দূরে যা বহু দূর; অনে-ক দূর_ দেখে আয় ভাগ্য; পেটে নাই খাদ্য। চেয়ে দ্যাখ মুখ পানে; শুকায়েছে রস বিনে। হেটে চল কিছু দূর; চেয়ে দ্যাখ অনতিদূর, পড়ে আছে ফুটপাতে; খেয়ালি বাতের রাতে। নেই কো কাথা-বালিশ; করে কে এই শালিস? থরথর কাঁপছে; কেউ এসে ভাবছে_ জনম তব হেথা; স্রষ্টাকে থাকা বৃথা। দিচ্ছে না কেউ তবে, একটি বালিশ;কাথা!
কাতরায় কত প্রাণ; শীত-রাতে নাইরে পরিত্রাণ! ছালা বা ব্যানার মুড়ে; সারারাত কুড়মুড়ে যাচ্ছে চলে রাত; কাথা-কম্বল নাই বা থাক। প্রকৃতির খেয়ালে; পড়ে রছে গাছ তলে, নাহি হেথা কেউ কোথা; মানবতা বাত যথাতথা।
ঐ ঘরে শুনছি, মা ডেকে বলছে_ বাবুর পুরান কম্বল; নাহি আর চলছে। যেতে হবে কিনিতে বড়সড় মার্কেট_ সর্বোচ্চ দামি কিনিব; ইহা মোর টার্গেট। দাও যদি দিয়ে মা পুরানটা ঐ গা_ ধুক-ধুক কাঁপছে; স্বোয়াস্তি পাবে তাগো পা! শত ঘর পরেও যদি বের হয় একটি_ কেউ মাগো কাঁপিবে না বিবর্ণ শীত রাত্রি। ভালবেসে পরস্পর; এগিয়ে নেব ধরিত্রী।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। ভালবাসা ও শুভেচ্ছা নিবেন। জ্বি, আরো মজবুত লেখনির আশা মনে পুষছি। সবার লেখনির ধরন/ধারন আমাকে উন্নত করবে সেই কামনায় করি আমি
কাজী জাহাঙ্গীর
হাসান ভাই আপনি চেষ্টা করছেন তাই আপনার জন্য অনেক শুভকামনা। লেখার সময় সাধু ভাষা বা চলিত ভাষা কোনটা দিয়ে শুরু করলেন সেদিকে লক্ষ্য রেখে এগুলে মিশ্রনটা এড়ানো যেতে পারে। আবার লেখাটা কি ছন্দে হবে নাকি গদ্যভাবে হবে, অন্তমিলে হবে নাকি তাল মাত্রায় হবে- এগুলো পুরোভাগে ঠিক করে নিলে লেখাটা আরো বেশী উপভোগ্য হতে পারে। ‘ মা ডেকে বলছে’ পুরোপুরি চলিত ভাব এটা, আবার ‘নাহি হেথা কেউ কোথা’ এটার ভাবটা সাধু। লেখাটা পর্যালোচনা করেছি এভাবে যাতে করে শুব্দ চয়ন, আংগিক এবং ছান্দিক বিন্যাসে সামনে আপনি আরো ভাল করবেন এই প্রত্যাশায়। আবারে অনেক শুভকামনা আর ভোট রেখে গেলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ লেখা পর্যালোচনা করে মন্তব্য করার জন্য। আসলে নিদির্ষ্ট কোন ছন্দ মেনে আমি লিখি না, ইচ্ছাও নেই। মনে যে ভাব আসে তাই লিখি। তবে আপনার সবগুলো উপদেশ খুবই ভাল লেগেছে। উন্নত লেখার জন্য এগুলো ফলো করা উচিৎ! আর সাধু ও চলিতের বিষয়টা ভাল বলেছেন। ধন্যবাদ।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
শীত আমাদের অনেকের জন্য মজার! পিঠা-পুলি, রস ইত্যাদি খাওয়ার কাল শীত কাল। কিন্তু শহরের অপর পাড়ের মানুষদের জন্য এই শীত বিবর্ণ! শীতে তাদের কষ্ট এবং কষ্ট লাঘবের জন্য --মায়েদের নিকট আর্তি জানিয়ে কবিতাটি।
০৪ নভেম্বর - ২০১৯
গল্প/কবিতা:
৭ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।