" ওরে সর্প তোরে কই---, সময় দোষে এরুপ সই , যার ডাকে মেদেনী কাঁপে--- তার গাল ছাগলে চাটে । "
---- এটা বনের রাজার বিরুপ সময়ের বিলাপ ধ্বনী । সময়ের উল্টা-পাল্টা আচরন প্রকৃতি জগতে কিরকম পরিনতির সৃষ্টি করে----, তার ইঙ্গিত এতে রয়েছে । সময়কে সৃষ্টি করার পর একে গতিশীল করা হয় । এর পর থেকে এটি ছুটতে ছুটতে ভবিষ্যতকে অতিক্রম করতেই থাকে । আর মহাবিশ্বের বুকে অতীত , বর্তমান ও ভবিষ্যতের নামে মহাকালের আলপঁনা আঁকতে থাকে । সামনের দিকে ছুটে চলা সময়ের এই গতি যদি কখনো অতীতের কোনো বিন্দুতে মিলিত হতে পারে----, তাহলে সেটাই তার স্থিরতা । মহাকাল যেখানে গতি হারায়----, সেখানে আর সময়ের স্রোত থাকে না । এই স্তরের পরের স্তর হলো---, স্রষ্টার ঘন অস্তিত্বের স্তর ।
সাধনা করে করে সাধু সন্যাসীরা সময়ের দুদিকেই বহুদূর পর্যন্ত যেতে পারতো । কথিত আছে---, কোনো এক বুজুর্গ ব্যক্তি পূর্বদিকে যেতে যেতে সূর্য্যের উদয় স্থলের কাছে চলে গিয়েছিলেন । আবার পশ্চিমে যেতে যেতে সূর্য্যের অস্ত যাওয়ার স্থানে গিয়ে অনেক অবাক করা ঘটনা দেখেছিলেন । রজনী যোগে শেষ নবীকে বিশেষ ভ্রমন করানোর কথা কুরানে পাওয়া যায় । রাত জেগে জেগে সাধকদের আধ্যাত্মিক ভ্রমনের ব্যাপারটা কিন্তু ফেলনা নয় ।
ইনসানের তুলনায় জ্বীনদের বয়স ও গতি বেশী হওয়ায়----, অতীত সর্ম্পকে তাদের ধারনাটা একটু বেশী । সোলায়মান নবীর সময় সেবার রাণী বিলকিসের সিংহাসন তুলে নিয়ে আসার প্রয়োজন দেখা দিলে---, এক শক্তিশালী জ্বীন সভা শেষ হওয়ার আগেই সিংহাসন এনে দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেন । কিন্তু কিতাবের জ্ঞানে জ্ঞানী এক ইনসান চোখের পলকসম সময়ের ব্যবধানে ঐ সিংহাসন এনে দিয়েছিলেন । এটা যাদু , ম্যাজিকের ঘটনা দিয়ে বোঝা সম্ভব নয় । সময় ও স্থানের সংকোচন ও সম্প্রসারনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার আলোকে বুঝবার চেষ্টা করা যেতে পারে ।
রাণীমাতার জ্বীন গুলো দিন দিন বড় বেশী বেয়ারা হয়ে যাচ্ছে । আগের মত কথা শুনতে চায় না । লাল পোষাক আর প্রসাধনী পরিহার করার জন্য রাণীমাতাকে অনেক আগেই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিল । স্রষ্টা সম্পর্কিত জ্ঞানের দিক থেকে রাণীমাতার ধারনাটা বেশ উন্নত । কিন্তু ঘটনা অন্যখানে । এই অবাধ্য জ্বীনগুলোর জ্বালাতন হতে রাণীমাতাকে বাঁচাতে হবে । গ্রহ-নক্ষত্রের দিক থেকে রাণীমাতার লগ্ন বেশ ভালো । শনি , বৃহস্পতির কৌনিক অবস্থান থেকে কোনো এক কৃঞ্চ পক্ষের রাতে রাণীমাতাকে যদি অতি দ্রুত পর পর সাতটি নদী পার করিয়ে আনা যায়---, তাহলে কিছু একটা হতে পারে । কিন্তু রাণীমাতার হাতের আংটিটা খুবই রহস্যময় । এটি নাকি জ্বীনদের দেশ থেকে পাওয়া । এর অনেক উপাদানের দ্রব্যগুন অতি মারাত্মক । এর দ্বারা রাণীমাতা অনেক অনেক অলৌকিক ঘটনা ঘটাতে পারেন । কিন্তু নদী পার হতে হলে ----, এই আংটিটাই সমস্যা হতে পারে । নদীর দেবতাকে বলে না রাখলে জ্বীনগুলো খুব ঝামেলা করতে পারে । কিন্তু রাণীমাতাকে কিছুতেই এই আংটি খোলার কথা বলা সম্ভব নয় । আর এটা তিনি নাও মানতে পারেন । কিন্তু উপায় ?
এই উপায় নিয়ে শীলাদেবীর সাথে আলোচনা করতে গেলে সে বিরক্ত বোধ করে । স্রষ্টা সর্ম্পকিত জ্ঞান আর সৃষ্টি সর্ম্পকিক জ্ঞানের যে বিশাল পার্থক্য----, এটা বুঝবার ইঙ্গিত দিয়ে শীলাদেবী মিথ্যামহলে চলে গেলো ।।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আজিম হোসেন আকাশ
ভাল লাগল। আমার লেথা বিজ্ঞানের চেতনা কবিতাটি ভাল লাগলে ভোট প্রদান করুন ও পছন্দের তালিকায় নিন, অন্যথায় নয়।
েভাট করলাম।
আমি কি পারিনি তোমাদের মন করিতে জয়; তবে কেন আমায় ভোট দিতে তোমাদের এত ভয়। যদি কারো ভাল না লাগে আমার লেখা কবিতা; পছন্দের তালিকায় নিবে না কেউ জানি তা।
জিয়াউল হক
জ্বীন দের সাথে বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী কে কিভাবে সমন্বয় করলেন বুঝলাম না । কারণ মুসলিম হিসাবে এর অস্তিত্ত মানতে হলেও একজন আধুনিক বিজ্ঞান ম ন স্ক মানুষ দুই কে কখনো একসাথে দেখতে পারবেনা । যাই হোক আপনার চেস্টা সার্থক হোক
মোহাঃ সাইদুল হক
রাণীমাতার হাতের আংটিটা খুবই রহস্যময় । এটি নাকি জ্বীনদের দেশ থেকে পাওয়া । এর অনেক উপাদানের দ্রব্যগুন অতি মারাত্মক । এর দ্বারা রাণীমাতা অনেক অনেক অলৌকিক ঘটনা ঘটাতে পারেন ---------খুব ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইলো।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।