হাজার বছর পরে আমি ভাবি প্রাক্তনের কথা, এক কৃষক, প্রখর রোদের সাথে যুদ্ধ অথবা অতিবৃষ্টির দৃষ্টিকে অগ্রাহ্য করে ফলিয়েছে ফসল। সহধর্মিণীর পাখার বাতাসে যার হৃদয় হয়েছে শীতল, মুখে হাসি ফুটেছিলো এক নবান্নে। সারাবছর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অপেক্ষায় সেই হাসির, যার তুলনা শিশুপুত্রের 'আব্বা' ডাকে। একজোড়া রুগ্ন বলদের সর্দার হয়ে শুরু সকাল, সূর্য মাথায় চড়লে পেটে যেত এক সানকি পান্তা ভাত। শরীরের যত ক্ষমতা নিঃশেষ করে ফিরত ঘরে, প্রাঙ্গণে একটা মুখের উঁকি ছিল দূর থেকে নীড়ের দিশা। কখনো চাঁদের আলোয় যখন জৈবিক চাহিদা ক্ষান্ত, মনে ভেসে বেড়াত কালকের অভিপ্রায়; এক নবান্নের ডাক। জমিদারের খাজনার ক্ষিদে মিটত তার রক্ত জলে, বঞ্চনা সব জমে জমে আগ্নেয়গিরির শিহরণে; একদিন প্রাণ গেল লাঠিয়াল বাহিনীর হাতে। কানে বাজল অবিরাম শিশুপুত্রের অস্ফুট কান্না, যার আড়ালে এক বঙ্গ কিশোরীর ভাঙা সংসার। হাজার বছর পরে, অনুভবে আমি সেই কৃষক আমার বুকেও জমাট বেঁধে আছে হেমন্তের উৎসব। আজ সেই দিন নেই, সময় নেই শুধু মনে পড়ে সেদিনের কথা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
নবান্ন বাংলার কৃষক সমাজের এক উৎসব। খুশির উৎসব, যার তুলনা হয় না কিংবা তার তুলনা শিশুপুত্রের হাসির সাথে। অনেক আনন্দ যেমন ছিল তেমনি এর সাথে বেদনাও লুকিয়ে ছিল। সে বেদনা কায়িক শ্রমের আর তার চেয়ে বেশি বেদনা জমিদারের অত্যাচারের। এইসব আনন্দ-বেদনা নিয়ে এই কবিতা।
২৩ সেপ্টেম্বর - ২০১৯
গল্প/কবিতা:
১৮ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।