী রুপ নিয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে পরতে থাকে । মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের মুলমন্ত্রই ছিল ----, এই " জয়-বাংলা " ।

হঠাত শীলা দেবী জানতে চাইলো তারিখটা কবে---? কোনো-----, ১৯৭১ সালের ১৮ই এপ্রিল ।।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন ........................চমৎকার! খুব ভাল লাগল।
তাপসকিরণ রায় বাংলার সব ঘটনা আমার জানা নেই.তাই সরলাদেবী বা শীলা দেবীর ব্যাপারটা আমার কাছে একেবারেই অস্পষ্ট.কারা এঁরা?কাব্য বা অনু গল্প টাইপের হলো বটে!রংপুর ক্যান্টনমেন্ট দখলের ওপর পাক বাহিনী ও মুক্তি যোদ্ধার মধ্যে ঐতিহাসিক লড়াই হয়েছিল,ব্যাস,এটুকুই পেলাম--আমি গল্পটাকে ভালো বুঝে উঠতে পারলাম না.
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি জয়বাংলা ধ্বণীর মন্ত্রটা মুক্তিযোদ্ধাদের কিযে প্রেরণা যুগিয়েছে তা কেবল মুক্তিযোদ্ধারাই জানে.....অনেকদিন পর রংপুরের খন্ডিত মুক্তিযুদ্ধের চিত্রটি দেখে আপ্লুত হলাম জুয়েল বাই......অনেক ধন্যবাদ আপনাকে............
তানি হক অনেক ছোট করে লিখেছেন জুয়েল ভাই ...তার পর ও খুব খুব ভালো লাগলো ..শুভেচ্ছা জানাই
আহমেদ সাবের সত্য ঘটনার অসামান্য বর্ণনায় ছোট্ট একটা গল্প - "মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের মূলমন্ত্রই ছিল ----, এই " জয়-বাংলা " ।"। ধন্যবাদ গল্পটি লেখার জন্য।
সালেহ মাহমুদ জুয়েল ভাই, শিলা দেবী আর সরলাবতী’র উপর ভর করে দারুন একটি তথ্য দিলেন। ঘটনাটি আমি জানতাম না। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
মিলন বনিক " উপরে চাঁদের আলো , নিচে শ্রাবনের স্বচ্ছ জল । শত্রুর বিবর ঘাঁটি, অদ্য রজনীর লক্ষ্যস্থল । "লেখকের সুন্দর লেখার সাথে এক টুকরো চাদের ম একটি কাব্যও পেলাম...ভালো লাগলো জুয়েল ভাই...শুভ কামনা....
সিয়াম সোহানূর মুক্তির মন্ত্রটা দারুণভাবে ফুটে উঠেছে। বর্ণনা কিছুটা কাব্যিকও বটে। ভাল লাগলো জুয়েল ভাই ।
বশির আহমেদ ঐতিহাসিক ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ননা । শাহ আকরাম রিয়াদের মত প্রশ্ন আমারও । রংপুর বাসীর অনেক গর্বের মাঝে একটি ঐদিনটি ।
সূর্য N/A খেয়ালী লেখক জুয়েল ভাইয়ের ভাবের আরেক উদাহরণ। শীলা দেবীকে কি ছাড়া যাবে না? হা হা হা। ইতিহাস নির্ভর করুণ সুন্দর কাহিনী ভাল লাগা মন্দ লাগার কিছু নাই, আছে একবুক গর্ব করার সব উপাদান.....

১৩ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৬২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "পদত্যাগ”
কবিতার বিষয় "পদত্যাগ”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ জুন,২০২৫